বেনগঙ্গা নদী

স্থানাঙ্ক: ১৯°৩৫′২৪″ উত্তর ৭৯°৪৭′৫৯″ পূর্ব / ১৯.৫৯০০০° উত্তর ৭৯.৭৯৯৭২° পূর্ব / 19.59000; 79.79972
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেনগঙ্গা নদী
ভান্দ্রা শহরে বেনগঙ্গা নদী
অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যমধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র
শহর সমূহসেওনি, বালঘাট, ভান্দ্রা
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
উৎসমুন্দারা
 • অবস্থানমুন্দারা, সেওনি জেলা, মধ্যপ্রদেশ
 • স্থানাঙ্ক২১°৫৭′ উত্তর ৭৯°৩৪′ পূর্ব / ২১.৯৫০° উত্তর ৭৯.৫৬৭° পূর্ব / 21.950; 79.567
 • উচ্চতা১,০৪৮ মি (৩,৪৩৮ ফু)
মোহনাপ্রণহিতা নদী
 • অবস্থান
আদিলাবাদ জেলা, গড়চিরোলি জেলা, ২ জেলার সীমান্ত
 • স্থানাঙ্ক
১৯°৩৫′২৪″ উত্তর ৭৯°৪৭′৫৯″ পূর্ব / ১৯.৫৯০০০° উত্তর ৭৯.৭৯৯৭২° পূর্ব / 19.59000; 79.79972
 • উচ্চতা
১৪৬ মি (৪৭৯ ফু)
দৈর্ঘ্য৫৬৯ কিমি (৩৫৪ মা)
অববাহিকার আকার৪৩,৬৫৮ কিমি (১৬,৮৫৬ মা)
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য
উপনদী 
 • বামেথানওয়ার নদী, নাহারা নদী, সোনবিরি নদী, বাঘ নদী, চুলবন্দ নদী, গাধবী নদী, ত্রিবেণী নদী, কাঠানী নদী
 • ডানেহিরি নদী, সরটি নদী, চন্দন নদী, বাওয়ান্থারি নদী, সুর নদী, কানহান নদী, অন্ধারি নদী

বেনগঙ্গা আইএএসটি (সংস্কৃত লিপ্যন্তরের আন্তর্জাতিক বর্ণমালা): Wainagaṅgā হল ভারতের একটি নদী, মধ্য প্রদেশের সিওনির গোপালগঞ্জ গ্রামের নিকটবর্তী মুন্দারায় মহাদেও পাহাড় থেকে উদ্ভূত। এটি গোদাবরী নদীর উপনদী। মধ্য প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের মধ্যে দিয়ে নদীটি দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে, মোটামুটিভাবে৫৭৯ কিমি (৩৬০ মা)। ওয়ারধা নদীতে মিলে যাবার পর, মিলিত ধারা, প্রনহিতা নদী নাম নিয়ে, তেলেঙ্গানার কালেশ্বরমে গোদাবরী নদীতে গিয়ে পড়েছে।

যাত্রাপথ[সম্পাদনা]

বেনগঙ্গার মূল স্রোতটি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার মুন্ডারায় সাতপুরা পর্বতশ্রেণীর দক্ষিণ ঢালুতে উৎপন্ন হয়েছে[১]

নদীটি বিস্তীর্ণ প্লাবন ভূমির বিকাশ ঘটিয়েছে, চমৎকার আঁকাবাঁকা যাত্রাপথ, নিচু পাললিক সমভূমি এবং অবক্ষেপিত ঢালু ভূপৃষ্ঠ দিয়ে যাকে চেনা যায়। নদীর উঁচু তীর রয়েছে, যার উচ্চতা দুইপাশে ১০ মি (৩৩ ফু) থেকে ১৫ মি (৪৯ ফু)। উত্তরের অংশটি মহাদেও পাহাড় এবং সাতপুরা পর্বতশ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত, যার গড় উচ্চতা সমুদ্র তল থেকে ৬২৫ মিটার (2,051  ফুট)। বেনগঙ্গা নদীর উপত্যকা বনাঞ্চলে পূর্ণ এবং খুব কম জনবহুল।

বেনগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত প্রধান শহরগুলি হল বালঘাট এবং ভান্দ্রা এবং পাওনিদেশাইগঞ্জ হল নদীর তীরে সবচেয়ে ছোট শহুরে কেন্দ্র। বেনগঙ্গা নদী এই শহরগুলির জলের উৎস। মহারাষ্ট্র সরকার ভারী বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে ভান্দ্রার জন্য একটি সুরক্ষা প্রাচীর তৈরি করছে। এই বন্যার সুরক্ষা প্রাচীরটি ভান্দ্রাকে পূর্ব থেকে দক্ষিণে ঘিরে রেখেছে।

উপনদী[সম্পাদনা]

