মহাকর্ষীয় পরকলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
২৫ নং লাইন: | ২৫ নং লাইন: | ||
মহাকর্ষীয় লেন্সিং শুধুমাত্র দৃশ্যমান আলকেই নয় বরং সকল প্রকার [[তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ|তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণেই]] কাজ করে। [[মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ]] সহ [[লহিতসরণের জড়িপ|গ্যালাক্সি জড়িপে]]ও দূর্বল লেন্সিং ব্যাবহার করা হয়। সবল লেন্সিংকে [[বেতার]] ও [[এক্স-রে]]তেও সনাক্ত করা হয়েছে। যদি কোনো সবল লেন্সিংএর মাধ্যমে একাধিক বিম্ব সৃষ্ট হয় তাহলে আলোর দুইটি পথের মাঝের আপেক্ষিক সময় বিলম্ব থাকে; অর্থাৎ একটি বিম্বে লেন্সেড বস্তুটি আগে ও অন্যটিতে পরে দেখা যাবে। |
মহাকর্ষীয় লেন্সিং শুধুমাত্র দৃশ্যমান আলকেই নয় বরং সকল প্রকার [[তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ|তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণেই]] কাজ করে। [[মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ]] সহ [[লহিতসরণের জড়িপ|গ্যালাক্সি জড়িপে]]ও দূর্বল লেন্সিং ব্যাবহার করা হয়। সবল লেন্সিংকে [[বেতার]] ও [[এক্স-রে]]তেও সনাক্ত করা হয়েছে। যদি কোনো সবল লেন্সিংএর মাধ্যমে একাধিক বিম্ব সৃষ্ট হয় তাহলে আলোর দুইটি পথের মাঝের আপেক্ষিক সময় বিলম্ব থাকে; অর্থাৎ একটি বিম্বে লেন্সেড বস্তুটি আগে ও অন্যটিতে পরে দেখা যাবে। |
||
==বিবরণ== |
|||
[[File:Artist's impression of gravitational lensing of a distant merger.ogv|thumb|left|মহাকর্ষীয় লেন্সিং - মধ্যস্থ ছায়াপথ একটি দূরবর্তী ছায়াপথের দৃষ্টিগোচরতাকে প্রণালী বদ্ধ করে। (ভিডিও; শিল্পীর কল্পনা)]] |
|||
[[File:Gravitational lensing of distant star-forming galaxies (schematic) -vid-.webm|thumb|left|এই পরিকল্পিত চিত্রটি দেখায়, কীভাবে একটি দূরবর্তী ছায়াপথ হতে আগত আলো পুরোভূমিতে থাকে ছায়াপথের মহাকর্ষীয় প্রভাবে বিকৃত হয়ে যায়। পুরোভূমিতে থাকা ছায়াপথটি একটি লেন্স হিসেবে কাজ করে এবং [[আইনস্টাইন বলয়]] সৃষ্টির মাধ্যমে দূরবর্তী আলোক উৎসটিকে বিকৃত কিন্তু বিবর্ধিত দেখায়।]] |
|||
[[File:Gravitational lensing of distant star-forming galaxies (schematic) 2.webm|thumb|এই ক্রিয়ার দ্বারা বিকৃত এসডিপি.৮১-এর একটি বিশ্লেষণ।]] |
|||
[[লেন্স|অক্ষি কাঁচের]] মত না হয়ে, মহাকর্ষীয় লেন্সগুলি এদের কেন্দ্রের সবচেয়ে কাছ দিয়ে যাওয়া আলোক রশ্মির সর্বোচ্চ এবং কেন্দ্রের সবচেয়ে দূরবর্তী আলোক রশ্মির সর্বোনিম্ন বিচ্যুতি ঘটায়। ফলস্বরূপ, একটি মহাকর্ষীয় লেন্সের কোনও একক [[কেন্দ্রবিন্দু (আলোকবিজ্ঞান)|ফোকাস বিন্দু]] নেই, তবে একটি ফোকাস অক্ষ রয়েছে। মহাকর্ষীয় আলোক প্রতিসরণের ক্ষেত্রে "লেন্স" কথাটি প্রথম [[স্যার অলিভার জোসেফ লজ]] কতৃক ব্যাবহৃত হয় যিনি এসম্পর্কে বলেন, "এটি বলা বৈধ নয় যে সৌর মহাকর্ষ ক্ষেত্রটি লেন্সের মতো কাজ করে, কারণ এর কোনও ফোকাস দূরত্ব নেই।"