হেগ

স্থানাঙ্ক: ৫২°৫′ উত্তর ৪°১৯′ পূর্ব / ৫২.০৮৩° উত্তর ৪.৩১৭° পূর্ব / 52.083; 4.317
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দ্য হেগ
ডেন হাগ
's-Gravenhage
নগরপৌরসভা
প্লেইন থেকে হেগের উচ্চ ভবন ও উইলিয়াম দ্য সাইলেন্ট ভাস্কর্য দেখা যাচ্ছে
প্লেইন থেকে হেগের উচ্চ ভবন ও উইলিয়াম দ্য সাইলেন্ট ভাস্কর্য দেখা যাচ্ছে
দ্য হেগের পতাকা
পতাকা
দ্য হেগের প্রতীক
প্রতীক
ডাকনাম: রেসিডেনটাইস্টাড (আবাসিক নগর), হফস্টাড (কোর্ট নগর)
নীতিবাক্য: রেড এন রেখট (শান্তি ও ন্যায় বিচার)
দক্ষিণ হল্যান্ডের পৌর মানচিত্রে হেগের উল্লেখযোগ্য অবস্থান
দক্ষিণ হল্যান্ড
স্থানাঙ্ক: ৫২°৫′ উত্তর ৪°১৯′ পূর্ব / ৫২.০৮৩° উত্তর ৪.৩১৭° পূর্ব / 52.083; 4.317
দেশনেদারল্যান্ডস
প্রদেশদক্ষিণ হল্যান্ড
বরোসমূহ
সরকার[১][২]
 • শাসকমিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল
 • মেয়রজোজিয়াস ফন আর্টসেন (ভিভিডি)
 • অলডারম্যান
আয়তন[৩][৪]
 • মিউনিসিপ্যালিটিdata missing বর্গকিমি (বিন্যাসন ত্রুটি: invalid input when rounding বর্গমাইল)
 • স্থলভাগটেমপ্লেট:Dutch municipality land area বর্গকিমি (বিন্যাসন ত্রুটি: invalid input when rounding বর্গমাইল)
 • জলভাগটেমপ্লেট:Dutch municipality water area বর্গকিমি (বিন্যাসন ত্রুটি: invalid input when rounding বর্গমাইল)
 • র‌্যান্ডস্টাড৩,০৪৩ বর্গকিমি (১,১৭৫ বর্গমাইল)
উচ্চতা[৫]১ মিটার (৩ ফুট)
জনসংখ্যা (Municipality, মে ২০১৪; Urban and Metro, মে ২০১৪; Randstad, 2011)[৪][৬][৭]
 • মিউনিসিপ্যালিটিdata missing
 • পৌর এলাকা৬,৫৭,৮৯৪
 • মহানগর১০,৫৪,৭৯৩
 • র‌্যান্ডস্টাড৬৯,৭৯,৫০০
বিশেষণহাগেনার বা হাগেনিস
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+১)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইএসটি (ইউটিসি+২)
পোস্টকোড২৪৯০-২৫৯৯
এরিয়া কোড০৭০, ০১৫
ওয়েবসাইটwww.denhaag.nl

হেগ বা ডেন হাগ নেদারল্যান্ডস সরকারের প্রশাসনিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত। উত্তর সাগরের উপকূলবর্তী ৬ কিলোমিটার দূরবর্তী সমভূমি অঞ্চলটি নগরের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। সরকারের বিচার ও সরকার ব্যবস্থা এ নগরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। স্টেটস জেনারেল নামে পরিচিত জাতীয় সংসদের অধিবেশন এখানেই বসে। এছাড়াও, এ নগরেই সবচেয়ে অধিক সংখ্যায় বিদেশের দূতাবাস রয়েছে। অন্যদিকে, আমস্টারডাম আনুষ্ঠানিক রাজধানীরূপে পরিচিত। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম ও রটেরডাম শহরের পর এটি তৃতীয় বৃহত্তম নগর। ১ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে এ নগরের জনসংখ্যা ছিল ৪৯০,০০০ এবং আয়তন প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার।[৮] দেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত দক্ষিণ হল্যান্ড বা জুইড-হল্যান্ড প্রদেশের এ নগরের অবস্থান ও ঐ প্রদেশের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। প্রায় ১ মিলিয়ন লোক হেগের গ্রাম্য এলাকায় বসবাস করে থাকেন যার আয়তন প্রায় ৪০৫ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারিত হয়েছে। অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে রয়েছে শেভেনিনজেনের ন্যায় বিখ্যাত উপকূলীয় অবকাশযাপন কেন্দ্র, সারিবদ্ধ গাছ-গাছালিতে ভরপুর ওয়াসেনার এলাকা ও নতুন শহর জোয়েতারমির

হেগ মূলতঃ আবাসিক এলাকা। এর অর্থনৈতিক বুনিয়াদ ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছে সরকার ও তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের উপর। এ নগরেই রয়েছে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুবহৎ রাস্তা-ঘাট, রেল সড়ক, খালের মাধ্যমে রটারড্যাম ও আমস্টারড্যামের সাথে সংযোগকারী নগর হিসেবে হেগের গুরুত্বতা অপরিসীম। ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, ধাতব সামগ্রী উৎপাদন, রাসায়নিক সরঞ্জাম, গ্লাস, চকলেটসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ দ্রব্যাদি এ নগরে উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

হল্যান্ডের কাউন্টদের শিকারের সন্ধানকল্পে নির্মিত ঘর হেগ বা হেজ থেকে এ নগরের নামকরণ করা হয়েছে। ১২৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে হেগ নগর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এ সময়ে হল্যান্ডের কাউন্ট চতুর্থ ফ্লোরিস শিকারের নিমিত্তে ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে পুকুরের পাশে জমি ক্রয় করেন। তার পুত্র রোমানদের রাজা দ্বিতীয় কাউন্ট উইলিয়াম ১২৪৮ খ্রিষ্টাব্দে এ ঘরকে প্রাসাদে রূপান্তরের লক্ষ্যে এখানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ১২৫৬ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর পূর্বে প্রাসাদ নির্মাণ সম্পন্ন হয়। একে কেন্দ্র করে অনেকগুলো ভবন নির্মিত হয়েছে। তবে এর অংশবিশেষ তার পুত্র পঞ্চম ফ্লোরিস কর্তৃক ১২৮০ খ্রিষ্টাব্দে রিডারজাল (নাইটস হল) সম্পূর্ণকরণের বিষয়টি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এগুলোয় হল্যান্ডের কাউন্টগণ তাদের প্রধান আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করতেন। এধরনের ভবন নগরের ইনার কোর্টইয়ার্ড বা বিনেনহফ এলাকায় দেখা যায়। রাজনৈতিক গুরুত্বতার দিক দিয়ে মুকুটধারী ডাচ সম্রাটের বার্ষিক বক্তৃতামালা নিয়মিতভাবে প্রদান করা হয়। ত্রয়োদশ শতক থেকে হল্যান্ডের কাউন্টগণ হেগকে প্রশাসনিক কেন্দ্র ও হল্যান্ডে অবস্থাকালে আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করতেন। আনুমানিক ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দে বিনেনহফের উত্তরাংশে খননপূর্বক হোফভিভার নামের একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করা হয় যা নগরের শোভাবর্ধনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে আছে।

ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তীকালীন সময়ে বিনেনহফকে কেন্দ্র করে হেল বাণিজ্যিক জেলা হিসেবে গড়ে উঠতে শুরু করে। ষোড়শ শতাব্দীতে হল্যান্ড স্পেনীয় হাবসবার্গ শাসনামলে হল্যান্ড প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিগণিত হয়। ১৫৫৯ সালে প্রথম উইলিয়াম হেগকে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৫৮৫ সালের মধ্যে স্টেটস-জেনারেলসহ ডাচ প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এখানে প্রতিষ্ঠা পায়। উইলিয়ামের পুত্র প্রিন্স মরিস অব অরেঞ্জ তার আবাসস্থল নির্মাণ করেন ও তার নির্দেশনায় একগুচ্ছ খাল নির্মাণের কার্য শুরু হয় যা ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটতে থাকে।

