জিকরুল হক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:১৪, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

ডাঃ জিকরুল হক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মশেখ জিকরুল হক
(১৯১৪-০৯-০১)১ সেপ্টেম্বর ১৯১৪
সৈয়দপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১২ এপ্রিল ১৯৭১(1971-04-12) (বয়স ৫৬)
রংপুর সেনানিবাস, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)
জাতীয়তা পাকিস্তান
 ব্রিটিশ ভারত
পেশাচিকিৎসা

শহীদ ডাঃ জিকরুল হক ছিলেন একজন বাঙালি পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক, যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। ২০০১ সালে তিনি মরনোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পান। এছাড়া তিনি পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।

জন্ম ও শিক্ষা

জিকরুল হক ১৯১৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ডাঃ মোঃ শেখ জেয়ারতউল্লাহ আহম্মদ এবং মাতা খমিউননেসা চৌধুরাণী। তিনি ১৯৩৩ সালে সৈয়দপুর ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৩৯ সালে কলকাতা ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুল থেকে এল.এম.এফ পাস করেন।

কর্মজীবন

রাজনীতি

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ সৈয়দপুরে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন নিয়ে স্থানীয় বাঙালি ও বিহারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে অনেকেই হকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেই রেশ ধরে ২৫ মার্চ রাতে অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তাকেওও গ্রেফতার করে রংপুর সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত অমানুষিক নির্যাতনের পর সেনানিবাসের পাশে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

সম্মাননা

সৈয়দপুরে তার সম্মানে একটি সড়কের নাম শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ডাক বিভাগ তার নামে স্বারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরনোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