হামিদুল হক চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হামিদুল হক চৌধুরী
জন্ম১৯০১
মৃত্যু১৮ জানুয়ারি ১৯৯২(1992-01-18) (বয়স ৯০–৯১)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশারাজনীতিবিদ ও আইনজীবী
পরিচিতির কারণরাজনীতিবিদ

হামিদুল হক চৌধুরী (জন্ম: ১৯০১-মৃত্যু: ১৮ই জানুয়ারী, ১৯৯২) হলেন একজন বাঙালী মুসলমান রাজনীতিবিদআইনজীবী। ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের মনোনয়নে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গীয় মুসলিম লীগের অন্যতম নেতা হিসেবে ঐতিহাসিক পাকিস্তান আন্দোলনে অংশনেন। ১৯৪৯ সালে পূর্ববঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৫৫ সালে তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তফ্রন্ট-মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কোয়ালিশন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভায়। [১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

হামিদুল হক চৌধুরীর জন্ম ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে ১৯০১ সালে। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অঙ্কে ডিসটিংশনসহ বিএসসি পাস করেছিলেন (১৯২৫)। ল ডিগ্রি লাভের পর ১৯৩০ সালে কলকাতা বারে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। [১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

হামিদুল হক চৌধুরী ল ডিগ্রি লাভের পর ১৯৩০ সালে কলকাতা বারে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর কলকাতা ত্যাগ করে ঢাকায় এসে হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। ঐতিহ্যবাহী ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভার, সংবাদপত্রটির প্রতিষ্ঠাতা হামিদুল হক চৌধুরী। [২]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের মনোনয়নে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গীয় মুসলিম লীগের অন্যতম নেতা হিসেবে ঐতিহাসিক পাকিস্তান আন্দোলনে অংশনেন। ভারত-পাকিস্তান সীমানা নির্ধারণের জন্য গঠিত, বহুলালোচিত র‌্যাডকিফ কমিশনের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৯ সালে পূর্ববঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। একই বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের সাথে মতানৈক্য ঘটলে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৫৩ সালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে কৃষক-শ্রমিক পার্টি গঠন করেন এবং দলের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে পার্টির মনোনয়নে পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্যদের ভোটে পাকিস্তানের দ্বিতীয় গণপরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তফ্রন্ট-মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কোয়ালিশন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভায়। ১৯৫৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানের খসড়া বিল প্রণয়ন এবং গণপরিষদে তা পাস করিয়ে নেয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৮ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন ফিরোজ খান নুন মন্ত্রিসভায়। একই বছর ৭ অক্টোবর দেশব্যাপী সামরিক আইন জারি করা হলে মন্ত্রিত্ব থেকে পদচ্যুত ও গ্রেফতার হন। ১৯৬২-তে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে গঠিত ‘ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) তিনি অন্যতম সংগঠক এবং এর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। [১]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]