ইয়ামিন চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইয়ামিন চৌধুরী
জন্ম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর বিক্রম
আত্মীয়ফাতেমা চৌধুরী পারু (বোন)

ইয়ামিন চৌধুরী (জন্ম: ১৯৪৯ - মৃত্যু: ২৩ জানুয়ারি ১৯৯৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

ইয়ামিন চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী গ্রামে ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল হামিদ চৌধুরী। [১] তার বোন ফাতেমা চৌধুরী পারু দুই বারের সংসদ সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেলে তিনি ঐ যুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে চলে যান এবং সেখানে ট্রেনিং নিয়ে ৫নং সেক্টরের অধীনে ৩নং সাবসেক্টরে যোগদান করেন। এসময় সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন লে. জেনারেল মীর শওকত আলী। ১৯৭১ সালের জুন মাসে তেলীখাল ও বাদাঘাটে যুদ্ধে অসমসাহসিক বীরত্বে হানাদার বাহিনীর প্লেন ক্রাশ করে এবং হাদারপার নামক স্থানে যাওয়ার পর ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত হন।

ইয়ামীন চৌধুরী সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দীর্ঘ ৮ বছর সংসদের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। [২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

ইয়ামীন চৌধুরী ১৯৯৫ সালের ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মৃতি রক্ষার্থে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার চৌহাট্টা থেকে রিকাবীবাজার কাজলশাহ সড়কটি তার নামকরণ করা হয়।[৩]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449 
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। এপ্রিল ২০১২। পৃষ্ঠা ১৭১। আইএসবিএন 9789843338884 
  3. গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য - আনোয়ার শাহজাহান, প্রকাশকাল. প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ১৯৯৬

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]