বিরজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বিরজা দেবী

বিরজা দেবী হলেন ওড়িশা বা শ্রীক্ষেত্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ।  পীঠ নির্ণয় তন্ত্র মতে এখানে দেবীর নাভি পতিত হয়েছিল।  বিরজা শক্তিপীঠটি ১০৮ শক্তিপীঠ( অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ,[১] ৫১ মূল শক্তিপীঠ, ১৮ মহা শক্তিপীঠ ও ৪ আদি শক্তিপীঠ এর অন্তর্ভুক্ত। এটি একাদশ তম মহা শক্তিপীঠ। এটি জাজপুরএ অবস্থিত। পীঠনির্ণয়তন্ত্র তন্ত্রে বলা হচ্ছে, উৎকলে নাভিদেশস্ত বিরজা ক্ষেত্র মুচ্যতে । বিমলা সা দেবী জগন্নাথ স্তু ভৈরবঃ ।।[২]

Goddess spearing an animal
Virajaa devi
Another view of the temple

আদ্যা স্তোত্রমের নবম স্তবকে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। রামেশ্বরী সেতুবন্ধে বিমলা পুরুষোত্তমে | বিরজা ঔড্রদেশে চ কামাক্ষ্যা নীলপর্বতে || ৯||

বিরজা
শক্তি; সাহস, শান্তি, সময়, পরিবর্তন, সৃজন, ধ্বংস এবং ব্রহ্মাণ্ড
উৎসবনবরাত্রি, দুর্গাপুজো
সঙ্গীজগন্নাথ, শিব
  প্রণাম মন্ত্র 
ॐ মাতঃ শ্রীবিরজাম্বিকে হরিহরব্রহ্মাদিভিঃ সংস্তুতে । 
ধাতুর্যজ্ঞ সমুদ্ভবে ত্রিজগতাং সৌভাগ্য-সম্পত্প্রদে ।।
শ্রীপাদনত বৎসলে তনুভ্রতাং হৃতপদ্মসঞ্চারিনি। 
দীনোহং প্রণমামি পদ্মচরণে মাং পাহি বিশ্বেশ্বরি ।।

শাক্তমতে জগন্নাথ হলেন এঁর ভৈরব । বিরজা দেবী হলেন লক্ষ্মী বা শক্তির রূপ । বিরজা ও বিমলা আসলে একই শক্তিপীঠ এর দুটি রূপভেদ [৩]

জগন্নাথ হলেন দারুব্রহ্ম তিনি বৈষ্ণব দের কাছে বিষ্ণু, শৈব দের কাছে শিব , শাক্ত দের কাছে দক্ষিণা কালী, আবার গণেশের উপাসক দের কাছে তিনি গজানন।  বেদে এনাকে পরমপুরুষ বলা হয়েছিল।  যাঁর স্ত্রী হলেন হ্রী ( শক্তি ) বা শ্রী ( লক্ষ্মী) ।

আইকনোগ্রাফি[সম্পাদনা]

অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ
বিরজা দেবীর ধ্যান মন্ত্র: 
 বিঘ্নেশ-নাগ-ভগ-লিঙ্গং বিধুন ললাটে ধৃতবসী সর্বজগতাং প্রকৃতি স্বমাদ্যা।  
 ব্রহ্মাগ্নি যে নিখিলপাপহরে শরণ্যে মাতঃ প্রসীদ বিরজে পরিপাহি বিশ্বং ।।

এই ধ্যানমন্ত্র অনুসারে তিনি মস্তকে গণেশ , শিশ্ন, যোনি এবং নাগ ধারণ করেন । তিনি ডান হাতে ত্রিশূল ধারণ করেছেন যা মহিষের বক্ষস্থল বিদীর্ণ করেছে । মহিষের বক্ষস্থল থেকে বিগলিত রক্তধারা মাটিতে পড়ছে।  তিনি বামপদ  দিয়ে মহিষকে মর্দন করছেন।

প্রথা[সম্পাদনা]

ইনি কৃপাময়ী জগতজননী জগন্নাথ এর সহধর্মিনী। কোন কোন স্থানে বিমলা এবং বিরজা দেবীকে একই রূপ বলা হয়।  কিন্ত এই দুটি আদিশক্তির দুটি ভিন্ন রূপ । অনেকে বিরজাদেবীর ভৈরব হিসেবে যজ্ঞ বরাহের নাম করেন । বিরজা দেবীর মন্দিরে নবরাত্রের সময় বলি হয় ।

শ্রীচৈতন্যের প্রভাব[সম্পাদনা]

শ্রীচৈতন্য বৈষ্ণব মার্গের অন্যতম প্রবর্তক হলেও বিরজা দেবীর মন্দিরে শাক্তমত ও তন্ত্রাচারে কোন বাধা প্রদান করেননি । তাই এখনও বিষ্ণু দরবারের বিরজা মন্দিরে পশুবলি হয়। তিনি সকল মার্গকেই সম্মান করতেন । এর কারণ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মামাবাড়ী ছিল শাক্ত পরিবার ।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

জগন্নাথ

বিমলা

দুর্গা

পুরী

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ashtadasa Shakti Peethas and Rahasya and mahimas। KS Omniscriptum Publishing। ২০২১। আইএসবিএন 9786200626400 
  2. Raja Gope (২০১৭)। Devi Pith Tantra। পৃষ্ঠা 98। 
  3. সাপ্তাহিক বর্তমান। বর্তমান। ২০২২। 

1) https://m.facebook.com/sanatanscripture/photos/a.265330863572270/549380355167318/?type=3

2) https://www.instagram.com/p/Ci9VXZdKarW/?igshid=YmMyMTA2M2Y=