বহির্জাত অর্ধপরিবাহী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বহির্জাত অর্ধপরিবাহী (ইংরেজি: Extrinsic semiconductor) বলতে অপদ্রব্য মিশ্রিত অর্ধপরিবাহীকে বোঝায়।[১] নিয়ন্ত্রিত ডোপিং এর মাধ্যমে এর পরিবাহিতা বৃদ্ধি করা হয়। এতে সুবিধাজনক অপদ্রব্য নিয়ন্ত্রিতভাবে অতি সামান্য পরিমানে মেশালে এতে বিপুল পরিমান হোল বা মুক্ত ইলেক্ট্রন সৃষ্টি হয়, যা এর পরিবাহিতা বহুগুণ বৃদ্ধি করতে পারে। ডোপায়নকৃত অপদ্রব্যের উপর ভিত্তি করে বহির্জাত অর্ধপরিবাহী p-টাইপ ও n-টাইপ এই দুই ধরনের হয়।

দুই ধরনের অর্ধপরিবাহী[সম্পাদনা]

p-টাইপ অর্ধপরিবাহী[সম্পাদনা]

p-টাইপ অর্ধপরিবাহীর গঠন

কোন বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীতে ত্রিযোজী মৌল অপদ্রব্য হিসেবে অতিসামান্য পরিমানে মেশানো হলে যে বহির্জাত অর্ধপরিবাহী উৎপন্ন হয় তাকে p-টাইপ অর্ধপরিবাহী বলা হয়। এতে চতুর্যোজী অর্ধপরিবাহীর সাথে ত্রিযোজী অপদ্রব্য (যেমনঃ সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম) অতিসামান্য পরিমানে মিশিয়ে p-টাইপ অর্ধপরিবাহী প্রস্তুত করা হয়। এর কেলাসে প্রচুর পরিমানে হোল সৃস্টি হয়।

n-টাইপ অর্ধপরিবাহী[সম্পাদনা]

n-টাইপ অর্ধপরিবাহীর গঠন

কোন বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীতে পঞ্চযোজী মৌল অতিসামান্য পরিমানে অপদ্রব্য হিসেবে মেশালে যে বহির্জাত অর্ধপরিবাহী সৃষ্টি হয় সেটা n-টাইপ অর্ধপরিবাহী।[২] ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট ইলেকট্রনই এই অর্ধপরিবাহীর আধান বহন করে বলে এরূপ অর্ধপরিবাহীর নামকরনে Negative শব্দের n-নিয়ে n-টাইপ অর্ধপরিবাহীর নামকরণ করা হয়েছে। পঞ্চযোজী মৌল্গুলির মাঝে আর্সেনিক, ফসফরাস, এন্টিমনি, বিসমাথ ইত্যাদি বেশি ব্যবহৃত হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কবির; দেব; আনসারী, সম্পাদকগণ (২০১৪)। "অর্ধপরিবাহী"। পদার্থবিজ্ঞান-২য় পত্র। পৃষ্ঠা ২৭৪। সেমিকন্ডাক্টর
  2. "How Semiconductors Work" Semiconductors

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]