<ref name="Schneider, Peter; Ehlers, Jürgen; Falco, Emilio E. 1992">{{cite book | title = Gravitational Lenses |author1=Schneider, Peter |author2=Ehlers, Jürgen |author3=Falco, Emilio E. | publisher = Springer-Verlag Berlin Heidelberg New York Press | date = 1992 | isbn = 978-3-540-97070-5}}</ref> যদি আলোক উৎস, লেন্স এবং পরযবেক্ষক একটি সরল রেখায় অবস্থান করে, তাহলে পর্যবেক্ষকের কাছে আলোক উৎসটিকে বৃহৎ লেন্সকে ঘিরে একটি বলয় মনে হবে। যদি, রেখায় কোনো ত্রুটি থাকে (সরল রৈখিক না হলে) তাহলে পর্যবেক্ষক একটি ধনু আকৃতি দেখতে পাবে। আরো সাধারণভাবে, যেখানে লেন্সিং ভরটি জটিল এবং স্থান-কাল স্থান-কালের বৃত্তাকার বিকৃতি না ঘটায় তাহলে উৎসটি লেন্সের চারপাশে আংশিক ধনু আকৃতির প্রতিরূপ সৃষ্টি করবে। সে ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক একই উৎসেরই একাধিক বিকৃত বিম্ব দেখতে পারে; বিম্বের সংখ্যা এবং আকার উৎস, লেন্স ও পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক অবস্থান এবং লেন্স কতৃক স্থান-কালের বিকৃতির উপর নির্ভর করে।<ref>[http://astroreview.com/issue/2012/article/black-hole-horizons-and-how-they-begin Dieter Brill, "Black Hole Horizons and How They Begin", Astronomical Review (2012); Online Article, cited Sept.2012.]</ref> |
|||
মহাকর্ষীয় লেন্সিংএর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণি বিদ্যমানঃ<ref name="Schneider, Peter; Ehlers, Jürgen; Falco, Emilio E. 1992"/><ref>{{cite book | title = The Galactic Supermassive Black Hole | author = Melia, Fulvio | authorlink = ফুলভিয় মেলিয়া | publisher = Princeton University Press | date = 2007 | isbn = 978-0-691-13129-0 | pages = 255–256}}</ref> |
|||
১. [[সবল মহাকর্ষীয় লেন্সিং]]: এখানে বিকৃতি যেমন [[আইনস্টাইন বলয়]], ধনু এবং একাধিক বিম্বের সৃষ্টি সহজেই দৃশ্যমান হয়। |
|||
২. [[দূর্বল মহাকর্ষীয় লেন্সিং]]: এক্ষেত্রে উৎসের বিকৃতি অনেক ছোট এবং কেবলমাত্র কয়েক শতাংশের সুসংগত বিকৃতি খুঁজে পাওয়ার জন্য বিশাল পরিমাণ উৎসের তথ্যের পরিসংখ্যানমূলক বিশ্লেষণ করতে হয়। পরিসংখ্যানগতভাবে, লেন্সিংটি লেন্সের কেন্দ্রের দিকে উলম্বভাবে উৎসকে প্রসারিত হিসাবে দেখায়। বিশাল পরিমাণে দূরবর্তী ছায়াপথ সমূহের আকার ও ওরিয়েন্টেশনের বিশ্লেষণ করে এদের ওরিয়েন্টেশনের একটি গড় করা যায় যা ব্যাবহার করে লেন্সিং ক্ষেত্রটির যেকোনো অবস্থানের [[শিয়ার ম্যাট্রিক্স|শিয়ার]] হিসাব করা যায়। এটি, পালাক্রমে, এই অঞ্চলে ভর বিন্যাস পুনর্গঠন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে: বিশেষত, [[তমোপদার্থ|তমোপদার্থের]] বিন্যাস পুনর্গঠন করা যেতে পারে। যেহেতু অন্তর্নিহিত ছায়াপথগুলি উপবৃত্তাকার এবং দূর্বল লেন্সিং সংকেত খুবই ক্ষীণ, তাই এ ধরনের জরিপে বহু সংখ্যক [[ছায়াপথ]]কে পর্যবেক্ষনের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে [[নিরীক্ষণীয় ভুল|নিয়মানুগ ভুল]] গুলিকে এড়িয়ে চলতে হয়। [[ল্যামডা-সিডিএম নকশা]]র বিকাশ, অন্যান্য মহাকর্ষীয় পর্যবেক্ষনের মাঝে সমন্বয় সাধন সহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূর্বল লেন্সিং এর গুরুত্ব অনেক। |
|||
৩. [[মহাকর্ষীয় অনুলেন্সিং]]: এখানে আকৃতির কোনো বিকৃতি হয় না কিন্তু সময়ের সাথে উৎস হতে প্রাপ্ত আলোর পরিমাণে তারতম্য ঘটে। সাধারণ ক্ষেত্রে, লেন্সটি [[আকাশগঙ্গা ছায়াপথ|আকাশগঙ্গা ছায়াপথের]] একটি তারা এবং আলোক উৎসটি কোনো দূরবর্তী ছায়াপথের একটি [[তারা]] হতে পারে; কিছু ক্ষেত্রে তা আরো দূরবর্তী [[আপাত-নক্ষত্র]] হতে পারে। এই প্রভাবটি ক্ষীণ, এমনকি [[সৌর ভর|সৌর ভরের]] ১০০ বিলিয়ন গুণ ভরসম্পন্ন ছায়াপথও [[ধনুর মিনিট ও সেকেন্ড|ধনুসেকেন্ডের]] ব্যাবধানে একাধিক বিম্ব তৈরী করবে। [[ছায়াপথ স্তবক]]গুলির ক্ষেত্রে কয়েক [[ধনুর মিনিট ও সেকেন্ড|ধনুমিনিটের]] ব্যাবধান থাকতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই লেন্স ও উৎস বেশ দূরবর্তী হয়; আমাদের গ্যালাক্সি থেকে বেশ কয়েক শত [[পারসেক|মেগাপারসেক]] দূরে। |
|||
মহাকর্ষীয় লেন্সিং শুধুমাত্র দৃশ্যমান আলকেই নয় বরং সকল প্রকার [[তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ|তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণেই]] কাজ করে। [[মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ]] সহ [[লহিতসরণের জড়িপ|গ্যালাক্সি জড়িপে]]ও দূর্বল লেন্সিং ব্যাবহার করা হয়। সবল লেন্সিংকে [[বেতার]] ও [[এক্স-রে]]তেও সনাক্ত করা হয়েছে। যদি কোনো সবল লেন্সিংএর মাধ্যমে একাধিক বিম্ব সৃষ্ট হয় তাহলে আলোর দুইটি পথের মাঝের আপেক্ষিক সময় বিলম্ব থাকে; অর্থাৎ একটি বিম্বে লেন্সেড বস্তুটি আগে ও অন্যটিতে পরে দেখা যাবে। |
|||
==ইতিহাস== |
|||
[[File:1919 eclipse negative.jpg|right|thumb|150px|[[আর্থার স্ট্যানলি এডিংটন|আর্থার স্ট্যানলি এডিংটনে]]র ১৯১৯ সালের [[সূর্যগ্রহণ]] গবেষণার একটি চিত্র যা ১৯২০ সালে এর সফলাতা ঘোষণার সময় প্রকাশিত হয়।]] |
|||
১৭৮৪ সালে [[হেনরি ক্যাভেন্ডিশ]] (একটি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপিতে) এবং ১৮০১ [[জোহান জর্জি ফন সল্ডনার]] (১৮০৪ সালে প্রকাশিত) দেখান যে নিউটনীয় মহাকর্ষ বলে যে, একটি বৃহৎ বস্তুর কাছাকাছি নক্ষত্রালোক বেঁকে যাবে যা ইতিমধ্যেই [[আইজাক নিউটন]] কতৃক ১৭০৪ সালে [[অপটিক্স (বই)|অপটিএক্সের]] ১ নং [[দ্য কুয়েরি|কুয়েরিতে]] অনুমিত হয়েছিল।<ref>{{Cite journal |author=Soldner, J. G. V. |date=1804 |title=On the deflection of a light ray from its rectilinear motion, by the attraction of a celestial body at which it nearly passes by |journal=Berliner Astronomisches Jahrbuch |pages =161–172|title-link=s:Translation:On the Deflection of a Light Ray from its Rectilinear Motion }}</ref><ref name=Opticks>{{cite book|last=Newton|first=Isaac|author-link=আইজাক নিউটন |title=Opticks: or, a treatise of the reflexions, refractions, inflexions and colours of light. Also two treatises of the species and magnitude of curvilinear figures.|date=1998|publisher=Octavo|location=Palo Alto, Calif.|isbn=978-1-891788-04-8|edition=Octavo |others=Commentary by Nicholas Humez}} (''Opticks'' was originally published in 1704).</ref> সল্ডনার আলোর বাঁকনের যেই মান পান, ১৯১১ সালে আইনস্টাইনও [[সাম্য সূত্র|সাম্য সূত্রের]] ভিত্তিতে সেই একই মান পান।<ref name="Schneider, Peter; Ehlers, Jürgen; Falco, Emilio E. 1992"/> তবে, আইনস্টাইন ১৯১৫ সালে [[সাধারণ আপেক্ষিকতা]]র পূর্ণতা দানের সময় লক্ষ্য করেন, তার (সল্ডনারেরও) ১৯১১ সালের মানটি সঠিক মানের মাত্র অর্ধেকই ছিলো। আইনস্টাইনই প্রথম যিনি আলোর বাঁনের সঠিক মান নির্ণয় করেন।<ref>{{Cite journal |author=Will, C.M.|date=2006 |title=The Confrontation between General Relativity and Experiment |journal=Living Reviews in Relativity |volume =9 |issue=1 |page=39 |doi=10.12942/lrr-2006-3|arxiv = gr-qc/0510072 |bibcode = 2006LRR.....9....3W |pmid=28179873 |pmc=5256066 }}</ref> |
|||
সল্ডনারের সমীকরণটি (১৯১১সালের আইনস্টাইনের সমীকরণও) এরকম ছিলোঃ |
|||
:<math>\alpha = \frac{2GM}{rc^2}</math> |
|||
কিন্তু ১৯১৫ সালে আইনস্টাইন প্রদত্ত সঠিক সমীকরণে <math>\alpha</math> এর মান ছিলো পূর্বের সমীকরণের দ্বিগুণ অর্থাৎঃ |
|||
:<math>\alpha = \frac{4GM}{bc^2}</math> |
|||
যেখানে, |
|||
:<math>\alpha</math> হলো বিচ্যুতি কোণ, |
|||
: <math>G</math> হলো [[মহাকর্ষ ধ্রুবক]], |
|||
: <math>M</math> হলো লেন্সের ভর, |
|||
: <math>c</math> হলো [[আলোর গতিবেগ]], |
|||
: <math>b</math> হলো , <math>M</math> পর্যন্ত আলোক রশ্মির নিকটবর্তী পথ।<ref name="Introduction">{{cite |url=http://www.jb.man.ac.uk/distance/frontiers/glens/section1.htm| title = Gravitational lenses: introduction and history |author= | publisher = Jodrell Bank Centre for Astrophysics | date = }}</ref> |
|||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
০৯:১৭, ৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মহাকর্ষীয় লেন্স বা গ্র্যাভিটেশনাল লেন্স হলো একটি দূরবর্তী আলোক উৎস ও একটি পর্যবেক্ষকের মাঝে অবস্থিত ভরের এমন এক ধরনের বিন্যাস (যেমন ছায়াপথ স্তবক) যা উৎস হতে পর্যবেক্ষকের দিকে আলো যাওয়ার সময় একে বাঁকিয়ে দিতে পারে। এই প্রভাবটি মহাকর্ষীয় লেন্সিং হিসেবে পরিচিত। এই ক্রিয়ায় আলোর অবনমনের গণনা আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার অন্যতম বিষয়।[১][২] (চিরায়ত পদার্থবিদ্যায়ও আলোক অবনমনের হিসাব করা হয়েছিল কিন্তু, তার মান সাধারণ আপেক্ষিকতা প্রদত্ত মানের মাত্র অর্ধেকই ছিলো।)[৩]
যদিও, আইনস্টাইন এই বিষয়ে ১৯১২ সালে অপ্রকাশিত হিসাব করেন কিন্তু ওরেস্টেস খোভলসন ড্যানিলোভিচ (১৯২৪) ও ফ্র্যান্টিসেক লিঙ্ককে (১৯৩৬) এই ক্রিয়াটি প্রথম প্রকাশ করার জন্য সম্মান জানানো হয়।[৪][৫][৬] যাইহোক, এই প্রভাবটি অধিকাংশ স্থলে আইনস্টাইনের সাথে যুক্ত যিনি ১৯৩৬ সালে এবিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন।
ফ্রিট্জ জুইকি ১৯৩৭ সালে বলেন যে, ছায়াপথ স্তবকগুলিও এই প্রভাবের কারণে মহাকর্ষীয় লেন্স হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে, ১৯৭৯ সালে জমজ আপাত-নক্ষত্র এসবিএস ০৯৫৭+৫৬১ কে পর্যবেক্ষনের আগে এই প্রভাব নিশ্চিতকৃত হয়নি।
বিবরণ
অক্ষি কাঁচের মত না হয়ে, মহাকর্ষীয় লেন্সগুলি এদের কেন্দ্রের সবচেয়ে কাছ দিয়ে যাওয়া আলোক রশ্মির সর্বোচ্চ এবং কেন্দ্রের সবচেয়ে দূরবর্তী আলোক রশ্মির সর্বোনিম্ন বিচ্যুতি ঘটায়। ফলস্বরূপ, একটি মহাকর্ষীয় লেন্সের কোনও একক ফোকাস বিন্দু নেই, তবে একটি ফোকাস অক্ষ রয়েছে। মহাকর্ষীয় আলোক প্রতিসরণের ক্ষেত্রে "লেন্স" কথাটি প্রথম স্যার অলিভার জোসেফ লজ কতৃক ব্যাবহৃত হয় যিনি এসম্পর্কে বলেন, "এটি বলা বৈধ নয় যে সৌর মহাকর্ষ ক্ষেত্রটি লেন্সের মতো কাজ করে, কারণ এর কোনও ফোকাস দূরত্ব নেই।"[৭] যদি আলোক উৎস, লেন্স এবং পরযবেক্ষক একটি সরল রেখায় অবস্থান করে, তাহলে পর্যবেক্ষকের কাছে আলোক উৎসটিকে বৃহৎ লেন্সকে ঘিরে একটি বলয় মনে হবে। যদি, রেখায় কোনো ত্রুটি থাকে (সরল রৈখিক না হলে) তাহলে পর্যবেক্ষক একটি ধনু আকৃতি দেখতে পাবে। আরো সাধারণভাবে, যেখানে লেন্সিং ভরটি জটিল এবং স্থান-কাল স্থান-কালের বৃত্তাকার বিকৃতি না ঘটায় তাহলে উৎসটি লেন্সের চারপাশে আংশিক ধনু আকৃতির প্রতিরূপ সৃষ্টি করবে। সে ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক একই উৎসেরই একাধিক বিকৃত বিম্ব দেখতে পারে; বিম্বের সংখ্যা এবং আকার উৎস, লেন্স ও পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক অবস্থান এবং লেন্স কতৃক স্থান-কালের বিকৃতির উপর নির্ভর করে।[৮]
