লেগোস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
খাঁ শুভেন্দু (আলোচনা | অবদান) |
খাঁ শুভেন্দু (আলোচনা | অবদান) |
||
| ১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''লাগোস''' [[নাইজেরিয়া|নাইজেরিয়ার]] [[জনসংখ্যার ভিত্তিতে নাইজেরিয়ান শহরসমূহের তালিকা|সর্বাধিক জনবহুল শহর]] ও আফ্রিকার [[জনসংখ্যার ভিত্তিতে আফ্রিকার শহরসমূহের তালিকা|বৃহত্তম শহর]]। মূল শহরটিতে ২০২১ সালের হিসাবে ১,৪৮,৬২,০০০ জন জনসংখ্যার সাথে '''লাগোস মহানগরীর''' মোট জনসংখ্যা ২১.৩ মিলিয়ন, এটি [[কায়রো|কায়রোর]] পরে আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর অঞ্চল। |
'''লাগোস''' [[নাইজেরিয়া|নাইজেরিয়ার]] [[জনসংখ্যার ভিত্তিতে নাইজেরিয়ান শহরসমূহের তালিকা|সর্বাধিক জনবহুল শহর]] ও আফ্রিকার [[জনসংখ্যার ভিত্তিতে আফ্রিকার শহরসমূহের তালিকা|বৃহত্তম শহর]]। মূল শহরটিতে ২০২১ সালের হিসাবে ১,৪৮,৬২,০০০ জন জনসংখ্যার সাথে '''লাগোস মহানগরীর''' মোট জনসংখ্যা ২১.৩ মিলিয়ন, এটি [[কায়রো|কায়রোর]] পরে আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর অঞ্চল।<ref>{{cite news |url=https://www.nytimes.com/2014/01/08/opinion/what-makes-lagos-a-model-city.html?_r=0 |title=What Makes Lagos a Model City |newspaper=New York Times |date=7 January 2014 |access-date=16 March 2015}}</ref><ref name="John Campbell">{{cite news |url= https://www.theatlantic.com/international/archive/2012/07/this-is-africas-new-biggest-city-lagos-nigeria-population-25-million/259611/ |title= This Is Africa's New Biggest City: Lagos, Nigeria, Population 21 Million |author=John Campbell |date=10 July 2012 |work=The Atlantic |location= Washington DC |access-date= 23 September 2012}}</ref> লাগোস সমগ্র আফ্রিকার জন্য একটি প্রধান আর্থিক কেন্দ্র এবং এটি লাগোস রাজ্যের অর্থনৈতিক কেন্দ্র। অতিমহানগরীতিতে (মেগাসিটি) আফ্রিকার চতুর্থ সর্বোচ্চ জিডিপি<ref>{{Cite web|url=https://bigthink.com/strange-maps/richest-cities-in-africa|title=These cities are the hubs of Africa's economic boom|date=2018-10-04|website=Big Think |access-date=2019-04-23}}</ref><ref name="metropolitan Lagos"/> এবং এই মহাদেশের [[আপাপা|বৃহত্তম ও ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর]] রয়েছে।<ref>{{cite web | url= http://businesstech.co.za/news/general/81995/africas-biggest-shipping-ports/ |title= Africa's biggest shipping ports |publisher= Businesstech |date=8 March 2015 |access-date= 26 October 2015}}</ref><ref>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=E-VwMKQlGjIC |title=Africa, Volume 1 of Cities of the World: a compilation of current information on cultural, geographical, and political conditions in the countries and cities of six continents, based on the Department of State's "post reports" |author1=Brian Rajewski |publisher=Gale Research International, Limited |year=1998 |isbn= 978-0-810-3769-22}}</ref><ref name=global>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=Lzt7BgAAQBAJ&pg=PA315 |page=315 |title= Global Gentrifications: Uneven Development and Displacement |author1=Loretta Lees |author2= Hyun Bang Shin |author3= Ernesto López Morales |publisher=Policy Press |year=2015 |isbn=978-1-447-3134-89}}</ref> It is one of the fastest growing cities in the world.