খাজা জাকিউদ্দিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খাজা জাকিউদ্দিন (১৯১৮-২০০৩) ছিলেন একজন বাঙালির অভিজাত এবং পাকিস্তানি রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য ছিলেন।

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

জাকিউদ্দিন জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৮ সালের ৯ জানুয়ারি। তার পিতা খাজা শাহাবুদ্দিন ছিলেন পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী এবং তার মা ফারহাত বানু ছিলেন বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং তারপরে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি লন্ডন ব্লিটজ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। [১]

ব্যক্তিগত জীবনী[সম্পাদনা]

জাকিউদ্দিন তিনি বেগম বিনুকে বিয়ে করেন, তিনি ছিলেন খান বাহাদুর হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও আবিদা খাতুনের কন্যা। জাকিউদ্দিন ও বিনুর দুই মেয়ে ইয়াসমিন মুর্শেদও আলমাস জাকিউদ্দিন এবং এক ছেলে জাহেদ জাকিউদ্দিন। [১] [২] তার মেয়ে ইয়াসমিন মুর্শেদ পাকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [৩] জাকিউদ্দিনের ভাই ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল খাজা ওয়াসিউদ্দিন[৪]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

জাকিউদ্দীন ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে মারা যান। [১] [২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

জাকিউদ্দীন ১৯৪৩ সালে লন্ডন থেকে ফিরে মুম্বই গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে যোগ দেন। তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে একজন। যিনি ভারতের একটি ব্রিটিশ ব্যাঙ্কে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি কলকাতা, করাচি এবং পেশোয়ারে গ্রিন্ডলেস ব্যাঙ্কের শাখায় কাজ করেছেন। তিনি ১৯৫০ সালে এর দশকে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান যোগদান করেন। [১] তিনি ১৯৭৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। [৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Khwaja Zakiuddin"nawabbari.com। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৮ 
  2. "Khwaja Zakiuddin passes away"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জানুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৮ 
  3. "New Bangladeshi HC not new to Islamabad"The News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৮ 
  4. মোঃ আলমগীর (২০১২)। "ওয়াসিউদ্দিন, লে. জেনারেল খাজা"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. "Kh Zakiuddin passes away"Dawn। ১৭ জানুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৮