চেরনোবিলের বিপর্যয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ৫১°২৩′২২″ উত্তর ৩০°০৫′৫৬″ পূর্ব / ৫১.৩৮৯৪৪° উত্তর ৩০.০৯৮৮৯° পূর্ব / 51.38944; 30.09889 (Chernobyl disaster)
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Friendsamin (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
Friendsamin (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১৮৬ নং লাইন: ১৮৬ নং লাইন:


<br />
<br />

===অবশিষ্ট তেজস্ক্রিয়তা===
[http://safecast.org/tilemap/?y=51.3921&x=30.0786&z=14&l=0&m=0 চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এর চারপাশের বর্তমান বিকিরণ স্তরের মানচিত্র]

===== Water bodies =====
[[File:Chernobyl, Ukraine.jpg|thumb|Reactor and surrounding area in April 2009]]
চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রাইপ্যাট নদীর পাশেই অবস্থিত, যা দনিপের জলাধারে মেসে, যা ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম জলাধার এবং কিয়েভের ২.৪ মিলিয়ন বাসিন্দাকে জল সরবরাহ করত।<ref name="MarplesSocialImpact"/>{{rp|60}} The radioactive contamination of aquatic systems therefore became a major problem in the immediate aftermath of the accident.<ref name=smithber05>{{Cite book |title=Chernobyl: Catastrophe and Consequences |first1=Jim T. |last1=Smith |first2=Nicholas A. |last2=Beresford |date=2005 |publisher=Springer |location=Berlin |isbn=978-3-540-23866-9}}</ref>


== দুঘর্টনাপরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ==
== দুঘর্টনাপরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ==

০৩:৫৭, ৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চেরনোবিলের বিপর্যয়
বিপর্যয়ের পর নিউক্লিয়ার পারমাণবিক চুল্লী। পারমাণবিক চুল্লী ৪(কেন্দ্রে)। টারবাইন ভবন (নীচদিকে বামে)। পারমাণবিক চুল্লী ৩ (কেন্দ্রে ডানে)।
তারিখ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ (1986-04-26)
সময়০১:২৩ (মস্কো সময় ইউটিসি+৩)
অবস্থানপৃপিয়াত, ইউক্রেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন
কারণএকটি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পারমাণবিক চুল্লীতে জরুরী বন্ধ করার কালে অসতর্ক বিস্ফোরণ
মৃত৩১ (সরাসরি)
জেনেভায় নিউক্লিয়ার-বিরোধী পাওয়ারের প্রতিবাদে মৃত অবসায়কদের প্রতিমূর্তি

তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৬শে এপ্রিল, ১৯৮৬ তারিখে সংঘটিত ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনাটি চেরনোবিলের বিপর্যয় হিসাবে পরিচিত। চেরনোবিল বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভূত। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়।

অবস্থান

দুর্ঘটনা

চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট পারমাণবিক চুল্লীর সংখ্যা ছিল ৪টি। ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত ১টা ২৩ মিনিটে ইউক্রেন ও বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির [১] চতুর্থ পারমাণবিক চুল্লী থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। দুর্ঘটনাটি মূলত ঘটেছিলো নিরাপদ শীতলীকরণের ওপর একটি পরীক্ষা চালানোর সময়। রাতের শিফটে দায়িত্বরত কর্মীরা ভুল করে পারমাণবিক চুল্লীটির টার্বাইনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শীতল জল প্রবাহিত করে। ফলে সেখানে বাষ্প কম উৎপাদিত হয়। এতে করে পারমাণবিক চুল্লীটি উত্তপ্ত হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে।
পরপর প্রায় একই সঙ্গে সংঘটিত দুটি বিস্ফোরণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চতুর্থ পারমাণবিক চুল্লীর ওপরের প্রায় এক হাজার টন ওজনের কংক্রিটের ঢাকনা সরে যায় এবং ছাদ ভেঙে যাওয়ার ফলে এক বিশাল গহ্বরের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর [২] বাইরের বাতাস ঢুকে পড়লে পারমাণবিক চুল্লীর দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে সেখানে বিরাট অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ আগুন ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এতে করে পারমাণবিক বিক্রিয়ায় তৈরি পদার্থ পরিবেশে প্রায় ১ কিলোমিটার উঁচু অবধি ছড়িয়ে পড়েছিল এবং প্রচুর পারমাণবিক ধুলো পরিবেশের ব্যাপক দূষণ ঘটিয়েছিল।[৩] পরিবেশে যে পরিমাণে পারমাণবিক পদার্থ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিক্ষিপ্ত প্রায় পাঁচশটি পারমাণবিক বোমার সমান। এই দুর্ঘটনার ফলে উদ্ভূত পারমাণবিক ভাবে সক্রিয় মেঘটি ইউক্রেন, বেলোরাশিয়া, রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে, গ্রেট ব্রিটেনে এমন কি পূর্ব আমেরিকার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে গিয়েছিল।[৪]

দুর্ঘটনার কারণ

দুর্ঘটনার জন্য কর্তব্যরত কর্মীদেরই দায়ী করা হয়ে থাকে। কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা বন্ধ করা ছিলো এবং পারমাণবিক চুল্লীটি অনুপযুক্ত অবস্থায় চালানো হচ্ছিলো, যার ফলে শক্তি নির্গমন অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল।[৫] আবার, একটি গবেষণায় বলা হয়েছে কর্মীদের রাতের শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এ দৃষ্টিকোণ থেকে সার্বিক ব্যবস্থাপনাও দায়ী। একারণে ৩ জনকে ১০ বছরের শাস্তি প্রদান করা হয়েছিল।