{{refn|Sources: <ref>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=tk5TP7bsXnkC&pg=PA202 |title=African Cities Driving the NEPAD Initiative |agency= UN-HABITAT |year=2006 |isbn= 978-9-211318159 |page=202}}</ref><ref>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=sMnj88kYVmcC&pg=PT60 |title=Key Concepts in Creative Industries |page=47 |author1= John Hartley |author2=Jason Potts |author3=Terry Flew|author4= Stuart Cunningham |author5= Michael Keane|author6= John Banks |publisher= SAGE |year=2012 |isbn=978-1-446-2028-90}}</ref><ref>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=wQJb1QpZz_4C&pg=PA118 |title=Cultures and Globalization: Cities, Cultural Policy and Governance |page=118 |author1=Helmut K Anheier |author2=Yudhishthir Raj Isar |publisher= SAGE |year=2012 |isbn=978-1-446-2585-07}}</ref><ref>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=oy-de29AtvYC&pg=PA163 |title=Hidden Innovation: Policy, Industry and the Creative Sector (Creative Economy and Innovation Culture Se Series) |author=Stuart Cunningham |publisher= Univ. of Queensland Press |page=163 |year=2013 |isbn= 978-0-702-2509-89}}</ref><ref>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=rQ_ZLuqZT54C&pg=PA71 |title=Cities and Nature |page=7 |publisher=Routledge Critical Introductions to Urbanism and the City |author1= Lisa Benton-Short|author-link2=John Rennie Short |author2=John Rennie Short |year=2013 |isbn=978-1-134252749}}</ref><ref name=afropolis>{{cite book |url= https://books.google.com/books?id=9lcn62brtGQC&pg=PA18|title=Afropolis: City Media Art |author1=Kerstin Pinther |author2=Larissa Förster |author3=Christian Hanussek |publisher=Jacana Media |year=2012 |page=18 |isbn=978-1-431-4032-57}}</ref><ref>{{cite book |url=https://books.google.com/books?id=8JPIAwAAQBAJ&pg=PA66 |title=The Land/Ocean Interactions in the Coastal Zone of West and Central Africa Estuaries of the World |author1=Salif Diop |author2=Jean-Paul Barusseau |page=66 |author3=Cyr Descamps |publisher=Springer |year=2014 |isbn=978-3-319-0638-81}}</ref>}} এটি বিশ্বের দ্রুত বর্ধমান শহরগুলির মধ্যে একটি। [[25] |
||
লাগোস প্রথমদিকে [[পশ্চিম আফ্রিকা|পশ্চিম আফ্রিকার]] [[ইওরুবা জাতি|ইওরুবার]] [[আওয়ারি উপজাতি|আওরি]] উপজাতির আবাসস্থল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে দ্বীপসমূহের সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি [[বন্দর|বন্দর নগরী]] হিসাবে আবির্ভূত হয়, যা বর্তমানের [[লাগোস দ্বীপ]], এতি-ওসা, আমুও-ওডোফিন ও আপাপায়ের স্থানীয় সরকার অঞ্চলসমূহ ([[জনসংখ্যার ভিত্তিতে লাগোস রাজ্যের স্থানীয় সরকার অঞ্চলসমূহের তালিকা|এলজিএ]]) মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লাগোস লেগুনের মোহনার দক্ষিণ পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে বাধা দ্বীপ ও পূর্ব-পশ্চিমে ১০০ কিলোমিটার (৬২মাইল) পর্যন্ত প্রসারিত বার সৈকতের মতো লম্বা বালির চর দ্বারা সুরক্ষিত দ্বীপসমূহ খাঁড়ি দ্বারা পৃথক। দ্রুত নগরায়ণের কারণে, এই শহরটি লেগুনের পশ্চিমে প্রসারিত হয়ে বর্তমান [[লাগোস মূলভূখণ্ড]], [[অজেরোমি-ইফেলোডুন]] ও [[সুরুলের|সুরুলেরকে]] অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে লাগোসকে দুটি প্রধান অঞ্চলে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়: দ্বীপ, যা মূল ভূখণ্ড হিসাবে পরিচিত অঞ্চলে প্রসারিত হওয়ার আগে লগোসের প্রাথমিক শহর ছিল। [২]] এই শহর অঞ্চলটি ১৯৬৭ সালে লাগোস রাজ্য গঠনের আগ পর্যন্ত সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কর্তৃক পরিচালিত হত, যার ফলে লেগোস শহরকে বর্তমান সাতটি স্থানীয় অঞ্চলে (এলজিএ) বিভক্ত করা হয়েছিল এবং তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে অন্যান্য শহর যুক্ত (যা বর্তমানে ১৩ টি এলজিএ গঠন করে) হয় এবং এই রাজ্যটি তৈরি হয়। [২]] |
লাগোস প্রথমদিকে [[পশ্চিম আফ্রিকা|পশ্চিম আফ্রিকার]] [[ইওরুবা জাতি|ইওরুবার]] [[আওয়ারি উপজাতি|আওরি]] উপজাতির আবাসস্থল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে দ্বীপসমূহের সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি [[বন্দর|বন্দর নগরী]] হিসাবে আবির্ভূত হয়, যা বর্তমানের [[লাগোস দ্বীপ]], এতি-ওসা, আমুও-ওডোফিন ও আপাপায়ের স্থানীয় সরকার অঞ্চলসমূহ ([[জনসংখ্যার ভিত্তিতে লাগোস রাজ্যের স্থানীয় সরকার অঞ্চলসমূহের তালিকা|এলজিএ]]) মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লাগোস লেগুনের মোহনার দক্ষিণ পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে বাধা দ্বীপ ও পূর্ব-পশ্চিমে ১০০ কিলোমিটার (৬২মাইল) পর্যন্ত প্রসারিত বার সৈকতের মতো লম্বা বালির চর দ্বারা সুরক্ষিত দ্বীপসমূহ খাঁড়ি দ্বারা পৃথক। দ্রুত নগরায়ণের কারণে, এই শহরটি লেগুনের পশ্চিমে প্রসারিত হয়ে বর্তমান [[লাগোস মূলভূখণ্ড]], [[অজেরোমি-ইফেলোডুন]] ও [[সুরুলের|সুরুলেরকে]] অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে লাগোসকে দুটি প্রধান অঞ্চলে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়: দ্বীপ, যা মূল ভূখণ্ড হিসাবে পরিচিত অঞ্চলে প্রসারিত হওয়ার আগে লগোসের প্রাথমিক শহর ছিল। [২]] এই শহর অঞ্চলটি ১৯৬৭ সালে লাগোস রাজ্য গঠনের আগ পর্যন্ত সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কর্তৃক পরিচালিত হত, যার ফলে লেগোস শহরকে বর্তমান সাতটি স্থানীয় অঞ্চলে (এলজিএ) বিভক্ত করা হয়েছিল এবং তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে অন্যান্য শহর যুক্ত (যা বর্তমানে ১৩ টি এলজিএ গঠন করে) হয় এবং এই রাজ্যটি তৈরি হয়। [২]] |
||
| ৫ নং লাইন: | ৫ নং লাইন: | ||
১৯১৪ সালে একত্রীকরণ করার পর থেকে লোগোস শহরটি নাইজেরিয়ার রাজধানী, [[লাগোস রাজ্য]] গঠিত হওয়ার পরে শহরটি রাজ্যেরও রাজধানী হয়ে ওঠে। তবে, পরে রাজ্য রাজধানীটি ১৯৯৭ সালে [[ইকেজা|ইকেজায়]] স্থানান্তরিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজধানী ১৯৯১ সালে [[আবুজা|আবুজাতে]] স্থানান্তরিত হয়। যদিও লেগোসকে এখনও বিস্তৃতভাবে একটি শহর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, বর্তমানের লাগোস, "মেট্রোপলিটন লাগোস" নামে পরিচিত এবং সরকারিভাবে "লাগোস মেট্রোপলিটন অঞ্চল" নামে পরিচিত [২৮] [২৯] [৩০] একটি [[পৌর এলাকা|নগর সমষ্টি]] বা [[পৌরপুঞ্জ]], [৩১] যা [[লেগোস রাজ্য|লেগোস রাজ্যের]] রাজ্যের রাজধানী [[ইকেজা]] সহ ১৬ টি এলজিএ নিয়ে গঠিত। [[২] [৩২] এই পৌরপুঞ্জটি লাগোস রাজ্যের মোট জমি ক্ষেত্রের ৩৭%, তবে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% নিয়ে গঠিত। [২] [২]] [33৩] |
