গোলাম মাওলা রনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোলাম মাওলা রনি
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৫ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৪ জানুয়ারি ২০১৪
পূর্বসূরীআ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন
উত্তরসূরীআ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন
সংসদীয় এলাকাপটুয়াখালী-৩
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৬৭, সদরপুর, ফরিদপুর
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (২০১৮ সালের পূর্বে)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ, কলাম লেখক

গোলাম মাওলা রনি একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।[১] পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন।[২][৩]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

রনি ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চরভদ্রাশন গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সামসুদ্দীন মুন্সী ও মাতার নাম মনোয়ারা বেগম। ছোটবেলায় নিজ গ্রাম চর ভদ্রাশনে কাটালেও ১৯৭৪ সালে তার পরিবারের সাথে পটুয়াখালীতে চলে আসেন। ফরিদপুরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি পটুয়াখালী থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে পড়ালেখা করেন।

কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

গোলাম মাওলা রনি সাংবাদিকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে নিজের শিপিং ও টেক্সটাইল ব্যবসায় শুরু করেন। তিনি সেবোল্ট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা এবং একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের মালিক। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিজ দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।[৫]

২০১৫ সালে রনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হন। ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন[২] এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন লাভ করেন।[৬]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুজন সাংবাদিকে প্রহারের ঘটনায় রনির বিরুদ্ধে মামলা হলে ২৪শে জুলাই সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় তিনি গ্রেফতার হন এবং তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।[৭] একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আ.লীগের সাবেক সাংসদ রনি বিএনপিতে"প্রথম আলো। ২৬ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮ 
  2. "বিএনপিতে যোগ দিলেন গোলাম মাওলা রনি"আরটিভি অনলাইন। ২৬ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮ 
  3. "বিএন‌পি‌তে যোগ দিয়েছেন গোলাম মাওলা রনি"যুগান্তর। ২৬ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Constituency 113"Bangladesh Parliament। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৬ 
  5. Chowdhury, Kamran Reza (৩০ নভেম্বর ২০১৩)। "AL names candidates for JS polls"Dhaka Tribune। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  7. ঢাকা (২২ জুলাই ২০১৩)। "রনি প্রশ্নে উত্তপ্ত বাংলাদেশের সাংবাদিক মহল"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮ 
  8. প্রথম আলো (১৬ সেপ্টে ২০১৩)। "মুক্তি পেলেন সাংসদ গোলাম মাওলা রনি"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