মহাকর্ষীয় লেন্সিংএর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণি বিদ্যমানঃ[৭][৯]
১. সবল মহাকর্ষীয় লেন্সিং: এখানে বিকৃতি যেমন আইনস্টাইন বলয়, ধনু এবং একাধিক বিম্বের সৃষ্টি সহজেই দৃশ্যমান হয়।
২. দূর্বল মহাকর্ষীয় লেন্সিং: এক্ষেত্রে উৎসের বিকৃতি অনেক ছোট এবং কেবলমাত্র কয়েক শতাংশের সুসংগত বিকৃতি খুঁজে পাওয়ার জন্য বিশাল পরিমাণ উৎসের তথ্যের পরিসংখ্যানমূলক বিশ্লেষণ করতে হয়। পরিসংখ্যানগতভাবে, লেন্সিংটি লেন্সের কেন্দ্রের দিকে উলম্বভাবে উৎসকে প্রসারিত হিসাবে দেখায়। বিশাল পরিমাণে দূরবর্তী ছায়াপথ সমূহের আকার ও ওরিয়েন্টেশনের বিশ্লেষণ করে এদের ওরিয়েন্টেশনের একটি গড় করা যায় যা ব্যাবহার করে লেন্সিং ক্ষেত্রটির যেকোনো অবস্থানের শিয়ার হিসাব করা যায়। এটি, পালাক্রমে, এই অঞ্চলে ভর বিন্যাস পুনর্গঠন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে: বিশেষত, তমোপদার্থের বিন্যাস পুনর্গঠন করা যেতে পারে। যেহেতু অন্তর্নিহিত ছায়াপথগুলি উপবৃত্তাকার এবং দূর্বল লেন্সিং সংকেত খুবই ক্ষীণ, তাই এ ধরনের জরিপে বহু সংখ্যক ছায়াপথকে পর্যবেক্ষনের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে নিয়মানুগ ভুল গুলিকে এড়িয়ে চলতে হয়। ল্যামডা-সিডিএম নকশার বিকাশ, অন্যান্য মহাকর্ষীয় পর্যবেক্ষনের মাঝে সমন্বয় সাধন সহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূর্বল লেন্সিং এর গুরুত্ব অনেক।
৩. মহাকর্ষীয় অনুলেন্সিং: এখানে আকৃতির কোনো বিকৃতি হয় না কিন্তু সময়ের সাথে উৎস হতে প্রাপ্ত আলোর পরিমাণে তারতম্য ঘটে। সাধারণ ক্ষেত্রে, লেন্সটি আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি তারা এবং আলোক উৎসটি কোনো দূরবর্তী ছায়াপথের একটি তারা হতে পারে; কিছু ক্ষেত্রে তা আরো দূরবর্তী আপাত-নক্ষত্র হতে পারে। এই প্রভাবটি ক্ষীণ, এমনকি সৌর ভরের ১০০ বিলিয়ন গুণ ভরসম্পন্ন ছায়াপথও ধনুসেকেন্ডের ব্যাবধানে একাধিক বিম্ব তৈরী করবে। ছায়াপথ স্তবকগুলির ক্ষেত্রে কয়েক ধনুমিনিটের ব্যাবধান থাকতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই লেন্স ও উৎস বেশ দূরবর্তী হয়; আমাদের গ্যালাক্সি থেকে বেশ কয়েক শত মেগাপারসেক দূরে।
মহাকর্ষীয় লেন্সিং শুধুমাত্র দৃশ্যমান আলকেই নয় বরং সকল প্রকার তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণেই কাজ করে। মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ সহ গ্যালাক্সি জড়িপেও দূর্বল লেন্সিং ব্যাবহার করা হয়। সবল লেন্সিংকে বেতার ও এক্স-রেতেও সনাক্ত করা হয়েছে। যদি কোনো সবল লেন্সিংএর মাধ্যমে একাধিক বিম্ব সৃষ্ট হয় তাহলে আলোর দুইটি পথের মাঝের আপেক্ষিক সময় বিলম্ব থাকে; অর্থাৎ একটি বিম্বে লেন্সেড বস্তুটি আগে ও অন্যটিতে পরে দেখা যাবে।
বিবরণ
