স্টেম ক্ষেত্রে নারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ →গতানুগতিকতা: অনুবাদ, সম্প্রসারণ |
|||
১৯১ নং লাইন: | ১৯১ নং লাইন: | ||
==== গতানুগতিকতা ==== |
==== গতানুগতিকতা ==== |
||
স্টেম ক্ষেত্রে প্রচলিত গতানুগতিক ধারণার তীব্রতা এই ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বতন্ত্রের উন্নতি ও উৎকর্ষকে প্রায়শঃই উহ্য রাখে। <ref name=Wells1985>{{cite journal|last1=Wells|first1=Gary L.|title=The Conjunction Error and the Representativeness Heuristic|journal=Social Cognition| year=1985|volume=3|issue=3| pages=266–279|doi=10.1521/soco.1985.3.3.266}}</ref> গতানুগতিক ধারণার বিজ্ঞানী কিংবা ব্যক্তি স্টেম ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তি মাত্রই পুরুষ বলে মনে করে নেন। <ref name=Good2010>{{cite journal|last1=Good|first1=Jessica J.|last2=Woodzicka|first2=Julie A.|last3= Wingfield|first3= Lylan C.|title=The Effects of Gender Stereotypic and Counter-Stereotypic Textbook Images on Science Performance|journal=Journal of Social Psychology|year=2010|volume=150|issue=2|pages=132–147|doi=10.1080/00224540903366552}}</ref> স্টেম ক্ষেত্রে নারীরা কারো কারো বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা গণিতজ্ঞের যেরকমটা হওয়া উচিৎ ঠিক সেরকম হন না। দ্যা রোল কনগ্রুইটি থিওরি অব প্রিজুডিস বলে, একটি নির্দিষ্ট চরিত্রে বা কর্মক্ষেত্রে কোন পদের লৈঙ্গিক অসামঞ্জস্য সেই পদে বা চরিত্রে আসীন ব্যক্তির যোগ্যতাকে ঋণাত্মকভাবে যাচাই করে।<ref name=Eagly2002>{{cite journal|last1=Eagly|first1=A.H.|last2=Karau|first2=S.J.|title=Role congruity theory of prejudice toward female leaders|journal=Psychological Review|year=2002| volume=109|issue=3| pages=573–598| doi=10.1037/0033-295x.109.3.573| pmid=12088246}}</ref><ref name=Garcia-Retamero2006>{{cite journal|last1=Garcia-Retamero|first1=R.|last2=Lopez-Zafra|first2=E.|title=Prejudice against Women in Male-congenial Environments: Perceptions of Gender Role Congruity in Leadership|journal=Sex Roles|year=2006|volume=55|issue=1–2|pages=51–61|doi=10.1007/s11199-006-9068-1}}</ref><ref name=Ritter2004>{{cite journal|last1=Ritter|first1=B.A.|last2=Yoder|first2=J.D.|title=Gender Differences in Leader Emergence Persist Even for Dominant Women: An Updated Confirmation of Role Congruity Theory|journal=Psychology of Women Quarterly|year=2004|volume=28|issue=3|pages=187–193|doi=10.1111/j.1471-6402.2004.00135.x}}</ref> একই সাথে স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি ঋণাত্মক ধারণা তাঁদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও উৎসাহও কমিয়ে দেয়। <ref name=Miyake2010>{{cite journal|last1=Miyake|first1=A.|last2=Kost-Smith|first2=L.E.|last3=Finkelstein|first3=N.D.|last4 = Pollock|first4=S.J.|last5=Cohen|first5=G.L.|last6=Ito|first6=T.A.|title=Reducing the Gender Achievement Gap in College Science: A Classroom Study of Values Affirmation|journal=Science| year=2010|volume=330|issue=6008| pages=1234–1237| doi=10.1126/science.1195996 | pmid=21109670}}</ref> |
