আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আশরাফ উদ্দিন
অবসর গ্রহণের দিনে চুন্নু
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু
জন্ম (1956-08-01) ১ আগস্ট ১৯৫৬ (বয়স ৬৭)
জন্ম স্থান নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
উচ্চতা ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান আক্রমণভাগের খেলোয়াড়
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৭৩ দিলকুশা
১৯৭৪ রহমতগঞ্জ
১৯৭৫–১৯৮৮ ঢাকা আবাহনী
জাতীয় দল
১৯৭৫–১৯৮৫ বাংলাদেশ ৫০ (১৭)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু (জন্ম: ১ আগস্ট ১৯৫৬; আশরাফ উদ্দিন চুন্নু নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়[১][২][৩] চুন্নু তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ঢাকা আবাহনী এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

১৯৭৩ সালে, বাংলাদেশী ক্লাব দিলকুশার হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। অতঃপর ১৯৭৪ সালে তিনি রহমতগঞ্জে যোগদান করেছিলেন। রহমতগঞ্জেও তিনি মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৭৫–৭৬ মৌসুমে, তিনি রহমতগঞ্জ হতে ঢাকা আবাহনীতে যোগদান করেছিলেন; ঢাকা আবাহনীর হয়ে ১৪ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।

১৯৭৫ সালে, চুন্নু বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ৫০ ম্যাচে ১৭টি গোল করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু ১৯৫৬ সালের ১লা আগস্ট তারিখে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবল[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালে, চুন্নু এক প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের প্রায় ৪ বছর পর, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন; ১৯৭৯ সালের সালের ১৬ই জানুয়ারি তারিখে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেছিলেন।

১৯৮৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপে নেপালকে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করার ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন চুন্নু। পরবর্তীকালে ১৯৮৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে গোল করেছেন। ৩০শে মার্চ তারিখের উক্ত ম্যাচে বাংলাদেশ ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। ম্যাচে এক গোল পিছিয়ে থাকা দলকে ৪২ মিনিটে গোল করে সমতায় ফিরিয়েছিলেন চুন্নু। শেষ মুহূর্তে অবশ্য বাংলাদেশ আরেকটি গোল হজম করে। উক্ত আসরের বাছাইপর্বে ২রা এপ্রিল তারিখের ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায়, ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচে বাংলাদেশ ২–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। উক্ত ম্যাচে কায়সার হামিদ এবং চুন্নু গোল দুটি করেছিলেন।

১৯৮৫ সালে চুন্নু ৩২ বছর বয়সে বাংলাদেশের তার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তার ১০ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বমোট ৫০ ম্যাচে ১৭টি গোল করেছিলেন।

অবসর[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের অধীনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। চুন্নু ১৯৯৬ সালে জাতীয় ফুটবলার হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি ঢাকা আবাহনীর পরিচালক[৪] এবং ফুটবল সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের যুগ্ম সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৫][৬] এছাড়াও তিনি শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Chunnu picks France, Brazil as probable semi-finalists"The Independent। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৩ 
  2. "'Blame it on Salahuddin'"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৩ 
  3. "Sheikh Russel clinch title"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৩ 
  4. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 119"The Daily Star। ২০১৯-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৩ 
  5. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 448"The Daily Star। ২০১৯-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৩ 
  6. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 622"The Daily Star। ২০১৯-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৩ 
  7. "Abahani win seven-goal thriller against Sk Jamal"The Independent। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৩