সরকার ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

নেদারল্যান্ডসের রাজধানী না হওয়া স্বত্ত্বেও ডেন হাগে সরকারের সংসদ সদস্যগণ একত্রিত হন। ডাচ সংবিধান মোতাবেক আমস্টারডাম নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃত। আর্স্তে কামের (প্রথম চেম্বার) বা সিনাট এবং টুইড কামের (দ্বিতীয় চেম্বার) এখানে বসে। এগুলো অন্যান্য দেশের উচ্চ কক্ষ ও নিম্নকক্ষের সমমান। ডাচ রাণী বিয়েট্রিক্স এ নগরেই অবস্থান করে কার্যাবলী সম্পাদন করেন। বিদেশের সকল দূতাবাস, সরকারী মন্ত্রণালয়, হজ রাড ডার নেদারল্যান্ডেন (সুপ্রিম কোর্ট) ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কার্যালয় এখানেই অবস্থিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যকার সীমান্ত সংরক্ষণ নীতিতে নিয়োজিত ইউরোপোলের সদর দফতর হেগে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বার্গমিস্টার জোজিয়াস ফন আর্টসেন" [মেয়র জোজিয়াস ফন আর্টসেন] (ওলন্দাজ ভাষায়)। জিমিন্তে ডেন হাগ। ১৭ মে ২০১৩। ৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩ 
  2. "হেট কলেজ ফন বার্গমিস্টার এন ওয়েথাউডার্স" [বোর্ড অব মেয়র এন্ড অল্ডারম্যান] (ওলন্দাজ ভাষায়)। জিমিন্তে ডেন হাগ। ২৩ মে ২০১৩। ১৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩ 
  3. "Kerncijfers wijken en buurten"CBS Statline (Dutch ভাষায়)। CBS। ২ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৪  অজানা প্যারামিটার |trans_title= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  4. Anita Bouman–Eijs; Thijmen van Bree; Wouter Jonkhoff; Olaf Koops; Walter Manshanden; Elmer Rietveld (১৭ ডিসেম্বর ২০১২)। De Top 20 van Europese grootstedelijke regio's 1995–2011; Randstad Holland in internationaal perspectief [Top 20 of European metropolitan regions 1995–2011; Randstad Holland compared internationally] (পিডিএফ) (প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন) (ওলন্দাজ ভাষায়)। Delft: TNO। ৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩ 
  5. "Postcodetool for 2511BT"Actueel Hoogtebestand Nederland (ওলন্দাজ ভাষায়)। Het Waterschapshuis। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৩ 
  6. "Bevolkingsontwikkeling; regio per maand"CBS Statline (Dutch ভাষায়)। CBS। ২৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৪  অজানা প্যারামিটার |trans_title= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  7. "Bevolkingsontwikkeling; regio per maand"CBS Statline (Dutch ভাষায়)। CBS। ২৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৪  অজানা প্যারামিটার |trans_title= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  8. http://www.ad.nl/ad/nl/1000/Nieuws/article/detail/560505/2011/01/02/Den-Haag

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

১৯শ শতকে প্রকাশিত
  • "The Hague", A Handbook for Travellers on the Continent (8th সংস্করণ), London: John Murray, ১৮৫১ 
  • C.B. Black (১৮৭৬), "The Hague", Guide to the North of France, ... Belgium and Holland, Edinburgh: Adam and Charles Black 
  • "The Hague", Belgium and Holland (6th সংস্করণ), Leipsic: Karl Baedeker, ১৮৮১ 
  • W. Pembroke Fetridge (১৮৮৫), "The Hague", Harper's Hand-book for Travellers in Europe and the East, New York: Harper & Brothers 
২০শ শতকে প্রকাশিত
  • "The Hague", Belgium and Holland (15th সংস্করণ), Leipzig: Karl Baedeker, ১৯১০, ওসিএলসি 397759 
  • "The Hague", The Encyclopaedia Britannica (11th সংস্করণ), New York: Encyclopaedia Britannica, ১৯১০, ওসিএলসি 14782424 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]