সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট [১] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীনতম ইনস্টিটিউটগুলির মধ্যে একটি।[২] এটি বাংলাদেশের সমাজকর্ম শিক্ষার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এটি সামাজিক কল্যাণ/সামাজিক কাজে শিক্ষার্থীদের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে।
প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদর দপ্তরের গেট-৩ সংলগ্ন অবস্থিত। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি মহিলা ছাত্রাবাস, বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের একই প্রাঙ্গনে অবস্থিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
কলেজ অফ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাংবিধানিক কলেজ হিসাবে ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে, কলেজটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইনস্টিটিউট করা হয় এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট হিসাবে নামকরণ করা হয়।[৩] ইনস্টিটিউটের জন্য একটি পৃথক প্রাঙ্গণ বরাদ্দ করা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালের শেষ নাগাদ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য একটি ও ছাত্রী জন্য একটি হোস্টেলসহ একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল।
একাডেমিক ভবনের চত্বর একটি বড় খোলা মাঠের সাথে সংযুক্ত ছিল। এটি নিউ পল্টনের সংলগ্ন আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের জন্য দুপুরের পরের বিনোদনের স্থান হয়ে ওঠে। ১৯৯৭ এবং ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি চারতলা বিশিষ্ট ছাত্রী হল যথাক্রমে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, সমগ্র এলাকা জুড়ে ওই মাঠে নির্মাণ করা হয়। এটি পুরো চত্বরটিকে একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত করে, যা প্রাঙ্গনের আগের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দিয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রোগ্রাম
সু্যোগ - সুবিধা[সম্পাদনা]
- এ কে আহমাদুল্লাহ লাইব্রেরী
- আলোচনা কক্ষ
- সাইবার সেন্টার
- সমাজকল্যাণ ক্যান্টিন
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
- সামাজিক উন্নয়ন জার্নাল
পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম[সম্পাদনা]
- সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিবেটিং ক্লাব
- সমাজকল্যাণ ইংলিশ ক্লাব
- হ্যাঁ, টিআইবি-সমাজ কল্যাণ
- ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগীয় ক্রিকেট ম্যাচে সমাজকল্যাণ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়। কয়েকজন বিশিষ্ট খেলোয়াড় হলেন আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মোহাম্মদুল্লাহ নিরব, রবিউল ইসলাম, দিদার, সাইফ তালুকদার, রেজাউল প্রমুখ।
সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (SWAA)[সম্পাদনা]
সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি প্ল্যাটফর্ম। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এম এ মোমেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোর্শেদ।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র[সম্পাদনা]
- কর্নেল আবু তাহের, বীরউত্তম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- তাহরুনেসা আবদুল্লাহ, প্রথম বাংলাদেশী যিনি ১৯৭৮ সালে কমিউনিটি লিডারশীপের জন্য র্যামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- মোঃ শহীদুল হক, সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- একেএম শহীদুল হক, বাংলাদেশ পুলিশের ২৭তম মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
- ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অবসরপ্রাপ্ত-আইজিপি এবং বর্তমানে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "ISWR"। Institute of Social Welfare and Research। ২০১৮-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৫।
- ↑ "University of Dhaka e"। www.du.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৫।
- ↑ "The Eighth Statutes Of The University: Statutes regarding the Institute of Social Welfare and Research, Dhaka University" (পিডিএফ)। ২০১৩-০৭-২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-১৫।