চরম আবহাওয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৫২ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:


=== জলবায়ু পরিবর্তন ===
=== জলবায়ু পরিবর্তন ===
কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে আর্কটিক অঞ্চলের দ্রুত উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাচ্ছে (ক্রায়োস্ফিয়ার হ্রাস) এবং এর ফলে মধ্য-অক্ষাংশে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯ সালে নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে বর্তমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সমুদ্রে গলিত বরফের পানির সংমিশ্রণের ফলে থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হতে পারে। থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন হলো সমুদ্রের পানির একটি বিশাল স্রোত ব্যবস্থা যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাপ এবং পুষ্টি বিতরণ করে। উত্তর গোলার্ধে থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হলে ইউরোপে চরম তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং ঝড়ের ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুতে পরিবর্তন আসবে। সুতরাং, বরফ গলে যাওয়ার ফলে মধ্য-অক্ষাংশের অঞ্চলে আবহাওয়ার ধরন এবং তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে।
কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে আর্কটিক অঞ্চলের দ্রুত উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাচ্ছে ([[ক্রায়োস্ফিয়ার]] হ্রাস) এবং এর ফলে মধ্য-অক্ষাংশে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।<ref>{{cite journal|last2=Vavrus|first2=Stephen J.|year=2012|title=Evidence linking Arctic amplification to extreme weather in mid-latitudes|pages=L06801|doi=10.1029/2012GL051000|doi-access=free|last1=Francis|first1=Jennifer A.|journal=[[Geophysical Research Letters]]|volume=39|issue=6|bibcode=2012GeoRL..39.6801F}}</ref><ref>{{cite journal|date=November 2010|title=A link between reduced Barents-Kara sea ice and cold winter extremes over northern continents|url=http://oceanrep.geomar.de/8738/1/2009JD013568-pip.pdf|pages=D21111|doi=10.1029/2009JD013568|archive-url=https://web.archive.org/web/20170809050422/http://oceanrep.geomar.de/8738/1/2009JD013568-pip.pdf|archive-date=2017-08-09|url-status=live|access-date=2019-09-24|doi-access=free|author1=Vladimir Petoukhov|author2=Vladimir A. Semenov|journal=Journal of Geophysical Research: Atmospheres|volume=115|issue=21|bibcode=2010JGRD..11521111P}}</ref><ref name="Screen 2013">{{cite journal|date=November 2013|title=Influence of Arctic sea ice on European summer precipitation|page=044015|doi=10.1088/1748-9326/8/4/044015|doi-access=free|hdl-access=free|author=J A Screen|journal=Environmental Research Letters|volume=8|issue=4|bibcode=2013ERL.....8d4015S|hdl=10871/14835}}</ref><ref>{{cite journal|date=December 2013|title=Extreme summer weather in northern mid-latitudes linked to a vanishing cryosphere|pages=45–50|doi=10.1038/nclimate2065|author1=Qiuhong Tang|author2=Xuejun Zhang|author3=Jennifer A. Francis|journal=Nature Climate Change|volume=4|issue=1|bibcode=2014NatCC...4...45T}}</ref> ২০১৯ সালে নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।<ref>{{Cite journal|last2=Keller|first2=Elizabeth D.|date=February 2019|title=Global environmental consequences of twenty-first-century ice-sheet melt|url=http://www.nature.com/articles/s41586-019-0889-9|pages=65–72|language=en|doi=10.1038/s41586-019-0889-9|issn=0028-0836|pmid=30728520|archive-url=https://web.archive.org/web/20210619182658/https://www.nature.com/articles/s41586-019-0889-9|archive-date=2021-06-19|url-status=live|access-date=2021-05-05|last1=Golledge|first1=Nicholas R.|last3=Gomez|first3=Natalya|last4=Naughten|first4=Kaitlin A.|last5=Bernales|first5=Jorge|last6=Trusel|first6=Luke D.|last7=Edwards|first7=Tamsin L.|journal=Nature|volume=566|issue=7742|bibcode=2019Natur.566...65G|s2cid=59606358}}</ref> অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে বর্তমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সমুদ্রে গলিত বরফের পানির সংমিশ্রণের ফলে থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হতে পারে। থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন হলো সমুদ্রের পানির একটি বিশাল স্রোত ব্যবস্থা যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাপ এবং পুষ্টি বিতরণ করে।<ref name=":6">{{Cite journal|last2=McCarthy|first2=G. D.|date=March 2021|title=Current Atlantic Meridional Overturning Circulation weakest in last millennium|url=http://www.nature.com/articles/s41561-021-00699-z|pages=118–120|language=en|doi=10.1038/s41561-021-00699-z|issn=1752-0894|archive-url=https://web.archive.org/web/20210617050415/https://www.nature.com/articles/s41561-021-00699-z|archive-date=2021-06-17|url-status=live|access-date=2021-05-05|last1=Caesar|first1=L.|last3=Thornalley|first3=D. J. R.|last4=Cahill|first4=N.|last5=Rahmstorf|first5=S.|journal=Nature Geoscience|volume=14|issue=3|bibcode=2021NatGe..14..118C|s2cid=232052381}}</ref> উত্তর গোলার্ধে থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হলে ইউরোপে চরম তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং ঝড়ের ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুতে পরিবর্তন আসবে।<ref name=":62">{{Cite journal|last2=McCarthy|first2=G. D.|date=March 2021|title=Current Atlantic Meridional Overturning Circulation weakest in last millennium|url=http://www.nature.com/articles/s41561-021-00699-z|pages=118–120|language=en|doi=10.1038/s41561-021-00699-z|issn=1752-0894|archive-url=https://web.archive.org/web/20210617050415/https://www.nature.com/articles/s41561-021-00699-z|archive-date=2021-06-17|url-status=live|access-date=2021-05-05|last1=Caesar|first1=L.|last3=Thornalley|first3=D. J. R.|last4=Cahill|first4=N.|last5=Rahmstorf|first5=S.|journal=Nature Geoscience|volume=14|issue=3|bibcode=2021NatGe..14..118C|s2cid=232052381}}</ref> সুতরাং, বরফ গলে যাওয়ার ফলে মধ্য-অক্ষাংশের অঞ্চলে আবহাওয়ার ধরন এবং তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে।<ref name=":63">{{Cite journal|last2=McCarthy|first2=G. D.|date=March 2021|title=Current Atlantic Meridional Overturning Circulation weakest in last millennium|url=http://www.nature.com/articles/s41561-021-00699-z|pages=118–120|language=en|doi=10.1038/s41561-021-00699-z|issn=1752-0894|archive-url=https://web.archive.org/web/20210617050415/https://www.nature.com/articles/s41561-021-00699-z|archive-date=2021-06-17|url-status=live|access-date=2021-05-05|last1=Caesar|first1=L.|last3=Thornalley|first3=D. J. R.|last4=Cahill|first4=N.|last5=Rahmstorf|first5=S.|journal=Nature Geoscience|volume=14|issue=3|bibcode=2021NatGe..14..118C|s2cid=232052381}}</ref>


== প্রভাবসমূহ ==
== প্রভাবসমূহ ==

১৪:৫৭, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চরম আবহাওয়ার একটি উদাহরণ হল ঘূর্ণিঝড় বা টর্নেডো১৯৯৯ সালে একটি টর্নেডো আঘাত হেনেছিল ওকলাহোমার আনাদার্কোতে, সেসময় সেখানে ব্যাপক টর্নেডোর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল।

চরম আবহাওয়া বলতে বোঝায় অপ্রত্যাশিত, অস্বাভাবিক, বৈরী, বা মৌসুম-বহির্ভূত আবহাওয়াকে; অর্থাৎ, ঐতিহাসিক পরিসরে যা দেখা গিয়েছে তার চরমসীমায় অবস্থিত আবহাওয়া।[১][২] চরম আবহাওয়া পরিমাপ করা হয় একটি স্থানের অতীত আবহাওয়ার রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে। এগুলিকে একটি সম্ভাব্যতা ঘনত্ব ফাংশনের সবচেয়ে অস্বাভাবিক দশ শতাংশের মধ্যে (১০তম বা ৯০তম শতকরা হিসাবে) সংজ্ঞায়িত করা হয়।[৩] চরম আবহাওয়ার প্রধান ধরনগুলির মধ্যে রয়েছে তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, এবং ভারী বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের মত ঘটনা, যেমন ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। চরম আবহাওয়ার প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি, খরা, বন্যা এবং ভূমিধসবৈরী আবহাওয়া হলো এক ধরণের চরম আবহাওয়া যা জীবন ও সম্পত্তির জন্য ঝুঁকি তৈরি করে।

জলবায়ু পরিবর্তন কিছু চরম আবহাওয়ার ঘটনার ঘনত্ব ও তীব্রতা বৃদ্ধি করছে।[৪] মানুষের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে চরম আবহাওয়া এবং অন্যান্য ঘটনার সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত হওয়া যায় অস্বাভাবিক গরম বা শীতের ঘটনার ক্ষেত্রে । এছাড়াও, ভারী বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়া এবং খরার তীব্রতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও কিছু নিশ্চয়তা রয়েছে।[৫] বর্তমানের তথ্যপ্রমাণ এবং জলবায়ু মডেলগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনা আরো মারাত্মক হয়ে উঠবে। এর ফলে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি, অর্থনৈতিক ব্যয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব আরো তীব্র হবে।

চরম আবহাওয়া মানব সমাজ এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক বীমা কোম্পানি মিউনিখ রি অনুমান করে যে, ২০১৫ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রত্যক্ষ ক্ষতির পরিমাণ ৯০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ছিল।[৬] কতগুলো মানবিক কর্মকাণ্ড এই ক্ষয়ক্ষতির প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন, অনুপযুক্ত নগর পরিকল্পনা, জলাভূমি ধ্বংস করা এবং বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে বাড়িঘর নির্মাণ।

সংজ্ঞা

চরম আবহাওয়া বলতে এমন অস্বাভাবিক আবহাওয়া ঘটনাকে বোঝায়, যা যেকোনো নির্দিষ্ট এলাকায় তুলনামূলকভাবে ঐতিহাসিক অনুসরণে একেবারে চরম পর্যায়ে থাকে।[৭]:২৯০৮ IPCC ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদন (IPCC Sixth Assessment Report) চরম আবহাওয়া ঘটনাকে নিম্নোক্তভাবে সংজ্ঞায়িত করে:

"কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান এবং বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এমন একটি [আবহাওয়ার] ঘটনা যা বিরল। 'বিরল' এর সংজ্ঞা পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু একটি চরম আবহাওয়া ঘটনা সাধারণত পর্যবেক্ষণ থেকে অনুমানকৃত একটি সম্ভাব্যতা ঘনত্ব ফাংশনের (probability density function) ১০ম বা ৯০তম শতাংশের মতো বিরল বা তার চেয়ে বিরল হয়ে থাকে।"[৮]:২৯০৮

তুলনামূলকভাবে, বৈরী আবহাওয়া (Severe Weather) আবহাওয়ার যে কোনো দিক যা জীবন, সম্পত্তির জন্য ঝুঁকি তৈরি করে বা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, বৈরী আবহাওয়া হলো এক ধরনের চরম আবহাওয়া।

প্রকারভেদ

বিভিন্ন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী ভিত্তিতে চরম আবহাওয়ার সংজ্ঞা আলাদা হতে পারে, যার ফলে এই সম্পর্কিত গবেষণার ফলাফলও পরিবর্তিত হয়।[৯]

তাপপ্রবাহ

২০০৩ সালের ইউরোপীয় তাপপ্রবাহ

তাপপ্রবাহ বোঝায় একটি সময়কাল যেখানে অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ তাপমাত্রা ও তাপ-সূচক (heat index) দেখা যায়। ভৌগোলিক অবস্থানের সাথে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে তাপপ্রবাহের সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়।[১০] অত্যধিক গরম প্রায়শই উচ্চ মাত্রার আর্দ্রতার সাথে যুক্ত হয়ে আসে, তবে তা মারাত্মকভাবে শুষ্কও হতে পারে।[১১]

হারিকেন, টর্নেডো ও বজ্রঝড়ের মতো অন্যান্য বৈরী আবহাওয়ার মত দৃশ্যমান না হওয়ায়, তাপপ্রবাহ চরম আবহাওয়ার কম পরিচিত রূপগুলোর একটি।[১২] মারাত্মক গরম আবহাওয়া জনসংখ্যা এবং ফসলের ক্ষতি করতে পারে, এর কারণ সম্ভাব্য পানিশূন্যতা বা হাইপারথার্মিয়া, হিট ক্র্যাম্পস, তাপ সম্প্রসারণ এবং হিট স্ট্রোক। শুষ্ক মাটি ক্ষয়প্রবণ হয়ে উঠলে কৃষির জন্য উপযোগী জমির পরিমাণ হ্রাস পায়। শুষ্ক উদ্ভিদের জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ার সাথে সাথে দাবানলের প্রাদুর্ভাব ঘনঘন দেখা দিতে পারে। জলাশয়ের বাষ্পীভবন সামুদ্রিক প্রাণীকুলের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে, কারণ এটি তাদের বাসস্থানের আকার এবং পানিতে উপস্থিত পুষ্টির পরিমাণও কমিয়ে দেয়। পশুসম্পদ এবং অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যাও হ্রাস পেতে পারে।

অত্যধিক গরমের সময়, উদ্ভিদ পানি সংরক্ষণের জন্য তাদের পাতার ছিদ্র (পত্ররন্ধ্র) বন্ধ করে দেয়, কিন্তু এটি উদ্ভিদের শোষণ ক্ষমতাও হ্রাস করে। এতে বায়ুতে দূষণ ও ওজোন বেড়ে যায়, যা জনসংখ্যার মধ্যে মৃত্যুহার বাড়ায়। অনুমান করা হয়, ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের প্রচণ্ড গরমকালে অতিরিক্ত দূষণ ৪৬০ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়।[১৩] ধারণা করা হয়, ২০০৩ সালের গ্রীষ্মে ইউরোপীয় তাপপ্রবাহে তাপের চাপ ও বায়ু দূষণের কারণে অতিরিক্ত ৩০,০০০ লোক মারা যায়।[১৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ টিরও অধিক শহরে নতুন রেকর্ড উচ্চ তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছে।[১৫] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ ১৯৩৬ সালে আঘাত হেনে সরাসরি ৫০০০ জনেরও বেশি লোককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ ঘটেছিল ১৯৩৮-৩৯ সালে, তাতে ৪৩৮ জন মারা যায়। দ্বিতীয় সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহটি আঘাত হানে ১৮৯৬ সালে।

তাপপ্রবাহ মোকাবেলা করা অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা (যেমন এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার) বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও ঘটতে পারে।[১৬] নগর এলাকায় হিট আইল্যান্ড প্রভাব তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, বিশেষ করে রাতের বেলায়।[১৭]

শৈত্য প্রবাহ

২০১৩ সালের ৩রা থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা মহাদেশে শৈত্যপ্রবাহ। মানচিত্রে লাল রং গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি এবং নীল রং স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় কম তাপমাত্রা নির্দেশ করে।

শৈত্যপ্রবাহ হলো একটি আবহাওয়া সংক্রান্ত ঘটনা যাকে বাতাসের তাপমাত্রার তীব্র পতন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বিশেষভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস কর্তৃক ব্যবহৃত সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি শৈত্যপ্রবাহ হলো ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাপমাত্রার দ্রুত পতন, যার জন্য কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড সুরক্ষার উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা প্রয়োজন হয়। শৈত্যপ্রবাহের সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড তাপমাত্রা হ্রাসের হার এবং এর ন্যূনতম সীমা দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই ন্যূনতম তাপমাত্রা ভৌগোলিক অঞ্চল এবং বছরের সময়ের উপর নির্ভরশীল।[১৮] শৈত্যপ্রবাহ সাধারণত যেকোন ভৌগলিক অবস্থানেই ঘটতে পারে এবং সেগুলো নির্দিষ্ট অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের চলাচলের কারণে জমা হওয়া বৃহৎ মাত্রার ঠান্ডা বায়ু থেকে তৈরি হয়।[১৯]

শৈত্য প্রবাহের কারণে গবাদি পশু ও বন্যপ্রাণীর মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। ঠান্ডার প্রভাবে সকল প্রাণীর, এমনকি মানুষেরও শরীরে ক্যালোরির চাহিদা বেড়ে যায়। তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী তুষারপাত হলে চারণভূমিতে নির্ভরশীল প্রাণীরা প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সংগ্রহে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং হাইপোথার্মিয়া বা অনাহারে মারা যেতে পারে। শৈত্য প্রবাহের কারণে কৃষকদের গবাদি পশুর জন্য অতিরিক্ত পশুখাদ্য কিনতে হয়, যা তাদের জন্য বেশ ব্যয়বহুল।[২০] দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডার সংস্পর্শে থাকলে মানুষের ফ্রস্টবাইট হতে পারে, যার ফলে অঙ্গহানি বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।

প্রচণ্ড শীতের সময়, পর্যাপ্ত তাপ নিরোধক ব্যবস্থা না থাকলে পানির পাইপ জমে যেতে পারে। এমনকি ভালোভাবে সুরক্ষিত না থাকা কিছু অভ্যন্তরীণ প্লাম্বিং পাইপও জমে থাকা পানি প্রসারিত হওয়ার ফলে ফেটে যেতে পারে, যার ফলে সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে। বিপরীতভাবে, প্রচণ্ড শীতের সময় আগুন লাগার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। পানির মূল লাইন ভেঙ্গে গেলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে, যার ফলে আগুন নেভানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।[২১]

মধ্য-অক্ষাংশ অঞ্চলে ফসল চাষের সময় হঠাৎ ও অপ্রত্যাশিতভাবে তুষারপাত বা শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে, ফসলের বৃদ্ধির শুরুর দিকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গাছের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তীব্র ঠান্ডার কারণে গাছ মারা যেতে পারে এবং ফসল নষ্ট হতে পারে। এর ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি খাদ্য সংকটও দেখা দিতে পারে। অতীতে বহুবার শৈত্যপ্রবাহের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে মাটি শক্ত এবং হিমায়িত হয়ে যায়, যার ফলে গাছপালার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ইতিহাসে 'Year Without a Summer' বা 'গ্রীষ্মবিহীন বর্ষ' (১৮১৬) এর ঘটনা উল্লেখযোগ্য। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছানোর পরিমাণ কমে যায় এবং এর ফলে গ্রীষ্মকালেও তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। এই কারণে ১৮১০-এর দশকে বেশ কয়েকবার ফসল নষ্ট হয়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে, অস্বাভাবিকভাবে তীব্র শীতের আবহাওয়া বেশি ঘনঘন হতে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় (যেমন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর আমেরিকার শৈত্যপ্রবাহ) এরকমটা ঘটতে পারে। আর্কটিক অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।[২২][২৩] তবে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক এখনও বিতর্কিত।[২৪] JRC PESETA IV প্রকল্পটি ২০২০ সালে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে সামগ্রিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র শীতের তীব্রতা এবং ঘনত্ব কমবে। এর ফলে মৃদু শীতের আবহাওয়ায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে মৃত্যুহারও কমবে।[২৫] এমনকি, যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এককভাবে শীতের তীব্র আবহাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং সম্ভবত কিছু অঞ্চলে এই ঘটনা ঘন ঘন হতে পারে। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, "বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সাথে সাথে উত্তর গোলার্ধে দুর্বল তীব্র শীতের ঘটনার (ECE) পুনরাবৃত্তি, অভিক্ষেপ এলাকা এবং মোট ভূমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। যাইহোক, শক্তিশালী ECE-এর পুনরাবৃত্তি, অভিক্ষেপ এলাকা এবং মোট ভূমির পরিমাণ কোন উল্লেখযোগ্য প্রবণতা দেখায় না, বরং সাইবেরিয়া এবং কানাডায় এগুলো ক্রমবর্ধমান।"[২৬]

ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়

"In Katrina's Wake" হলো নাসার তৈরি একটি তথ্যচিত্র যা হারিকেন ক্যাটরিনার প্রভাব তুলে ধরে। এই চলচ্চিত্রে ঝড়ের তীব্রতা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং এর ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো দেখানো হয়েছে।

ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হলো একটি দ্রুত ঘূর্ণায়মান ঝড় ব্যবস্থা। এর বৈশিষ্ট্য হলো নিম্নচাপ কেন্দ্র, নিম্ন-স্তরের বদ্ধ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালন, প্রবল বাতাস এবং বজ্রঝড়ের সর্পিল বিন্যাস। এই ঝড়ের ফলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো-হাওয়া দেখা দেয়। বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়কে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এর অবস্থান এবং শক্তির উপর নির্ভর করে এদেরকে হারিকেন, টাইফুন, ক্রান্তীয় ঝড়, ঘূর্ণিঝড়ীয় ঝড়, ক্রান্তীয় নিম্নচাপ, বা কেবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। হারিকেন হলো একটি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় যা আটলান্টিক মহাসাগর বা উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায়। অন্যদিকে টাইফুন দেখা যায় উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে। ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এরকম ঝড়কে "ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়" বলা হয়। প্রতি বছর বিশ্বে গড়ে ৮০ থেকে ৯০টি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ৬৫ নট (১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বা ৭৫ মাইল প্রতি ঘন্টা) বা তার বেশি হয়।[২৭] ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে উত্তাপ ও শক্তি টেনে নিয়ে মধ্য অক্ষাংশের দিকে নিয়ে যায়, যা বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কারণ ও দায়বদ্ধতা

সাধারণভাবে, চরম আবহাওয়ার একটিমাত্র ঘটনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণকে দায়ী করা যায় না। তবে, বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনার বৃদ্ধি বা তীব্রতা দেখা দিতে পারে।[২৮]

প্রাকৃতিক পরিবর্তনশীলতা

আমাদের জলবায়ু ব্যবস্থায় প্রাকৃতিকভাবেই কিছু পরিবর্তনশীলতা বিদ্যমান। মানুষের কর্মকাণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন কারণে চরম আবহাওয়ার ঘটনা দেখা দিতে পারে, যেমন: বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন বা বায়ুপ্রবাহের গতিপথের পরিবর্তন। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল বা ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত এলাকাগুলোতে মধ্যম অক্ষাংশের এলাকাগুলোর তুলনায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। তবে মধ্যম অক্ষাংশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। সকল অস্বাভাবিক আবহাওয়ার ঘটনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা যায় না। বায়ুমণ্ডল এক জটিল এবং গতিশীল ব্যবস্থা। পৃথিবীর প্রাকৃতিক কাত ও কক্ষপথ, সৌর বিকিরণের শোষণ বা প্রতিফলন, বায়ুপ্রবাহের কার্যকলাপ, এবং জলীয়চক্রের মতো বিভিন্ন কারণ বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করে। এর ফলে আবহাওয়ায় বিভিন্নতা দেখা দিতে পারে। তাই চরম আবহাওয়ার জন্য অন্তত কিছুটা দায়ী প্রাকৃতিক পরিবর্তনশীলতা। এল নিনো-সাউদার্ন অসিলেশন (ENSO) বা নর্থ আটলান্টিক অসিলেশন (NAO)-এর মতো জলবায়ু বিভিন্নতা বিশ্বের নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়ার উপর প্রভাব ফেলে, তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করে।[২৯] গত দুইশ বছর ধরে যেভাবে চরম আবহাওয়ার ঘটনা হয়েছে সেগুলো সম্ভবত ENSO বা NAO-এর মতো জলবায়ু প্যাটার্ন "মানব-সৃষ্ট উষ্ণায়নের সাথে একই দিকে কাজ করলে" দেখা দেয়।[৩০]

জলবায়ু পরিবর্তন

কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে আর্কটিক অঞ্চলের দ্রুত উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাচ্ছে (ক্রায়োস্ফিয়ার হ্রাস) এবং এর ফলে মধ্য-অক্ষাংশে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।[৩১][৩২][৩৩][৩৪] ২০১৯ সালে নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।[৩৫] অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে বর্তমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সমুদ্রে গলিত বরফের পানির সংমিশ্রণের ফলে থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হতে পারে। থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন হলো সমুদ্রের পানির একটি বিশাল স্রোত ব্যবস্থা যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাপ এবং পুষ্টি বিতরণ করে।[৩৬] উত্তর গোলার্ধে থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হলে ইউরোপে চরম তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং ঝড়ের ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, থার্মোহ্যালাইন সঞ্চালন ব্যাহত হলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুতে পরিবর্তন আসবে।[৩৭] সুতরাং, বরফ গলে যাওয়ার ফলে মধ্য-অক্ষাংশের অঞ্চলে আবহাওয়ার ধরন এবং তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে।[৩৮]

প্রভাবসমূহ

সাম্প্রতিক দশকগুলিতে, ক্রমবর্ধমান হারে বিশ্বের বৃহৎ অংশেজুড়ে পূর্বের তুলনায় নতুন উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এর তুলনায় নতুন নীচু তাপমাত্রার রেকর্ড কম তৈরি হচ্ছে।[৩৯]
IPCC Sixth Assessment Report (২০২১) অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে চরম আবহাওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং তীব্রতা উভয়ই ক্রমান্বয়ে বাড়বে।[৪০]

চরম আবহাওয়ার প্রভাবগুলোর মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকতে পারে, কিন্তু এগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়:[৪১][৪২]

  • অত্যধিক বৃষ্টিপাত (ভারী বৃষ্টিপাত), যা বন্যা ও ভূমিধসের কারণ হতে পারে।
  • অত্যধিক তাপ এবং বৃষ্টির অভাব (তাপপ্রবাহ) যা খরাদাবানলের কারণ হতে পারে।
  • তুফান এবং টর্নাডোর মতো শক্তিশালী বাতাস, যা মানুষের তৈরি স্থাপনার ক্ষতি এবং প্রাণীদের বাসসস্থানের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • ভারী তুষারপাত, যা তুষারধস এবং তুষারঝড়ের কারণ হয়ে থাকে।

অর্থনৈতিক ক্ষতি

আন্তর্সরকার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (IPCC) এর ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ক্ষতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। IPCC-র অনুমান অনুযায়ী, ১৯৮০ সাল থেকে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও (২০১০ সালের ডলারের মান অনুযায়ী) বেশি। ২০০৫ সালে হারিকেন ক্যাটরিনার সময় ক্ষতির পরিমাণ ছিল সর্বাধিক।[৪৩] আবহাওয়া-সম্পর্কিত বৈশ্বিক দুর্যোগে মানুষের জীবনহানি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষতি এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতির মতো ক্ষতিগুলোর মূল্যায়ন ও অর্থমূল্য নির্ধারণ করা কঠিন। তাই এই ক্ষতিগুলোর পুরোটা পরিমাণ বের করা যায় না।[৪৪][৪৫] তবুও, সাম্প্রতিককালে অস্বাভাবিক তীব্র ঝড়, হারিকেন, বন্যা, তাপপ্রবাহ, খরা এবং সংশ্লিষ্ট বড় আকারের দাবানল বিশ্বব্যাপী গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনভূমি এবং প্রবাল প্রাচীরগুলোকে নজিরবিহীনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।[৪৬]

মানব প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ডাটাবেস অনুযায়ী, ১৯২০-এর দশকের তুলনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর হার ৯০% এরও বেশি কমে এসেছে। এই সময়ে পৃথিবীর জনসংখ্যা চারগুণ বেড়েছে এবং তাপমাত্রাও ১.৩°C বেড়েছে। ১৯২০-এর দশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৫৪ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন, যেখানে ২০১০-এর দশকে মাত্র ৪ লক্ষ লোক প্রাণ হারিয়েছেন।[৪৭]

চরম আবহাওয়ার কারণে মৃত্যুর হার দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণিঝড়ে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার লোক এবং ১৯৭০ সালে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ে ৩ লক্ষ লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর বিপরীতে, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতে আঘাত হানা 'আম্ফান' ঘূর্ণিঝড়ে মোট ১২০ জন লোক প্রাণ হারিয়েছেন।[৪৮][৪৯][৫০]

২০২০ সালের ২৩ জুলাই, মিউনিখ রি ঘোষণা করেছিলেন যে ২০২০ সালের প্রথমার্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্বব্যাপী মোট ২,৯০০ জনের মৃত্যু একটি রেকর্ড নিম্ন সংখ্যা। এই পরিসংখ্যান গত ৩০ বছর এবং ১০ বছরের গড় পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক কম।[৫১]

২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে যে মৃত্যুগুলো হয়েছে, তার ৯.৪% (প্রতিবছর প্রায় ৫০ লক্ষ মৃত্যু) চরম তাপমাত্রাজনিত কারণে ঘটেছে। শীতজনিত মৃত্যুর হার এখানে বৃহত্তর অংশ এবং তা হ্রাস পাচ্ছে; সে তুলনায় উষ্ণতাজনিত মৃত্যুর পরিমাণ ০.৯১% এবং ক্রমবর্ধমান।[৫২][৫৩]

খরা ও বন্যা

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শুষ্ক হ্রদের তলদেশ। ২০২২ সালে, রাজ্যটি ১,২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছিল, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও মারাত্মক হয়েছিল।[৫৪]

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নির্দিষ্ট ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটতে শুরু করেছে।[৫৫] হারিকেন বা ক্রান্তীয় ঘুর্ণিঝড়ের সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে, যার ফলে ভূমিধস বা বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ, উষ্ণ বাতাসে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প ধরে রাখার ক্ষমতা থাকে। উষ্ণতার ফলে পানির অনুগুলোর গতিশক্তি বেড়ে যায় এবং বৃষ্টির পরিমাণও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।[৫৬] অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের ধরণেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, আবার অন্যদিকে তীব্র খরার কারণে পানির অভাব দেখা দিচ্ছে।[৫৭] উষ্ণতার বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠতল থেকে বাষ্পীভবনের হারও বেড়ে যাচ্ছে। সুতরাং, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেলেও সারা বিশ্বে সুপেয় পানির পরিমাণ সমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না।[৫৮]

তথ্যসূত্র

  1. "Has Climate Variability, or have Climate Extremes, Changed?"Intergovernmental Panel on Climate Change। ২০০৫-১১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০০৭ 
  2. IPCC, 2022: Annex II: Glossary [Möller, V., R. van Diemen, J.B.R. Matthews, C. Méndez, S. Semenov, J.S. Fuglestvedt, A. Reisinger (eds.)]. In: Climate Change 2022: Impacts, Adaptation and Vulnerability. Contribution of Working Group II to the Sixth Assessment Report of the Intergovernmental Panel on Climate Change [H.-O. Pörtner, D.C. Roberts, M. Tignor, E.S. Poloczanska, K. Mintenbeck, A. Alegría, M. Craig, S. Langsdorf, S. Löschke, V. Möller, A. Okem, B. Rama (eds.)]. Cambridge University Press, Cambridge, UK and New York, NY, US, pp. 2897–2930, doi:10.1017/9781009325844.029.
  3. IPCC, 2022: Annex II: Glossary [Möller, V., R. van Diemen, J.B.R. Matthews, C. Méndez, S. Semenov, J.S. Fuglestvedt, A. Reisinger (eds.)]. In: Climate Change 2022: Impacts, Adaptation and Vulnerability. Contribution of Working Group II to the Sixth Assessment Report of the Intergovernmental Panel on Climate Change [H.-O. Pörtner, D.C. Roberts, M. Tignor, E.S. Poloczanska, K. Mintenbeck, A. Alegría, M. Craig, S. Langsdorf, S. Löschke, V. Möller, A. Okem, B. Rama (eds.)]. Cambridge University Press, Cambridge, UK and New York, NY, US, pp. 2897–2930, doi:10.1017/9781009325844.029.
  4. Seneviratne, Sonia I.; Zhang, Xuebin; Adnan, M.; Badi, W.; ও অন্যান্য (২০২১)। "Chapter 11: Weather and climate extreme events in a changing climate" (পিডিএফ)Climate Change 2021: The Physical Science Basis. Contribution of Working Group I to the Sixth Assessment Report of the Intergovernmental Panel on Climate। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 1517। 
  5. Attribution of Extreme Weather Events in the Context of Climate Change (প্রতিবেদন)। Washington, DC: The National Academies Press। ২০১৬। পৃষ্ঠা 127–136। আইএসবিএন 978-0-309-38094-2ডিওআই:10.17226/21852। ২০২২-০২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২ 
  6. Attribution of Extreme Weather Events in the Context of Climate Change (প্রতিবেদন)। Washington, DC: The National Academies Press। ২০১৬। পৃষ্ঠা 21–24। আইএসবিএন 978-0-309-38094-2ডিওআই:10.17226/21852 
  7. IPCC, 2022: Annex II: Glossary [Möller, V., R. van Diemen, J.B.R. Matthews, C. Méndez, S. Semenov, J.S. Fuglestvedt, A. Reisinger (eds.)]. In: Climate Change 2022: Impacts, Adaptation and Vulnerability. Contribution of Working Group II to the Sixth Assessment Report of the Intergovernmental Panel on Climate Change [H.-O. Pörtner, D.C. Roberts, M. Tignor, E.S. Poloczanska, K. Mintenbeck, A. Alegría, M. Craig, S. Langsdorf, S. Löschke, V. Möller, A. Okem, B. Rama (eds.)]. Cambridge University Press, Cambridge, UK and New York, NY, US, pp. 2897–2930, doi:10.1017/9781009325844.029.
  8. IPCC, 2022: Annex II: Glossary [Möller, V., R. van Diemen, J.B.R. Matthews, C. Méndez, S. Semenov, J.S. Fuglestvedt, A. Reisinger (eds.)]. In: Climate Change 2022: Impacts, Adaptation and Vulnerability. Contribution of Working Group II to the Sixth Assessment Report of the Intergovernmental Panel on Climate Change [H.-O. Pörtner, D.C. Roberts, M. Tignor, E.S. Poloczanska, K. Mintenbeck, A. Alegría, M. Craig, S. Langsdorf, S. Löschke, V. Möller, A. Okem, B. Rama (eds.)]. Cambridge University Press, Cambridge, UK and New York, NY, US, pp. 2897–2930, doi:10.1017/9781009325844.029.
  9. Attribution of Extreme Weather Events in the Context of Climate Change (প্রতিবেদন)। Washington, DC: The National Academies Press। ২০১৬। পৃষ্ঠা 21–24। আইএসবিএন 978-0-309-38094-2ডিওআই:10.17226/21852 
  10. Mogil, H Michael (২০০৭)। Extreme Weather। New York: Black Dog & Leventhal Publishers। পৃষ্ঠা 210–211। আইএসবিএন 978-1-57912-743-5 
  11. NOAA NWS। "Heat: A Major Killer"। ২০১৪-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৬ 
  12. Casey Thornbrugh; Asher Ghertner; Shannon McNeeley; Olga Wilhelmi; Robert Harriss (২০০৭)। "Heat Wave Awareness Project"National Center for Atmospheric Research। ২০১৮-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৮ 
  13. "It's not just the heat – it's the ozone: Study highlights hidden dangers"University of York। ২০১৩। ২০১৮-০৭-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৬ 
  14. Brücker, G. (২০০৫)। "Vulnerable populations: Lessons learnt from the summer 2003 heatwaves in europe"। Eurosurveillance10 (7): 1–2। ডিওআই:10.2807/esm.10.07.00551-enঅবাধে প্রবেশযোগ্য 
  15. Epstein, Paul R (২০০৫)। "Climate Change and Human Health"The New England Journal of Medicine353 (14): 1433–1436। ডিওআই:10.1056/nejmp058079পিএমআইডি 16207843পিএমসি 2636266অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  16. Doan, Lynn; Covarrubias, Amanda (২০০৬-০৭-২৭)। "Heat Eases, but Thousands of Southern Californians Still Lack Power"Los Angeles Times। ২০২৩-০৪-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৬, ২০১৪ 
  17. T. R. Oke (১৯৮২)। "The energetic basis of the urban heat island"। Quarterly Journal of the Royal Meteorological Society108 (455): 1–24। এসটুসিআইডি 120122894ডিওআই:10.1002/qj.49710845502বিবকোড:1982QJRMS.108....1O 
  18. Glossary of Meteorology (২০০৯)। "Cold Wave"American Meteorological Society। ২০১১-০৫-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৮ 
  19. Mogil, H Michael (২০০৭)। Extreme Weather। New York: Black Dog & Leventhal Publishers। পৃষ্ঠা 210–211। আইএসবিএন 978-1-57912-743-5 
  20. Mogil, H Michael (২০০৭)। Extreme Weather। New York: Black Dog & Leventhal Publishers। পৃষ্ঠা 210–211। আইএসবিএন 978-1-57912-743-5 
  21. Mogil, H Michael (২০০৭)। Extreme Weather। New York: Black Dog & Leventhal Publishers। পৃষ্ঠা 210–211। আইএসবিএন 978-1-57912-743-5 
  22. "Climate change: Arctic warming linked to colder winters"BBC News। ২ সেপ্টেম্বর ২০২১। ২০ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২১ 
  23. Cohen, Judah; Agel, Laurie; Barlow, Mathew; Garfinkel, Chaim I.; White, Ian (৩ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "Linking Arctic variability and change with extreme winter weather in the United States"। Science373 (6559): 1116–1121। এসটুসিআইডি 237402139 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1126/science.abi9167পিএমআইডি 34516838 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)বিবকোড:2021Sci...373.1116C 
  24. Irfan, Umair (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "Scientists are divided over whether climate change is fueling extreme cold events"Vox (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১ 
  25. "Climate change impacts of heat and cold extremes on humans" (পিডিএফ)। ২১ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২১ 
  26. He, Yongli; Wang, Xiaoxia; Zhang, Boyuan; Wang, Zhanbo; Wang, Shanshan (২০২৩-০৫-১৩)। "Contrast responses of strong and weak winter extreme cold events in the Northern Hemisphere to global warming"। Climate Dynamics (ইংরেজি ভাষায়)। 61 (9–10): 4533–4550। আইএসএসএন 1432-0894এসটুসিআইডি 258681375 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1007/s00382-023-06822-7বিবকোড:2023ClDy...61.4533H 
  27. Global Guide to Tropical Cyclone Forecasting: 2017 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। World Meteorological Organization। এপ্রিল ১৭, ২০১৮। জুলাই ১৪, ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০ 
  28. Attribution of Extreme Weather Events in the Context of Climate Change (প্রতিবেদন)। Washington, DC: The National Academies Press। ২০১৬। পৃষ্ঠা 21–24। আইএসবিএন 978-0-309-38094-2ডিওআই:10.17226/21852 
  29. Trenberth, Kevin E. (নভেম্বর ২০১১)। "Attribution of climate variations and trends to human influences and natural variability: Attribution of the human influence"। Wiley Interdisciplinary Reviews: Climate Change (ইংরেজি ভাষায়)। 2 (6): 925–930। এসটুসিআইডি 140147654ডিওআই:10.1002/wcc.142অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  30. Trenberth, Kevin E. (নভেম্বর ২০১১)। "Attribution of climate variations and trends to human influences and natural variability: Attribution of the human influence"। Wiley Interdisciplinary Reviews: Climate Change (ইংরেজি ভাষায়)। 2 (6): 925–930। এসটুসিআইডি 140147654ডিওআই:10.1002/wcc.142অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  31. Francis, Jennifer A.; Vavrus, Stephen J. (২০১২)। "Evidence linking Arctic amplification to extreme weather in mid-latitudes"। Geophysical Research Letters39 (6): L06801। ডিওআই:10.1029/2012GL051000অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2012GeoRL..39.6801F 
  32. Vladimir Petoukhov; Vladimir A. Semenov (নভেম্বর ২০১০)। "A link between reduced Barents-Kara sea ice and cold winter extremes over northern continents" (পিডিএফ)Journal of Geophysical Research: Atmospheres115 (21): D21111। ডিওআই:10.1029/2009JD013568অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2010JGRD..11521111P। ২০১৭-০৮-০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৪ 
  33. J A Screen (নভেম্বর ২০১৩)। "Influence of Arctic sea ice on European summer precipitation"। Environmental Research Letters8 (4): 044015। hdl:10871/14835অবাধে প্রবেশযোগ্যডিওআই:10.1088/1748-9326/8/4/044015অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2013ERL.....8d4015S 
  34. Qiuhong Tang; Xuejun Zhang; Jennifer A. Francis (ডিসেম্বর ২০১৩)। "Extreme summer weather in northern mid-latitudes linked to a vanishing cryosphere"। Nature Climate Change4 (1): 45–50। ডিওআই:10.1038/nclimate2065বিবকোড:2014NatCC...4...45T 
  35. Golledge, Nicholas R.; Keller, Elizabeth D.; Gomez, Natalya; Naughten, Kaitlin A.; Bernales, Jorge; Trusel, Luke D.; Edwards, Tamsin L. (ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Global environmental consequences of twenty-first-century ice-sheet melt"Nature (ইংরেজি ভাষায়)। 566 (7742): 65–72। আইএসএসএন 0028-0836এসটুসিআইডি 59606358ডিওআই:10.1038/s41586-019-0889-9পিএমআইডি 30728520বিবকোড:2019Natur.566...65G। ২০২১-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫ 
  36. Caesar, L.; McCarthy, G. D.; Thornalley, D. J. R.; Cahill, N.; Rahmstorf, S. (মার্চ ২০২১)। "Current Atlantic Meridional Overturning Circulation weakest in last millennium"Nature Geoscience (ইংরেজি ভাষায়)। 14 (3): 118–120। আইএসএসএন 1752-0894এসটুসিআইডি 232052381 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1038/s41561-021-00699-zবিবকোড:2021NatGe..14..118C। ২০২১-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫ 
  37. Caesar, L.; McCarthy, G. D.; Thornalley, D. J. R.; Cahill, N.; Rahmstorf, S. (মার্চ ২০২১)। "Current Atlantic Meridional Overturning Circulation weakest in last millennium"Nature Geoscience (ইংরেজি ভাষায়)। 14 (3): 118–120। আইএসএসএন 1752-0894এসটুসিআইডি 232052381 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1038/s41561-021-00699-zবিবকোড:2021NatGe..14..118C। ২০২১-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫ 
  38. Caesar, L.; McCarthy, G. D.; Thornalley, D. J. R.; Cahill, N.; Rahmstorf, S. (মার্চ ২০২১)। "Current Atlantic Meridional Overturning Circulation weakest in last millennium"Nature Geoscience (ইংরেজি ভাষায়)। 14 (3): 118–120। আইএসএসএন 1752-0894এসটুসিআইডি 232052381 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1038/s41561-021-00699-zবিবকোড:2021NatGe..14..118C। ২০২১-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫ 
  39. "Mean Monthly Temperature Records Across the Globe / Timeseries of Global Land and Ocean Areas at Record Levels for July from 1951-2023"NCEI.NOAA.gov। National Centers for Environmental Information (NCEI) of the National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA)। আগস্ট ২০২৩। ১৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  (change "202307" in URL to see years other than 2023, and months other than 07=July)
  40. "Climate Change 2021: The Physical Science Basis: Summary for Policymakers" (পিডিএফ)Intergovernmental Panel on Climate Change। ৯ আগস্ট ২০২১। পৃষ্ঠা SPM-23। ৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  41. "Fun Facts for Kids on Animals, Earth, History and more!"DK Find Out! (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৬ 
  42. "Extreme Weather and Climate Change"Center for Climate and Energy Solutions। ২০১৯-০৮-১৪। ২০২১-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৬ 
  43. "Billion-Dollar Weather and Climate Disasters: Summary Stats"National Centers for Environmental Information (NCEI)। ২০১৮-০৭-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-২৩ 
  44. Smith A.B.; R. Katz (২০১৩)। "U.S. Billion-dollar Weather and Climate Disasters: Data sources, Trends, Accuracy, and Biases" (পিডিএফ)Natural Hazards67 (2): 387–410। এসটুসিআইডি 30742858ডিওআই:10.1007/s11069-013-0566-5বিবকোড:2013NatHa..67..387S। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-২৩ 
  45. "IPCC – Intergovernmental Panel on Climate Change" (পিডিএফ)। নভেম্বর ২৪, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  46. França, Filipe (২০২০)। "Climatic and local stressor interactions threaten tropical forests and coral reefs"Philosophical Transactions of the Royal Society B375 (1794)। ডিওআই:10.1098/rstb.2019.0116পিএমআইডি 31983328পিএমসি 7017775অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  47. "The international disasters database"EM-DAT। ২০২১-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৯ 
  48. "Bangladesh cyclone of 1991"History.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ২০১৯। ২০২১-০৫-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৯ 
  49. "The Deadliest Tropical Cyclone on Record Killed 300,000 People"The Weather Channel (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৯ 
  50. "Amphan's Toll: More Than 100 Killed, billions in Damage, Hundreds of Thousands Homeless"www.wunderground.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৯ 
  51. "Very high losses from thunderstorms – The natural disaster figures for the first half of 2020"www.munichre.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৯ 
  52. "Extreme temperatures kill 5 million people a year with heat-related deaths rising, study finds"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জুলাই ২০২১। ১৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২১ 
  53. Zhao, Qi; ও অন্যান্য (১ জুলাই ২০২১)। "Global, regional, and national burden of mortality associated with non-optimal ambient temperatures from 2000 to 2019: a three-stage modelling study"। The Lancet Planetary Health (English ভাষায়)। 5 (7): e415–e425। hdl:2158/1285803অবাধে প্রবেশযোগ্যআইএসএসএন 2542-5196এসটুসিআইডি 235791583 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1016/S2542-5196(21)00081-4অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 34245712 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  54. Irina Ivanova (২ জুন ২০২২)। "California is rationing water amid its worst drought in 1,200 years"CBS News। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২২ 
  55. Seneviratne, Sonia I.; Zhang, Xuebin; Adnan, M.; Badi, W.; ও অন্যান্য (২০২১)। "Chapter 11: Weather and climate extreme events in a changing climate" (পিডিএফ)IPCC AR6 WG1 2021। পৃষ্ঠা 1517। ২০২২-০৫-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩  in IPCC (২০২১)। Masson-Delmotte, V.; Zhai, P.; Pirani, A.; Connors, S. L.; ও অন্যান্য, সম্পাদকগণ। Climate Change 2021: The Physical Science Basis (পিডিএফ)। Contribution of Working Group I to the Sixth Assessment Report of the Intergovernmental Panel on Climate Change। Cambridge University Press (In Press)। ২০২১-০৮-১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  56. US EPA, OAR (২০১৬-০৬-২৭)। "Climate Change Indicators: U.S. and Global Precipitation"US EPA (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫ 
  57. US EPA, OAR (২০১৬-০৬-২৭)। "Climate Change Indicators: Drought"US EPA (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫ 
  58. US EPA, OAR (২০১৬-০৬-২৭)। "Climate Change Indicators: U.S. and Global Precipitation"US EPA (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৫