বিষয়বস্তুতে চলুন

পানি নিরাপত্তা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mmibappybd (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
Mmibappybd (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:


পানির কিংবা পানি-অনুমোদনের বাজার মূল্যের উপর ভিত্তি করে কোন এলাকায় কতটুকু পানি বন্টন করা হবে, তা নির্ণয় করা হয়; যেহেতু সব এলাকাতেই পানির প্রচন্ড চাহিদা রয়েছে। [http://www.zef.de/fileadmin/webfiles/downloads/zef_dp/zef_dp2-98.pdf]
পানির কিংবা পানি-অনুমোদনের বাজার মূল্যের উপর ভিত্তি করে কোন এলাকায় কতটুকু পানি বন্টন করা হবে, তা নির্ণয় করা হয়; যেহেতু সব এলাকাতেই পানির প্রচন্ড চাহিদা রয়েছে। [http://www.zef.de/fileadmin/webfiles/downloads/zef_dp/zef_dp2-98.pdf]

== মিঠাপানি ==
সত্যি বলতে পৃথিবীতে পানির কমতি নেই। কিন্তু জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী, মানব সম্প্রদায় এবং বাস্তুসংস্থানের জন্য ব্যবহার্য মিঠাপানির পরিমাণ মাত্র ২০০,০০০ ঘণ কিলোমিটার; যা মোট মিঠাপানির এক শতাংশেরও কম। যে সব পানি দূষিত নয় বা পানি দূষিতকারী রাসায়নিকে (যেমন নর্দমার ময়লা, বারবার ব্যবহারের কারণে পানিতে মিশে যাওয়া ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি) পূর্ণ নয় সেটাকেই বলা হয় ব্যবহার্য মিঠাপানি। [http://www.waterencyclopedia.com/Po-Re/Population-and-Water-Resources.html] শুধু গত শতাব্দিতেই পানি ব্যবহারের পরিমাণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। বিশেষত ২০২৫ সালের মধ্যে পানি-অপসারণের ঘটনা উন্নত বিশ্বে ৫০ শতাংশ এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়।[https://books.google.com/books?id=166CCgAAQBAJ&pg=PA500&lpg=PA500&dq=water+withdrawals+are+predicted+to+increase+by+50+percent+by+2025&source=bl&ots=OcDFzo43qH&sig=c0jzYNh-IbgMNJsp_rVgXmhenP0&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwiC64-yz97QAhVCHGMKHXcWAvYQ6AEILDAD#v=onep] উদাহরণ হিসেবে, আফ্রিকা মহাদেশে মিঠাপানির অনুলব্ধতা অচিরেই ৭৫ থেকে ২৫০ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে।[http://www.un.org/apps/news/story.asp?NewsID=30167&Cr=water&Cr1=supply#.WEYuHLIrLIU] ২০২৫ সালের মধ্যে আক্ষরিক অর্থেই পানির অভাবে পড়বে পৃথিবীর ১.৮ বিলিয়ন মানুষ, আর পানি নিয়ে টানাটানি শুরু হবে দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার মধ্যে। [http://www.un.org/waterforlifedecade/scarcity.shtml]

০৪:১৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

২০১২ সালের একটি মানচিত্র, যেখানে ন্যুনতম পানি নিরাপত্তার দেশগুলোকে লাল দাগে চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে।

পানি নিরাপত্তা বলতে পানি ব্যবহারের ঝুঁকি সীমার মধ্যে থাকা অবস্থায় খাদ্য, জীবিকা এবং প্রজননের জন্য গ্রহনযোগ্য গুণমান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির নির্ভরযোগ্য প্রাপ্যতা বা লভ্যতা বুঝায়। [১]

পানি নিরাপদ বিশ্ব ছাড়া স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানব সভ্যতার উন্নয়নের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করাটাই হলো পানি নিরাপদ বিশ্বের মূলমন্ত্র। পানি নিরাপদ বিশ্বের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, পানির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এর বিধ্বংসী ক্ষমতার অপসারণ। এছাড়া পানি নিরাপত্তা বলতে পরিবেশ সংরক্ষণ করা এবং দুর্বল পরিবেশ ব্যবস্থাপনার নেতিবাচক প্রভাবগুলো চিহ্নিত করাও বুঝানো হয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনায়ন, কৃষি, শক্তি (উৎপাদন), পর্যটন, শিল্প, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার ধারণাও পানি নিরাপত্তার মধ্যে পড়ে। পানি নিরাপদ বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচিত হয়, শিক্ষা অগ্রগামী হয় এবং জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে। সবার জন্য উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা রয়েছে পানি নিরাপদ বিশ্বে;  বিশেষ করে নারী এবং শিশুর, পানির উপযুক্ত পরিচর্যার কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় তারা। [২]

পটভূমি

প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট বলছে, “আঞ্চলিক পরিবর্তনগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি-উৎপাদন, মিঠাজলের উপস্থিতি এবং গুণগত মান, অতি-প্রয়োজনীয় খনিজগুলো ব্যবহার্যতা ইত্যাদি ব্যহত হবে, উপকূলীয় অঞ্চল এবং দ্বীপাঞ্চলে বন্যা বেড়ে যাবে, আরও দেখা দেবে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব। এই সব নেতিবাচকের প্রভাবের কারণে বিভিন্ন দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রাকৃতিক শক্তি-বাজার এবং আঞ্চলিক অর্থনীতির পুণনির্মান ইত্যাদি কাজগুলো কঠিন হয়ে যাবে এবং বেড়ে যাবে নিরাপত্তা ঝুঁকি।”[৩]

এসব ঘটনার প্রভাব বিভিন্ন অঞ্চল, রাষ্ট্র এবং দেশের উপর পড়বে। পানি ব্যবহার করার ব্যক্তিগত এক্তিয়ার অনুযায়ী যারা এর অনুকূলে এবং প্রতিকূলে রয়েছে, তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা সবসময়ই কাজ করে। [৪]

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিভিন্ন নদীর পানি ব্যবহার করা নিয়ে অনেক যুদ্ধ হয়েছে অতীতে; যেমন টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস নদী।[৫] আরেকটি চমৎকার রাজনৈতিক উদাহরণ হলো লেভ্যান্ট অঞ্চলের সূচনালগ্ন থেকে এর পানির উপর ইসরায়েলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। [৬] ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েলের যে ছয় দিনের যুদ্ধ হয়েছিল, তার অন্যতম নিয়ামক ছিল- নিজেদের পানি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা। 

পানি নিরাপত্তা বলতে কখনো কখনো পানির লবনাক্ততা দূরীকরণ, পানির উৎস এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে পাইপলাইন স্থাপন, যুদ্ধ সহ বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত ক্ষেত্রে পানি ব্যবহারের অনুমতি প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলোও বোঝানো হয়।

পানির কিংবা পানি-অনুমোদনের বাজার মূল্যের উপর ভিত্তি করে কোন এলাকায় কতটুকু পানি বন্টন করা হবে, তা নির্ণয় করা হয়; যেহেতু সব এলাকাতেই পানির প্রচন্ড চাহিদা রয়েছে। [৭]

মিঠাপানি

সত্যি বলতে পৃথিবীতে পানির কমতি নেই। কিন্তু জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী, মানব সম্প্রদায় এবং বাস্তুসংস্থানের জন্য ব্যবহার্য মিঠাপানির পরিমাণ মাত্র ২০০,০০০ ঘণ কিলোমিটার; যা মোট মিঠাপানির এক শতাংশেরও কম। যে সব পানি দূষিত নয় বা পানি দূষিতকারী রাসায়নিকে (যেমন নর্দমার ময়লা, বারবার ব্যবহারের কারণে পানিতে মিশে যাওয়া ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি) পূর্ণ নয় সেটাকেই বলা হয় ব্যবহার্য মিঠাপানি। [৮] শুধু গত শতাব্দিতেই পানি ব্যবহারের পরিমাণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। বিশেষত ২০২৫ সালের মধ্যে পানি-অপসারণের ঘটনা উন্নত বিশ্বে ৫০ শতাংশ এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়।[৯] উদাহরণ হিসেবে, আফ্রিকা মহাদেশে মিঠাপানির অনুলব্ধতা অচিরেই ৭৫ থেকে ২৫০ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে।[১০] ২০২৫ সালের মধ্যে আক্ষরিক অর্থেই পানির অভাবে পড়বে পৃথিবীর ১.৮ বিলিয়ন মানুষ, আর পানি নিয়ে টানাটানি শুরু হবে দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার মধ্যে। [১১]