|||
নারী ও পুরুষ উভয়ই নিজেদের গতানুগতিক ধারার বাইরে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে বৈষম্যের শিকার হন। ব্যক্তিক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কর্মের জন্য নির্দিষ্ট লৈঙ্গিক পরিচয়ের মানুষের প্রাধান্য বরাবরই দেয়া হয়। <ref name=Gaucher2011>{{cite journal| last1=Gaucher|first1=D.| last2=Friesen|first2=J.|last3=Kay| first3=A.C.|title=Evidence that gendered wording in job advertisements exists and sustains gender inequality|journal=Journal of Personality and Social Psychology|year=2011|volume=101| issue=1|pages=109–128| doi=10.1037/a0022530|pmid=21381851}}</ref><ref name=Lyness2006>{{cite journal|last1=Lyness|first1=K.S.|last2=Heilman|first2=M.E.|title=When fit is fundamental: Performance evaluations and promotions of upper-level female and male managers|journal=Journal of Applied Psychology| year=2006|volume=91| issue=4| pages=777–785| doi=10.1037/0021-9010.91.4.777|pmid=16834505}}</ref> একটি গবেষণায় দেখা গেছে , পুরুষদের জন্য লক্ষ্য করে করা চাকুরি বিজ্ঞাপনে "লক্ষ্য" ও "নেতৃত্ব" এই ধরনের শব্দমালা ব্যবহার হয়। <ref name=Gaucher2011/> ১৯৯১ সালে প্রস্তাবিত সামাজিক চরিত্রায়ন তত্ত্বমতে, পুরুষকর্মীদের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুণ ও নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে যোগাযোগ গুণাবলিএ প্রাধান্য দেয়া হয়।<ref name=Eagly1991>{{cite journal|last1=Eagly|first1=A.H.|last2=Wood|first2=W.|title=Explaining Sex Differences in Social Behavior: A Meta-Analytic Perspective|journal=Personality and Social Psychology Bulletin|year=1991|volume=17|issue=3|pages=306–315| doi=10.1177/0146167291173011}}</ref> These expectations can influence hiring decisions.<ref name=Madera2009>{{cite journal| last1=Madera|first1=J.M.|last2=Hebl|first2=M.R.|last3=Martin|first3=R.C.| title=Gender and letters of recommendation for academia: Agentic and communal differences|journal=Journal of Applied Psychology|year=2009|volume=94|issue=6|pages=1591–1599|doi=10.1037/a0016539}}</ref> ২০০১৯ সালের নারী ও পুরুষ চাকুরিপ্রার্থীর লেটার অব রেকমেন্ডেশোন পর্যালোচনা করে একই প্রভাব দেখতে পাওয়া গেছে। গবেষকেরা এটাও লক্ষ করেন, যোগাযোগে গুণ একাডেমিক ক্ষেত্রে প্রক্ক্রিতপক্ষে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলে।<ref name=Madera2009/> |
|||
যদিও ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের জন্য প্রচলিত পদে আসীন নারীদেরকে "সত্যিকারের" নারী বলা হয় না এবং তা কর্মরত নারীদের ততোটা বিরক্ত করে না। তবে একই ধরণের বক্তব্য কোন পুরুষ কোন ঐতিহ্যগতভাবে নারীর কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে বলা হলে সেই পুরুষদের উপর খুব তীব্র প্রভাব ফেলে। এথেকে প্রমাণিত হয় যে, নারীরা খুব সহজেই পুরুষদের জন্য বরাদ্দ কাজে নিজেদে মানিয়ে নিতে পারে যখনই তারা সেই সুযোগ পায়। <ref>Cohn, Samuel. 1985. ''The Process of Occupational Sex-Typing''. Philadelphia: Temple University Press.