বান কি মুন
Ban Ki-moon | |
---|---|
반기문 | |
৮ম জাতিসংঘের মহাসচিব | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১ জানুয়ারি ২০০৭ | |
ডেপুটি | Asha-Rose Migiro Jan Eliasson |
পূর্বসূরী | কফি আনান |
Minister of Foreign Affairs and Trade | |
কাজের মেয়াদ ১৭ জানুয়ারি ২০০৪ – ১ ডিসেম্বর ২০০৬ | |
রাষ্ট্রপতি | Roh Moo-hyun |
প্রধানমন্ত্রী | Goh Kun Lee Hae-chan Han Duck-soo Han Myeong-sook |
পূর্বসূরী | Yoon Young-kwan |
উত্তরসূরী | Song Min-soon |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | Eumseong County, North Chungcheong Province, Korea | ১৩ জুন ১৯৪৪
জাতীয়তা | South Korean |
দাম্পত্য সঙ্গী | Yoo Soon-taek [১] |
সন্তান | ৩ [১] |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | Seoul National University (B.A.) Harvard University (M.P.A.) |
স্বাক্ষর |
Korean name | |
হাঙ্গুল | 반기문 |
---|---|
হাঞ্জা | 潘基文 |
সংশোধিত রোমানীকরণ | Ban Gimun |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | Pan Kimun |
কোরীয় উচ্চারণ: [panɡimun] |
বান কি মুন (কোরীয়: 반기문; জন্ম: ১৩ জুন, ১৯৪৪) জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব। দক্ষিণ কোরিয়ার অধিবাসীরূপে তিনিই দ্বিতীয় এশীয় নাগরিক যিনি জাতিসংঘের মহাসচিব হয়েছেন। এর আগে বার্মার উ থান্ট ৩০ নভেম্বর ১৯৬১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন।[২]
জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে ১ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ সালে তার প্রথম দফার মেয়াদকাল শেষ হয়। পরবর্তীতে কোনরূপ বিরোধিতা না আসায় ২১ জুন, ২০১১ সালে মুন দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
শৈশব ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]বান কি মুন ১৯৪৪ সালের ১৩ জুন কোরিয়ার উত্তর জাংজিয়ং-এর ইয়ামসিয়ংয়ে জন্মগ্রহণ করেন৷ ১৯৭০ সালে সিউল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বান কি মুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন৷ তারপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট থেকে ১৯৮৫ সালে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন৷ কোরিয়ান ভাষার পাশাপাশি তিনি ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় পারঙ্গম৷ স্কুলে পড়ার সময় ১৯৬০ সালের প্রথমদিকে আমেরিকান রেডক্রস আয়োজিত একটি ইংরেজি ভাষা প্রতিযোগিতায় জিতেন বান কি মুন৷ সেই সুবাদে তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডির সঙ্গে তার দেখা হয়৷ এই সাক্ষাতের পরই বান কূটনীতিক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৭০ সালে মে মাসে বান পররাষ্ট্র যোগদান করেন৷ বিদেশে তার প্রথম নিয়োগ হয় নয়াদিল্লীতে৷ তারপরই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র দফতরে জাতিসংঘ বিভাগে কাজ করেন৷ পার্ক চুং হি (Park Chung Hee)-এর গুপ্তহত্যার পর বান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের দক্ষিণ কোরিয়ার স্থায়ী পর্যবেক্ষকের ফার্স্ট সেক্রেটারি পদে অধিষ্ঠিত হন৷ ১৯৯১ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়া জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হয়৷ একই সময়ে বান কি মুন জাতিসংঘ বিভাগের পরিচালক পদে নিয়োগ পান৷ রিপাবলিক অফ কোরিয়ার ওয়াশিংটন ডিসির এমবাসিতে তিনি দু’বার নিয়োগ পান৷ ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্য বিষয়ক মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেন৷ ১৯৯৫ সালে বান কি মুন পলিসি প্ল্যানিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের ডেপুটি মিনিস্টার পদে উন্নীত হন৷ তার পরের বছরই তিনি রাষ্ট্রপতির ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন৷[২]
বান কি মুন দুই কোরিয়ার আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ ১৯৯২ সালে তিনি সাউথ-নর্থ জয়েন্ট নিউক্লিয়ার কন্ট্রোল কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে বান কি মুন সাউথ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন৷ মন্ত্রীত্ব থাকাকালে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে নর্থ কোরিয়ান নিউক্লিয়ার ইস্যু সমাধানে কূটনীতিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখেন৷ এ সম্পর্কে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সিক্স-পার্টি আলোচনা অনুষ্ঠানেও বান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন৷ বান কি মুন ১ নভেম্বর ২০০৬ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন৷[২]
জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রার্থিতা
[সম্পাদনা]কোফি আন্নানের পর জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে বান কি মুন তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে৷ জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব নির্বাচনের জন্য ইউএন সেক্রেটারি কাউন্সিলের চারবার ভোটাভুটি হয়৷ ২৪ জুলাই, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিটি ভোটাভুটিতেই বান কি মুন শীর্ষে ছিলেন৷[২]
২ অক্টোবরের ভোটাভুটিতে বান কি মুন তার পক্ষে ১৪টি ভোট পান৷ ১৫তম সদস্য দেশ তার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মতামত জানায়নি৷ তার সম্পর্কে একমাত্র জাপানি ডেলিগেশনই পুরোপুরি একমত হয়নি৷ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বানই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন যাকে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য দেশের ভেটোর মুখোমুখি হতে হয়নি৷ তিনি ছাড়া বাকি পাঁচজন প্রার্থীর প্রত্যেকেই কোন না কোন কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য দেশের ভেটো পেয়েছেন৷ ২ অক্টোবরের ভোটের পর শশি থারুর যিনি ভোটাভুটিতে দ্বিতীয় হন, প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন৷ জাতিসংঘের কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য দেশ চীনের প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বান কি মুনের প্রার্থীতার ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন৷ ৯ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদ বানকে প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পছন্দ করে৷ তারপর ১৩ অক্টোবরে সাধারণ পরিষদের ১৯২ সদস্য রাষ্ট্রই বান কি মুনের মহাসচিব হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি মেনে নেয়৷ ১৪ ডিসেম্বর ২০০৬ বান কি মুন জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন৷[২]
মহাসচিব প্রার্থীদের তালিকা
[সম্পাদনা]মহাসচিব প্রার্থীদের বিবরণ[৪] | ||
---|---|---|
নাম | পদবী | |
বান কি'মুন | পররাষ্ট্র মন্ত্রী, দক্ষিণ কোরিয়া | |
শশী থারুর | জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব, ভারত | |
ভায়রা ভাইক-ফ্রিবার্গা | লাটভিয়ার প্রেসিডেন্ট | |
আশরাফ গণি | কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, আফগানিস্তান | |
সুরাকিআর্ত সাথিরাথাই | উপ-প্রধানমন্ত্রী, থাইল্যান্ড | |
যুবরাজ জিদ বিন রা’আদ | জাতিসংঘে জর্দানের প্রতিনিধি | |
জয়ন্ত ধানাপালা | জাতিসংঘের সাবেক উপ-মহাসচিব, শ্রীলঙ্কা |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Bun Official Bio"। জাতিসংঘ অফিসিয়াল সাইট। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "news.php?News-ID=25001&issue=185&nav id=11 দৈনিক যায়যায়দিন"। ১৫ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "Ban Ki-moon wins second-term as UN Secretary General". BBC News. 21 June 2011.
- ↑ Warren Hoge (২০০৬-০৯-২৯)। "South Korean Favored to Win Top Job at U.N."। The New York Times।