তবে বিস্ফোরণের পূর্বে কর্তব্যরত কর্মীরা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতো। তারা চুল্লীটি বন্ধ করে দিতে পারতো। কিন্তু পারমাণবিক চুল্লী বন্ধের এখতিয়ার তাদের ছিল না। যে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ চুল্লী বন্ধের নির্দেশ দিতে পারতেন এত রাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার সাহসও নিযুক্ত কর্মীদের ছিল না। ফলে তাদের চোখের সামনেই দুর্ঘটনাটি অনিবার্য হয়ে ওঠে।

১৯৯৬ সালে চেরনোবিলের চারপাশে পারমাণবিক বিকিরণের মানচিত্র

পরিণতি

ঘটনার সময় চেরনোবিলে প্রায় ১৪ হাজার বসতি ছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ৪ জন কর্মী মারা যান। পরবর্তীতে ২৩৭ জন মানুষ পারমাণবিক বিকিরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পরে এবং প্রথম তিন মাসে ৩১ জন মৃত্যুবরণ করে, যাদের অধিকাংশই উদ্ধারকর্মী[৬][৭]

সরকারি তথ্যমতে, দুর্ঘটনার কারণে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ছিল ছয় লক্ষ শিশু। [৩] এই দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতির পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের সমান বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।[৮] বর্তমানে চেরনোবিল শহরটি পরিত্যক্ত এবং প্রায় ৫০ মাইল এলাকা জুড়ে বলতে গেলে কেউ বাস করে না।

সিসিয়াম ১৩৭ দ্বারা দূষিত ইউরোপের অঞ্চল[৯]

দেশ ৩৭–১৮৫ kBq/m ১৮৫–৫৫৫ kBq/m ৫৫৫–১,৪৮০ kBq/m > ১,৪৮০ kBq/m
km % of country km % of country km % of country km % of country
মলদোভা ৬০ ০.২
স্লোভেনিয়া ৩০০ ১.৫
ইতালি ৩০০ ০.১
গ্রিস ১,২০০ ০.৯১
সুইজারল্যান্ড ১,৩০০ ৩.১
বুলগেরিয়া ৪,৮০০ ৪.৩
নরওয়ে ৫,২০০ ১.৩
অস্ট্রিয়া ৮,৬০০ ১০.৩
ফিনল্যান্ড ১১,৫০০ ৩.৪
সুইডেন ১২,০০০ ২.৭
বেলারুশ ২৯,৯০০ ১৪.৪ ১০,২০০ ৪.৯ ৪,২০০ ২.০ ২,২০০ ১.১
ইউক্রেন ৩৭,২০০ ৬.২ ৩,২০০ ০.৫৩ ৯০০ ০.১৫ ৬০০ ০.১
রাশিয়া ৪৯,৮০০ ০.২৯ ৫,৭০০ ০.০৩ ২,১০০ ০.০১ ৩০০ ০.০০২
মোট ১৬২,১৬০ km ১৯,১০০ km

৭,২০০ km ৩,১০০ km


অবশিষ্ট তেজস্ক্রিয়তা

চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এর চারপাশের বর্তমান বিকিরণ স্তরের মানচিত্র

Water bodies
Reactor and surrounding area in April 2009

চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রাইপ্যাট নদীর পাশেই অবস্থিত, যা দনিপের জলাধারে মেসে, যা ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম জলাধার এবং কিয়েভের ২.৪ মিলিয়ন বাসিন্দাকে জল সরবরাহ করত।[১০]:৬০ The radioactive contamination of aquatic systems therefore became a major problem in the immediate aftermath of the accident.[১১]

দুঘর্টনাপরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা

পারমাণবিক দূষণ থেকে পরিবেশকে সংরক্ষণ করতে একটি বিশাল কংক্রিটের খোলসের মধ্যে দুর্ঘটনাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া চতুর্থ পারমাণবিক চুল্লীটিকে ছয় মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে ঢেকে ফেলা হয়। ওই অস্থায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থাই এখন পর্যন্ত পারমাণবিক কেন্দ্রটির ধ্বংসাবশেষকে আটকে রাখার জন্য নির্মিত একমাত্র স্থাপনা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চেরনোবিলের ধ্বংসাবশেষে থাকা গলিত প্রায় ২০০ টন পরমাণু জ্বালানি থেকে যে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছে তা হাজার বছরেও সম্পূর্ণ দূর হবে না। তাই এ পরমাণু জ্বালানি বাইরের পরিবেশের আওতামুক্ত রাখতে নতুন একটি নিরাপত্তা স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। উচ্চাভিলাষী স্থাপনাটির নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি ইউরো বা ২২১ কোটি ডলার [৮]

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক কালের কন্ঠ
  2. গ্রীন ফ্যাক্টস
  3. "www.bengali.ruvr.ru"। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১১ 
  4. "www.bengali.ruvr.ru"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১১ 
  5. গ্রীন ফ্যাক্টস
  6. Hallenbeck, William H (১৯৯৪)। Radiation Protection। CRC Press। পৃষ্ঠা 15। আইএসবিএন 0-873-719-964Reported thus far are 237 cases of acute radiation sickness and 31 deaths. 
  7. Mould 2000, p. 29. "The number of deaths in the first three months were 31[.]"
  8. দৈনিক প্রথম আলো
  9. "3.1.5. Deposition of radionuclides on soil surfaces" (পিডিএফ)Environmental Consequences of the Chernobyl Accident and their Remediation: Twenty Years of Experience, Report of the Chernobyl Forum Expert Group 'Environment'। Vienna: International Atomic Energy Agency (IAEA)। ২০০৬। পৃষ্ঠা 23–25। আইএসবিএন 978-92-0-114705-9। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; MarplesSocialImpact নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. Smith, Jim T.; Beresford, Nicholas A. (২০০৫)। Chernobyl: Catastrophe and Consequences। Berlin: Springer। আইএসবিএন 978-3-540-23866-9