মহান মহারাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Mahan Mj" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:২৬, ৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

Mahan Mj
Mahan Mitra
জন্ম (1968-04-05) ৫ এপ্রিল ১৯৬৮ (বয়স ৫৬)
জাতীয়তাIndian
মাতৃশিক্ষায়তন
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
অভিসন্দর্ভের শিরোনামMaps on boundaries of hyperbolic metric spaces (1997)
ডক্টরাল উপদেষ্টাAndrew Casson

স্বামী বিদ্যানাথানন্দ বা মহান মহারাজ ( জন্ম: ৫ এপ্রিল ১৯৬৮ [১]) হলেন একজন ভারতীয় গণিতবিদ এবং রামকৃষ্ণ আদেশ তথা রামকৃষ্ণ মিশনের আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী মহারাজ। তার পূর্বাশ্রম তথা পিতৃদত্ত নাম ছিল মহান মিত্র।

বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ের টাট ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ এর গণিতের অধ্যাপক। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি গণিতে শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার [২] এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে গাণিতিক বিজ্ঞানের জন্য 'ইনফোসিস পুরস্কার' লাভ করেন। [৩] তিনি মূলত, 'হাইপারবোলিক জিওমেট্রি', 'জিওমেট্রিক গ্রুপ থিওরী', 'লো ডাইমেনশন্যাল ট্রপোলজি' অ্যান্ড 'কমপ্লেক্স জিওমেট্রি'র জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

মহান মিত্র ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল কলকাতার এক মিত্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার আইনজ্ঞ পিতা কলকাতার এক অফিসে ম্যানেজারের কাজ করতেন।< ref name ="tt">"At a larger level... asking questions is not encouraged'"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৩ </ref>মহানের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে। দ্বাদশ শ্রেণির পর তিনি সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক (এআইআর) ৬৭ পেয়ে কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে প্রথমদিকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ভর্তি হন। কিন্তু আগাগোড়াই তার প্রিয় বিষয় ছিল গণিত। পড়াশোনার বিষয় গণিতে পরিবর্তন করে নেন। [৪]তিনি ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে আইআইটি কানপুর থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। [৫]

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর মহান বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। তাঁর গবেষণার উপদেষ্টা ছিলেন অ্যান্ড্রু ক্যাসন । তিনি ১৯৯২ - ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের 'আর্লে সি. অ্যান্থনি ফেলোশিপ' এবং ১৯৯৬ - ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের জন্য মর্যাদাপূর্ণ স্লোন ফেলোশিপ লাভ করেন।[৬] ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'ম্যাপস্ অন বাউণ্ডারিজ অফ হাইপারবোলিক মেট্রিক স্পেসেস্' শীর্ষক গবেষণা পত্রের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

এর পর দেশে ফিরে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের অল্প কিছুদিন চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্স-এ কাজ করেন। ওই বছরেই তিনি বেদান্তিক দার্শনিক রামকৃষ্ণ পরমহংসের চিন্তাধারার প্রবল আকর্ষণে যোগ দেন বেলুড়স্থিত রামকৃষ্ণ মিশনেরামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক এবং গবেষণার ডিন হন এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।[৭] বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ের টাট ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ| টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ-এর গণিতের অধ্যাপক । [৮]

উল্লেখযোগ্য কাজ

  • ড. মহান মিত্র ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে গাণিতিক বিজ্ঞান বিষয়ে 'লেমিনেশন স্পেস এবং হাইপারবোলিক ম্যানিফোল্ডের সমাপ্তির ক্ষেত্রে' এক অসামান্য নিবন্ধ রচনা করেন। "ক্যানন-থার্স্টন ম্যাপ"-এর অস্তিত্বের প্রমাণে রচিত নিবন্ধটি "জিওমেট্রিক অ্যান্ড ফাংশনাল অ্যানালিসিস" জার্নালে প্রকাশিত হয়।

[৯]


২০১৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত গণিতবিদদের আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন ।

ব্যক্তিগত জীবন

আমেরিকার বার্কলিতে অবস্থানকালে তিনি স্বামী বিবেকানন্দের বেশ কিছু রচনা পড়ে অত্যন্ত প্রভাবিত হন। শেষে তিনি স্থির করেন দেশে ফিরে তিনি সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করবেন। তাই স্বল্প সময় চেন্নাইয়ে কাটিয়ে বেলুড়ে চলে আসেন।  

ড. মহান মিত্র ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে বেলুড়ে অধ্যাপক থাকাকালীন সময়ে রামকৃষ্ণ আদেশের সন্ন্যাসী হতে চান।মাতাপিতার সম্মতি আদায়ে তিনি বেশ কিছুদিন সময় নেন। পরে অবশ্য তারা অনুমতি দেন। প্রথমে তার নাম রাখা হয়েছিল ব্রহ্মচারী ব্রহ্মচৈতন্য। পরে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে দীক্ষান্তে নাম হয় স্বামী বিদ্যানাথানন্দ এবং গৈরিক বসন ধারন করেন।

পার্থিব সুখ বিসর্জন দিয়ে, তিনি কিন্তু ধর্মকে বিজ্ঞানে হস্তক্ষেপ করতে দেননি। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রকৃত মহান ব্যক্তিত্বের কথায়—

(ইংরেজি)

«“I follow no organised religion. If you asked me one and put a gun to my head, I would probably say science.”..»

(বাংলা)

«"আমি কোনও সংগঠিত ধর্ম অনুসরণ করি না। আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন এবং আমার মাথায় বন্দুক রাখেন, আমি সম্ভবত বিজ্ঞান বলব।..»

স্বামী বিদ্যানাথানন্দের ধর্মে বিশ্বাস থাকার পাশাপাশি বিজ্ঞানেও আস্থা আছে। তার জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম এই দু’য়ের মধ্যে কোনও অসঙ্গতি নেই।

সম্মাননা ও পুরস্কার

  • ‘জিওম্যাট্রিক গ্রুপ থিওরি, লো-ডাইমেনশন্যাল টপোলজি অ্যান্ড কমপ্লেক্স জিওমেন্টি’ তে উল্লখযোগ্য অবদানের জন্য ইনফোসিস ফাউন্ডেশন ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রদান করে “ইনফোসিস পুরস্কার” [১১]

তথ্যসূত্র

বাহ্যিক লিঙ্ক

  1. "Brief Profile of the Awardee, Shanti Swarup Bhatnagar Prize" 
  2. "11 scientists selected for Shanti Swarup Bhatnagar award"। New Delhi। IBN Live। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১। ৪ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১১ 
  3. "Infosys Prize - Laureates 2015" 
  4. "Prof Mahan Mitra"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৩ 
  5. "Being a mathematician is not that far removed from being a monk: Prof. Mahan Mj"। Mint। ৫ ডিসেম্বর ২০১৫। 
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; iitk3 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. "Vidyanathananda, the wizard who became a monk - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৫ 
  8. "Faculty"math.tifr.res.in 
  9. মহারাজ, মহান (২০১৪)। "Ending Laminations and Cannon–Thurston Maps"। Geometric and Functional Analysis24: 297–321। arXiv:math/0701725অবাধে প্রবেশযোগ্যএসটুসিআইডি 9083637ডিওআই:10.1007/s00039-014-0263-x 
  10. "Bhatnagar Awardees"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৩ 
  11. "বিজ্ঞানই আমার ধর্ম, জানালেন ৬৫ লাখ পুরস্কার জয়ী সাধু"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৩