মেরি পুনেন লুকোস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেরি পুনেন লুকোস
মেরি পুনেন লুকোসের একটি ভেক্টর অঙ্কন
জন্ম(১৮৮৬-০৭-৩০)৩০ জুলাই ১৮৮৬
মৃত্যু২ অক্টোবর ১৯৭৬(1976-10-02) (বয়স ৯০)
পেশাস্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, প্রসূতি বিশেষজ্ঞ
পরিচিতির কারণচিকিৎসা সেবা
দাম্পত্য সঙ্গীকে.কে. লুকোস
সন্তানগ্রেসি লুকোস, কে.পি. লুকোস
পিতা-মাতাটি.ই. পুনেন
পুরস্কারপদ্মশ্রী
বৈদ্যশাস্ত্রকুশালা

মেরি পুনেন লুকোস ছিলেন একজন ভারতীয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও ভারতের প্রথম মহিলা সার্জন জেনারেল।[১] তিনি নগরকোয়েলে একটি যক্ষ্মা স্বাস্থ্যনিবাস (স্যানাটোরিয়াম) এবং তিরুবনন্তপুরমের এক্স-রে ও রেডিয়াম ইনস্টিটিউট-এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, ত্রাভাঙ্কোর রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রাজ্যের প্রথম মহিলা বিধায়ক ছিলেন।[১] ভারত সরকার তাকে ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী প্রদান করে।[২]

জীবনী[সম্পাদনা]

মেরি লুকোস ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের ত্রিবাঙ্কুর (বর্তমান কেরালা) রাজ্যের একটি ছোট গ্রাম আয়মানাম-এ (দ্য গড অফ স্মল থিংস উপন্যাসের স্থাপনা হিসাবে বিখ্যাত) ২ আগস্ট ১৮৮৬ সালে একটি ধনী অ্যাংলিকান সিরিয়ান খ্রিস্টান পরিবারে একমাত্র সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪][৫][৬][৭] তার বাবা, টিই পুনেন ছিলেন একজন মেডিকেল ডাক্তার, ত্রাভাঙ্কোরের প্রথম মেডিকেল স্নাতক ও ত্রাভাঙ্কোর রাজ্যের রাজকীয় চিকিৎসক।[১][৫] তার মায়ের স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল যার কারণে মেরি একজন ব্রিটিশ শিক্ষয়িত্রী দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছিলেন। তিনি তিরুবনন্তপুরমের হলি অ্যাঞ্জেল'স কনভেন্ট হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন এবং ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জন করেন। যাইহোক, একজন মহিলা হওয়ার কারণে তাকে তিরুবনন্তপুরমের মহারাজাস কলেজ (বর্তমান ইউনিভার্সিটি কলেজ তিরুবনন্তপুরম) এ বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য ভর্তি করাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ও তাকে ইতিহাসে অধ্যয়ন করতে হয়েছিল। তিনি কলেজের একমাত্র মহিলা ছাত্রী হিসাবে ১৯০৯ সালে স্নাতক (বিএ) হন। তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা স্নাতক, মহারাজা কলেজ এর অধিভুক্ত ছিল।[১] ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মেডিসিনের জন্য মহিলাদের ভর্তির প্রস্তাব না দেওয়ায় তিনি লন্ডনে চলে আসেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন,[৭] যিনি পরে কেরালা থেকে মেডিসিনে স্নাতক হওয়া প্রথম মহিলা ছিলেন।[৮] তিনি ডাবলিনের রোটুন্ডা হাসপাতাল থেকে এমআরসিওজি (স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা) পেতে যুক্তরাজ্যে যান এবং গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে শিশুরোগ বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ নেন।[১] পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেন এবং একই সাথে লন্ডন সঙ্গীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য সঙ্গীত বিষয়ে পড়াশোনা করেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Mary Poonen Lukose (1886-1976)"। Stree Shakti। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫ 
  2. "Padma Shri" (পিডিএফ)। Padma Shri। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৪ 
  3. Jeffrey, Robin (২৭ জুলাই ২০১৬)। Politics, Women and Well-Being: How Kerala became 'a Model' (ইংরেজি ভাষায়)। Springer। পৃষ্ঠা 92–93, 98। আইএসবিএন 978-1-349-12252-3 
  4. K.S. Mohindra, PhD (২০১৫)। "Dr. Mary Poonen Lukose"আইএসএসএন 2155-3017 
  5. "The Doctors behind the Poonen Road, Secretariate, Trivandrum"। Doctors' Hangout। ২০১৫। ১৩ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫ 
  6. "God of Small Things by Arundhati Roy"। Scribbles of Soul। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫ 
  7. Nair, K. Rajasekharan (জুলাই ২০০২)। "A Pioneer Medicine-Dr. Mary Poonen Lukose (1886-1976)": 117–121। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫ 
  8. "The Changing Social Conception of Old Age" (পিডিএফ)। Shodhganga। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