তাফসিরে মাজেদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাফসীরে মাজেদী
মূল উর্দু সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকআব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদি
মূল শিরোনামইংরেজি: Tafsirul Quran: Translation and Commentary of the Holy Quran; উর্দু: القرآن الحکیم‎‎
দেশব্রিটিশ ভারত
ভাষাইংরেজি ও উর্দু
বিষয়তাফসীর
প্রকাশিত
  • ১৯৪১ (ইংরেজি)
  • ১৯৪৪ (উর্দু)
প্রকাশকদারুল ইশাআত, করাচি, তাজ কোম্পানি লিমিটেড, পাকিস্তান
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা
  • ১৯৯৭ (ইংরেজি)
  • ১২১৫ (উর্দু)
ওসিএলসি১৭৫৫৭৯৫৮
২৯৭.১২২৭
এলসি শ্রেণীবিপি১০৯ ১৯৮১বি

তাফসীরে মাজেদী (ইংরেজি: Tafsirul Quran: Translation and Commentary of the Holy Quran; উর্দু: القرآن الحکیم‎‎) আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদি লিখিত একটি পূর্ণ তাফসীর। এটি প্রথমে ইংরেজিতে রচিত পরে উর্দুতে অনূদিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রকাশিত তফসীরটি প্রচুর উদ্ধৃতি, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি, যুক্তিনির্ভর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, বাইবেল ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করে কুরআনইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনার জন্য অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদি প্রথম জীবনে নাস্তিক ছিলেন; পরবর্তীতে আশরাফ আলী থানভীর দ্বারা প্রভাবে ও অনুপ্রেরণায় তাফসীরে মাজেদী রচনা করেন।[১]তাফসীরে মাজেদীর প্রাথমিক সংস্করণ ইংরেজিতে রচিত। তখন মুসলিমদের লিখিত কুরআনের কোনো ইংরেজি অনুবাদ ছিল না। দরিয়াবাদিকে ইংরেজিতে তাফসীর রচনার শুরু জন্য সিরাজুল হকের অনুরোধ ছিল। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত প্রায় ৬ বছরে গ্রন্থটি রচনা করেন। ১৯৪১ সালে করাচির দারুল ইশাআত থেকে "Tafsirul Quran: Translation and Commentary of the Holy Quran" নামে ৪ খণ্ডে তাফসীরটি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে তাজ কোম্পানি লিমিটেড আল কুরআনুল হাকিম নামে এ্টির উর্দু সংস্করণ প্রকাশ করে। উর্দু সংস্করণটি ১২১৫ পৃষ্ঠার একক খন্ডে প্রকাশিত। ১৯৮১ সালের সংস্করণে আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী লিখিত 'ভূমিকা' সংযুক্ত হয়।[১] ১৯৯৪ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হতে ওবাইদুর রহমান মল্লিক অনূদিত বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হয়।[২]

গঠন[সম্পাদনা]

তাফসীরে মাজেদীর ১৯৪১ সালে প্রকাশিত ইংরেজি সংস্করণটির গঠন নিম্নরূপ:[১]

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

তাফসীরে মাজেদীর ইংরেজি ভাষায় রচিত মূল সংস্করণটিতে কুরআনের ব্যাখ্যা বর্ণনার সময় বাইবেলের আদি পুস্তক, নূতন নিয়ম, জিউইশ এনসাইক্লোপিডিয়া ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ হতে উদ্ধৃতি দিয়ে ইসলামের তুলোনামূলক অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এটি স্বীকৃত আরবী তফসীর ও কুরআনের ব্যাখ্যামূলক অন্যান্য বহুল পঠিত গ্রন্থ হতে উদ্ধৃতি সমৃদ্ধ। প্রনেতা তাফরীরে আধুনিক ধারণার আলোকে আলোচনা করেছেন।[১]

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

গ্রন্থটি মূল্যায়ন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রাক্তন মহাপরিচালক দাউদউজ্জামান চৌধুরী বলেন,

তাফসীরটির বঙ্গানুবাদক বলেন,

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

  1. মুহাম্মদ আব্দুল মাহবুব, আবু নাসের (২০১৯)। "Abdul Majid Daryabadi: A Charismatic Mufassir of the Holy Quran" [আবদুল মজিদ দরিয়াবাদি: পবিত্র কুরআনের একজন ক্যারিশম্যাটিক মুফাসসির] (পিডিএফ)জার্নাল অফ রিলিজিয়ন এন্ড থিওলজি (২): ৪০–৪১। আইএসএসএন 2637-5907lay summary 
  2. আজাদ, আবুল কালাম (২০১৩)। বাংলা ভাষায় তাফসীর চর্চা : বিশেষত তফসীরে নূরুল কোরআন (পিডিএফ) (গবেষণাপত্র)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২১৩–২১৫। ২১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]