দ্বিতীয় মানসুর আলি, মিশরের সুলতান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মানসুর আলি
মালিকুল মানসুর
দ্বিতীয় মানসুর আলির অধীনে মুদ্রিত ফালস
মিশরের সুলতান
রাজত্ব১৫ মার্চ ১৩৭৭ – মে ১৩৮১
পূর্বসূরিআশরাফ শাবান
উত্তরসূরিসালিহ হাজ্জি
জন্ম১৩৬৮
কায়রো, মামলুক সালতানাত
মৃত্যু১৯ মে ১৩৮১ (১৩ বছর বয়স)
পূর্ণ নাম
মালিকুল মানসুর আলাউদ্দিন আলি ইবনে শাবান ইবনে আমজাদ হুসাইন ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে কালাউন
রাজবংশকালাউনি
রাজবংশবাহরি
পিতাআশরাফ শাবান
ধর্মইসলাম

মানসুর আলাউদ্দিন আলি ইবনে শাবান ইবনে আমজাদ হুসাইন ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে কালাউন (১৩৬৮ – ১৯ মে ১৩৮১), যিনি দ্বিতীয় মানসুর আলি নামে বেশি পরিচিত। তিনি ছিলেন মামলুক সুলতান, যিনি ‌১৩৭৭–১৩৮১ সালে রাজত্ব করেছিলেন। মানসুর আলির পিতা সুলতান আশরাফ শাবান (শা. ১৩৬৩-১৩৭৭) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও হত্যা করার পরে সিনিয়র মামলুক আমিরদের দ্বারা একটি শিশুর সময় তাকে সিংহাসনে বসানো হয়েছিল। মানসুর আলি একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যার প্রকৃত ক্ষমতা সিনিয়র আমিরদের হাতে ছিল। যার মধ্যে বারকুকের নাম উল্লেখযোগ্য । মানসুর আলি তার রাজত্ব গ্রহণের প্রায় চার বছর পর মারা যান এবং তার ছোট ভাই সালিহ হাজ্জি তার স্থলাভিষিক্ত হন, যদিও প্রকৃত ক্ষমতা তখনও বারকুকের হাতে ছিল। বারকুক ১৩৮২ সালে সিংহাসন দখল করেছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

মানসুর আলি ১৩৬৮ সালে কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা ছিলেন সুলতান আশরাফ শাবান (শা. ১৩৬৩-১৩৭৭) এবং তার মা ছিলেন একজন মামলুক আমিরের কন্যা খাওয়ান্দ বিনতে মানকলিবুঘা।[১] মানসুর আলির সাত ভাই ও ছয় বোন ছিল। তাঁর ভাই ছিলেন আবু বকর (মৃত্যু ১৪০০), আহমদ (মৃত্যু ১৩৮১ সালের আগে), রমজান (মৃত্যু ১৩৮১ সালের আগে), কাসিম (মৃত্যু ১৩৮১ সালের আগে), ইসমাঈল (মৃত্যু ১৩৯৫) এবং হাজ্জি (মৃত্যু ১৪১২)।[১] মামলুক যুগের সূত্রে তার বোনের নাম ছিল খাদিজা (মৃত্যু ১৪২২/২৩) এবং ফাতিমা (মৃত্যু ১৪৩২)। [১]

আশরাফ শাবান ১৩৭৭ সালের মার্চ মাসে একটি মামলুক বিদ্রোহে নিহত হন এবং বিদ্রোহী মামলুক আমিররা তার শিশুপুত্র মানসুর আলিকে সুলতান হিসেবে নিযুক্ত করেন।[২] বিদ্রোহীদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে আমির ইয়ালবুঘা উমারির (মৃত্যু ১৩৬৬) দুইজন নিম্নপদস্থ আমির বারকুক এবং বারাকা মামলুক সুলতান মানসুর আলির সহশাসক হয়েছিলেন। বারকুক আশরাফ শাবানের বিরুদ্ধে মামলুক বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন।[৩] পরে ১৩৭৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মানসুর আলির মাধ্যমে শক্তিশালী পদ আতাবেগ আল-আসাকির (সেনাপ্রধান) গ্রহণ করেন।[৩] যদিও সুলতানদের সাধারণত রাজকীয় কোষাগারে প্রবেশাধিকার ছিল, মানসুর আলির আয় দৈনিক উপবৃত্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।[৪] মানসুর আলি ১৩৮১ সালের ১৯শে মে মারা যান,[৫] এবং অন্যান্য সিনিয়র আমিরদের জোরালো আপত্তি না থাকলে বারকুক সালতানাত গ্রহণ করতেন এবং এর ফলে ১২৭৭ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা কালাউনি রাজবংশের অবসান ঘটাতেন।[৩] কিন্তু আমিরদের বিরোধিতার কারণে মানসুর আলির স্থলাভিষিক্ত হন তার নয় বছর বয়সী ছোট ভাই সালিহ হাজ্জি।[৩] ১৩৮২ সালের নভেম্বরে তিনি সালিহ হাজ্জির পতন এবং সালতানাত দখল না করা পর্যন্ত বারকুক সিংহাসনের পিছনে ক্ষমতায় ছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bauden, Frédéric। "The Qalawunids: A Pedigree" (পিডিএফ)। University of Chicago। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৫ 
  2. Poole, Edward Stanley; Lane-Poole, Stanley; Margoliouth, David Samuel (১৯১১)। "Egypt s.v. III. History (as Malik al-Manṣūr)"। চিসাম, হিউ। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ9 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 101। 
  3. Holt, Peter Malcolm (১৯৮৬)। The Age of the Crusades: The Near East from the Eleventh Century to 151। Addison Wesley Longman Limited। পৃষ্ঠা 127। আইএসবিএন 9781317871521 
  4. Steenbergen, Jo Van (২০০৬)। Order Out of Chaos: Patronage, Conflict and Mamluk Socio-political Culture, 1341-1382। Brill। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 9789004152618 
  5.  চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। 
রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
আশরাফ শাবান
মামলুক সুলতান
১৫ মার্চ ১৩৭৭ – ১৯ মে ১৩৮১
উত্তরসূরী
সালিহ হাজ্জি