ইয়াদ আল-বাগদাদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইয়াদ আলা-বাগদাদী
إياد البغدادي
২০১৭ সালে ইয়াদ আলা-বাগদাদী
জন্ম (1977-06-17) ১৭ জুন ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
জাতীয়তাফিলিস্তিনি
পেশালেখক, আন্দোলনকর্মী

ইয়াদ আল-বাগদাদী (আরবি: إياد البغدادي) (জন্ম ১৭ জুন, ১৯৭৭) একজন লেখক, উদ্যোক্তা এবং মানবাধিকার কর্মী যিনি আরব বসন্তের সময় আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। একজন স্ব-শৈলীযুক্ত "ইসলামিক স্বাধীনতাবাদী" হিসেবে তিনি ইসলামী আন্দোলন এবং ধর্মনিরপেক্ষ একনায়কত্ব উভয়েরই একজন স্পষ্ট সমালোচক, তিনি হাস্যরস এবং ব্যঙ্গ করার মাধ্যমে অন্য অনেক আন্দোলন কর্মী থেকে আলাদা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।[১] তিনি তার নিজের ব্লগ সাইট ইসলাম এবং লিবার্টি এবং সাউন্ডক্লাউডের পডকাস্ট অ্যারাবিক টাইর‍্যান্ট ম্যানুয়াল-এ অবদান রাখেন। [২]

তিনি একজন রাষ্ট্রহীন ফিলিস্তিনি যিনি কুয়েতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠেন, তিনি এখন নরওয়েতে একজন রাজনৈতিক উদ্বাস্তু।[৩]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

বাগদাদির দাদা- দাদিরা জাফায় থাকেন যা এখন ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র সৃষ্টির পর, তারা তাদের শিশু পুত্র ইসমাইলকে (বাগদাদির পিতা) নিয়ে মিশরে চলে যান, এবং সেখানে বসতি স্থাপন করেন। ইসমাইল ১৯৭০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে আসেন। কুয়েতে জন্মগ্রহণ করা ইয়াদ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বড় হয়েছেন। ২০১৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তার নির্বাসন পর্যন্ত, তিনি আজমান শহরে থাকতেন।[৩]

আরব বসন্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় , বাগদাদি চলমান মিশরীয় বিপ্লব সম্পর্কে টুইট করা শুরু করেন। তিনি আরবি ভাষার বিবৃতি, ছড়া এবং ভিডিওর ইংরেজি অনুবাদ প্রদান করেন। তিনি গণতন্ত্রপন্থী দৃষ্টিকোণ থেকে আরব বিশ্বের বিদ্রোহকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছিলেন। তার টুইটের বেশিরভাগই কেবল সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কেই রিপোর্ট করেনি বরং এই অঞ্চলের স্বৈরাচারী নেতাদের সম্পর্কে উপহাসমূলক মন্তব্যও প্রদান করেছে। যার মাধ্যমে তিনি প্রচুর ফলোয়ার পেয়েছেন। তিনি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া হ্যাশট্যাগ #ArabTyrantManual -এর স্রষ্টা এবং মূলধারার সংবাদ প্রতিবেদনেও তাকে উল্লেখ করা হয়েছে। [৪]

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিশরীয় আন্দোলন কর্মী আসমা মাহফুজের মিশরীয়দের প্রতি কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে প্রতিবাদ করার আহ্বানের ইউটিউব ভিডিও এক মিলিয়ন বার দেখা হয়েছিল। এর অনুবাদক ছিলেন বাগদাদী। অনেক পর্যবেক্ষক হোসনি মোবারকের রাষ্ট্রপতিত্বকে পতনে সাহায্য করার জন্য এটিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। [৫]

২০১১ সালের মার্চ মাসে, তিনি তার ব্যঙ্গাত্মক টুইটগুলির একটি অনলাইন সংগ্রহ পোস্ট করেছিলেন যার শিরোনাম ছিল আরব টাইর‍্যান্ট ম্যানুয়াল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি এক ডজনেরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়। একে বই আকারে প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। [৬]

তিনি দ্বি-খণ্ডের আরব বসন্ত ইশতেহারেরও লেখক, যেখানে তিনি "ইসলামী স্বাধীনতাবাদ" এর একটি রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন যাতে তিনি আশা করেছিলেন আরব বসন্তের প্রেক্ষিতে তার অঞ্চলের পথপ্রদর্শক দর্শন হয়ে উঠবে।

বাগদাদি সম্পর্কে মন্তব্য[সম্পাদনা]

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ- এর নিকোলাস ম্যাকগিহান বাগদাদির মামলাটিকে "ইউএই'র বিভ্রান্তির লক্ষণ এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং বাক স্বাধীনতার হরণের লক্ষণ" বলে বর্ণনা করেছেন। এইচএ হেলিয়ার, রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের একজন সহযোগী ফেলো, বাগদাদির "পক্ষপাতের পরিবর্তে নীতির উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির সমালোচনা করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার" প্রশংসা করেছেন। [৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "About Iyad El-Baghdadi (NO)"। TEDxUHasselt। ৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "Islam and liberty"। ১১ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৮ 
  3. Jones, Sophia। "Meet The Arab Spring Activist Deported By The UAE Who Is Now Speaking Out"। The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. el-Baghdadi, Iyad। "Dubai and Abu Dhabi don't need a ministry of happiness – they need justice"। International Business Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  5. "Meet Asmaa Mahfouz and the vlog that Helped Spark the Revolution"। YouTube। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  6. El-Baghdadi, Iyad। "The Arab Tyrant's Manual" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. Hussain, Murtaza। "How the UAE Tried to Silence a Popular Arab Spring Activist"। The Intercept। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]