নিশা ওয়ার্সি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিশা ওয়ার্সি
২০২২ সালের আগস্টে ওয়ার্সি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1995-07-09) ৯ জুলাই ১৯৯৫ (বয়স ২৮)
সোনিপথ, হরিয়ানা, ভারত
উচ্চতা ১.৬৫ মি
মাঠে অবস্থান রক্ষণ (ডিফেণ্ডার)
ক্লাব তথ্য
বর্তমান ক্লাব রেলওয়ে
সিনিয়র কর্মজীবন
বছর দল ম্যাচ (গোল)
রেলওয়ে
জাতীয় দল
২০১৯– ভারত ৫৬ (১)
পদক রেকর্ড
মহিলাদের ফিল্ড হকি
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
কমনওয়েলথ গেমস
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ২০২২ বার্মিংহাম দল
এশিয়া কাপ
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ২০২২ মাস্কাট

নিশা ওয়ার্সি (জন্ম ৯ই জুলাই ১৯৯৫) হরিয়ানার সোনিপথের একজন ভারতীয় ফিল্ড হকি খেলোয়াড়। তিনি ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে (টোকিও অলিম্পিক) অংশ নিয়েছিলেন।[১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

ছোটবেলায় নিশা ওয়ার্সির আকাঙ্খা ছিল পরিমিত। খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা তাঁর সবসময়ই প্রবল ছিল, কিন্তু তিনি এটা এমনভাবে করতে চেয়েছিলেন যাতে তাঁর বাবা-মায়ের জমানো অর্থ নষ্ট না হয়। তাঁর পরিবারের অনেক কিছু করতে পারার ক্ষমতা ছিল না, তাই খেলাধুলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের যে কোনও সুযোগের সর্বদা কদর করা হত। তিনি হকি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[২] ২০১৫ সালে তাঁর বাবা, সোহরাব আহমেদের স্ট্রোক হয়েছিল, তার আগে তিনি একজন দর্জি ছিলেন। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।[৩] নিশা রেলওয়েতে চাকরি পাবার আগে তাঁর মা, মাহরুন, কয়েক বছর ধরে একটি ফোম তৈরির কারখানায় কাজ করেছিলেন।[৪]

এক পর্যায়ে সামাজিক বাধা নিশাকে খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। যাইহোক, তাঁর প্রশিক্ষক সিওয়াচ তাঁর বাবা-মাকে তাঁর স্বপ্ন পূরণের অনুমতি দিতে রাজি করান। অল্পদিনই তাঁকে খেলার বাইরে থাকতে হয়েছিল। তাঁর অনুশীলনের মাঠটি প্রায় ৩০ মিনিট দূরত্বে ছিল এবং তাঁকে ভোর ৪.৩০ টের মধ্যে বাড়ি থেকে বেরোতে হত। নিশা একা যেতে ভয় পেতেন। নিশার বাবা তাঁকে তাঁর সাইকেলে নামিয়ে দিতেন। তাঁর মা সকাল ৪টেয় ঘুম থেকে উঠতেন এবং নিজের প্রতিদিনের কাজ শুরু করতেন। তার মধ্যে ছিল নিশাকে ঘুম থেকে তুলে খাবার তৈরি করে দেওয়া। ধীরে ধীরে, নিশা হরিয়ানা দল এবং পরে রেলওয়ে ইউনিটের নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেন। তাঁর উপার্জন বাড়ির জীবনযাত্রাকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তুলেছে।[৫]

খেলোয়াড় জীবন[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে হিরোশিমায় এফআইএইচ ফাইনাল সিরিজে নিশা নিজের আন্তর্জাতিক অভিষেক করেছিলেন এবং তখন থেকে নয় বার দেশের হয়ে খেলেছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, অতিমারীর ঘটনা নিশার জন্যও সহজ ছিল না। তিনি গত দেড় বছরের বেশিরভাগ সময় সাইয়ের দক্ষিণ সেন্টারে জাতীয় শিবিরে কাটিয়েছিলেন। ২০২১ সালে নিশা টোকিও অলিম্পিকের স্বপ্ন দেখছিলেন।[৬] তাঁর হকি সতীর্থদের সাথে হস্ত সংযুক্ত করে দেশ ও তাঁর পিতামাতাকে গর্বিত করে, তিনি বিজয় মঞ্চে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, নিশা একটু দেরীতেই শুরু করেছিলেন,[৭] জুনিয়র ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা হবার সময় পেরিয়ে গিয়েছিল।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hockey NISHA - Tokyo 2020 Olympics"Olympics.com/tokyo-2020/Tokyo Organising Committee of the Olympic and Paralympic Games। ২০২১-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৫ 
  2. "Mocked by Relatives, Tailor's Daughter Nisha Warsi Now Soars to Make a Mark in Hockey"। News18। News18। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২১ 
  3. "Battling Father's Paralysis, Financial Crunch: Nisha Warsi Makes It To Olympic Hockey Team"SheThePeople। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২১ 
  4. "Family wanted Nisha Warsi to quit hockey, but she changed their mindset"। The Tribune India। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২১ 
  5. "Tokyo olympics 2020: हॉकी प्लेयर निशा वारसी के लिए मां ने फैक्ट्री में किया काम, परेशानियों से नहीं मानी हार, अब बेटी ओलंपिक में कर रही दम"। Patrika। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২১ 
  6. "Women's hockey stars Nisha Warsi and Neha Goyal: Childhood friends living the Olympic dream together"ESPN 
  7. "Olympics 2020 बेटियों पर नाज़ है: पिता थे दर्जी, मां ने फैक्ट्री में किया काम... ऐसे हॉकी स्टार बनीं निशा"। Aajtak। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২১ 
  8. "Olympics: Tailor's daughter Nisha Warsi vaults over hurdles to make a mark in hockey"Times of India। Times of India। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক টেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০২২ এশিয়া কাপ টেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০২২ বিশ্ব কাপ টেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস