আলাপ:সালাহুদ্দিন আইয়ুবি

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(আলাপ:সালাহউদ্দিন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

নামকরন[সম্পাদনা]

নিচের আলোচনাটি সমাপ্ত হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক এটি পরিবর্তন করবেন না। পরবর্তী মন্তব্যসমূহ যথাযথ আলোচনার পাতায় করা উচিত। এই আলোচনাটিতে আর কোনও সম্পাদনা করা উচিত নয়।



এ পাতার নামটি কি সালাউদ্দিন হওয়া উচিত? নাকি সালাদিন ই ঠিক আছে। আমার তো মনে হয় বাংলাদেশে সালাউদ্দিন ই বেশি পরিচিত। অন্যদের মতামত কামনা করছি।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৯:১৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আমার মনে হয় পুনর্নির্দেশ উপযুক্ত।--Buzzzman (আলাপ) ১৮:১৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
সালাউদ্দিন আসল উচ্চারণ। সালাদিন কথাটা পশ্চিমী উচ্চারণে হয়ে গেছে। আমার মনে হয় সালাউদ্দিন নামেই থাকা উচিৎ।বোধিসত্ত্ব (আলাপ) ১৮:২৮, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
সালাউদ্দিন আসল উচ্চারন নয় এবং অধিকাংশ তথ্যসূত্র সালাদিন নামটিই ব্যাবহার করেছে সুতরাং আমার মনে হয় সালাদিন নামটিই যথার্ত।--Buzzzman (আলাপ) ১০:২৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
পুরো গুগুলে সালাউদ্দিন দিয়ে সার্চ করে ২৫ পেইজ পর্যন্ত (এর পরেরগুলো পূর্বের লিংক-এর রিপিট) যাওয়ার পরও কোন তথ্য দেখতে পেলাম না। আসল উচ্চারন কিন্তু সালাউদ্দিন নয় এটি সালাহ্‌ আদ দীন। যাইহোক, সালাদিন পশ্চিমা উচ্চারন হলেও কোন সমস্যা নেই কারণ সকলেই (সালাদিন নামেই বিভিন্ন পত্রিকাতে লেখা হয়; গুগুল সার্চ করুন) যদি সালাদিন উচ্চারনটিই গ্রহন করে তাহলে উইকিতে এটি ব্যবহারে সমস্যা দেখছি না। সুতরাং আমি সালাদিন রাখার পক্ষে। -- যুদ্ধমন্ত্রী আলাপ ১০:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আমার মনে হয়, "সালাহুদ্দীন আইয়ুবী" হলে ভাল হয়। কারণ, এটা মূল আরবী নামের সাথে বেশি কাছাকাছি। তবে "সালাউদ্দীন আইয়ুবী" ও হতে পারে। বাংলাতে মনে হয় এভাবেই বেশি প্রসিদ্ধ। তবে "সালাদিন" না হলেই ভাল। কারণ, ওটা ইংরেজিতে পরিচিত হলেও বাংলাতে ততো প্রসিদ্ধ না।--Mumin91 (আলাপ) ১৫:৫৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]


উপরের আলোচনাটি সমাপ্ত হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক এটি পরিবর্তন করবেন না। পরবর্তী মন্তব্যসমূহ যথাযথ আলোচনার পাতায় করা উচিত। এই আলোচনাটিতে আর কোনও সম্পাদনা করা উচিত নয়।

শিরোনাম[সম্পাদনা]

নিচের আলোচনাটি সমাপ্ত হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক এটি পরিবর্তন করবেন না। পরবর্তী মন্তব্যসমূহ যথাযথ আলোচনার পাতায় করা উচিত। এই আলোচনাটিতে আর কোনও সম্পাদনা করা উচিত নয়।



সালাহউদ্দিন আরবি উচ্চারণ হিসেবে ভুল। উচ্চারণ হিসেবে সালাহুদ্দিন সঠিক বানান। পাশাপাশি তিনি বাংলার ইতিহাসের বইগুলোতে সালাহুদ্দীনের পাশাপাশি আইয়ুবী নামও সমানভাবে ব্যবহৃত। তাই প্রচলন ও শুদ্ধ প্রতিবর্ণীকরণ হিসেবে সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (বা পুরাতন বানান অনুসারে সালাহুদ্দীন আইয়ুবী)- এ নিবন্ধটি স্থানান্তর করার প্রস্তাবনা দিচ্ছি। ~ খাত্তাব , , ... ১৫:৩১, ২৬ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@খাত্তাব হাসান: আরবি উচ্চারণের ক্ষেত্রে কিন্তু মিশরীয়, মাগরিবি, আদর্শ ইত্যাদি উপভাষায় একই শব্দের উচ্চারণ বদলে যায়। সালাহুদ্দিন আইয়ুবি উচ্চারণ কোন উপভাষায়? মিশরীয়, নাকি আদর্শ? কোনও না কোনও উপভাষায় সালাহউদ্দিন উচ্চারণ পাওয়া যাবে (সম্ভবত আদর্শ উচ্চারণে)। এবার প্রচলনের দিকে আসি, বাংলাদেশে কিন্তু সাধারণভাবে "সালাউদ্দিন আয়ুবি/আইয়ুবি" নামটিই প্রচলিত। তবে বাংলাদেশে হলন্ত হ (হ্‌) এর উচ্চারণ মুখে মুখে লোপ পেয়ে যায়। লিখার সময় কিন্তু সেটা লেখা হয়। অন্যদিকে "সালাহুদ্দিন" উচ্চারণ একেবারেই অপ্রচলিত। এসব দিক বিবেচনা করে আমি "সালাহউদ্দিন আইয়ুবি" নামের পক্ষেই মতামত দিচ্ছি। -- ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৪:৫২, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@MS Sakib: সালাহউদ্দিন কোনও আরবি বানানেই সম্ভব নয়। মাঝখানে আলিফে পেশ এসে নাম আর অর্থ উভয়টাই বিকৃত হচ্ছে। আরবি ভাষার বিকৃতগুলো ভিন্ন ধরণের। যেমন- মিশরি আরবিতে জিমের উচ্চারণ গ করা বা জর্দানে কফের উচ্চারণ গ এর কাছাকাছি আনা; এগুলোর মধ্যে কোনওভাবেই, কোনও রীতিতেই সালাহদ্দিনকে বৈধতা দেয়ার কোনও উপায় নেই। এবার আসি হ-এ হ্রস্ব-উ কার হলে হু এর স্থলে উ উচ্চারণের ক্ষেত্রে; তাহলে কি রাহুলকে রাউল লিখব? লেখা আর কথ্যকে এক করে যুক্তিটা খাঁটবে না বললেই চলে। ~ খাত্তাব , , ... ১৫:৪৮, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@খাত্তাব হাসান: সালাহউদ্দিন বানানটা আরবি অনুযায়ী সব নামের ক্ষেত্রেই ভুল, নাকি শুধু এই নামের ক্ষেত্রে? আর, এখানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে প্রচলনকে। বাংলায় কি কোথাও "সালাহুদ্দিন" প্রচলিত আছে? অন্তত আমি গুগল করে করে "আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি"র একটি বই ছাড়া আর কোথাও এই নাম খুঁজে পাইনি। বরং গুগলে সার্চ করলে আপনি প্রচুর "সালাউদ্দিন" ও "সালাহউদ্দিন" পাবেন। -- ≈ MS Sakib  «আলাপ» ০৭:৫৭, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

প্রথমতঃ ব্যক্তি আরব অঞ্চলের। তাই আরবি প্রতিবর্ণীকরণ বা আরবিতে শুদ্ধ এমন বানান ব্যবহার করা উচিত। আর ইসলামের ইতিহাসের বইগুলোতে বা উপন্যাসগুলোতে সচরাচর বানানটি দেখা যায়। আমি অনেক পড়েছি। ব্যক্তি যদি অবাঙ্গালী হয়, তাহলে তার অঞ্চল অনুযায়ী নামের প্রতিবর্ণ করা হয়। যেমন- ল্যেভ তল্‌স্তোয় পাতায় করা হয়েছে।

সালাহুদ্দিনের নাম আরবিতে ُصَلَاح الدِّيْن, আর সালাহুদ্দিন বানানের প্রচলনও বাংলায় রয়েছে। চাই সেটা সাল্লাবির বইয়ে করা হোক বা কওমি পাঠ্যপুস্তকে করা হোক।

দ্বিতীয়তঃ সালাহউদ্দিন বানান আরবি অনুযায়ী ভুল। এই শব্দ বিকৃত। এটা সঠিক হবার কোনও উপায় নেই। যদি আহবানমূলক শব্দ হয়, যেমন- يَا صَلَاحَ الدِّيْن (ইয়া সালাহাদ্দিন) ইত্যাদিতে পরিবর্তন হা-তে হবে। হা-এর পরে নয়। সালাহউদ্দিন থেকে সালাহ আল-দিন বা সালাহ আদ্দিন শুদ্ধ। যদিও বাংলায় এভাবে পণ্ডিতরা ব্যবহার করেন না বা বাংলায় এভাবে প্রচলন নেই। আশা করছি বুঝাতে পেরেছি। ~ খাত্তাব , , ... ০৮:১৮, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@খাত্তাব হাসান ধন্যবাদ। আপনার বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানতে পারলাম, বাংলাদেশে "সালাহউদ্দিন" নামের যত ব্যক্তি আছে, তাদের সবার নামই আসলে ভুল! আচ্ছা, এবার এই নিবন্ধের প্রসঙ্গে আসি। ইংরেজি নাম "সালাদিন" শব্দটা লক্ষ্য করেন। আরবি অনুযায়ী নিশ্চয় ভুল। কিন্তু তারপরেও ইংরেজি ভাষীদের কাছে অধিক পরিচিত নাম হওয়ায় এটাই ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশে যে "সালাউদ্দিন/সালাহউদ্দিন" প্রচলিত তাতে কোনও সন্দেহ নেই (হোক সেটা সঠিক কিংবা ভুল)। গুগলে অনুসন্ধান করে হাতে গোণা কয়েকটা বই ছাড়া আর কোথাও "সালাহুদ্দিন" নামটি পাইনি। অথচ, "সালাউদ্দিন/সালাহউদ্দিন"-এর ফলাফল অজস্র। সাধারণ মানুষ জানেও না যে, আরবির ভাষাগত মারপ্যাচে সালাউদ্দিন সালাহুদ্দিন হয়ে গেল। পূর্বের মতো আবারও বলছি, যেটা আমাদের কাছে প্রচলিত, সেটাই ব্যবহার করা উচিত। এজন্য সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বা সালাউদ্দিন আইয়ুবি নামের প্রতিই সমর্থন ব্যক্ত করছি। -- ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৯:৪৪, ৪ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@MS Sakib: আসলে আপনি অর্ধেক বুঝেছেন অথবা বিরোধী মনোভাব নিয়ে আমার বক্তব্য পড়েছেন। আমি কখনো দাবি করিনি যে, বাংলাদেশের সালাহউদ্দিন নামীয় ব্যক্তিদের নাম ভুল। আমি অত্র নিবন্ধের সালাহুদ্দিন ব্যক্তির ব্যাপারে কথা বলছি। দূর্ভাগ্যবশত তিনি বাংলাদেশের নন বা তার পিতা-মাতাদের কেউই বাংলাদেশের ছিলেন না। আমি জানিনা, এই নিবন্ধের আলাপ পাতায় বাংলাদেশের সালাহউদ্দিনরা কী করছেন!
দ্বিতীয়তঃ যদি দুইটি বানান প্রচলিত থাকে, তাহলে শুদ্ধ প্রতিবর্ণীকরণই ব্যবহার হয়ে থাকে। আপনার সমর্থন এক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করছেনা। আপনি ইংরেজি "সালাদিন"-কে প্রমাণ হিসেবে এনেছেন। ইংরেজি পণ্ডিতরা/ঐতিহাসিকরা সালাদিন বানান ব্যবহার করেছেন। কেউ ভিন্ন বানান ব্যবহার করেননি। বাংলায় লেখকরা এই বিষয়ে দুই বানান ব্যবহার করেছেন বিধায় সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ করাই উপযুক্ত। যেভাবে ল্যেভ তল্‌স্তোয় পাতায় করা হয়েছে। পাতাটির আলাপ পাতায় দেখতে পারেন, বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। লিউ টলস্টয় ইংরেজির মাধ্যমে বিখ্যাত হওয়ার পরও সরাসরি রুশ হতে সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। ~ খাত্তাব , , ... ০৬:৫৭, ৫ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@খাত্তাব হাসান: বাংলাদেশি সালাহউদ্দিন আর এই সালাহুদ্দিনের নামের মূল আরবি কি ভিন্ন? আমি তো দেখলাম একই।তারমানে বাংলাদেশি সবার নামই ভুল। (একারণেই এই নিবন্ধে বাংলাদেশি সালাহউদ্দিনদের প্রসঙ্গ এনেছিলাম। উল্লেখ্য, "অত্র" শব্দের অর্থ এখানে। তাই, অত্র নিবন্ধ=এখানে নিবন্ধ; তাই এক্ষেত্রে "অত্র" শব্দটির ভুল ব্যবহার করা হয়েছে) আবার, বানান যদি একই হয়, তাহলে এটা পরিষ্কার, আমদের দেশে صلاح الدين শব্দের ক্ষেত্রে সবসময় "সালাউদ্দিন/সালাহউদ্দিন" ব্যবহৃত হয়। মিশরের নাম কি আসলে মিশর? আরবিতেও না ইংরেজিতেও না। আরবিতে مِصر (Miṣr) এর সঠিক বাংলা রূপ মিস্‌র/মাস্‌র। আমরা কি এই "অতি-শুদ্ধ" রূপ ব্যবহার করি?
আপনি বলেছেন, "যদি দুইটি বানান প্রচলিত থাকে..."। আপনি কি সম্প্রতিক সময়ের দুই-তিনটা বইয়ে থাকা বানানকেই প্রচলন হিসেবে বিবেচনা করছেন? এটাকে "প্রচলন" বলে না, "ব্যতিক্রম" বলে। -- ≈ MS Sakib  «আলাপ» ০৮:১০, ৫ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@MS Sakib: অত্র নিয়ে আপনার মন্তব্য যথাযথ নয়। আপনার মন্তব্যটি অধিক মাত্রায় শাব্দিক ও হাস্যকর। যাইহোক, সালাহুদ্দীন আইয়ুবীর বানান ইদানীংকালের বইয়ে নয়, পুরাতন বইয়েও আছে৷ আমি বহু বইয়ে পড়েছি। আপাতত নিম্নের প্রবন্ধগুলো দেখতে পারেন:
[১] [২] [৩]
এগুলো প্রচলন না থাকার ফল নয়। আরেকটা বিষয়, আপনি নিজেই বারবার স্বীকার করছেন- সালাউদ্দিন বানান ভুল হলেও প্রচলনের খাতিরে থাকা উচিত। এটার নীতিমালা দেখাতে পারবেন? "পুরো নামের ক্ষেত্রে প্রচলনকে প্রাধান্যের নীতিমালা পেয়েছি", কিন্তু কেবলমাত্র বানানের ক্ষেত্রে কেবলই অধিক প্রচলিতকে অনুসন্ধানের নীতিমালা আছে? কারণ, গুগল অনুসন্ধানে কম ফলাফল আসায় আপনি সেটাকে " ব্যতিক্রম" বলছেন। ~ খাত্তাব , , ... ০৮:৪৯, ৫ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@খাত্তাব হাসান: অত্র সম্পর্কে আমার বক্তব্যকে আপনি "অধিক মাত্রায়......হাস্যকর" বলেছেন। কিন্তু ভাষাবিদ ড. আমীন স্যারের এই লেখাটি পড়ুন। এখানে বরং এধরণের ভুলকে ভাষার প্রতি "অসদাচরণ" ও "অজ্ঞতা"র শামিল হিসেবে বিবেচনা করেছেন। একটু নিচে "অত্র" অংশে এসব ভুল না করে "নিজেকে লজ্জার হাত হতে" বাঁচানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আশাকরি, একজন ভাষাবিদের বক্তব্য আপনার কাছে "হাস্যকর" মনে হবে না। -- ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১১:২৯, ৫ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@MS Sakib: অত্র নিয়ে বিতর্ক করতে চাচ্ছিনা। উনার এই বক্তব্য নিয়ে আগেও কোথাও আলাপ করে থাকব। অত্র শব্দের কি বাংলায় অন্য ব্যবহার আছে? যেমন- অত্র আসুন, অত্র যান বা অত্র সে বসা ছিল (এখানে আসুন, এখানে যান বা এখানে সে বসা ছিল- এর অর্থে)? এটা শব্দ বা অক্ষরকে কেন্দ্র করে অধিক চিন্তার ফল। ভাষা সহজ রাখা উচিত আর প্রচলনকে স্বীকার করা উচিত। যাইহোক, সালাহুদ্দীন বা সালাহুদ্দিন নিয়ে বানান নিয়ে আলোচনা হোক। আর অন্য শব্দ বা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলোকে আপাতত ইগনোর করা হোক। ~ খাত্তাব , , ... ১২:৫৫, ৫ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি, যেটা অধিক প্রচলিত, সেটাই ব্যবহার করা উচিত। আপত্তি থাকলে আপনি আলাপ:ইমাম বুখারী-পাতায় হওয়া আলোচনাটি দেখতে পারেন। -- ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৪:০৪, ৫ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@MS Sakib: আপনি বানান নিয়ে বিতর্ক আর প্রসিদ্ধ নাম বা প্রচলিত নামের আলাপকে এক করে ফেলছেন। ইমাম বুখারীর আলাপ পাতায় না প্রতিবর্ণীকরণ নিয়ে আলাপ হয়েছে আর না বানান নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে। বানান আর প্রতিবর্ণীকরণ নিয়ে আলাপ:ল্যেভ তল্‌স্তোয় পাতায় আলাপ হয়েছিল। আপনি আরেকটু স্থির হয়ে বিষয়গুলো পড়ুন। আমি পূর্বের সম্প্রদায়ের স্থিরকৃত (ও মেনে চলে আসা) নিয়ম হিসেবে সালাহুদ্দিন আইয়ুবি বানানের প্রস্তাবনা বহাল রাখছি। ~ খাত্তাব , , ... ১৫:০৪, ৫ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@আফতাবুজ্জামান: এই আলাপে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ও মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত কামনা করছি। ~ খাত্তাব ( | | ) ১২:১৭, ১৮ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

খাত্তাবMS Sakib , এই আলোচনার সিদ্ধান্ত যে প্রতিবর্ণীকরণের পক্ষেই হোক না কেন, সারা উইকিপিডিয়াতে বাংলা ভাষায় আরবিভাষী অঞ্চলের কোনও বিদেশী ব্যক্তির আরবি নামের প্রতিবর্ণীকরণের যতদূর সম্ভব একই রকম নীতি অনুসরণ করাই ভালো হবে, যদি না সেটা বাংলা রচনাবলীতে ইতিমধ্যে ঐ ধরনের নামের জন্য বহুল প্রচলিত কোনও বানানের সাথে অতিরিক্ত সাংঘর্ষিক না হয়। এগুলি স্পর্শকাতর ব্যাপার, আমাদেরকে সাবধানে এগোতে হবে। আরবি-ইংরেজি-ফরাসি-রুশ-স্পেনীয় ভাষা নির্বিশেষে আমার মত হল সকল ভাষার জন্য ঐ ভাষার উচ্চারণের যত কাছাকাছি সম্ভব কিন্তু বাংলায় বেশি দৃষ্টিকটু নয় ও সহজপাঠ্য, এমন প্রতিবর্ণীকরণকে পছন্দ করা উচিত, এবং সেই ব্যাপারে এক ধরনের প্রতিবর্ণীকরণ নীতি মেনে চলে উচিত। বাংলা উইকিপিডিয়ার জন্মলগ্ন থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন ভাষা ও ইদানিং চীনা ভাষায় প্রতিবর্ণীকরণের নির্দেশিকা নিয়ে কাজ হলেও আরবি ভাষার জন্য এরকম প্রতিবর্ণীকরণ নির্দেশিকা পাতার উপর এখনও তেমন কোনও কাজ করা হয়নি, ফলে কাজের অবকাশ রয়ে গেছে। সুতরাং এই আলাপ পাতার কোনও সিদ্ধান্তকে আপাতত এখনও সাধারণ নীতিতে নেওয়া যাবে না, শুধু এই পাতার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, তা আগে থেকেই জানিয়ে রাখছি। পরে সময় পেলে আরবি থেকে বাংলা প্রতিবর্ণীকরণের মোটামুটি সার্বজনীনভাবে অনুসরণীয় নীতির (ও সেগুলির অঞ্চলভিত্তিক বা অন্য কোনও মানদণ্ডে কোনও ব্যতিক্রম থাকলে সেগুলির) উপর কাজ করার ইচ্ছা আছে। এটা একটা বড় কাজ; আরবির বেশ বৈচিত্র্য আছে। আরবি প্রতিবর্ণীকরণ নিয়ে আরেকটি বড় সমস্যা হল বাংলা ভাষার রচনাতে আরবি ব্যাপকভাবে প্রচলিত এবং সেখানে প্রতিবর্ণীকরণের ব্যাপক বৈচিত্র্য আছে।

