সবুজ সার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সবুজ সার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য রাইসরিষা জাতীয় গাছ।

কৃষিক্ষেত্রে সবুজ সার তৈরি করা হয় উপড়ে ফেলা বা বপন করা ফসলের পরিত্যক্ত অংশগুলি দিয়ে। এর জন্য প্রথমে ফসলের আংশবিশেষ জমিতে শুকিয়ে নিতে হয়। যাতে সার গাদা এবং মাটির সংশোধন হিসাবে কাজ করে। সবুজ সারের জন্য ব্যবহৃত উদ্ভিদগুলির মূলত আচ্ছাদন বা আংশবিশেষ ব্যবহার হয়ে থাকে। সবুজ সার সাধারণত জৈব চাষের সাথে জড়িত এবং শস্যর ফলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আবিষ্কার ও পরিচয়[সম্পাদনা]

১৮৮৯ সালে ঘাই এবং থমাস (Ghai & Thomas, 1889) সবুজ সার প্রয়োগ পদ্ধতির ব্যাখ্যা দেন।তাদের মতে এই পদ্ধতিতে এক স্থানে একটি লিগিউম শস্য অর্থাৎ ডাল জাতীয় শস্য যেমন মুগ কলাই চাষ করার পর পরই অন্য একটি ননলিগিউম শস্য যেমন ধান, পাট চাষ করে পূর্ববর্তী লিগিউম শস্য কর্তৃক নডিউলে সংরক্ষিত Rhizobium জাতীয় ব্যাকটেরিয়াকে মাটিতে মিশিয়ে তার থেকে উপকার নেয়াকে বুঝিয়েছেন। চাষাবাদের ইতিহাস পর্যােলাচনা করলে দেখা যায় যে খৃষ্টের জন্মের বহু পূর্ব থেকেই মানুষ এ ধরনের চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করতো।তবে সম্প্রতি এর বিজ্ঞান ভিত্তিক মূল্যায়ন হবার পর এ ধরনের চাষ পদ্ধতি কৃষিবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বর্তমানে শস্য পর্যায়ক্রমে (Crop rotation) লিগিউম এবং ননলিগিউম শস্যে পর্যায়ক্রমিক ব্যবহার বেশ প্রসার লাভ করেছে।[১]

সবুজ সারের ইতিহাস[সম্পাদনা]

সবুজ সারের গুরত্ব ভারতের কৃষকরা হাজার হাজার বছর ধরে বুঝতে পেয়েছিলেন।প্রাচীন গ্রিসেও, কৃষকরা বিস্তৃন মাটিতে শিম গাছের চাষ করতেন।কয়েকশো বছর আগের চীনা কৃষকরা কৃষিজমির জন্য পুষ্টি সরবরাহের ক্ষেত্রে ঘাস এবং আগাছার গুরুত্ব বোঝায়।এটি ইউরোপ থেকে উত্তর আমেরিকার পর্যন্ত পরিচিত ছিল।সবুজ সারের ফলে মাটির উর্বিরতা বাড়েও ফসল উৎপাদন বাড়ে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কুমার ভদ্র, ড. সত্যজিৎ (জানুয়ারি ২০০৭)। "জীবাণু সার"। জৈবপ্রযুক্তি ও এর ব্যবহার। আগারগাঁও, ঢাকা: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। পৃষ্ঠা ১২৯। 
  2. Lawrence, James (১৯৮০)। The Harrowsmith Reader, Volume II। Camden House Publishing Ltd.। পৃষ্ঠা 145। আইএসবিএন 0920656102 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]