গুরমিত বাওয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গুরমিত বাওয়া
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামগুরমিত কৌর
জন্ম১৯৪৪ (বয়স ৭৯–৮০)
কোঠে, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
ধরনপাঞ্জাবি লোকসঙ্গীত
পেশাগায়ক
কার্যকাল১৯৬৮ – বর্তমান

গুরমিত বাওয়া হলেন ভারতীয়, পাঞ্জাবি ভাষার, লোক গায়ক।[১] তিনি তাঁর দীর্ঘ হেক (ইংরাজী: "হো", যেটি হল পাঞ্জাবি লোকগানের শুরুতে শ্বাসরুদ্ধ করে রাখা) এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি প্রায় ৪৫ সেকেন্ড এটি ধরে রাখতে পারেন।[২][৩](প্রয়াত) আলম লোহারের পরে, তিনি জুগনি গাইবার জন্য পরিচিত এবং তিনি হলেন দূরদর্শনে গাওয়ার সুযোগ পাওয়া প্রথম পাঞ্জাবি মহিলা গায়িকা।[২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

বাওয়া ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, প্রাথমিক জীবনে তাঁর নাম ছিল গুরমিত কৌর। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম ছিল যথাক্রমে সর্দার উত্তম সিং এবং রাম কৌর।[২] তাঁর জন্মস্থান ছিল পাঞ্জাবের কোঠে গ্রাম। গ্রামটি এখন ভারতীয় পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার একটি অংশ।[১] তাঁর মাত্র দুবছর বয়সে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছিল।[২] সেই সময়ে, মেয়েদের পড়াশুনা করতে দেওয়া হতনা, এমনকি বয়স্কদের অনুমতি ব্যতীত বাইরে যেতেও দেওয়া হত না। কিন্তু বাওয়া একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তিনি জে.বি.টি. পাস করেন। তিনি ওই অঞ্চলের প্রথম নারী শিক্ষক।[২]

পাঞ্জাবি লোক সংগীতশিল্পী কিরপাল বাওয়ার সাথে তাঁর বিবাহ হয়েছিল,[১] এবং এই দম্পতির তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এর মধ্যে দুজন, লাচি বাওয়া এবং গালোরি বাওয়া, গান করেন।[১][২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছি ১৯৬৮ সালে।[১] তাঁর স্বামী কিরপাল সিং বাওয়া তাঁকে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি সর্বদা আলগোজা, চিমটা, ঢোলক এবং টুম্বির মত পাঞ্জাবি লোকজ যন্ত্রের সাথে গান করেন। মুম্বাইতে পাঞ্জাব অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি শ্রোতাদের বিস্ময়াভিভূত করেছিলেন। বলিউড অভিনেতা প্রেম চোপড়া, প্রাণ এবং বিশেষত রাজ কাপুর দাঁড়িয়ে পড়ে তাঁকে অভিবাদন জানিয়েছিলেন। রাজ কাপুর বারবার ম্যায়ঁ জাট্টি পাঞ্জাব দি, মেরি নার্গিস ওয়ারগী আখ গানটির জন্য অনুরোধ করেছিলেন।[৩] তিনি বিদেশেও সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। [১] তিনি ১৯৮৭ সালে ইউএসএসআর এবং ১৯৮৮ সালে জাপানে আয়োজিত ভারত উৎসব চলাকালীন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।[১] তিনি ১৯৮৮ সালে ব্যাংককের থাইল্যান্ড সংস্কৃতি কেন্দ্রেও সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে বসরা উৎসব এবং ত্রিপোলির (লিবিয়া) ২৫ তম জশন-এ-আজাদির উৎসবটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।[১]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তাঁর পুরস্কারগুলির মধ্যে আছে ১৯৯১ সালে পাঞ্জাব সরকার কর্তৃক রাজ্য পুরস্কার,[১] পাঞ্জাব নাটক আকাদেমির সংগীত পুরস্কার, ২০০২ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকারের জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে পাঞ্জাবি ভাষা বিভাগ দ্বারা শ্রোমণি গায়িকা পুরস্কার[১][২][৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Shiromani Gayika award for Bawa"The Tribune। Amritsar। ৮ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২ 
  2. "ਲੰਮੀ ਹੇਕ ਦੀ ਮਲਿਕਾ ਗੁਰਮੀਤ ਬਾਵਾ"The Punjabi Tribune। ১ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২ 
  3. "Folk flavour"An article from The Tribune। apnaorg.com। ৫ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২ 
  4. "ਰਵਾਇਤੀ ਗਾਇਕੀ ਨੂੰ ਸੰਭਾਲਣ ਦੀ ਲੋੜ"The Punjabi Tribune। ২৫ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২