সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিচারপতি
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
Digital_Evidence_Seminar-2020_at_Westin.jpg
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
কাজের মেয়াদ
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ – ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
নিয়োগদাতাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতিআবদুল হামিদ
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীআব্দুল ওয়াহহাব মিঞা
উত্তরসূরীহাসান ফয়েজ সিদ্দিক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1954-12-31) ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪ (বয়স ৬৯)
দেওভান্ডার, দৌলখাঁড়, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা, পাকিস্তান
(বর্তমান বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআইনজীবী ও বিচারক

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৪) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী, যিনি বাংলাদেশের সাবেক ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] তিনি ২০২১ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর অবসরে যান।

জন্ম ও পরিচয়[সম্পাদনা]

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের, দেওভান্ডার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী ও মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান।[২] তার বাবা ছিলেন কুমিল্লার একজন সুনামধন্য আইনজীবী ও তার মা ছিলেন একজন গৃহিণী।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি এবং ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি ডিগ্রি ও ১৯৮০ সনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে আইন পেশার ব্যবহারিক বিষয়সমূহের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৮১ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন ও কুমিল্লা জেলা জজ আদালতে আইন পেশা পরিচালনা শুরু করেন ।[৩] এরপর ১৯৮৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন।[৪] ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পান। এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপীল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।[৫] সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু’বার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। [৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বিস্তারিত পরিচয়"যুগান্তর। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. "কুমিল্লার কৃতি সন্তান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নতুন প্রধান বিচারপতি"dailycomillanews। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০২ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  4. "নতুন প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০২ 
  5. "President appoints Justice Syed Mahmud Hossain as chief justice"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০২ 
  6. "শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি | banglatribune.com"বাংলা ট্রিবিউন। ২০১৮-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-০৩ 
আইন দফতর
পূর্বসূরী
আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ – ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
উত্তরসূরী
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী