মিনার মাহমুদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৮:০৪, ২০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (→‎top: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

মিনার মাহমুদ
জন্ম১০ মার্চ ১৯৫৯
ফরিদপুর বাংলাদেশ
মৃত্যু২৯ মার্চ, ২০১২
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
পরিচিতির কারণসাংবাদিক

মিনার মাহমুদ (জন্ম: ১০ মার্চ, ১৯৫৯ - মৃত্যু:২৯ মার্চ, ২০১২) একজন বাঙ্গালী সাংবাদিক যিনি ১৯৮০-এর দশকে তাঁর সামরিক শাসন বিরোধী ভূমিকার জন্য বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন। তিনি ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিন্তা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। ১৯৮০-এর দশকে সামরিক শাসক রাষ্ট্রপতি এরশাদের রাজত্বের বিরূদ্ধে তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কবি তসলিমা নাসরিন-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ছিলেন তসলিমার তৃতীয় স্বামী। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি দীর্ঘ প্রবাস জীবনের পর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় কিছু কাল লেখালিখি করেন। এছাড়া তিনি সাপ্তাহিক বিচিন্তা পুনঃপ্রকাশ করেন যদিও কয়েকটি সংখ্যারর পর এটি আর প্রকাশ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় নি। ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ তারিখে তিনি আত্মহননের পথে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।[১][২]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম মোহাম্মদ আলী মিনার। নামের শেষাংশ 'মিনার' আসলে তাঁর ডাকনাম। বাড়ী ফরিদপুর-এ। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে বিএসএস (সম্মান) এবং ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে এমএসএস ডিগ্রী লাভ করেন। [৩]

কর্মজীবন

ছাত্র জীবনে তিনি লেখালিখি শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন কালে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিচিন্তা নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। অকপটে সামরিক শাসন বিরোধী বক্তব্য প্রকাশের জন্য তাকেঁ ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে গ্রেপ্তার করা হয়। সামরিক শাসক পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় এলে তিনি পুনরায় সপ্তাহিক বিচিন্তা প্রকাশ করেন। কিন্তু কিছু দিন পর পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এরপর দীর্ঘকাল আর তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন নি। ২০০৯-এ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কাজ করার চেষ্টা করেন।এছাড়া বিচিন্তা পুনঃ প্রকাশ করেন। এবছরের শুরুতে তিনি শান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। বলা হয়েছে বাংলাদেশে সাপ্তাহিক রাজনৈতিক পত্রিকায় রিপোর্টিং ভিত্তিক বিদ্রোহীধারার আধুনিকতার প্রবর্তক ছিলেন মিনার মাহমুদ।[৪] মৃত্যুর অল্প কিছুদিন আগে তিনি আজকের প্রত্যাশা নামক একটি দৈনিক পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। [৫]

বিচিন্তা

[৬][৭] বলা হয়েছে বিচিন্তা ছিল দুই মলাটের ভিতর নিষিদ্ধ বারুদ।[৮]

মৃত্যু

২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ্চ তারিখে দিবাগত রাত্রে তিনি আত্মহত্যা করেন। তিনি গভীর বিষাদে আক্রান্ত ছিলেন। দীর্ঘ মার্কিন প্রবাস শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর জাগতিক অসফলতা তাকে গভীরভাবে হতাশগ্রস্ত করেছিল। মৃত্যুর ঠিক আগে তিনি স্বীয় স্ত্রীকে সম্বোধিত কাছে স্বীকারোক্তিমূলক একটি চিঠি রচনা করেন। তারপর অনেকগুলো ঘুমের বড়ি খেয়ে ফেলেন। এতেই তাঁর মৃত্যু হয়। [১][২] [৯][১০][১১] তাঁর অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে সকল স্তরে শোক ছায়া নেমে আসে। দেশের বুদ্ধজীবী ও সাংবাদিক সমাজে তোলপাড় শুরু হয়। পত্র-পত্রকায় প্রচুর লেখালিখি হয়।[১২] মিরপুর বুদ্ধজীবী কবরস্থানে মিনার মাহমুদকে ৩১ মার্চ তারিখে দাফন করা হয়।[১৩]

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