</ref> অপরদিকে , মানব ইতিহাস ঘেটে তেমন কোন কর্মক্ষেত্রে পাওয়া যায় না, যা পূর্বে নারী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও এখন পুরুষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। অল্প কিছু ক্ষেত্রে,যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে যদি পুরুষত্বের বা শক্তিশালী বাহুর প্রয়োজন হয়, তখনই শুধুমাত্র পুরুষদের সেই কর্মক্ষেত্রে যোগদানের প্রবণতা দেখা গেছে। <ref>Ehrenreich, Barbara, and Deirdre English. 1978. For Her Own Good: 100 Years of Expert Advice to Women. Garden City, N.Y.: Anchor Press.</ref> |
|||
যদিও নারীতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের তাদের পুরুষত্বের জন্য ঋণাত্মকভাবে সমাজে দেখা হয় তাও তারা কিছু বেশ সুবিধা ও সুযোগ পেয়ে থাকে। |
|||
১৯৯২ সালে এভাবে বলা হয় যে, নারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে "গ্লাস সিলিংঃ ভাঙতে আঘাত হানে আর পুরুষেরা নারীতান্ত্রিক সমাজে "গ্লাস এস্কেলেটর" ভাঙতে আঘাত হানে। <ref>{{cite journal | last1 = Williams | first1 = Christine | year = 1992 | title = The Glass Escalator: Hidden Advantages for Men in the 'Female' Professions | journal = Social Problems | volume = 39 | issue = | pages = 253–267 | jstor=3096961 | doi=10.1525/sp.1992.39.3.03x0034h}}</ref> এক্ষাত্রে গ্লাস সিলিং ভাঙা একজন নারীর জন্য কষ্টসাধ্য হলেও, কেননা এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে হয়। তবে গ্লাস এসকেলেটরে একটি নারীতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা অন্তত প্রবেশে সুযোগ পায়। |
|||
==== কালো ভেড়া প্রভাব ==== |
==== কালো ভেড়া প্রভাব ==== |
১০:০৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়া হতে নিবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০১৮ উপলক্ষে তৈরী করা হলো, নিবন্ধটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিবন্ধকার কর্তৃক অনুবাদ দ্বারা মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে; আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন। আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। |
অনেক গবেষক ও নীতিনির্ধারক লক্ষ করেছেন যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গনিত (স্টেম ক্ষেত্রে) ক্ষেত্রের চাকুরিবাজার পুরুষের আধিপত্যতা চোখে পড়ার মতো। ঐতিহাসিকভাবে নারীদের অংশগ্রহন আলোকিত যুগ থেকেই এইসব ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম। উল্লেখ্য যে, চিকিৎসা ক্ষেত্রের মতোই, স্টেম কর্মক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরী দক্ষতার দরকার হয়।
১৯৭০ সালের নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে নারী ও পুরুষের শিক্ষার সুযোগ বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রায় সমান হয়ে এসেছে। কিছু কিছু দেশে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের স্নাতক অর্জনের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। [১] যদিও তা নির্ভর করে কোন বিষয়ের উপর শিক্ষা নেয়া হচ্ছে।
গবেষকেরা স্টেম ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ব্যবধানের একাধিক কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। যারা নারী-পুরুষ ব্যবধানের কারণ বৈষম্য মনে করেন তারা এই ক্ষেত্রেও নারী -পুরুষ বৈষম্যর দিকের জোর দেন। যা মূলতঃ বিশ্বজুড়ে চাকুরিবাজারে তৈরি আগ্রহ সহ একাধিক সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গির দিকে ইঙ্গিত দেয়।[২][৩][৪][৫][৬] আবার কারো কারো দৃষ্টিতে এই বৈচিত্র্যতা মানবকল্যাণের নিমিত্ত এবং ইতিহাস ও বর্তমানের কারণ কিংবা সীমাবদ্ধতার উর্দ্ধে উঠে আরো বেশি বৈচিত্র্যতা প্রয়োজন মনে করেন।