অক্ষি কাঁচের মত না হয়ে, মহাকর্ষীয় লেন্সগুলি এদের কেন্দ্রের সবচেয়ে কাছ দিয়ে যাওয়া আলোক রশ্মির সর্বোচ্চ এবং কেন্দ্রের সবচেয়ে দূরবর্তী আলোক রশ্মির সর্বোনিম্ন বিচ্যুতি ঘটায়। ফলস্বরূপ, একটি মহাকর্ষীয় লেন্সের কোনও একক ফোকাস বিন্দু নেই, তবে একটি ফোকাস অক্ষ রয়েছে। মহাকর্ষীয় আলোক প্রতিসরণের ক্ষেত্রে "লেন্স" কথাটি প্রথম স্যার অলিভার জোসেফ লজ কতৃক ব্যাবহৃত হয় যিনি এসম্পর্কে বলেন, "এটি বলা বৈধ নয় যে সৌর মহাকর্ষ ক্ষেত্রটি লেন্সের মতো কাজ করে, কারণ এর কোনও ফোকাস দূরত্ব নেই।"[৭] যদি আলোক উৎস, লেন্স এবং পরযবেক্ষক একটি সরল রেখায় অবস্থান করে, তাহলে পর্যবেক্ষকের কাছে আলোক উৎসটিকে বৃহৎ লেন্সকে ঘিরে একটি বলয় মনে হবে। যদি, রেখায় কোনো ত্রুটি থাকে (সরল রৈখিক না হলে) তাহলে পর্যবেক্ষক একটি ধনু আকৃতি দেখতে পাবে। আরো সাধারণভাবে, যেখানে লেন্সিং ভরটি জটিল এবং স্থান-কাল স্থান-কালের বৃত্তাকার বিকৃতি না ঘটায় তাহলে উৎসটি লেন্সের চারপাশে আংশিক ধনু আকৃতির প্রতিরূপ সৃষ্টি করবে। সে ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক একই উৎসেরই একাধিক বিকৃত বিম্ব দেখতে পারে; বিম্বের সংখ্যা এবং আকার উৎস, লেন্স ও পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক অবস্থান এবং লেন্স কতৃক স্থান-কালের বিকৃতির উপর নির্ভর করে।[১০]
মহাকর্ষীয় লেন্সিংএর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণি বিদ্যমানঃ[৭][১১]
১. সবল মহাকর্ষীয় লেন্সিং: এখানে বিকৃতি যেমন আইনস্টাইন বলয়, ধনু এবং একাধিক বিম্বের সৃষ্টি সহজেই দৃশ্যমান হয়।
২. দূর্বল মহাকর্ষীয় লেন্সিং: এক্ষেত্রে উৎসের বিকৃতি অনেক ছোট এবং কেবলমাত্র কয়েক শতাংশের সুসংগত বিকৃতি খুঁজে পাওয়ার জন্য বিশাল পরিমাণ উৎসের তথ্যের পরিসংখ্যানমূলক বিশ্লেষণ করতে হয়। পরিসংখ্যানগতভাবে, লেন্সিংটি লেন্সের কেন্দ্রের দিকে উলম্বভাবে উৎসকে প্রসারিত হিসাবে দেখায়। বিশাল পরিমাণে দূরবর্তী ছায়াপথ সমূহের আকার ও ওরিয়েন্টেশনের বিশ্লেষণ করে এদের ওরিয়েন্টেশনের একটি গড় করা যায় যা ব্যাবহার করে লেন্সিং ক্ষেত্রটির যেকোনো অবস্থানের শিয়ার হিসাব করা যায়। এটি, পালাক্রমে, এই অঞ্চলে ভর বিন্যাস পুনর্গঠন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে: বিশেষত, তমোপদার্থের বিন্যাস পুনর্গঠন করা যেতে পারে। যেহেতু অন্তর্নিহিত ছায়াপথগুলি উপবৃত্তাকার এবং দূর্বল লেন্সিং সংকেত খুবই ক্ষীণ, তাই এ ধরনের জরিপে বহু সংখ্যক ছায়াপথকে পর্যবেক্ষনের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে নিয়মানুগ ভুল গুলিকে এড়িয়ে চলতে হয়। ল্যামডা-সিডিএম নকশার বিকাশ, অন্যান্য মহাকর্ষীয় পর্যবেক্ষনের মাঝে সমন্বয় সাধন সহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূর্বল লেন্সিং এর গুরুত্ব অনেক।
৩. মহাকর্ষীয় অনুলেন্সিং: এখানে আকৃতির কোনো বিকৃতি হয় না কিন্তু সময়ের সাথে উৎস হতে প্রাপ্ত আলোর পরিমাণে তারতম্য ঘটে। সাধারণ ক্ষেত্রে, লেন্সটি আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি তারা এবং আলোক উৎসটি কোনো দূরবর্তী ছায়াপথের একটি তারা হতে পারে; কিছু ক্ষেত্রে তা আরো দূরবর্তী আপাত-নক্ষত্র হতে পারে। এই প্রভাবটি ক্ষীণ, এমনকি সৌর ভরের ১০০ বিলিয়ন গুণ ভরসম্পন্ন ছায়াপথও ধনুসেকেন্ডের ব্যাবধানে একাধিক বিম্ব তৈরী করবে। ছায়াপথ স্তবকগুলির ক্ষেত্রে কয়েক ধনুমিনিটের ব্যাবধান থাকতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই লেন্স ও উৎস বেশ দূরবর্তী হয়; আমাদের গ্যালাক্সি থেকে বেশ কয়েক শত মেগাপারসেক দূরে।
