কুয়েত-কেনিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুয়েত-কেনিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Kenya এবং Kuwait অবস্থান নির্দেশ করছে

কেনিয়া

কুয়েত

কুয়েত-কেনিয়া সম্পর্ক, কুয়েত এবং কেনিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে কুয়েতের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[১] অপরদিকে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে কেনিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[২] কেনিয়াতে অবস্থিত কুয়েতের দূতাবাসটি ১৯৬৫ সালে চালু করা হয়। তবে সেই সময় কুয়েত কোন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় নি। ১৯৬৮ সালে কুয়েত, কেনিয়াতে তাদের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়। অপরদিকে ২০০৭ সালে, কেনিয়া, কুয়েতে তাদের দূতাবাস চালু করে এবং সে বছরই, কুয়েতে তাদের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে, কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি, উহুরু কেনিয়াত্তা এক রাষ্ট্রীয় সফরে কুয়েতে যান। তিনি সেখানে কুয়েতের আমির, শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ এর সাথে বৈঠক করেন। এছাড়াও কেনিয়াত্তা সেখানে অনুষ্ঠিত ৩য় আফ্রিকা-আরব অর্থনৈতিক সম্মেলনেও যোগ দেন।[৩] উহুরু কেনিয়াত্তার সেই সফরে, তার সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, আমিনা মোহাম্মদও তার সফর সফরসঙ্গী হিসেবে সেই সফরে যান। [৪]

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮ তম সভায় দেয়া বক্তৃতায় কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী, শেখ জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ কেনিয়ায় সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং একই সঙ্গে এসকল হামলার ভুক্তভোগীদের প্রতি সমবেদনা জানান। এর পাশাপাশি তিনি কেনিয়ার শান্তিপ্রিয় জনগণকে এসকল হামলা রুখে দেয়ার আহবান জানান।[৫]

উন্নয়ন সমন্বয়[সম্পাদনা]

কেনিয়া এবং কুয়েত অনেক ক্ষেত্রে পরস্পরের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে। কুয়েতে ইরাকি বাহিনীর আগ্রাসনের সময়, কেনিয়া, কুয়েতের পক্ষে, কুয়েতে সৈন্যদল পাথায়, যারা পরবর্তীতে শান্তিরক্ষী হিসেবে কুয়েতেই থেকে যায়।[১]

২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কেনিয়া কুয়েতের কাছ থেকে ৬৮ মিলিয়ন (৬.৮ কোটি) ইউরো সাহায্য লাভ করে। [৩]

কুয়েত এবং কেনিয়ার মধ্যকার পারস্পরিক সমন্বয়ের প্রধান প্রধান ক্ষেত্রগুলো হল; অবকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা।[৬] এই সমন্বয়ের আওতায়, কুয়েত, কেনিয়ার নুনো-মোদোগাশে রাস্তা, ওয়াজির হাসপাতালের পুনঃস্থাপন, বোরাবু এবং নিয়ামিরা অঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি। এছাড়াও, কুয়েতের বিভিন্ন এনজিও, কাজিয়াদো অঞ্চলে, উম্মা বিশ্ববিদ্যালয় এবং থিকা অঞ্চলে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণ সহায়তা করেছে।

কুয়েত মনে করে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায়, ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিকভাবে কেনিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।[৬]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১২ সালে দুই দেশ দ্বৈত করারোপ এড়ানোর জন্য এবং বিনিয়োগ সুরক্ষার জন্য চুক্তি সাক্ষর করে।[৬] এছাড়াও দেশ দুটি আরও কয়েকটি চুক্তি সাক্ষর করে, যার মাঝে রয়েছে, পর্যটনের প্রসার এবং সমন্বয়ের বৃদ্ধির জন্য একটি যৌথ কমিশন গঠন।[৪] উভয় দেশই বর্তমানে নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরায় চালু এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল চালুর জন্য কাজ করছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে. Kenya – spearheading development in East Africa. Retrieved on 7 February 2015.
  2. [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে. A NOTE FROM THE AMBASSADOR. Retrieved on 7 February 2015.
  3. [৩][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]. President Uhuru Kenyatta leaves for Africa-Arab Summit in Kuwait. Retrieved on 7 February 2015.
  4. [৪] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে. Kenya and Kuwait sign agreement to avoid double-taxation. Retrieved on 7 February 2015.
  5. [৫]. KUWAIT CONDEMNS DISGRACEFUL TERROR ATTACK IN KENYA. Retrieved on 7 February 2015.
  6. [৬] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জুন ২০১৭ তারিখে. Kuwait and Kenya to increase trade volumes, says Kuwait Ambassador. Retrieved on 7 February 2015.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]