স্টেম ক্ষেত্রে লিঙ্গ অসমতা
নারী শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞানের মত বিষয়ে সফলতার হার একাধিক প্রভাবে প্রভাবান্বিত বলে গবেষণায় দেখা গেছে। পরিবারের উৎসাহ, গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক, শিক্ষানীতি, বাস্তবমুখি হাতে-কলমে শিক্ষাদান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতে অর্জন ইত্যাদি এক্ষেত্রে অন্যতম। [৭] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায়, গণিত ও বিজ্ঞানে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের উপরে করা গবেষণার ফলাফল বেশ মিশ্র। দেশজুড়ে চালানো একাধিক সমীক্ষায়, এক গবেষক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শুরুর দিকে মেয়ে ও ছেলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি খুব কম হারে ভিন্ন আচরণ দেখায় বলে লক্ষ করেন।[৭] গণিত ও বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ শিক্ষার্থীদের মাঝে গড়ে মূলতঃ শিক্ষার্থীরা কোন কোর্স মাধ্যমকে নিচ্ছে এবং সেগুলোর উপর কিরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তার উপর।
১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, মেয়ে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পর্যায়ে এসে তাদে আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করে কেননা তারা বিশ্বাস করতে শুরু করে পুরুষেরা নারী অপেক্ষা প্রযুক্তির দিকে দিয়ে অধিক বুদ্ধিমান। [৮] প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ক্যারিয়ার গঠনে পুরুষেরা এগিয়ে থাকায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই ভুল ধারণা আরো বেশী পাকাপোক্ত হয়েছে। .[৪] নারীবাদী গবেষকেরা ব্যাখ্যা করেন, সাংস্কৃতিকগতভাবে ছেলেরা শ্রেনীকক্ষের বাইরেও হাতের কাজ করাতে বেশী উৎসাহ পায়, যা তাদের এইসব ক্ষেত্রে দক্ষ হতে সাহায্য করে।[৯] গবেষণায় দেখা গেছে, উপযুক্ত শিক্ষা পেলে মেয়েরাও একই রকম দক্ষতা অর্জন করতে পারে। [১০][১১]
স্টেম ক্যারিয়ারে নারীর সংখ্যালঘু উপস্থিতির প্রভাব
স্কটল্যান্ডে বিশাল সংখ্যক নারীরা স্টেম ক্ষেত্র থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও এর চাকুরিক্ষেত্রে প্রবেশ করেনি। যার ফলাফলে দেশটির জাতীয় আয়ের বাৎসরিক ক্ষতি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।[১২]
পুরুষ ও নারীর আয়
নারী স্নাতক ডিগ্রীধারী একজন পুরুষ স্নাতকধারী অপেক্ষা গড়ে কম উপার্জন করে।যদিও ১৯৮০তে তারা উপার্জন বৃদ্ধিতে সমভাবে অবদান রেখেছে। উপার্জনের এই ভিন্নতার অন্যতম কারণ নারী ও পুরুষের চাকুরিবাজার ভিন্নতা। সাম্প্রতিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিদ্যায় ডিগ্রীধারীগণের মধ্যে পুরুষদের চেয়ে নারীরা খুব কম সংখ্যকই বিজ্ঞান কিংবা প্রকৌশলীবিদ্যা সংক্রান্ত চাকুরিতে যোগ দেন। তুলনামূলক বৈজ্ঞানিক পদেও নারী ও পুরুষের বেতনভাতায় একটা ব্যবধান রয়ে যায়। অভিজ্ঞ এবং নতুন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের মাঝেও বেতনভাতার ব্যবধান এতটা বিশাল না যতটা ব্যবধান নারী ও পুরুষ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের বেলায় দেখা যায়। [১৩] গণিত, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল পেশায় বেতন সর্বোচ্চ এবং এই সকল ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্ব সবচেয়ে কম। অস্ট্রেলিয়া পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারী ও পুরুষের মধ্যকার লিঙ্গ বৈষম্য শুধুমাত্র স্টেম ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের তথ্যানুসারে প্রায় ৩০.