বেনগঙ্গা নদীর উভয় তীরেই অসংখ্য উপনদী আছে এবং মধ্য প্রদেশের বালঘাট জেলা এবং মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর, গড়চিরোলি, ভান্দ্রা, গোণ্ডিয়া, এবং নাগপুর জেলাগুলির পশ্চিম, মধ্য এবং পূর্ব অঞ্চলগুলি প্রবাহিত করে। বেনগঙ্গা নদীর প্রধান শাখা নদীগুলি হল থেল, থানওয়ার, বাঘ, চুলবান্দ, গাঢ়াভি, খোবরাগাড়ি এবং কাঠানী; যেগুলি নদীর বাম তীরে এসে মিলিত হয়েছে; এবং হিরি, চন্দন, বাওয়ানথারি, কানহান এবং মুল- নদীর ডান তীরে এসে মিলেছে।

থানওয়ার[সম্পাদনা]

থানওয়ার নদী, বেনগঙ্গায় ধুতি বাঁধের আগে, সেওনি জেলা এবং মান্ডলা জেলার সীমান্তে, নয়নপুর বনশ্রেণীতে বেনগঙ্গায় মিলেছে। এটি মান্ডলা জেলার চিরাইডংগ্রি বন থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বেজেগাঁও গ্রামে, এই নদীতে একটি মাঝারি আকারের বাঁধ রয়েছে, ১৯৮০ সালে যার উদ্বোধন হয়েছিল। বাঁধে জমানো নদীর জল ৫০ টি গ্রামের কৃষিজমি সেচ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। হ্যালোন নদী[২] এবং চকোর নদী (নয়নপুর বনশ্রেণী থেকে উৎপন্ন)) এই ছোট, পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য নদীর কয়েকটি বিখ্যাত উপনদী। ভৌগোলিকভাবে, এই নদীটি একটি সাতপুরা পাদদেশের কারণে কয়েক মাইল দূরে নর্মদার প্রথম প্রধান উপনদীতে হতে পারেনি। এই উপনদীটির তীরের প্রধান শহরগুলি হল নয়নপুর এবং পিন্ডারি। প্রাচীনকাল থেকেই নদীটির বিনোদনমূলক ব্যবহার ছিল, কারণ এটি দক্ষিণ থেকে উত্তর ভারতে তীর্থ যাত্রার পথেই পড়ত। এই নদীর তীরে ঝুলপুর গ্রাম,[৩] একটি বিরতিস্থল এবং মন্দির শহর ছিল। নদীর উপরের প্রধান সেতুটি আছে জব্বলপুর-গোণ্ডিয়া রেলপথের পিন্ডারি শহরে, যেটি তৈরি করে দিয়েছে ভারতীয় রেল

কাঠানী[সম্পাদনা]

কাঠানী নদীটি ধনোরা পিন্ডারি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এবং গড়চিরোলি শহরের কাছে বেনগঙ্গায় পড়েছে।

হিরি[সম্পাদনা]

হিরি নদীটি সেওনি জেলার মুন্ডাপারে উৎপন্ন এবং জেওনারা দিয়ে প্রবাহিত। এটি ধুতি বাঁধের কাছে বেনগঙ্গায় পড়েছে।

চন্দন[সম্পাদনা]

চন্দন নদী বালঘাট জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি ওয়ারাসেওনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নহালসেরা বাঁধটি চন্দন নদীর উপর নির্মান করা হয়েছে। নদীর তীরে অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল রামপায়ালির মন্দির।

বাওয়ানথারি[সম্পাদনা]

The বাওয়ানথারি নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী যা মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার কুরাই মালভূমিতে উৎপন্ন হয়েছে।[৪] এটি মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র কে মোয়াদ এবং বনকাট্টার কাছে বিভক্ত করেছে। বাওয়ানথারি নদী ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রবাহিত হওয়ার পরে, মধ্য প্রদেশের মোয়াদের কাছে বেনগঙ্গায় যোগ দিয়েছে[৪]। এই নদীর উপর একটি মাঝারি আকারের বাঁধ রয়েছে, যা থেকে মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জমিতে সেচ দেওয়া হয়।

কানহান[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: কানহান নদী

কানহান নদীটি বেনগঙ্গার দীর্ঘতম উপনদী, ২৭৫ কিমি (১৭১ মাইল)। এটি ছিন্দোয়ারা জেলার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে সাতপুরা পর্বতশ্রেণীর দক্ষিণ প্রান্তে পাহাড়ে জন্মেছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. GoPract.com। "Geography: Rivers of Maharashtra"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৬ 
  2. "Web page of Govt. Of India Website:india-wris.nrsc.gov.in"
  3. "Govt. Museum at Mandla District"
  4. "Bawanthadi River in India"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৬ 

[১]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]


টেমপ্লেট:Hydrography of Madhya Pradesh টেমপ্লেট:Hydrography of Maharashtra টেমপ্লেট:Hydrography of Telangana

  1. Vikalp, Ganvir (৬ আগস্ট ২০১৬)। "Wainganga river in balaghat"www.youtube.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