এবারে আলোচ্য প্রসঙ্গে আসি। খাত্তাব, উপরে আপনি প্রথমে বলছেন, সালাহুদ্দীন সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ। আবার কয়েক লাইন নিচে বলছেন সালাহ আদ-দীন কিংবা সালাহ আল-দীন সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ। আপনি তাহলে কোন্‌টার পক্ষে? যদি যথাসম্ভব উৎস আরবি উচ্চারণের কাছাকাছি থাকতে হয়, তাহলে আপনার কাছে কোন্‌টা পছন্দনীয় ও কেন: সালাহুদ্দীন, সালাহ আদ-দীন নাকি সালাহ আল-দীন? আপনার আরেকটি যুক্তি হল বাংলাতে আপনি "সালাহুদ্দীন" বানানটি ইসলামের ইতিহাসের ও অন্যান্য অনেক বইয়ে অনেক পড়েছেন। তাহলে কি বাংলার ইসলামের ইতিহাসের তথাকথিত পণ্ডিতেরা "সালাহুদ্দীন" লিখে বিকৃত প্রতিবর্ণীকরণ করেছেন? কেননা আপনার কথামত সালাহ আদ-দীন বা সালাহ আল-দীন মূল আরবি বানান ও উচ্চারণের সবচেয়ে কাছাকাছি প্রতিবর্ণীকরণ। আপনি আপনার মন্তব্য ও পছন্দ একটু পরিস্কার করুন। যদি সালাহুদ্দীন-ই আপনার পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি দয়া করে বাংলায় লেখা দুই-তিনটি ইসলামের ইতিহাসের গ্রহণযোগ্য, যাচাইযোগ্য, রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহারযোগ্য বইয়ের নাম ও পৃষ্ঠা নং ধরে "সালাহুদ্দীন" প্রতিবর্ণীকরণের উদাহরণ দিন, তাহলে আপনার যুক্তি আরও শক্ত ও গ্রহণীয় হবে। যেমন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ বাংলাভাষী বিশ্বে এমন একটি গ্রহণযোগ্য রেফারেন্স গ্রন্থ। (এছাড়া সালাহউদ্দীন, সালাউদ্দীন, সালাহউদ্দিন, সালাউদ্দিন, এই প্রচলিত প্রতিবর্ণীকরণগুলির ব্যাপারও মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু সেটা পরে, আগে খাত্তাবের অবস্থান সম্পর্কে পরিস্কার হতে চাই)। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৬:৩৬, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Zaheen: আপনি একটা বিষয় ভুল বুঝেছেন৷ প্রথমে সেটা পরিষ্কার করে নিই। আমি বলেছি, সালাহউদ্দিনের বাংলায় অনেক ব্যবহার হয়েছে। যেটা ভুল। কারণ সালাহউদ্দিন আরবি শব্দ হলে এর কোনও অর্থ হবেনা বা পাওয়া যাবেনা৷ আমি পরে সেটার ব্যাখ্যায় আসব। আমি উপরে আরও বলেছি, সালাহ আদ্দিন বা সালাহ আল-দিনও শুদ্ধ বলা যায়। তবে এভাবে আলাদা করে ব্যবহার বাংলায় নেই। আমি বলতে চেয়েছি, সালাহউদ্দিন থেকে সালাহ আদ্দিন বা আল-দিন শুদ্ধ, অর্থাৎ অনুবাদ পাওয়া বা করা যাবে। তবে এটা বাংলায় ব্যবহার নেই। বাংলায় সালাহুদ্দিন বা এভাবে ব্যবহার, এটা আরবি হিসেবে প্রকৃতই শুদ্ধ। কোনও সংশয় নেই।
ব্যাখ্যায় আরও একটু পরিষ্কার করি৷ আরবিতে সালাহুদ্দিন মূলে দুইটি শব্দ৷ সালাহ (তরবারি বা অস্ত্র) ও দিন/দ্বীন (ধর্ম, উদ্দেশ্য ইসলাম)। এখন শুরুতে আলিফ-লাম যুক্ত করে শব্দগুলোকে একক করা হয়। যেমন- দ্বীন বললে যেকোনও ধর্ম। কিন্তু আদ্দিন (আরবি দালের আগে আলিফ লাম যুক্ত করলে তাশদিদ হয়) বললে একটি নির্দিষ্ট ধর্ম। আদ্দিন বিকৃত আরবিতে বা মিশরীয় অধুনা আরবি বা মাগরেবি আরবিতে সর্বোচ্চ এদ্দিন বা এল-দিন হতে পারে। পেশ বা উ হবার কোনও যুক্তি নেই। তবে বাংলায় অহরহ (বিশেষতঃ ঔপন্যাসিকদের সাহায্যে- যেমন আসাদ বিন হাফিজের ক্রুসেড সিরিজ) ব্যবহার হয়েছে।
অর্থাৎ, আমার অবস্থান যথারীতি সালাহুদ্দিন বানানের পক্ষে।
দ্বিতীয়তঃ রেফারেন্স গ্রন্থ। আসলে আমি স্থির নই। তবুও এক বন্ধুকে ইসলামী বিশ্বকোষ দেখে জানাতে বলেছি। সে উত্তর দিলে সেটা সালাহউদ্দিন হোক বা সালাহুদ্দিন হোক- আমি এখানে জানাব।
আমি কি পরিষ্কার করতে পারলাম? ~ খাত্তাব ( | | ) ১৮:১৯, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
অনলাইনে অনুসন্ধান করে একটি উদ্ধৃতি যুক্ত করছি।
  1. খান নজীবাবাদী, আকবর শাহ (জুন ২০০৮)। ইসলামের ইতিহাস। দ্বিতীয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পৃষ্ঠা ৫৭০। আইএসবিএন 9840612239 
এটায় যেহেতু সালাহুদ্দীন বানান ব্যবহার হয়েছে, তাহলে বিশ্বকোষেও একই বানান ব্যবহার হবার কথা। তারপরও সেটার জবাব এলে আমি জানাব। ~ খাত্তাব ( | | ) ১৮:৩১, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
