চৌরঙ্গী (উপন্যাস)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চৌরঙ্গী
লেখকশংকর
ভাষাবাংলা
ধরনউপন্যাস
প্রকাশকদে’জ পাবলিশিং (বাংলা), পেঙ্গুইন বুকসঅ্যাটলান্টিক বুকস (ইংরেজি অনুবাদ)
প্রকাশনার তারিখ
১৯৬২
বাংলায় প্রকাশিত
২০০৭
পৃষ্ঠাসংখ্যাবাংলা সংস্করণে ৩৬০ (দে’জ পাবলিশিং ১৯৯৪ সংস্করণ), ইংরেজি সংস্করণে ৪০৩ (পেঙ্গুইন ২০০৭ সংস্করণ) ও ৪১৬ (অ্যাটলান্টিক ২০০৯ সংস্করণ)
আইএসবিএন৯৭৮-১-৮৪৩৫৪-৯১৪-৭ ১৮৪৩৫৪৯১৪X {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: দৈর্ঘ্য
ওসিএলসি৫৫১৪২৫২৮৯

চৌরঙ্গী হল বাঙালি লেখক শংকরের একটি বাংলা উপন্যাস। এটি ১৯৬২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনূদিত হয়। এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে একটি নাটকও রচিত হয়েছে।[১] এই উপন্যাসটিকে শংকরের সবচেয়ে জনপ্রিয় রচনা[২] এবং বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী উপন্যাস মনে করা হয়।[৩] অরুণাভ সিনহা উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। অনুবাদটি ২০০৭ সালে ভোডাফোন ক্রসওয়ার্ড বুক প্রাইজ জয় করে।[৪] এছাড়া ২০১০ সালে উপন্যাসটি ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেন ফিকশন প্রাইজও জয় করে।

কাহিনি-সারাংশ[সম্পাদনা]

এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ১৯৫০-এর দশকের কলকাতার চৌরঙ্গী অঞ্চল। উপন্যাসের কথক একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবক। সে এক ইংরেজ ব্যারিস্টারের কাছে সচিবের চাকরি করত। কিন্তু সেই ব্যারিস্টারের অকালমৃত্যুর পর সে বেকার হয়ে পড়ে। তাকে দরজায় দরজায় ঘুরে কাগজ ফেলার ঝুড়ি বিক্রির পেশা গ্রহণ করতে হয়। একদিন এলাকার পার্কে বসে সে যখন নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভাবছে, সেই সময় তার বন্ধু বায়রনের সঙ্গে তার দেখা হয়। বন্ধুটি তার হতদরিদ্র অবস্থা দেখে বিস্মিত হয় এবং শহরের সবচেয়ে পুরনো ও খ্যাতনামা হোটেলে শাহজাহানে তাকে একটি কাজ জোগাড় করে দেয়।

হোটেলের চিফ রিসেপশনিস্ট স্যাটা বোস অল্প কিছুদিনের মধ্যে তার বন্ধুতে পরিণত হয়। কিছুদিন টাইপিস্টের কাজ করার পর সে স্যাটা বোসের প্রধান অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়। সে হয়ে ওঠে স্যাটা বোসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্যক্তি। ম্যানেজার মার্কো পোলো তার কাজে খুশি হয়ে তার দায়িত্ব বাড়িয়ে দেন। উপন্যাসের ঘটনা গড়িয়ে চলে অতিথি, বিনোদনকারী ও শাহজাহানে প্রায়শই আসা লোকেদের কেন্দ্র করে। তবে হোটেলের বেশ কয়েকজন কর্মচারীও উপন্যাসে সমান গুরুত্ব পান। এই উপন্যাস থেকে কলকাতার উচ্চবিত্ত সমাজের নোংরা দিকটি ফুটে ওঠে। এই সমাজের লোভ, অপকর্ম ও লজ্জাজনক ব্যবহার প্রথম দিকে সেই যুবককে অবাক করেছিল। অচিরেই এই সবে সে ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে উঠল। কলকাতার কর্মী ও বেকার সমাজের দারিদ্রও এই উপন্যাসে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এই উপন্যাসের কেন্দ্রে রয়েছে প্রেম। এই প্রেম হোটেলের অতিথি ও কর্মচারীদের মধ্যে দেখানো হয়েছে এবং এর পরিণতি প্রায়শই গড়িয়েছে বিয়োগান্তক দিকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Romesh Gunesekera (২০০৯-০৪-১৮)। "Review: Chowringhee by Sankar | Books"। London: The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৪ 
  2. "Chowringhee by Sankar"। Neel Mukherjee। ২০০৯-১২-১০। ২০১১-০১-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৪ 
  3. Sponsored by (২০১১-০৩-২৫)। "Found in translation: Revisiting "Chowringhee""The Economist। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৪ 
  4. "Behind the scenes stories from Shankar's iconic novel 'Chowringhee'"। TwoCircles.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৪