কাতার-সাইপ্রাস সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাতার-সাইপ্রাস সম্পর্ক
মানচিত্র Cyprus এবং Qatar অবস্থান নির্দেশ করছে

সাইপ্রাস

কাতার

কাতার-সাইপ্রাস সম্পর্ক, কাতার এবং সাইপ্রাস এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়াতে কাতারের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে কাতারের রাজধানী দোহাতে সাইপ্রাসের একটি দূতাবাস রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৫০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কাতার এবং সাইপ্রাসের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সে সময় সাইপ্রাসের একজন ব্যবসায়ী কাতারে বিনিয়োগ করে ব্যবসা চালু করেন। এর মাধ্যমেইল মূলত কাতার ও সাইপ্রাসের মধ্যে সম্পর্কের ভিত স্থাপিত হয়।[১]

কূটনৈতিক প্রতিনিধি[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে, কাতার, সাইপ্রাসে তাদের দূতাবাস চালু করে।[২] বর্তমানে, সুলতান ইব্রাহিম আল-মাহমুদ হলে, সাইপ্রাসে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত। [৩] তবে সাইপ্রাস এর ৪ বছর আগেই ২০০৩ সালে, কাতারের, দোহায় তাদের দূতাবাস চালু করে। কাতারে অবস্থিত সাইপ্রাসের দূতাবাসটিই ছিল, গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এর কোন সদস্য দেশে সাইপ্রাসের প্রথম দূতাবাস।[১] বর্তমানে, চারালামবোস পানায়িদেস হলেন, কাতারে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত।[৪]

কূটনৈতিক সমন্বয়[সম্পাদনা]

২০১০ সালের এপ্রিল মাসে, কাতারের আমির, হামাদ বিন খলিফা আল থানি এক রাষ্ট্রীয় সফরে সাইপ্রাসে যান। কাতারের আমিরের এই সফর ছিল, সাইপ্রাসে কাতারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর। [৫] কাতারের আমিরের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে, আবাসন খাতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়।[৬] ২০১১ সালের মে মাসে, সাইপ্রাস এবং কাতার, প্রাথমিক এই চুক্তিটিকে চূড়ান্ত করে। এই চুক্তির মধ্যে ছিল নিকোসিয়ায় অবস্থিত হিল্টন হোটেলের বিপরীতে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া এবং বাস্তবায়ন করা। এই উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ছিল একটি পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ, একটি শপিং মল নির্মাণ এবং অফিস ও বাসা-বাড়ি নির্মাণ।[৬]

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি, ক্রিস্টোফিয়াস বলেন, দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সেই বৈঠকে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও কাতার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ এর সাথে যৌথ বিনিয়োগ এর ব্যাপারটিও গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির পদ্ধতির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে, সাইপ্রাসে কাতারের রপ্তানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে, একই সময় ব্যবধানে, কাতারে, সাইপ্রাসের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ৫০ শতাংশেরও বেশি। ২০১০ সালে, বৈশ্বিকভাবে, কাতার, ছিল, সাইপ্রাসে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ২০ তম অবস্থানে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Government Spokesman: 'Cyprus Could Benefit from Qatari Experience in Gas Sector'"arabpressreleases.qa। কাতার নিউজ এজেন্সি। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Rosy road ahead for Qatar and Cyprus"। সাইপ্রাস মেইল। ১৯ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫ 
  3. "Five new ambassadors present their credentials"। সাইপ্রাস মেইল। ৩ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. "Ambassador"। সাইপ্রাস দূতাবাস, দোহা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  5. "Cyprus president invites Qatari investments in his country"। গালফ টাইমস। ২৮ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫ 
  6. "Cyprus Says Approves Real Estate Joint Venture With Qatar"। ব্লুমবার্গ। ২০ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