১৯১৪ সালে একত্রীকরণ করার পর থেকে লোগোস শহরটি নাইজেরিয়ার রাজধানী, [[লাগোস রাজ্য]] গঠিত হওয়ার পরে শহরটি রাজ্যেরও রাজধানী হয়ে ওঠে। তবে, পরে রাজ্য রাজধানীটি ১৯৯৭ সালে [[ইকেজা|ইকেজায়]] স্থানান্তরিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজধানী ১৯৯১ সালে [[আবুজা|আবুজাতে]] স্থানান্তরিত হয়। যদিও লেগোসকে এখনও বিস্তৃতভাবে একটি শহর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, বর্তমানের লাগোস, "মেট্রোপলিটন লাগোস" নামে পরিচিত এবং সরকারিভাবে "লাগোস মেট্রোপলিটন অঞ্চল" নামে পরিচিত [২৮] [২৯] [৩০] একটি [[পৌর এলাকা|নগর সমষ্টি]] বা [[পৌরপুঞ্জ]], [৩১] যা [[লেগোস রাজ্য|লেগোস রাজ্যের]] রাজ্যের রাজধানী [[ইকেজা]] সহ ১৬ টি এলজিএ নিয়ে গঠিত। [[২] [৩২] এই পৌরপুঞ্জটি লাগোস রাজ্যের মোট জমি ক্ষেত্রের ৩৭%, তবে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% নিয়ে গঠিত। [২] [২]] [33৩] |
||
মেট্রোপলিটন লাগোসের সঠিক জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০০৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রীয় আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, এই পৌরপুঞ্জের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮ মিলিয়ন। []] তবে, এই পরিসংখ্যানটি লাগোস রাজ্য সরকার দ্বারা বিতর্কিত হিসাবে চিহ্নিত হয়, যার ফলে পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার কর্তৃক নিজস্ব জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশিত হয় এবং লাগোস মহানগর অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ মিলিয়ন হিসাবে নির্ধারিত হয়। [নোট ৩] বেসরকারী পরিসংখ্যানসমূহ ২০১৫ সালে "বৃহত্তর মহানগরীয় লাগোস"-এর জনসংখ্যাকে প্রায় ২১ মিলিয়ন নির্ধারণ করে, যার মধ্যে লাগোস ও প্রায় [[ওগুন রাজ্য]] পর্যন্ত প্রসারিত আশেপাশের মেট্রো অঞ্চল রয়েছে। , [[1] [২]] [৩]] [৩]] |
মেট্রোপলিটন লাগোসের সঠিক জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০০৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রীয় আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, এই পৌরপুঞ্জের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮ মিলিয়ন। []] তবে, এই পরিসংখ্যানটি [[লাগোস রাজ্য সরকার]] দ্বারা বিতর্কিত হিসাবে চিহ্নিত হয়, যার ফলে পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার কর্তৃক নিজস্ব জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশিত হয় এবং লাগোস মহানগর অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ মিলিয়ন হিসাবে নির্ধারিত হয়। [নোট ৩] বেসরকারী পরিসংখ্যানসমূহ ২০১৫ সালে "বৃহত্তর মহানগরীয় লাগোস"-এর জনসংখ্যাকে প্রায় ২১ মিলিয়ন নির্ধারণ করে, যার মধ্যে লাগোস ও প্রায় [[ওগুন রাজ্য]] পর্যন্ত প্রসারিত আশেপাশের মেট্রো অঞ্চল রয়েছে। , [[1] [২]] [৩]] [৩]] |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
১৭:০৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
