উড়ুপি রামচন্দ্র রাও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উদুপি রামচন্দ্র রাও
২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ইউ আর রাও
জন্ম(১৯৩২-০৩-১০)১০ মার্চ ১৯৩২
আদামারু, দক্ষিণ কন্নড়, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, বৃটিশ ভারত
(বর্তমানে উড়ুপি, কর্ণাটক, (ভারত)
মৃত্যু২৪ জুলাই ২০১৭(2017-07-24) (বয়স ৮৫)
মাতৃশিক্ষায়তন
পরিচিতির কারণভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচি
দাম্পত্য সঙ্গীযশোদা রাও
পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রমহাকাশ বিজ্ঞান এবং কৃত্রিম উপগ্রহ প্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠানসমূহভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি
জওহরলাল নেহেরু প্ল্যানেটরিয়াম
ডক্টরাল উপদেষ্টাবিক্রম সারাভাই
উড়ুপি রামচন্দ্র রাও
চেয়াম্যান, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো
কাজের মেয়াদ
১৯৮৪ – ১৯৯৪
পূর্বসূরীসতীশ ধাওয়ান
উত্তরসূরীকুমাস্বামী কস্তুরীরঙ্গন

উড়ুপি রামচন্দ্র রাও (ইংরেজি: Udupi Ramachandra Rao) (১০ মার্চ, ১৯৩২ – ২৪ জুলাই, ২০১৭) সংক্ষেপে ইউ. আর. রাও (ইংরেজি: U R Rao) ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন  ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো’র চেয়ারম্যান। [১] [২]

তিনি আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির এবং বেঙ্গালুরুর নেহেরু প্ল্যানেটরিয়ামের পরিচালন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তিরুবনন্তপুরমের ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট ফর স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আচার্য ছিলেন। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ও ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার কর্তৃক যথাক্রমে পদ্মভূষণপদ্মবিভূষণ সম্মান প্রাপ্ত ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী বিদেশেও সম্মানিত হয়েছেন।২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ  আমেরিকার ওয়াশিংটনে স্যাটেলাইট 'হল অফ ফেম'এ পেশাদার স্যাটেলাইটের  আন্তর্জাতিক সংস্থা তাঁকে অভিনন্দিত করে ও সদস্য পদ প্রদান করে। একইভাবে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই মে আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনটিক্স ফেডারেশন (আইএএফ) তাঁকে আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করে। ভারতীয় হিসাবে তিনিই প্রথম এই সম্মান অর্জন করেন।[৩]

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

রামচন্দ্র রাও ভারতের  কর্ণাটক রাজ্যের উড়ুপি জেলার  আদামারুতে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা ও মাতা ছিলেন লক্ষ্মীনারায়ণ আচার্য এবং কৃষ্ণভেণী আম্মা। তার প্রাথমিক শিক্ষা আদামারুতেই শুরু হয়। উড়ুপির  খ্রিস্টান হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর অনন্তপুরের গভর্নমেন্ট আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স কলেজে পড়াশোনা পর ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের  স্নাতক হন। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে। আহমেদাবাদের  ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে ডাঃ বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে গবেষণা করে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে  গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের  পিএইচডি লাভ করেন তিনি।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

রামচন্দ্র রাও মহাজাগতিক রশ্মি বিজ্ঞানী হিসাবে ডাঃ বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে  ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে তথা এমআইটিতে কর্মজীবন শুরু করেন।  এমআইটিতে অনুষদ সদস্য এবং ডালাসের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কাজ করার সময় তিনি বেশ কয়েকটি উন্নত  এবং অন্বেষণ মহাকাশযানের প্রধান পরীক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতে ফিরে এসে আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হয়ে তিনিই প্রথম সৌর বায়ুর ধারাবাহিক প্রকৃতি এবং মেরিনার ২ টি পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে ভূ-চৌম্বকীয় প্রভাবের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। 

ইসরোর চেয়ারম্যান হিসাবে অবদান[সম্পাদনা]

১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিব এবং ইসরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর অধ্যাপক ইউ.আর.রাও-নেতৃত্বে ভারতে রকেট প্রযুক্তির প্রভূত উন্নতি হয়। ফলস্বরূপ, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এএসএলভি রকেটের সফল যাত্রা শুরু হয়। তারই দায়িত্বে ৮৫০ কেজি ভরের পিএসএলভি কক্ষপথে উৎক্ষেপন সম্ভব হয়েছিল। অধ্যাপক রাও ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে জিএসএলভি'র ভূসমলয় উৎক্ষেপন এবং কায়োজেনিক প্রযুক্তিতে কাজের সূচনা করেছিলেন। ইনস্যাট সিরিজের কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা তার কার্যকালে গৃহীত হয় এবং ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ইনস্যাটের উৎক্ষেপনের মাধ্যমে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল। এই দশকে সারা দেশে ল্যান্ড লাইন টেলিফোন সংযোগ বিস্তার সম্ভব হয়েছিল বিভিন্ন স্থানে উপগ্রহের মাধ্যমে সংযোগ প্রাপ্তির কারণে। মানুষ অতি সহজে অল্প সময়েই "এস টি ডি" তথা গ্রাহক ট্রাঙ্ক ডায়ালিং এ কথা আদান প্রদান করতে পারতেন। এই ব্যবস্থাটিই  পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি এন্ট্রিক্স কর্পোরেশনের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। ভারতের প্রথম কৃত্রিম  উপগ্রহ  আর্যভট্টর নেপথ্য নায়ক ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত সতীশ ধওয়ানের পর অধ্যাপক ইউ.আর.রাও দীর্ঘ দশ বৎসরের ( ১৯৮৪-১৯৯৪) কার্যকালে ইসরোর সমস্ত মিশনে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত থেকেছেন। দেশের মহাকাশ প্রযুক্তির উন্নয়ন তার হাত ধরে। যেভাবে নানা প্রকৃতি সংক্রান্ত বিষয়ে কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার করা হয়, তাতেও বিরাট অবদান রয়েছে তার।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

দেশে বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।  আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত  হয়েছেন । তার মেধাকে সম্মান জানিয়েছে বিশ্বের প্রায় ২৫ টি নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়।

জাতীয় পুরস্কার-[সম্পাদনা]

১৯৭৫ - কর্ণাটক রাজ্যেৎসব পুরস্কার 

১৯৭৫ - হরি ওম বিক্রম সারাভাই পুরস্কার 

১৯৭৫ - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার

১৯৭৬ পদ্মভূষণ

১৯৮০ জাতীয় নকসা পুরস্কার 

১৯৮০ ভাসভিক গবেষণা পুরস্কার বৈদ্যুতিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে 

১৯৮৩ কর্ণাটক রাজ্যেৎসব পুরস্কার 

১৯৮৩ পি সি মহলানবীশ পদক 

১৯৯৩ ওম প্রকাশ ভাসিন পুরস্কার 

১৯৯৩ মেঘনাদ সাহা পদক

১৯৯৪ পি সি চন্দ্র পুরস্কার 

১৯৯৪ ইলেকট্রনিক্স ম্যান অফ দ্য ইয়ার 

১৯৯৫ জাকির হুসেন স্মৃতি পুরস্কার 

১৯৯৫ জওহরলাল নেহরু পুরস্কার 

১৯৯৬ এস কে মিত্র জন্ম শতবার্ষিকী স্বর্ণ পদক 

১৯৯৭ যুধিভর ফাউন্ডেশন পুরস্কার 

১৯৯৭ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত 

১৯৯৯ গুজার মাল মোদি পুরস্কার 

২০০১ নাদোজা পুরস্কার হাম্পির কন্নড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত 

২০০১ লাইফ-টাইম কন্ট্রিবিউশন অ্যাওয়ার্ড আই এনএই প্রদত্ত 

২০০২ স্যার এম বিশ্বেশ্বর স্মৃতি পুরস্কার 

২০০৩ প্রেস ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ার পুরস্কার, বিশ্ব ভারতী ফাউন্ডেশন, হায়দ্রাবাদ প্রদত্ত

২০০৪ স্টার অফ ইন্ডিয়া পুরস্কার 

২০০৪ বিশেষ পুরস্কার,২০০৪ কর্ণাটক মিডিয়া একাডেমি প্রদত্ত 

২০০৫ ভারতরত্ন রাজীব গান্ধী  আউটস্টান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড 

২০০৫ লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা

২০০৭ বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্বর্ণ পদক কর্ণাটক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমি প্রদত্ত

২০০৭ বিশ্বমানব পুরস্কার বিশ্বমানব সংস্থা প্রদত্ত 

২০০৭ এ ভি রামা রাও টেকনোলজি পুরস্কার 

২০০৮ জওহরলাল নেহরু জন্মশতবার্ষিকী পুরস্কার ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থা প্রদত্ত 

