১৯৮৭–৮৮ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ১৯৮৭–৮৮ |
---|---|
তারিখ | ৩১ জুলাই ১৯৮৭ – ২১ মে ১৯৮৮ |
চ্যাম্পিয়ন | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ২য় বুন্দেসলিগা শিরোপা ২য় জার্মান শিরোপা |
অবনমন | হমবুর্গ শালকে |
ইউরোপীয় কাপ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |
কাপ উইনার্স কাপ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট |
উয়েফা কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ কলন স্টুটগার্ট নুর্নবার্গ বায়ার লেভারকুজেন (চ্যাম্পিয়ন) |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯৪৫ (ম্যাচ প্রতি ৩.০৯টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান (১৯টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ৮–১ শালকে (৯ এপ্রিল ১৯৮৮) |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | হামবুর্গার ০–৪ কার্লস্রুহার (২৬ আগস্ট ১৯৮৭) হমবুর্গ ০–৪ নুর্নবার্গ (৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ৮–২ হামবুর্গার (২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭) |
← ১৯৮৬–৮৭ ১৯৮৮–৮৯ → |
১৯৮৭–৮৮ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ২৫তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৮৭ সালের ৩১শে জুলাই তারিখে শুরু হয়ে ১৯৮৮ সালের ২১শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] বায়ার লেভারকুজেনের জার্মান মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ান শ্রাইয়ার এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৮৬–৮৭ মৌসুমে ৫৩ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৯ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫২ পয়েন্ট অর্জন করে ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ২য় বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২য় বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। স্টুটগার্টের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান ১৯ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন[সম্পাদনা]
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
দল[সম্পাদনা]
১৯৮৬–৮৭ মৌসুম শেষে ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ এবং ব্লাউ-ভাইস মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে হানোফার এবং কার্লস্রুহার বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে হমবুর্গ ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব জাংকট পাওলির বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে হমবুর্গ বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|---|
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৫৪,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হানোফার | হানোফার | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৬০,৪০০ |
হমবুর্গ | হমবুর্গ | ভাল্ড স্টেডিয়াম | ২৪,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কার্লস্রুহার | কার্লস্রুহে | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৫০,০০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৬১,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | উলরিখ হাবারলান্ড স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
ভাল্ডহফ মানহাইম | লুডভিগশাফেন | সুডভেস্ট স্টেডিয়াম | ৭৫,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৮০,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | স্টাটিশেস স্টেডিয়াম | ৬৪,২৩৮ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | পার্ক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৭২,০০০ |
বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ক্রেফেল্ড | গ্রটেনবুর্গ স্টেডিয়াম | ৩৫,৭০০ |
পয়েন্ট তালিকা[সম্পাদনা]
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন (C) | ৩৪ | ২২ | ৮ | ৪ | ৬১ | ২২ | +৩৯ | ৫২ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ২২ | ৪ | ৮ | ৮৩ | ৪৫ | +৩৮ | ৪৮ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৩ | কলন | ৩৪ | ১৮ | ১২ | ৪ | ৫৭ | ২৮ | +২৯ | ৪৮ | |
৪ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৬ | ৮ | ১০ | ৬৯ | ৪৯ | +২০ | ৪০ | |
৫ | নুর্নবার্গ | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৪৪ | ৪০ | +৪ | ৩৭ | |
৬ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৬৩ | ৬৮ | −৫ | ৩৭ | |
৭ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৪ | ৫ | ১৫ | ৫৫ | ৫৩ | +২ | ৩৩ | |
৮ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১০ | ১২ | ১২ | ৫৩ | ৬০ | −৭ | ৩২ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৯ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৫১ | ৫০ | +১ | ৩১ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
১০ | হানোফার | ৩৪ | ১২ | ৭ | ১৫ | ৫৯ | ৬০ | −১ | ৩১ | |
১১ | বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ৩৪ | ১১ | ৯ | ১৪ | ৫৯ | ৬১ | −২ | ৩১ | |
১২ | বোখুম | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৪৭ | ৫১ | −৪ | ৩০ | |
১৩ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৫১ | ৫৪ | −৩ | ২৯ | |
১৪ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৫৩ | ৬২ | −৯ | ২৯ | |
১৫ | কার্লস্রুহার | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৩৭ | ৫৫ | −১৮ | ২৯ | |
১৬ | ভাল্ডহফ মানহাইম | ৩৪ | ৭ | ১৪ | ১৩ | ৩৫ | ৫০ | −১৫ | ২৮ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
১৭ | হমবুর্গ (R) | ৩৪ | ৭ | ১০ | ১৭ | ৩৭ | ৭০ | −৩৩ | ২৪ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | শালকে (R) | ৩৪ | ৮ | ৭ | ১৯ | ৪৮ | ৮৪ | −৩৬ | ২৩ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ক খ বায়ার লেভারকুজেন ১৯৮৭–৮৮ কাপ উইনার্স কাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
ফলাফল[সম্পাদনা]
শীর্ষ গোলদাতা[সম্পাদনা]
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান | স্টুটগার্ট | ১৯ |
২ | কার্ল-হাইনৎস রিডল | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৮ |
৩ | লোটার মাটেউস | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৭ |
৪ | সিগফ্রিড রাইখ | হানোফার | |
৫ | হারাল্ড কোর | কাইজারস্লাউটার্ন | ১৬ |
৬ | ফ্রিৎস ভাল্টার | স্টুটগার্ট | |
৭ | ডিটার একস্টাইন | নুর্নবার্গ | ১৫ |
৮ | ফ্রাঙ্ক অর্ডেনেভিৎস | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | |
৯ | ওলাফ টন | শালকে | ১৪ |
১০ | ফ্লেমিং পোভলসেন | কলন | ১৩ |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archive 1987/1988 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Bayer Leverkusen - Waldhof Mannheim 1:0 (Bundesliga 1987/1988, 1. Round)"। worldfootball.net। ৭ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৮৭–৮৮ বুন্দেসলিগা (জার্মান)