লাগোস নাইজেরিয়ার সর্বাধিক জনবহুল শহর ও আফ্রিকার বৃহত্তম শহর। মূল শহরটিতে ২০২১ সালের হিসাবে ১,৪৮,৬২,০০০ জন জনসংখ্যার সাথে লাগোস মহানগরীর মোট জনসংখ্যা ২১.৩ মিলিয়ন, এটি কায়রোর পরে আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর অঞ্চল।[১][২] লাগোস সমগ্র আফ্রিকার জন্য একটি প্রধান আর্থিক কেন্দ্র এবং এটি লাগোস রাজ্যের অর্থনৈতিক কেন্দ্র। অতিমহানগরীতিতে (মেগাসিটি) আফ্রিকার চতুর্থ সর্বোচ্চ জিডিপি[৩][৪] এবং এই মহাদেশের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর রয়েছে।[৫][৬][৭] It is one of the fastest growing cities in the world.[১৫] এটি বিশ্বের দ্রুত বর্ধমান শহরগুলির মধ্যে একটি। [[25]
লাগোস প্রথমদিকে পশ্চিম আফ্রিকার ইওরুবার আওরি উপজাতির আবাসস্থল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে দ্বীপসমূহের সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি বন্দর নগরী হিসাবে আবির্ভূত হয়, যা বর্তমানের লাগোস দ্বীপ, এতি-ওসা, আমুও-ওডোফিন ও আপাপায়ের স্থানীয় সরকার অঞ্চলসমূহ (এলজিএ) মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লাগোস লেগুনের মোহনার দক্ষিণ পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে বাধা দ্বীপ ও পূর্ব-পশ্চিমে ১০০ কিলোমিটার (৬২মাইল) পর্যন্ত প্রসারিত বার সৈকতের মতো লম্বা বালির চর দ্বারা সুরক্ষিত দ্বীপসমূহ খাঁড়ি দ্বারা পৃথক। দ্রুত নগরায়ণের কারণে, এই শহরটি লেগুনের পশ্চিমে প্রসারিত হয়ে বর্তমান লাগোস মূলভূখণ্ড, অজেরোমি-ইফেলোডুন ও সুরুলেরকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে লাগোসকে দুটি প্রধান অঞ্চলে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়: দ্বীপ, যা মূল ভূখণ্ড হিসাবে পরিচিত অঞ্চলে প্রসারিত হওয়ার আগে লগোসের প্রাথমিক শহর ছিল। [২]] এই শহর অঞ্চলটি ১৯৬৭ সালে লাগোস রাজ্য গঠনের আগ পর্যন্ত সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কর্তৃক পরিচালিত হত, যার ফলে লেগোস শহরকে বর্তমান সাতটি স্থানীয় অঞ্চলে (এলজিএ) বিভক্ত করা হয়েছিল এবং তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল থেকে অন্যান্য শহর যুক্ত (যা বর্তমানে ১৩ টি এলজিএ গঠন করে) হয় এবং এই রাজ্যটি তৈরি হয়। [২]]
১৯১৪ সালে একত্রীকরণ করার পর থেকে লোগোস শহরটি নাইজেরিয়ার রাজধানী, লাগোস রাজ্য গঠিত হওয়ার পরে শহরটি রাজ্যেরও রাজধানী হয়ে ওঠে। তবে, পরে রাজ্য রাজধানীটি ১৯৯৭ সালে ইকেজায় স্থানান্তরিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজধানী ১৯৯১ সালে আবুজাতে স্থানান্তরিত হয়। যদিও লেগোসকে এখনও বিস্তৃতভাবে একটি শহর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, বর্তমানের লাগোস, "মেট্রোপলিটন লাগোস" নামে পরিচিত এবং সরকারিভাবে "লাগোস মেট্রোপলিটন অঞ্চল" নামে পরিচিত [২৮] [২৯] [৩০] একটি নগর সমষ্টি বা পৌরপুঞ্জ, [৩১] যা লেগোস রাজ্যের রাজ্যের রাজধানী ইকেজা সহ ১৬ টি এলজিএ নিয়ে গঠিত। [[২] [৩২] এই পৌরপুঞ্জটি লাগোস রাজ্যের মোট জমি ক্ষেত্রের ৩৭%, তবে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% নিয়ে গঠিত। [২] [২]] [33৩]