খাত্তাব, আপনি সালাহুদ্দীন-এর পক্ষে বুঝতে পারলাম। কিন্তু কেন, তা আমার কাছে এখনও পুরোপুরি পরিস্কার নয়। বাংলায় কি প্রচলিত বা প্রচলিত নয়, সে প্রসঙ্গ আপাতত বাদ দেই (যদিও সেটাও গুরুত্বপূর্ণ)। শুধুমাত্র মূল উৎস আরবিতে উচ্চারণের কথা যদি বলি, তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন সঠিক বা শুদ্ধ বা প্রমিত আরবি উচ্চারণ অনুযায়ী "সালাহুদ্দীন", "সালাহ আদ্দীন", "সালাহ আল-দীন" তিনটাই সঠিক উচ্চারণভিত্তিক প্রতিবর্ণীকরণ? কিন্তু আপনি আবার বলছেন শুদ্ধ বা সঠিক আরবিতে পেশ/যাম্মা বা উ হবার কোনও যুক্তি নেই, তাহলে আপনার পছন্দের "সালাহুদ্দীন"-এর উ কোথা থেকে আসলো? যদি উ/যাম্মা/পেশের ব্যবহার শুদ্ধ না-ই হয়ে থাকে, তাহলে সালাহুদ্দীন আর সালাহউদ্দীনের মধ্যে তফাৎ এমন কী; দুটোই তো ভুল উচ্চারণভিত্তিক প্রতিবর্ণীকরণ, তাই নয় কি?
অন্যদিকে আরবি শুদ্ধ উচ্চারণের দিকে মনোযোগ না দিয়ে শুধুমাত্র বাংলায় প্রচলনের কথা ধরলে উপরের দুই ভুল প্রতিবর্ণীকরণের মধ্যে "সালাহউদ্দীন/সালাহউদ্দিন" অনেক বেশি কিংবা নিদেনপক্ষে সমান প্রচলিত নয় কি? এমনকি বাংলাদেশের মানুষের আরবি নাম বাদ দিয়েও, শুধুমাত্র বিদেশী আরব ব্যক্তির আরবি নামের প্রতিবর্ণীকরণ হিসেবেও সালাহউদ্দীন অনেক প্রচলিত নয় কি? আমি একটি অতি-প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দেই। আমাদের দেশে বাংলা শিক্ষামাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি একটি পাঠ্যবিষয়, যার উপর একাধিক পাঠ্যপুস্তক আছে। এগুলি হচ্ছে বাংলা ভাষায় ইসলামের ইতিহাস বিষয়ক আরেক শ্রেণীর রেফারেন্স গ্রন্থ। এখন অনলাইনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্রের পাঠ্যপুস্তকের ৩৩০ নং পৃষ্ঠায় আইয়্যুবী রাজবংশের উপর একটি পাঠ আছে, যাতে একাধিকবার এই পাতার আলোচ্য ব্যক্তির নাম প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে সালাহ্‌উদ্দিন আইয়্যূবী। (পিডিএফ উৎস এখানে দেখুন, পিডিএফ-এর ৩৩৯নং পৃষ্ঠায়) আবার ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত সৈয়দ আমীরুল ইসলামের লেখা বাংলাদেশ ও ইসলামঃ ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে পর্যালোচনা বইয়ের ১৯৭নং পৃষ্ঠাতে "গাজী সালাহউদ্দিন আইয়ুবী" প্রতিবর্ণীকরণ ব্যবহার করা হয়েছে দেখতে পাচ্ছি। পাক্ষিক আহ্‌মদী - নব পর্যায় সাময়িক পত্রিকার ৭৫ বর্ষ , ২০তম সংখ্যার ১৬নং পৃষ্ঠায় (৩০শে এপ্রিল, ২০১৩) ড. আবদুস সালাম রচিত ইসলামের ইতিহাস-এর ধারাবাহিক অনুবাদের মধ্যে আলোচ্য ব্যক্তির নাম অনুবাদক সিকদার তাহের আহমদ লিখেছেন "সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী"। তাহলে বেশ কয়েকটি বাংলা রেফারেন্স পাওয়া গেল যেখানে আলোচ্য আরব ব্যক্তি নামে সালাহ্‌উদ্দিন/সালাহউদ্দিন প্রতির্ণীকরণটি ব্যবহৃত হয়েছে। এর বিপরীতে "সালাহুদ্দীন"-ও ব্যবহৃত হতে পারে, সেটা কতটুকু প্রচলিত, তা খাত্তাব জানাবেন। না পারলে আমি আরও ঘেঁটে দেখব। যেমন গুগল সামান্য ঘেঁটেই পাচ্ছি ইসলামিক একাডেমী বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ইসলামিক একাডেমী পত্রিকার ৪নং ভলিউমের ১৯৬৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সংখ্যায় "সুলতান সালাহুদ্দিন আয়ুবী" বানান ব্যবহৃত হয়েছে।
আমি এখনও কোনও কিছুর পক্ষে বা বিপক্ষে মত দিচ্ছি না। কিন্তু আমাদের সব ধরনের তথ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা উচিত।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:৩৯, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@Zaheen: আমি জানি, একটি উঁচু স্তরের লেখকরাও (বিশেষতঃ আলিম নয় বা আরবি নিয়ে গবেষণা করেনি এমন বাংলা লেখক বা ইসলামের বাংলা ইতিহাসবিদ বলা যায়) সালাহউদ্দিন বানান ব্যবহার করেছেন। এটা ভুল প্রচলন।
সালাহুদ্দিনে - হ তে হ্রস্ব-উ কার বা যাম্মা দিলে হা (ح)-এ যাম্মা হচ্ছে। কিন্তু উ হলে আলিফ (ا) বা হামযায় (ء) পেশ হচ্ছে। যেটা বিকৃতি ও আরবিতে এমন শব্দ হয়না। ~ খাত্তাব ( | | ) ২১:০৯, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