২০১৭ পদ্মবিভূষণ

আন্তর্জাতিক পুরস্কার-[সম্পাদনা]

১৯৭৩  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসার গ্রুপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড

১৯৭৫ সোভিয়েত রাশিয়ার একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর পদক 

১৯৯১ সোভিয়েত রাশিয়ার ইউরি গাগারিন পদক 

১৯৯২ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর অ্যালান ডি এমিল পুরস্কার

১৯৯৪ ফ্র্যাঙ্ক জে ম্যালিনা পুরস্কার (আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশন) 

১৯৯৬ 'সিওএসপিএআর' এর বিক্রম সারাভাই পদক

১৯৯৭ আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান একাডেমি প্রদত্ত 'আউটস্টান্ডিং বুক অ্যাওয়ার্ড' - অধ্যাপক ইউ.আর.রাও-এর  " স্পেস টেকনোলজি ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট" বইটির জন্য 

২০০০ 'আইএসপিআরএস' প্রদত্ত 'এডুয়ার্ড দোয়েলজাল অ্যাওয়ার্ড'

২০০৪  স্পেস নিউজ ম্যাগাজিন তাঁকে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ হতে যে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব বিশ্বে নাগরিক, বাণিজ্য ও সামরিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন তাঁদের দশজনের অন্যতম আখ্যা প্রদান 

২০০৫  আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান একাডেমির সর্বোচ্চ পুরস্কার - 'থিওডোর ভন কারমন অ্যাওয়ার্ড'

২০১৩ 'সোসাইটি অব স্যাটেলাইট প্রফেশনালস  ইন্টারন্যাশনাল' কর্তৃক "হল অফ ফেম" এ অন্তর্ভুক্তি

২০১৬  আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশন কর্তৃক "হল অফ ফেম" এ অন্তর্ভুক্তি।

অধ্যাপক ইউ.আর.রাও ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় বোলোগনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশ-বিদেশের ২৫ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক ডি.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন।  ১৯৭৬ মহীশূর

১৯৭৬ রাহুরী

১৯৮১ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৮৪ ম্যাঙ্গালোর

১৯৯২ বোলোগোনা বিশ্ববিদ্যালয় (ইতালি)১৯৯২ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৯২ উদয়পুর

১৯৯৩ তিরুপতি (এসভি)

১৯৯৪ হায়দরাবাদ (জেএন)১৯৯৪ মাদ্রাজ (আন্না বিশ্ববিদ্যালয়)

১৯৯৪ রুরকি বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৯৪ পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়, পতিয়ালা

১৯৯৭ শ্রী শাহু জি মহারাজ বিশ্ববিদ্যালয়, কানপুর

১৯৯৯ ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস, ধানবাদ

২০০১ ডি লিট (সাম্মানিক), কন্নড় বিশ্ববিদ্যালয়, হাম্পি

২০০২ চৌধুরী  চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়, মীরাট

২০০৫ ইউপি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, লখনউ

২০০৬ বিশ্বেশ্বরাইয়া কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, বেলগাঁও

২০০ ভারতীয় প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট - দিল্লি

শ্রদ্ধার্ঘ্য[সম্পাদনা]

বিশ্ববন্দিত মহাকাশ বিজ্ঞানীর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ১০ ই মার্চ, গুগল ডুডল তাঁকে বিশেষ সম্মান জানিয়েছে।[৪]

ফেলোশিপ / সদস্যপদ[সম্পাদনা]

  • ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো
  • ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো
  • জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো
  • তৃতীয় বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো
  • আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী একাডেমির ফেলোভারতীয় জাতীয় প্রকৌশল একাডেমির ফেলো
  • ভারতের অ্যাস্ট্রোনটিকাল সোসাইটির ফেলো
  • অ্যারোনটিকাল সোসাইটির ফেলো
  • ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীদের বিশিষ্ট ফেলো ইনস্টিটিউশন
  • মাননীয় ভারতীয় জাতীয় কার্টোগ্রাফিক সমিতির ফেলো 
  • ভারতের সম্প্রচার ও প্রকৌশল সমিতির ফেলো
  • সম্মানীয় ফেলো এ্যারো মেডিকেল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া
  • ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি, আহমেদাবাদের বিশিষ্ট ফেলো
  • যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলো।
  • আন্তর্জাতিক অ্যারোনটিকাল ফেডারেশনের ফেলো (আইএএফ)

