উমরাও জান (২০০৬-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উমরাও জান
থিয়েটারে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকজে. পি. দত্ত
প্রযোজকজে. পি. দত্ত
রচয়িতাজে. পি. দত্ত
চিত্রনাট্যকারজে. পি. দত্ত
ও.পি. দত্তা
শ্রেষ্ঠাংশেঐশ্বর্যা রাই
অভিষেক বচ্চন
সুনীল শেঠ্ঠি
শাবানা আজমি
সুরকারআনু মালিক
চিত্রগ্রাহকঅয়ণাঙ্ক বোস
সম্পাদকজে. পি. দত্ত
পরিবেশকরিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট
মুক্তি
  • ৩ নভেম্বর ২০০৬ (2006-11-03)
স্থিতিকাল১৮৯ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
আয়₹১০,২৭,০৯,১৩১.৩৫[১]

উমরাও জান উর্দু উপন্যাস উমরাও জান আদা অবলম্বনে নির্মিত একটি বলিউড চলচ্চিত্র । মুখ্য চরিত্রে ঐশ্বর্যা রাই সহ অন্যান্য তারকারা হলেন অভিষেক বচ্চন, শাবানা আজমি, সুনীল শেঠি, দিব্যা দত্ত, হিমানি শিবপুরী এবং কুলভূষণ খারবান্দা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জে. পি. দত্ত

পটভূমি[সম্পাদনা]

১৮৪০ সালে আমিরান (ঐশ্বর্যা রাই) নামে একটি মেয়েকে ফৈজাবাদএর বাড়ি থেকে দিলওয়ার খান (বিশ্বজিৎ প্রধান) অপহরণ করেন। কারণ তাঁকে আমিরানের বাবার দেওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। তার প্রতিশোধ নিতে তিনি আমিরানকে অপহরণ করেন এবং খান্নুম জান (শাবানা আজমি) পরিচালিত লক্ষনৌ এর একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। বুয়া হুসেনি (হিমানি শিবপুরী) এবং মৌলভী সাহেব (কুলভূষণ খারবান্দা) আমিরানকে অবলম্বন করে নিজেদের মেয়ের মতো পালন করতে থাকেন। খুরশিদ (আয়েশা জুলখা), বিসমিল্লাহ (দিব্যা দত্ত) এবং এক বারাঙ্গনার পুত্র গৌহর মির্জা (পুরু রাজ কুমার) এর সঙ্গে আমিরান শিল্পকলা শিখতে থাকেন বারাঙ্গনা বা তাওয়াইফ হওয়ার জন্য।

সেই মেয়েটিই এখন উমরাও জান (ঐশ্বর্যা রাই) নামে একটি মার্জিত কাব্যিক সৌন্দর্যে পরিণত হয়েছেন। নবাব সুলতানের (অভিষেক বচ্চন) নজর কাড়ার জন্য উমরাওয়ের সৌন্দর্য এবং কবিতা যথেষ্ট ছিল। দু'জনের মধ্যেই গড়ে ওঠে রোম্যান্স। কিন্তু নবাবের বাবা যখন তাঁদের সম্পর্কের কথা শোনেন তিনি নবাব সুলতানকে তাঁর জীবন, সম্পদ এবং সম্পত্তি থেকে অস্বীকার করেন। অর্থহীন নবাব তখন তাঁর বিচারক মামার বাড়িতে থাকতে চলে যান। এদিকে তাঁকে ছাড়া উমরাও একা হয়ে পড়েন এবং তাঁর ফিরে আসার পথ চেয়ে প্রতিদিন প্রার্থনা করেন।

নবাবের অনুপস্থিতিতে ফয়েজ আলীর (সুনীল শেঠ্ঠি) নজরে পড়েন উমরাও। উমরাও তাঁকে রোমান্টিকভাবে গ্রহণ না করলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর দৌলতাবাদের বাড়িতে যেয়ে তাঁকে সঙ্গ দান করতে আপত্তি করেন না। পথে ফয়েজ আলীর লোকেদের সাথে একদল রাজ্য সৈন্যের মধ্যে দ্বন্দ্বের পরে পুরো দলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফয়েজ আলী যে ডাকাত তা প্রকাশ পায় এবং তাঁকে সেনারা বছরের পর বছর ধরে অনুসন্ধান করছিল। নবাব সুলতান শোনেন যে উমরাও এবং ফয়েজ আলী ঘারিতে আছেন। কারাগারে ফয়জ আলীর সাথে দেখা করতে যান নবাব। ফয়েজ আলী বুঝতে পারেন যে উমরাও তাঁর সাথে আসতে সম্মত হয়েছিলেন যাতে তিনি নবাবের সাথে দেখা করতে পারেন। তখন ফয়েজ নিজের মতো করে উমরাওয়ের সাথে তাঁর সময়গুলি নিয়ে নবাবকে এমনভাবে বোঝান যেন তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক ছিল। নবাব উমরাওয়ের মুখোমুখি হন। তাঁর মনে হতে থাকে যে উমরাও তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাঁকে এড়িয়ে চলেন এবং আবার তাঁকে লক্ষনৌতেই প্রেরণ করলেন। ভগ্নহৃদয়ে উমরাও তাঁর পুরানো জীবনে ফিরে আসেন। তবে ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য পরিকল্পনা রচনা করেছিল।

উমরাওয়ের শৈশবের বন্ধু গওহর মির্জা (পুরু রাজ কুমার) তাঁকে ভালোবাসলেও সে সম্পর্কের কোন অগ্রগতি নেই দেখে হতাশ হয়ে মাতাল অবস্থায় উমরাওকে ধর্ষণ করে। এর পরই ব্রিটিশরা এই শহর আক্রমণ করে এবং তিনি লক্ষনৌ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। তখন তিনি তাঁর শৈশবের বাড়ি ফয়েজাবাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর বাবা মারা গেছেন। তিনি তাঁর মা এবং ভাইয়ের সাথে দেখা করেন। তবে তাঁরা তাঁর পেশার কারণে তাঁকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। উমরাও তাঁর পরিবার এবং তাঁর প্রেমিকের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পুনরায় লক্ষনৌতে ফিরে যান। তারপরে ভাগ্য তাঁর সাথে আরও একটি রসিকতা করে। শহর থেকে বেরোনোর ​​সময় তিনি দৈবাৎ মুখোমুখি হন দিলওয়ার খানের সাথে যিনি তাঁকে তাঁর শৈশবে অপহরণ করে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উমরাওকে না চিনেই দুঃস্থ, গৃহহীন, আহত এবং কুষ্ঠরোগগ্রস্থ দিলওয়ার উমরাওয়ের কাছে কিছু অর্থ প্রার্থনা করেন। উমরাও তাঁকে তাঁর সোনার চুড়ি দান করে ঈশ্বরের কাছে তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সকলের প্রতি অকৃত্রিম ক্ষমা এবং যাঁরা তাঁর জীবন ধ্বংস করেছিলেন তাঁদের সকলের প্রতি অকৃত্রিম ক্ষমা দিয়ে উমরাও তাঁর কাব্য এবং দুর্ভাগ্য নিয়ে লক্ষনৌয়ে তাঁর বাকী দিনগুলি কাটিয়ে দেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Umrao Jaan (2006) - Box Office Mojo"www.boxofficemojo.com