১ শতাংশ, যা ২০১২ সাল অপেক্ষা ৩ শতাংশ বেশি।[১৪]
শিক্ষা ও উপলব্ধি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ শতাংশ স্টেম ক্ষেত্রের পিএইচডি ধারী নারী। [১৫] যদিও অন্যসব বিভাগের শিক্ষাক্ষেত্রে এই হার প্রায় ৫২ শতাংশ। একজন নারীকে স্টেম ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলে গতানুগতিক চিন্তাভাবনা এবং শিক্ষাক্ষেত্রের ভিন্নতা অনুপ্রানিত করে।[১৬] টমাস ডি মনে করেন, তৃতীয় শ্রেনী থেকে ছেলে শিশুরা গণিত ও বিজ্ঞানে মেয়ে শিশুদের থেকে বেশি এগিয়ে যেতে শুরু করে।[১৭]
বিশ্বজুড়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব
ইউনেস্কো, ইউরোপিয়ান কমিশন এবং দ্যা এসোসিয়েশোন অফ একাডেমিক এন্ড সোসাইটিস অফ সায়েন্স ইন এশিয়া (AASSA)সহ একাধিক সংগঠন বিশ্বজুড়ে স্টেম ক্ষেত্রে নারীর অপ্রতুল প্রতিনিধিত্বের কথা বলে আসছে।[১৮][১৯][২০]
এশিয়া
২০১৫ সালের মার্চে ইউনেস্কো কর্তৃক একটি তথ্য সংকলন প্রকাশিত হয়। [২১] এতে সমগ্র বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের পরিসংখ্যান ফুটে উঠে। এই সমীক্ষায় পৃথিবীর মাত্র ত্রিশ শতাংশ গবেষক নারী। তবে পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াতে এই ব্যবধান আরো বিশাল। মাত্র বিশ শতাংশ নারী গবেষকের হার এসব অঞ্চলে দেখা যায়। অবশ্য মধ্য এশিয়ায় এই বৈষম্য সবচেয়ে কম, প্রায় ৪৬ শতাংশ নারী গবেষকের পদে আসীন। এই অঞ্চলের আজারবাইজান ও কাজাখাস্তান দেশ দুইটিতে নারী গবেষকের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশী। অবশ্য পার্থক্যের হার অত্যন্ত কম।[২১]
দেশ | নারী গবেষকের হার |
---|---|
সেন্ট্রাল এশিয়া | ৪৬% |
সারা বিশ্ব | ৩০% |
দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া | ২০% |
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় | ২০% |
কম্বোডিয়া
২০০৪ সালের সমীক্ষা মতে কম্বোদিয়ার বিজ্ঞান শিক্ষায় ১৩.৯ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া যায়। ২১ শতাংশ নারী গবেষক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনার সাথে জড়িত। এশিয়ার অন্য দেশ মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় ব্যাপক হারে কম। বৌদ্ধ ধর্মের পুরুষ মাত্র শিক্ষক হতে পারে, দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা এরকম সংস্কৃতির কারনেই এখনো স্টেম ক্ষেত্রে পুরুষের আধিপত্য বেশী বলে ইউনেস্কোর রিপোর্ট দাবী করে। ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হওয়ায়, কম্বোডিয়ার শুধু স্টেম ক্ষেত্র নয় বরং অন্যান্য সকল আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে এমনকি ঘরেও পুরুষের আধিপত্য বিরাজমান। ইউনেস্কো এই অবস্থাকে একটি "জটিল সমীকরণ" বলে আখ্যায়িত করেছে।[১৮]
ইন্দোনেশিয়া