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেশাদার ক্রিয়াকলাপ[সম্পাদনা]

  • ১৯৮৬-১৯৯২  ভাইস প্রেসিডেন্ট, আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশন
  • ১৯৮৮ প্রেসিডেন্ট, আইএএফ-এর উন্নয়নশীল দেশসমূহের সমন্বয়কারী কমিটি (সিএলডিইএন)
  • ১৯৯৭-২০০০ চেয়ারম্যান, ইউএন-সিওপিইউওএস (ইউনাইটেড নেশনস - মহাশূন্যে শান্তিপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয়ক কমিটি)
  • ১৯৯৯ প্রেসিডেন্ট, ইউএনআইএসপিএসিই-(৩য়) সম্মেলন
  • ২০০৭ চেয়ারম্যান, ৩০-তম আন্তর্জাতিক অ্যান্টার্কটিক চুক্তি পরামর্শমূলক কমিটির সভা

অতিরিক্ত দায়িত্ব[সম্পাদনা]

  • চেয়ারম্যান কর্ণাটক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমি, 
  • চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান শিক্ষা-JNP, চ্যান্সেলর বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়, লক্ষ্ণৌ, 
  • সদস্য পরিচালনা সেন্ট্রাল বোর্ড, ভারতীয় রিসার্ভ ব্যাঙ্কের অতিরিক্ত পরিচালক, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ প্রাইভেট  লিমিটেড বেঙ্গালুরু এসোসিয়েশন , বেঙ্গালুরু, পুনে ইন্ডিয়ান ট্রপিকাল মেটেরোলজি ইনস্টিটিউটের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

রাও ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমি, ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইনস্টিটিউট অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্স এবং তৃতীয় ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেসের মতো অনেক একাডেমির একজন নির্বাচিত ফেলো ছিলেন। রাওকে ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি 1995-96 সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাপতি ছিলেন। রাও ১৯৮ 1984 থেকে 1992 পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশনের (আইএএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ১৯৮৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে যোগাযোগের কমিটির (সিআইএলওডিএন) চেয়ারম্যান ছিলেন। রাও জাতিসংঘের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন - কমিটি অন পলফুল ইউজ ১৯৯৭ সালের জুন মাসে আউটার স্পেসের (ইউএন-কপুওস) এবং ইউএনআইএসপিএইসি -২ সম্মেলনের চেয়ারম্যানও।২০০ April সালের এপ্রিল মাসে তিনি দিল্লিতে ৩০ তম আন্তর্জাতিক অ্যান্টার্কটিক চুক্তি পরামর্শমূলক কমিটির সভাপতির পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি গোয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যান্টার্কটিক অ্যান্ড ওশান রিসার্চ -এর কো-চেয়ারম্যান ছিলেন ।  তিনি প্রচার ভারতীর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন । রাও ২০০ Rao সালে স্পেস ফিজিক্স কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি এর নামটিকে জাতীয় গুরুত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারতীয় স্পেস ফিজিক্স সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন।

রচিত বই[সম্পাদনা]

অধ্যাপক ইউ.আর.রাও মহাজাগতিক রশ্মি, মহাকাশে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রায় ৩৫০০টিরও বেশি প্রবন্ধ বা রচনা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালে। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল -

  • "পার্সপেক্টিভ ইন কমিউনিকেশন" -  ইউ. আর. রাও, কে. কস্তুরিরঙ্গন, কে. আর. শ্রীধর মুর্তি এবং সুরেন্দ্র পাল সম্পাদিত। ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিফিক (১৯৮৭)। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৯৭১-৯৭৮-৭৬-১
  • "ইউআর রাও, "স্পেস অ্যান্ড এজেন্ডা-২১ - কেয়ারিং প্ল্যানেট আর্থ", প্রিজম বুকস প্রা.লিমিটেড, বেঙ্গালুরু (১৯৯৫)
  • ইউআর রাও -  " স্পেস টেকনোলজি ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট" , টাটা ম্যাকগ্রা-হিল পাবলিশিং নয়াদিল্লি (১৯৯৬)

জীবনাবসান[সম্পাদনা]

অধ্যাপক ইউ.আর.রাও বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুলাই ৮৫ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন। [২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]