মহাকর্ষীয় লেন্সিং শুধুমাত্র দৃশ্যমান আলকেই নয় বরং সকল প্রকার তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণেই কাজ করে। মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ সহ গ্যালাক্সি জড়িপেও দূর্বল লেন্সিং ব্যাবহার করা হয়। সবল লেন্সিংকে বেতার ও এক্স-রেতেও সনাক্ত করা হয়েছে। যদি কোনো সবল লেন্সিংএর মাধ্যমে একাধিক বিম্ব সৃষ্ট হয় তাহলে আলোর দুইটি পথের মাঝের আপেক্ষিক সময় বিলম্ব থাকে; অর্থাৎ একটি বিম্বে লেন্সেড বস্তুটি আগে ও অন্যটিতে পরে দেখা যাবে।
ইতিহাস
১৭৮৪ সালে হেনরি ক্যাভেন্ডিশ (একটি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপিতে) এবং ১৮০১ জোহান জর্জি ফন সল্ডনার (১৮০৪ সালে প্রকাশিত) দেখান যে নিউটনীয় মহাকর্ষ বলে যে, একটি বৃহৎ বস্তুর কাছাকাছি নক্ষত্রালোক বেঁকে যাবে যা ইতিমধ্যেই আইজাক নিউটন কতৃক ১৭০৪ সালে অপটিএক্সের ১ নং কুয়েরিতে অনুমিত হয়েছিল।[১২][১৩] সল্ডনার আলোর বাঁকনের যেই মান পান, ১৯১১ সালে আইনস্টাইনও সাম্য সূত্রের ভিত্তিতে সেই একই মান পান।[৭] তবে, আইনস্টাইন ১৯১৫ সালে সাধারণ আপেক্ষিকতার পূর্ণতা দানের সময় লক্ষ্য করেন, তার (সল্ডনারেরও) ১৯১১ সালের মানটি সঠিক মানের মাত্র অর্ধেকই ছিলো। আইনস্টাইনই প্রথম যিনি আলোর বাঁনের সঠিক মান নির্ণয় করেন।[১৪]
সল্ডনারের সমীকরণটি (১৯১১সালের আইনস্টাইনের সমীকরণও) এরকম ছিলোঃ
কিন্তু ১৯১৫ সালে আইনস্টাইন প্রদত্ত সঠিক সমীকরণে এর মান ছিলো পূর্বের সমীকরণের দ্বিগুণ অর্থাৎঃ
যেখানে,
- হলো বিচ্যুতি কোণ,
- হলো মহাকর্ষ ধ্রুবক,
- হলো লেন্সের ভর,
- হলো আলোর গতিবেগ,
- হলো , পর্যন্ত আলোক রশ্মির নিকটবর্তী পথ।[১৫]
তথ্যসূত্র
- ↑ Drakeford, Jason; Corum, Jonathan; Overbye, Dennis (মার্চ ৫, ২০১৫)। "Einstein's Telescope - video (02:32)"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫।
- ↑ Overbye, Dennis (মার্চ ৫, ২০১৫)। "Astronomers Observe Supernova and Find They're Watching Reruns"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৫।
- ↑ Cf. Kennefick 2005 for the classic early measurements by the Eddington expeditions; for an overview of more recent measurements, see Ohanian ও Ruffini 1994, ch. 4.3. For the most precise direct modern observations using quasars, cf. Shapiro এবং অন্যান্য 2004
- ↑ Tilman Sauer (২০০৮)। "Nova Geminorum 1912 and the Origin of the Idea of Gravitational Lensing"। Archive for History of Exact Sciences। 62 (1): 1–22। arXiv:0704.0963 । ডিওআই:10.1007/s00407-007-0008-4।
- ↑ Turner, Christina (ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০০৬)। "The Early History of Gravitational Lensing" (পিডিএফ)। জুলাই ২৫, ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Bičák, Jiří; Ledvinka, Tomáš (২০১৪)। General Relativity, Cosmology and Astrophysics: Perspectives 100 years after Einstein's stay in Prague (illustrated সংস্করণ)। Springer। পৃষ্ঠা 49–50। আইএসবিএন 9783319063492।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Schneider, Peter; Ehlers, Jürgen; Falco, Emilio E. (১৯৯২)। Gravitational Lenses। Springer-Verlag Berlin Heidelberg New York Press। আইএসবিএন 978-3-540-97070-5।
- ↑ Dieter Brill, "Black Hole Horizons and How They Begin", Astronomical Review (2012); Online Article, cited Sept.2012.
