১৯৯৩–৯৪ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ১৯৯৩–৯৪ |
---|---|
তারিখ | ৬ আগস্ট ১৯৯৩ – ৭ মে ১৯৯৪ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ১২তম শিরোপা ১৩তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | নুর্নবার্গ ভাটেনশাইড লকোমোতিভ লাইপৎসিশ |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |
উয়েফা কাপ | কাইজারস্লাউটার্ন বায়ার লেভারকুজেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৭৬ (ম্যাচ প্রতি ২.৮৬টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | স্টেফান কুনৎস অঁতোনি ইয়েবোয়া (১৮টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | ৬টি ম্যাচ |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | ডুসবুর্গ ১–৭ কাইজারস্লাউটার্ন |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | ডুসবুর্গ ১–৭ কাইজারস্লাউটার্ন |
← ১৯৯২–৯৩ ১৯৯৪–৯৫ → |
১৯৯৩–৯৪ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৩১তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৯৩ সালের ৬ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৯৪ সালের ৭ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের পোলীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইয়ান ফুরতোক এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৯২–৯৩ মৌসুমে ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৩য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৪৪ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১২তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১৩তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। কাইজারস্লাউটার্নের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় স্টেফান কুনৎস ১৮ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন[সম্পাদনা]
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
দল[সম্পাদনা]
১৯৯২–৯৩ মৌসুম শেষে বোখুম, বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন এবং জারব্রুকেন মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে ফ্রাইবুর্গ, ডুসবুর্গ এবং লকোমোতিভ লাইপৎসিশ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|---|
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | উলরিখ হাবারলান্ড স্টেডিয়াম | ২৭,৮০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৩,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৪২,৮০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
ডিনামো ড্রেসডেন | ড্রেসডেন | রুডলফ হার্বিগ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ | ড্রাইসাম স্টেডিয়াম | ১৫,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৩৮,৫০০ |
কার্লস্রুহার | কার্লস্রুহে | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৪০,০০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৫৫,০০০ |
লকোমোতিভ লাইপৎসিশ | লাইপৎসিশ | সেনত্রাল স্টেডিয়াম | ৩৭,০০০ |
ডুসবুর্গ | ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩১,৫০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম | ৫৫,০০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,৭০০ |
ভাটেনশাইড | বোখুম | লোরহাইডে স্টেডিয়াম | ১৫,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা[সম্পাদনা]
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ১৭ | ১০ | ৭ | ৬৮ | ৩৭ | +৩১ | ৪৪ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১৮ | ৭ | ৯ | ৬৪ | ৩৬ | +২৮ | ৪৩ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৪ | ১১ | ৯ | ৬০ | ৪৭ | +১৩ | ৩৯ | |
৪ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১৫ | ৯ | ১০ | ৪৯ | ৪৫ | +৪ | ৩৯ | |
৫ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৫ | ৮ | ১১ | ৫৭ | ৪১ | +১৬ | ৩৮ | |
৬ | কার্লস্রুহার | ৩৪ | ১৪ | ১০ | ১০ | ৪৬ | ৪৩ | +৩ | ৩৮ | |
৭ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৫১ | ৪৩ | +৮ | ৩৭ | |
৮ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৩ | ১০ | ১১ | ৫১ | ৪৪ | +৭ | ৩৬ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৯ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৪১ | ৫২ | −১১ | ৩৬ | |
১০ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৪ | ৭ | ১৩ | ৬৫ | ৫৯ | +৬ | ৩৫ | |
১১ | কলন | ৩৪ | ১৪ | ৬ | ১৪ | ৪৯ | ৫১ | −২ | ৩৪ | |
১২ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৩ | ৮ | ১৩ | ৪৮ | ৫২ | −৪ | ৩৪ | |
১৩ | ডিনামো ড্রেসডেন[ক] | ৩৪ | ১০ | ১৪ | ১০ | ৩৩ | ৪৪ | −১১ | ৩০ | |
১৪ | শালকে | ৩৪ | ১০ | ৯ | ১৫ | ৩৮ | ৫০ | −১২ | ২৯ | |
১৫ | ফ্রাইবুর্গ | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৫৪ | ৫৭ | −৩ | ২৮ | |
১৬ | নুর্নবার্গ (R) | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৪১ | ৫৫ | −১৪ | ২৮ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | ভাটেনশাইড (R) | ৩৪ | ৬ | ১১ | ১৭ | ৪৮ | ৭০ | −২২ | ২৩ | |
১৮ | লকোমোতিভ লাইপৎসিশ (R) | ৩৪ | ৩ | ১১ | ২০ | ৩২ | ৬৯ | −৩৭ | ১৭ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ আর্থিক অনিয়মের কারণে ডিনামো ড্রেসডেনের চার পয়েন্ট কর্তন করা হয়েছিল।
ফলাফল[সম্পাদনা]
শীর্ষ গোলদাতা[সম্পাদনা]
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | স্টেফান কুনৎস | কাইজারস্লাউটার্ন | ১৮ |
২ | অঁতোনি ইয়েবোয়া | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | |
৩ | স্তেফান শাপুইজা | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ১৭ |
৪ | পাউলো সের্জিও | বায়ার লেভারকুজেন | |
৫ | টনি পলস্টার | কলন | |
৬ | টমাস ভন হেসেন | হামবুর্গার | ১৪ |
৭ | কার্স্টেন বারন | হামবুর্গার | ১৩ |
৮ | উলফ কির্স্টেন | বায়ার লেভারকুজেন | |
৯ | মারেক লেশনিয়াক | ভাটেনশাইড | |
১০ | ফ্রিৎস ভাল্টার | স্টুটগার্ট |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archive 1993/1994 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Eintracht Frankfurt 0:4 (Bundesliga 1993/1994, 1. Round)"। worldfootball.net। ৭ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৯৩–৯৪ বুন্দেসলিগা (জার্মান)