সৈয়দ আবুল মাসুদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৈয়দ আবুল মাসুদ
জন্ম১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৫
মৃত্যু৩ জানুয়ারি , ১৯৯১
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়
পরিচিতির কারণআইনজীবী ও বিচারক
পুরস্কার পদ্মভূষণ

সৈয়দ আবুল মাসুদ (ইংরেজি: Sayed Abul Masud) ( ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫ – ৩ জানুয়ারি ১৯৯১) ছিলেন পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী। [১]

জন্ম ও শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ আবুল মাসুদের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার আজানগাজিতে। পিতা স্যার সৈয়দ নাসিম আলি ছিলেন অবিভক্ত বঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে বৃত্তি-সহ ম্যাট্রিক, ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স নিয়ে বি.এ এবং ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ পাশ করে বিলেতে ব্যারিস্টারি পড়তে যান। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হলে পড়া শেষ না করে দেশে ফিরে আইন পড়া সমাপ্ত করেন। লন্ডনে হিটলার কর্তৃক বোমা বর্ষণের জন্য ১৯৪১-৪২ খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টারি পরীক্ষা দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং ফল প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে। 

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ব্যারিস্টারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই আবুল মাসুদ এ.আর.পি.তে স্টাফ অফিসার পদে যোগ দেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সে চাকরি ছেড়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিশ শুরু করেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সন্ধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপনা করতেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে হাইকোর্টের জজ নির্বাচিত হন।  ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে দেড় মাস চীন ভ্রমণ করেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দীর্ঘ বারো বৎসর তিনি বিশ্বভারতীর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। অর্থ কমিশনে তিনিই প্রথম বাঙালি জজ সদস্য (১৯৭২-৭৩) ছিলেন।  ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হয়ে ওই বছরই অবসরগ্রহণ করেন।  ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ আমেরিকায় নিকারাগুয়ার স্বাধীনতার জন্য যে কনফারেন্স হয় তিনি তার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিন বছর জেনিভায় কাটান। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে হজ ব্রত সমাপন করেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদে জিয়ারত করেন। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে সিমলা ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডিজের ভাইস চেয়ারম্যান হন। তিনি দেশ-বিদেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

জীবনাবসান[সম্পাদনা]

জাস্টিস সৈয়দ আবুল মাসুদ ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের  তেসরা জানুয়ারি প্রয়াত হন। 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1.   অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয়  খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি   ২০১৯ পৃষ্ঠা ৪৬৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