হরিপুর সেতু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শেখ রাসেল সেতু বা হরিপুর ব্রিজ কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া শহরে গড়াই নদীর উপর নির্মিত একটি সড়ক সেতু।[১] সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে এবং ২০১৭ সালে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।[২]

শেখ রাসেল সেতু
হরিপুর ব্রিজ
স্থানাঙ্ক২৩°৫৪′৫৬″ উত্তর ৮৯°০৭′৪৬″ পূর্ব / ২৩.৯১৫৬৮১৭° উত্তর ৮৯.১২৯৫৬০৫° পূর্ব / 23.9156817; 89.1295605
বহন করেযানবাহন
অতিক্রম করেগড়াই নদী
স্থানহরিপুর রোড, কুষ্টিয়া
শুরু৬ রাস্তার মোড়
সমাপ্তিহরিপুর
রক্ষণাবেক্ষকসড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুষ্টিয়া
বৈশিষ্ট্য
উপাদানকংক্রিট, স্টিল
মোট দৈর্ঘ্য৬০৪ মিটার (০.৬০৪ কিমি)[১]
প্রস্থ৬.১ মিটার [১]
লেনের সংখ্যা
ইতিহাস
নির্মাণকারীমীর আখতার অ্যাসোসিয়েট[১]
নির্মাণ শুরু২২ ডিসেম্বর ২০১৩; ১০ বছর আগে (2013-12-22)[১]
নির্মাণ ব্যয়৭১ কোটি ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৩২ টাকা[৩]
চালু২৪ এপ্রিল ২০১৭; ৭ বছর আগে (2017-04-24)[১]
পরিসংখ্যান
টোলনাই[১]
অবস্থান
মানচিত্র

ইতিহাস[সম্পাদনা]

হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই সেতুটি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মাহাবুবউল আলম হানিফ হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এ ব্রিজ নির্মাণে ওয়াদা করেছিলেন।[৩]

এলজিইডি, কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যাসোসিয়েট এ সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।[১]

২০১৭ সালে ২৪ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেতুটি উদ্বোধন করেন।[১]

নামকরণ[সম্পাদনা]

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে।

তবে পুরো কুষ্টিয়া জেলায় সেতুটি হরিপুর ব্রিজ নামেই অধিক পরিচিত।

নির্মাণ ব্যয়[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর ওপর হরিপুর ব্রিজ নির্মাণ করতে ৭১ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩২ টাকা ব্যয় হয়েছিল। ব্রিজ নির্মাণের সাথে নদী শাসনের জন্য ব্যয় করা হয়েছিল ৯ কোটি ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ২৩৩ টাকা এবং এপ্রোস সড়ক নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ২৮ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭ টাকা।[৩]

হরিপুর ও সেতুর গুরুত্ব[সম্পাদনা]

হরিপুর[সম্পাদনা]

হরিপুর কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রাচীন জনপদ। হরিপুর কুষ্টিয়া জেলার মানুষের কাছে পুরাতন কুষ্টিয়া নামে পরিচিত।[৪] এই হরিপুরে নানান প্রাচীন নিদর্শন ও ব্রিটিশ আমলের নিদর্শন রয়েছে। হরিপুরে কুষ্টিয়ার অনেকগুলো নীলকুঠি রয়েছে।

সেতুর গুরুত্ব[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক।[১] গড়াই নদী কুষ্টিয়া শহর ও হরিপুর অঞ্চলকে দুইভাগে ভাগ করেছে। কুষ্টিয়া শহরের বেশিরভাগ মুদিব্যবসায়ী হরিপুর থেকে আসে। যখন সেতুটি ছিল না তখন হরিপুরের মানুষ ঘোড়ার ঘাট হয়ে নৌকা পারাপারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াত করত।[১][৩]

বর্তমানে সেতুটি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কুষ্টিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।[৩][১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কুষ্টিয়া, অফিস (২০১৭-০৪-১৯)। "স্বপ্নের সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় হরিপুরবাসী"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪ 
  2. আমানুর আমান, কুষ্টিয়া (২০২১-০৪-১৮)। "কুষ্টিয়া-হরিপুর সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস, মেরামত হয়নি ৭ মাসেও"দি ডেইলি স্টার (বাংলা)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪ 
  3. তানভীর চৌধুরী, কুষ্টিয়া (২০২৩-১২-৩১)। "কুষ্টিয়ার হরিপুর ইউনিয়নের জন্য একটি স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়ন"মুক্ত খবর ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪ 
  4. "হাটশ হরিপুর পুরাতন কুষ্টিয়া"জাতীয় তথ্য বাতায়ন-কুষ্টিয়া জেলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