খন্দকার মাহমুদুল হাসান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খন্দকার মাহমুদুল হাসান
জন্ম(১৯৫৯-০৮-২৫)২৫ আগস্ট ১৯৫৯
রংপুর, বাংলাদেশ
মৃত্যু২৮ জানুয়ারি ২০২১(2021-01-28) (বয়স ৬১)
পেশালেখক
জাতীয়তাবাংলাদেশি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ধরনশিশুসাহিত্য, হাসির গল্প, রহস্য উপন্যাস
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারঅগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার, যতীন্দ্রমোহন রায় স্মৃতি পুরস্কার (টুকলু পুরস্কার)
সক্রিয় বছর১৯৫৯-২০২১

খন্দকার মাহমুদুল হাসান (২৫ আগস্ট ১৯৫৯ - ২৮ জানুয়ারি ২০২১) বাংলাদেশের একজন শিশুসাহিত্যিক, গবেষক ও একজন বহুমাত্রিক লেখক ছিলেন। শিশুসাহিত্য, ভ্রমণ, প্রবন্ধ, গবেষণাসহ শিল্প-সাহিত্যের নানা অঙ্গনে তার পদচারণ ছিল এবং তার শিশুসাহিত্যের মধ্যে হাসির গল্প, রহস্য উপন্যাস, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি রয়েছে।

জন্ম ও শৈশব[সম্পাদনা]

১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে রংপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন খন্দকার মাহমুদুল হাসান। তার পৈত্রিক নিবাস পাবনা জেলায়। তার বাবার নাম খন্দকার আজমল হক, মায়ের নাম রওশন আরা বেগম। খন্দকার মাহমুদুল হাসান কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহমুদুল হাসান একজন সার্বক্ষণিক লেখক। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ দুই বাংলার বিরাট এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে তিনি ইতিহাস ও পুরাকীর্তি বিষয়ক গবেষণাকাজ পরিচালনা করেছেন। এর বাইরে সাহিত্য, শিশুসাহিত্য, সাময়িকপত্র ও চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত শিশু বিশ্বকোষ রচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

প্রকাশিত গ্রন্থঃ ইতিহাস, বিজ্ঞান, পুরাকীর্তি, চলচ্চিত্র, গল্প, উপন্যাস, গোয়েন্দা কাহিনি প্রভৃতি মিলিয়ে শতাধিক বই লিখেছেন। ছোটদের জন্য লিখেছেন ৯০টি বই, যার মধ্যে আছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ভয়ের গল্প, হাসির গল্প, জীবনবোধসম্পন্ন গল্প, রূপকথার গল্প, গোয়েন্দাকাহিনি, রহস্যোপন্যাস, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, চোরের গল্প, পুলিশ কাহিনি প্রভৃতি, লিখেছেন ইতিহাস বিষয়ক ২৬ টি বই, ২২টি কিশোর উপন্যাস ও ৩১ টি টি গল্পের বই। ঢাকার পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত দুই খণ্ডের 'বাংলাদেশের পুরাকীর্তি কোষ', দিব্যপ্রকাশ থেকে দুই খণ্ডে প্রকাশিত 'প্রথম বাংলাদেশ কোষ','বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেপথ্য -কাহিনি', ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত 'ঢাকা অভিধান','চলচ্চিত্র', বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত 'প্রাচীন বাংলার আশ্চর্য কীর্তি', কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত 'মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র', 'হিব্রু থেকে ইহুদি', ' বাংলাসাহিত্যে মুসলিম অবদান', 'যেমন করে মানুষ এলো', 'সেরা কিশোর গল্প','কাঠমান্ডুর মূর্তি রহস্য', 'ইতিহাসের সেরা গল্প' প্রভৃতি তার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

খন্দকার মাহমুদুল হাসান দু'বার বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রদত্ত অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান দু'বার।[১] প্রথমবার ২০১৪ সালে ভারত থেকে পেয়েছেন যতীন্দ্রমোহন রায় স্মৃতি পুরস্কার (টুকলু পুরস্কার)।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২৮ জানুয়ারি ২০২১ সালে ঢাকার গ্রিনলাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শিশুসাহিত্যিক ও গবেষক খন্দকার মাহমুদুল হাসান আর নেই"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৪ 
  2. "লেখক খন্দকার মাহমুদুল হাসান আর নেই"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৪