মেট্রোপলিটন লাগোসের সঠিক জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০০৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রীয় আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, এই পৌরপুঞ্জের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮ মিলিয়ন। []] তবে, এই পরিসংখ্যানটি লাগোস রাজ্য সরকার দ্বারা বিতর্কিত হিসাবে চিহ্নিত হয়, যার ফলে পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার কর্তৃক নিজস্ব জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশিত হয় এবং লাগোস মহানগর অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ মিলিয়ন হিসাবে নির্ধারিত হয়। [নোট ৩] বেসরকারী পরিসংখ্যানসমূহ ২০১৫ সালে "বৃহত্তর মহানগরীয় লাগোস"-এর জনসংখ্যাকে প্রায় ২১ মিলিয়ন নির্ধারণ করে, যার মধ্যে লাগোস ও প্রায় ওগুন রাজ্য পর্যন্ত প্রসারিত আশেপাশের মেট্রো অঞ্চল রয়েছে। , [[1] [২]] [৩]] [৩]]
তথ্যসূত্র
- ↑ "What Makes Lagos a Model City"। New York Times। ৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ John Campbell (১০ জুলাই ২০১২)। "This Is Africa's New Biggest City: Lagos, Nigeria, Population 21 Million"। The Atlantic। Washington DC। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "These cities are the hubs of Africa's economic boom"। Big Think। ২০১৮-১০-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৩।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;metropolitan Lagosনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Africa's biggest shipping ports"। Businesstech। ৮ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Brian Rajewski (১৯৯৮)। Africa, Volume 1 of Cities of the World: a compilation of current information on cultural, geographical, and political conditions in the countries and cities of six continents, based on the Department of State's "post reports"। Gale Research International, Limited। আইএসবিএন 978-0-810-3769-22।
- ↑ Loretta Lees; Hyun Bang Shin; Ernesto López Morales (২০১৫)। Global Gentrifications: Uneven Development and Displacement। Policy Press। পৃষ্ঠা 315। আইএসবিএন 978-1-447-3134-89।
- ↑ African Cities Driving the NEPAD Initiative। UN-HABITAT। ২০০৬। পৃষ্ঠা 202। আইএসবিএন 978-9-211318159।
- ↑ John Hartley; Jason Potts; Terry Flew; Stuart Cunningham; Michael Keane; John Banks (২০১২)। Key Concepts in Creative Industries। SAGE। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 978-1-446-2028-90।
- ↑ Helmut K Anheier; Yudhishthir Raj Isar (২০১২)। Cultures and Globalization: Cities, Cultural Policy and Governance। SAGE। পৃষ্ঠা 118। আইএসবিএন 978-1-446-2585-07।
- ↑ Stuart Cunningham (২০১৩)। Hidden Innovation: Policy, Industry and the Creative Sector (Creative Economy and Innovation Culture Se Series)। Univ. of Queensland Press। পৃষ্ঠা 163। আইএসবিএন 978-0-702-2509-89।
- ↑ Lisa Benton-Short; John Rennie Short (২০১৩)। Cities and Nature। Routledge Critical Introductions to Urbanism and the City। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 978-1-134252749।
- ↑ Kerstin Pinther; Larissa Förster; Christian Hanussek (২০১২)। Afropolis: City Media Art। Jacana Media। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 978-1-431-4032-57।
- ↑ Salif Diop; Jean-Paul Barusseau; Cyr Descamps (২০১৪)। The Land/Ocean Interactions in the Coastal Zone of West and Central Africa Estuaries of the World। Springer। পৃষ্ঠা 66। আইএসবিএন 978-3-319-0638-81।
- ↑ Sources: [৮][৯][১০][১১][১২][১৩][১৪]