ইউনেস্কোর "একটি জটিল সমীকরণ" উল্লেখ করেছে যে, ইন্দোনেশিয়া সরকার নারী পুরুষ সমতা আনয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে, দেশটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে গতানুগতিকভাবেই নারীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়ে গেছে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও চিরায়ত প্রথার কারণে নারীদের নিজের ক্যারিয়ার গঠনে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। দেখা গেছে, গণিত কিংবা পদার্থবিজ্ঞান অপেক্ষা ফারররমেসী অথবা জীববিজ্ঞান বিষয়কে বিষয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। প্রকৌশলীবিদ্যার ক্ষেত্রে রসায়ন প্রকৌশলবিদ্যায় ৭৮ শতাংশেরও বেশি নারী শিক্ষার্থী থাকলেও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো বিষয়ে মাত্র ৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ২০০৫ সালের সমীক্ষা অনুসারে দেশটির বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও প্রকৌশলীতে ৩৫,৫৬৪ গবেষকের মধ্যে মাত্র ৩১% বা ১০,৮৭৪ জন গবেষক নারী। [১৮]
মালয়েশিয়া
২০১১ সালের ইউনেস্কোর রিপোর্টে মালয়েশিয়ার বিজ্ঞান শিক্ষায় ৪৮.১৯ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। গত তিন দশকে এই হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একই সাথে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহন প্রায় ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। মালয়েশিয়াতে কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৫০ শতাংশ পুরুষ কাজ করছে এবং স্টেম ক্ষেত্র পুরুষ নির্ভর। অপরদিকে ফার্মেসী বিভাগের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। যদিও মাত্র ৩৬ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী প্রকৌশলীবিদ্যায় অধ্যয়ণরত। অবশ্য ২০১১ এর সমীক্ষা মতে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন গবেষণার ক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ পদ নারীদের দখলে।[১৮]
মঙ্গোলিয়া
২০১২ এবং ২০১১ এর ইউনেস্কো কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গোলিয়ায় ৪০.২ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছে।এছাড়াও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা ক্ষেত্রে প্রায় ৪৯ শতাংশ গবেষক নারী। অঈতিহ্যগতভাবে মঙ্গোলিয়ার মানুষেরা যাযাবর ছিল তাই নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়েই বাচ্চা প্রতিপালনের পাশাপাশি গবাদি পশুর দেখাশোনা এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো। নারী-পুরুষের কর্মক্ষেত্রের এই সমতা এখন এই আধুনিক যুগে এসেও বিরাজমান রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মঙ্গোলিয়ায় পুরুষদের চেয়ে নারীরা উচ্চ শীক্ষায় এগিয়ে। কলেজ থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্ত প্রায় ৬৫শতাংশ শিক্ষার্থী নারী। যদিও নারীরা পুরুষদের চেয়ে প্রায় ১৯-৩০% কম আয় করে। এছাড়াও প্রকৌশলী ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষদের কাজকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। ত্রিশ কিংবা এর চেয়েও কম নারী শিক্ষার্থী কম্পিউটার বিজ্ঞান, স্থাপত্যবিদ্যা কিংবা প্রকৌশলিবিদ্যায় রয়েছে অপরদিকে জীববিজ্ঞান শাখায় চারজন শিক্ষার্থীর মাঝে তিনজনই নারী শিক্ষার্থী।[১৮]
নেপাল
