আব্দুল জলিল (কাবাডি)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আব্দুল জলিল বাংলাদেশী কাবাডি খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষক। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি মহিলা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৫ মাদ্রাজ সাফ গেমসে বাংলাদেশ কাবাডি দলের হয়ে একই সঙ্গে অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোচিং ক্যারিয়ারের সাফল্যে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জলিলকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। [১][২]

ব্যক্তিগত ও খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

আব্দুল জলিলের পিতা খলিল উদ্দিন মিয়া বাংলাদেশ কাবাডি দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ছিলেন। জলিল পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবার অনুপ্রেরণায় ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলে সুযোগ পান। [৩] ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ সাফ গেমসে পান দলের অধিনায়কত্ব পান এবং ওই আসরেই তিনি জাতীয় দল থেকে বিদায় নেন এবং দলের হলে দলকে রৌপ্য এনে দেন। এরপর দেশের পুরুষ ও নারী কাবাডি দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব পান । [৪] ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের বেশির ভাগ কাবাডি খেলোয়াড় তার হাতে গড়। সর্বশেষ ২০১৬ দক্ষিণ এশীয় গেমসে নারী কাবাডি দলের কোচ ছিলেন আবদুল জলিল। ওই ওই গেমসে নারী কাবাড়ি দল রৌপ্য জয় করেন। এছাড়াও কোচ হিসেবে ২০০২ সালে বুসান এশিয়াডে রুপা, একই সালে দোহা এশিয়াড থেকে ব্রোঞ্জ, ২০০৭ সালে বিশ্বকাপ কাবাডিতে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জপদক পায় তার কোচিং সাফললে। একই বছর ম্যাকাওতে অনুষ্ঠিত ইনডোর এশিয়ান গেমসেও ব্রোঞ্জ জেতান জলিল। ২০১০ সালে ঢাকা সাউথ এশিয়ান গেমসেও তার হাত ধরেই ব্রোঞ্জপদক জেতে বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল। কোচিং ক্যারিয়ারের সাফল্যে জলিলকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ[১][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]