- ↑ Melia, Fulvio (২০০৭)। The Galactic Supermassive Black Hole। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 255–256। আইএসবিএন 978-0-691-13129-0।
- ↑ Dieter Brill, "Black Hole Horizons and How They Begin", Astronomical Review (2012); Online Article, cited Sept.2012.
- ↑ Melia, Fulvio (২০০৭)। The Galactic Supermassive Black Hole। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 255–256। আইএসবিএন 978-0-691-13129-0।
- ↑ Soldner, J. G. V. (১৮০৪)। "On the deflection of a light ray from its rectilinear motion, by the attraction of a celestial body at which it nearly passes by"। Berliner Astronomisches Jahrbuch: 161–172।
- ↑ Newton, Isaac (১৯৯৮)। Opticks: or, a treatise of the reflexions, refractions, inflexions and colours of light. Also two treatises of the species and magnitude of curvilinear figures.। Commentary by Nicholas Humez (Octavo সংস্করণ)। Palo Alto, Calif.: Octavo। আইএসবিএন 978-1-891788-04-8। (Opticks was originally published in 1704).
- ↑ Will, C.M. (২০০৬)। "The Confrontation between General Relativity and Experiment"। Living Reviews in Relativity। 9 (1): 39। arXiv:gr-qc/0510072 । ডিওআই:10.12942/lrr-2006-3। পিএমআইডি 28179873। পিএমসি 5256066 । বিবকোড:2006LRR.....9....3W।
- ↑ Gravitational lenses: introduction and history, Jodrell Bank Centre for Astrophysics
- গ্রন্থপঞ্জি
- "Accidental Astrophysicists". Science News, June 13, 2008.
- "XFGLenses". A Computer Program to visualize Gravitational Lenses, Francisco Frutos-Alfaro
- "G-LenS". A Point Mass Gravitational Lens Simulation, Mark Boughen.
- Newbury, Pete, "Gravitational Lensing". Institute of Applied Mathematics, The University of British Columbia.
- Cohen, N., "Gravity's Lens: Views of the New Cosmology", Wiley and Sons, 1988.
- "Q0957+561 Gravitational Lens". Harvard.edu.
- Bridges, Andrew, "Most distant known object in universe discovered". Associated Press. February 15, 2004. (Farthest galaxy found by gravitational lensing, using Abell 2218 and Hubble Space Telescope.)
- Analyzing Corporations ... and the Cosmos An unusual career path in gravitational lensing.
- "HST images of strong gravitational lenses". Harvard-Smithsonian Center for Astrophysics.
- "A planetary microlensing event" and "A Jovian-mass Planet in Microlensing Event OGLE-2005-BLG-071", the first extra-solar planet detections using microlensing.
- Gravitational lensing on arxiv.org
- NRAO CLASS home page
- AT20G survey
- A diffraction limit on the gravitational lens effect (Bontz, R. J. and Haugan, M. P. "Astrophysics and Space Science" vol. 78, no. 1, p. 199-210. August 1981)
- তদতিরিক্ত পড়ুন
- Blandford & Narayan; Narayan, R (১৯৯২)। "Cosmological applications of gravitational lensing"। Annual Review of Astronomy and Astrophysics। 30 (1): 311–358। ডিওআই:10.1146/annurev.aa.30.090192.001523। বিবকোড:1992ARA&A..30..311B।
- Matthias Bartelmann; Peter Schneider (২০০০-০৮-১৭)। "Weak Gravitational Lensing" (পিডিএফ)। ২০০৭-০২-২৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- Khavinson, Dmitry; Neumann, Genevra (জুন–জুলাই ২০০৮)। "From Fundamental Theorem of Algebra to Astrophysics: A "Harmonious" Path" (পিডিএফ)। Notices of the AMS। 55 (6): 666–675। .
- Petters, Arlie O.; Levine, Harold; Wambsganss, Joachim (২০০১)। Singularity Theory and Gravitational Lensing। Progress in Mathematical Physics। 21। Birkhäuser।
- Tools for the evaluation of the possibilities of using parallax measurements of gravitationally lensed sources (Stein Vidar Hagfors Haugan. June 2008)
বহিসংযোগ
- Video: Evalyn Gates – Einstein's Telescope: The Search for Dark Matter and Dark Energy in the Universe, presentation in Portland, Oregon, on April 19, 2009, from the author's recent book tour.
- Audio: Fraser Cain and Dr. Pamela Gay – Astronomy Cast: Gravitational Lensing, May 2007