খাত্তাব, আমি আপনার ব্যাকরণগত বক্তব্য কিছুটা বুঝেছি (ভাষাতাত্ত্বিকভাবে যাম্মা হলে বড় হা-তে হতে পারে, কিন্তু আলিফ বা হামযা-তে নয়)। এখন আমার সম্পূরক প্রশ্ন হল صلاح الدين এই আরবি ব্যক্তিনাম কি কখনও প্রমিত আরবিতে "সালাহুদ্দিন" (বড় হা-তে যাম্মা দিয়ে) হিসেবে আসলেই উচ্চারণ হয় না কি হয় না? নাকি এটাও কোনও ভুল প্রতিবর্ণীকরণ? --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২১:২৬, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আমি স্থানীয় বক্তাদের উচ্চারণ ইন্টারনেটে খুঁজে দেখলাম। কোনও আরবভাষী বক্তাই সালাহুদ্দিন বা সালাহউদ্দিন উচ্চারণ করে না। মিশরীয় আরবি বক্তা উচ্চারণ করেছেন "সালাহেদ্দিন", অন্যদিকে সিরিয়া, জর্দান ও সৌদি আরবের তিন বক্তা উচ্চারণ করেছেন "সালাহাদ্দিন", আবার আলজেরীয় ব্যক্তি উচ্চারণ করছেন "সালাহদ্দিন"। বাংলায় কোনও না কোনওভাবে "উ" এসেছে, যার সাথে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আরবি উচ্চারণের কোনও সম্পর্ক পেলাম না।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২২:০০, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Zaheen: আপনি কিছুটা ভুল বুঝেছেন। সালাহাদ্দিন ব্যাকরণগত কারণে হয়েছে। যেমন: ইয়া (ওহে বলে সম্বোধন করা) হলে সালাহাদ্দিন হবে। আর মিশর ও আলজেরিয়ার উচ্চারণ কাছাকাছিই হবার কথা। ভৌগলিক ও উভয় আরবির মধ্যে আফ্রো-এশিয়া মিশ্রিত থাকার কারণে। ব্যাকরণগতভাবে যাইই পরিবর্তন হোক না কেন; যবর/যের/পেশ— হা-তে হবে। ~ খাত্তাব ( | | ) ২২:১২, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আমি ভুল বুঝিনি। কিন্তু আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেন। আমার সম্পূরক প্রশ্ন ছিল মূল আরবিতে যাম্মা/পেশ দিয়ে সালাহুদ্দিন উচ্চারিত হয় না কি হয় না। যাই হোক, উত্তর আমি নিজেই বের করেছি। আরবিভাষীরা যাম্মা দিয়ে উ-এর ব্যবহার এখানে করে না। তারা মূলত সালাহাদ্দীন উচ্চারণ করে। -- অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২২:১৮, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আমি যতটুকু বুঝলাম, আরব উপদ্বীপ ও জর্দান-সিরিয়াতে সালাহাদ্দিন প্রচলিত উচ্চারণ, অর্থাৎ ফাতহা/যবর দিয়ে। মিশর ও উত্তর আফ্রিকাতে সালাহেদ্দিন প্রচলিত, অর্থাৎ জের দিয়ে কিন্তু এ-র মতো উচ্চারণ। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এসে আফগানিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত নামটাতে যবর বা যেরের পরিবর্তে কোনও কারণে পেশ বহুল প্রচলিত, অর্থাৎ সালাহুদ্দিন, যেটা বাংলায় মূলত সালাহউদ্দিন লেখা হয়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২২:৪৫, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Zaheen: আপনার শোনা বক্তব্যগুলো দিন। আরবিভাষীরাও সালাহুদ্দিনই বলবে নাম বলার ক্ষেত্রে। ধরুন মুজিবুর রহমানকে আরবিতে - ইয়া মুজিবার রহমান। রসুলুল্লাহকে - ইয়া রসুলাল্লাহ। আবুল কাসিমকে - ইয়া আবাল কাসিম, আব্দুল্লাহ - ইয়া আব্দাল্লাহ ইত্যাদিভাবে ডাকা হয়। এর অর্থ মুজিবুর রহমান নামকে তারা মুজিবার রহমান বলবেনা। শুধু ডাকার ক্ষেত্রে না, আরও অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে পরিবর্তন হয়ে যেরও হতে পারে। যেমন- "আব্দুল্লাহর জন্য"- এর আরবি হবে "লি আব্দিল্লাহ"। ব্যাকরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সময়সাপেক্ষ। নাম বলার ক্ষেত্রে সেটা পেশ বা যাম্মা দিয়ে হয়। আপনি বক্তব্যগুলো দিন। আমি পর্যালোচনা করে দেখি, তারা সালাহাদ্দিন কেন ব্যবহার করল। ~ খাত্তাব ( | | ) ২২:৫০, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Zaheen: ...আর মিশর ও আফ্রিকায় শেষের যবর/যের/পেশকে প্রায় একই কাছাকাছি করে (গ্রামার এড়িয়ে বলা যায়) বলা হয়। যেমন- জামাল নাসেরকে তারা ইংরেজিতে জামাল এল নাসের লিখে। এটা আরবিতে গেলে লেখা বা ব্যাকরণগত ভিন্নতায় গড়ায় না। নাম বলার ক্ষেত্রে তারা সালাহেদ্দিন বলছে অর্থ - তারা নিরপেক্ষ থাকছে বা বিকৃত উচ্চারণ করছে। এটায় পেশ হওয়া ভারত-পাকিস্তান বা উপমহাদেশের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।... যাইহোক, আমি ইসলামী বিশ্বকোষ ও অন্যান্য আরও কিছু গ্রন্থ অনুসন্ধান করে উত্তর দিব। আজকে এপর্যন্তই। ~ খাত্তাব ( | | ) ২২:৫৮, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

খাত্তাব, আমি আরও ঘাঁটলাম। ইংরেজি উইকিতে আদ-দীনের উপরে একটা আলাদা নিবন্ধ আছে। সেটাতে খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দেওয়া আছে, যা আমার কাছে আপনার বক্তব্য আরও পরিস্কার করেছে। ঐ নিবন্ধ অনুযায়ী শুধু আল + দীন হলে সেটা ধ্রুপদী ও প্রমিত আরবিতে আদ-দীন হয়ে যায়। কিন্তু আদ-দীন যদি আবার কোনও যৌগিক নামের শেষাংশ হয়, তাহলে যৌগিক নামের প্রথম অংশের শেষে যাম্মা বসে। যেমন যৌগিক নামের প্রথম অংশ আযহার হলে তা হয়ে যাবে আযহারু, এর পরে বসবে যৌগিক নামের দ্বিতীয় অংশ আদ-দীন; কিন্তু এরপর আরেকটি সমীভবন ঘটে, যার ফলে আদ-দীনের আ লোপ পায় ও পূর্ণ যৌগিক নামটি হয়ে যায় আযহারুদ্দীন। ঠিক একই ভাবে সালাহুদ্দীন হবে। আপনি ঠিকই বলছেন। আর এটা হল কর্তৃকারকে নামটির উচ্চারণ। অন্য কারকে যেমন কর্মকারকে বা সম্বোধন পদে বা সম্বন্ধ পদ হলে আবার পালটে যাবে।
এখন সমস্যা হচ্ছে উচ্চারণের উপরের এই নীতিটা হল ধ্রুপদী আরবি ও প্রমিত আরবির উচ্চারণ রীতি। কিন্তু ইংরেজি উইকি অনুযায়ী ও ইন্টারনেটে অডিও-ভিডিও শুনে যেটা বুঝলাম বাস্তবে আরব বিশ্বের সব অঞ্চলে ঐ নিয়ম মেনে সবাই নামটা কর্তৃকারকে -উদ্দীন উচ্চারণ করে না। নামের শেষাংশটাকে কোথাও আল-দীন উচ্চারণ করে, কোথাও -আদ্দীন উচ্চারণ করে, কোথাও -এদ্দিন উচ্চারণ করে, ইরানে ফার্সি ভাষার প্রভাবে -ওদ্দিন উচ্চারণ করে। তবে বাংলা-তে (এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে) ধ্রুপদী আরবি বা প্রমিত আরবির অনুসরণে উদ্দীন-ই বেশি প্রচলিত (ব্যতিক্রমও আছে, যেমন নাট্যকার সেলিম আল দীন)। বাংলাতে উদ্দীনটাকে যৌগিক নামের প্রথম অংশটাকে উ-কার ছাড়া আলাদা লিখে পাশাপাশি আলাদা করে উদ্দীন/উদ্দিন লেখার একটা রীতি আছে। যেমন - আজহারউদ্দীন, মেজবাহউদ্দীন (কখনও কখনও মাঝখানে শূন্যস্থান রাখা হয়, যেমন মেজবাহ উদ্দীন)। আবার কখনও কখনও বাংলাতে উ-কার দিয়ে এক শব্দেও লেখা হয়, যেমন নাসিরুদ্দীন। অর্থাৎ উ-কার দিয়ে লেখা হবে, নাকি স্বতন্ত্র উ দিয়ে লেখা হবে, এ ব্যাপারে বাংলায় কোনও স্থির নিয়ম নেই। যেমন একটু উপরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পাঠ্যপুস্তকের উদাহরণ দিয়েছি, সেখানে লিখেছে সালাহ্‌উদ্দীন, কিন্তু কয়েক লাইন নিচেই লিখেছে তার বাবার নাম "নাজমুদ্দীন"। অর্থাৎ কখনও উ-কার, কখনও আলাদা উ। স্পষ্ট কোনও নিয়ম নেই। পল্লীকবি জসিমুদ্দীন-ও লেখা হয়, আবার জসীমউদ্দিন-ও (বা ভেঙে জসিম উদ্দীন) লেখা হয়। এগুলির কোনওটারই সুস্পষ্ট প্রাধান্য বাংলাতে নেই। এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। সবই আরবি নাম। বাংলাতে এগুলি প্রতিবর্ণীকরণের বিভিন্ন ধরনের রীতি গড়ে উঠেছে। এখানে বৃহত্তর অর্থে ভুল-শুদ্ধ বলে কিছু নেই। এত চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে মরক্কোর লোক যখন নিজের নামে এদ্দিন বলে, সেটাও ভুল। আবার সিরিয়ার লোক যখন নিজের নাম আদ্দীন বলে, সেটাও ভুল; কারণ হওয়া উচিত ছিল উদ্দীন। প্রত্যেক অঞ্চল নিজের মত করে উচ্চারণ ও অনারবেরা নিজ ভাষায় প্রতিবর্ণীকরণের রীতি বানিয়ে নিয়েছে, এবং সেগুলিতে বহু বৈচিত্র্য রয়েছে, আর কোনওটাই ব্যাপক অর্থে ভুল নয়। এগুলি আঞ্চলিক ভাষাতত্ত্বের বহুদিনের বিবর্তনের ফসল। এখন বাংলা উইকিপিডিয়াতে আরবি ব্যক্তির নামের প্রতিবর্ণীকরণে আমাদেরকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। আমরা অন্ততপক্ষে ঐতিহাসিক আরবি ব্যক্তিনামগুলিকে কি উ-কার দিয়ে লিখব (সালাহুদ্দিন/সালাহুদ্দিন), নাকি স্বতন্ত্র উ বর্ণ দিয়ে লিখব (সালাহউদ্দিন/সালাহউদ্দীন)? বাংলাতে কোনটা বেশি প্রচলিত, এটা বলে তেমন কোনও লাভ নেই; কেননা সালাহুদ্দীন, সালাহউদ্দীন, সালাহ উদ্দীন - এগুলি সবই কমবেশি প্রচলিত। ধ্রুপদী আরবি ভাষার শুদ্ধতার দিক থেকে দেখলে যৌগিক নামের প্রথম অংশে উ-কার যোগ হবে ও তার পরে আদ্দীন থেকে আ লোপ পেয়ে শুধু -দ্দীন যোগ হবে। সেক্ষেত্রে খাত্তাবের প্রস্তাবিত "সালাহুদ্দীন" / "সালাহুদ্দিন" ধ্রুপদী ও প্রমিত আরবি ভাষার ভাষাতত্ত্ব ও বানানের সাথে সবচেয়ে বেশি সাযুজ্যপূর্ণ হয়। আমার কাছে বর্তমান যুগে এসে সালাহুদ্দীন সঠিক হলেও বিরল বানান, দেখতেও স্বাভাবিক লাগছে না, কিন্তু ভাষাতাত্ত্বিক দিক থেকে দেখলে এটাই মনে হয় সবচেয়ে সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ হয়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২৩:৫৭, ১৮ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Zaheen: বিষয়গুলো সহজভাবে উল্লেখ করেছেন। তবে আধুনা ইসলামি লেখকদের কারণে সঠিক প্রতিবর্ণীকরণের সমান প্রসার ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ মুহাম্মাদ বানানটির কথা বলা যেতে পারে। মোহাম্মদ, মুহাম্মদ, মহম্মদ ইত্যাদি বানান এক সময় বাংলায় সমানভাবে প্রচলিত ছিল ও আছে। কিন্তু বর্তমানে মুহাম্মাদ বানানটি সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ হিসেবে প্রসার ঘটেছে। যেহেতু সালাহুদ্দিন বানানের ব্যবহার রয়েছে, এমনকি ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের ইতিহাস বইয়ে (প্রামাণ্য গ্রন্থ বলা যায়) এই বানান ব্যবহার করেছে; তাই এই বানানে প্রত্যাবর্তন করা ও বাকি বানানগুলো পুনর্নির্দেশ করাই উচিত হবে। ~ খাত্তাব ( | | ) ১০:২৯, ১৯ মে ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]


উপরের আলোচনাটি সমাপ্ত হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক এটি পরিবর্তন করবেন না। পরবর্তী মন্তব্যসমূহ যথাযথ আলোচনার পাতায় করা উচিত। এই আলোচনাটিতে আর কোনও সম্পাদনা করা উচিত নয়।