২০১১ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে নেপালের বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মাঝে ২৬.১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী এবং ১৯ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী প্রকৌশলবিদ্যায় অধ্যয়ণরত। গবেষণায় নারীরা ২০১০ সালের সমীক্ষা অনুসারে ৭.৮ শতাংশ পদে আসীন। নেপালে, স্টেম ক্ষেত্রে আসা নারীরা হয় ফরেস্ট্রি নতুবা মেডিসিন বিষয়ে পড়ালেখা করে। বিশেষ করে নার্সিং পেশায় নারীরা আধিপত্য ধরে রেখেছে। [১৮]
দক্ষিণ কোরিয়া
২০১২ সালের একটি সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০.৬৩ শতাংশ নারী। এই হার ডিজিটাল বিপ্লবের সাথে এই হার বেড়েছে। যদিও উচ্চশিক্ষায় নারী পুরুষের লিঙ্গ বৈষম্য বেশ চোখে পড়ার মতো। কনফুসিয়ান বিশ্বাস অনুসারে নারীরা সামাজিক দিক দিয়ে নিচু মর্যাদার, যা স্টেম ক্ষেত্রে নারী সংখ্যার হার কমের কারণ। অন্যান্য দেশের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের মাঝে চিকিৎসাক্ষেত্রে যোগের হার (৬১.৬ %) ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে নারীর যোগদানের হারের (১৫.৪) চেয়ে বেশি। ২০১১ সালের সমীক্ষায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের গবেষণার ক্ষেত্রে নারী শক্তির হার ১৭%। দক্ষিণ কোরিয়ায় স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের বেশিরভাগই "অনিয়মিত" অথবা সাময়িক কর্মী, যা চাকুরি বাজারে নারীদের সম্ভাবনার নিম্ন হারের প্রমান।[১৮] গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বিভিন্ন দেশের ছেলে ও মেয়েদের গণিত বিষয়ে দুশ্চিন্তা ও পরীক্ষার পারফর্মেন্স গবেষণা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার গণিত স্কোরের ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভিন্নতা অনেক বড়। এক্ষেত্রে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বিশাল। [২২]
উত্তর আমেরিকা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ন্যাশনাল বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে কর্মরত ৪৩ শতাংশ নারী কর্মী ৭৫ বছরের চেয়ে কম বয়স্ক।.[২৩] এই ক্ষেত্রে কর্মরত ৫৬ শতাংশ নারী ২৯ বছরের চেয়ে কম বয়েসী। সাতজন প্রকৌশলীর মাঝে একজন নারী। [২৪] শিক্ষাগত আগ্রহের উর্ধ্বে গিয়ে স্টেম ক্ষেত্রে পুরুষের অংশগ্রহণ বেশী। এই ক্ষেত্রের নারীরা পুরুষদের চেয়ে কম উপার্জন করে। যদিও বিস্তৃত ক্ষেত্রে শিক্ষা এবং বয়স বিবেচনায় রেখে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। গড়ে, একজন পুরুষ স্টেম ক্ষেত্রে ঘন্টায় ৩৬.৩৪ মার্কিন ডলার উপার্জন করে, যা নারীদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৩১.১১ ডলার। [২৪]
স্নাতক ক্ষেত্র | পুরুষ (%) | নারী (%) |
---|---|---|
কৃষি/ প্রাকৃতিক সম্পদ | ০.৮ | ০.৭ |
স্থাপত্য | ০.৫ | ০.৩ |
কম্পিউটার ও তথ্য বিজ্ঞান | ৩.১ | ১.০ |
প্রকৌশলবিদ্যা/প্রকৌশল ও প্রযুক্তি | ৬.১ | ১.৮ |
জীববিজ্ঞান/বায়োমেডিকাল বিজ্ঞান | ২.৩ | ৩.৫ |
গণিত/ পরিসংখ্যান | ০.৭ | ০.৪ |
ভৌত বিজ্ঞান/ সামাজিক বিজ্ঞান | ৪.৯ | ৪.০ |
স্বাস্থ্যবিদ্যা | ১.২ | ৫.৫ |
সর্বমোট স্টেম | ১৯.৪ | ২১.২ |
ব্যবসা | ১০.০ | ৯.৮ |
শিক্ষা | ১.৮ | ৬.৫ |
অন্যান্য | ১৩.১ | ১৮.৩ |
সর্বমোট স্টেম নয় এমন | ২৪.৯ | ৩৪.৬ |
মোট ডিগ্রীধারী (%) | ৪৪.৩ | ৫৫.৭ |
মোট ডিগ্রীধারী (হাজার) | ৬৪০৩.৩ | ৮০৬২.৫ |
স্নাতক পর্যায়ের স্টেম ক্ষেত্রে নারীর প্রাধান্য লক্ষণীয় বলে জাতীয় শিক্ষা সমীক্ষা অধিদপ্তর ব্যাখ্যা করে আসলেও নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমনঃ কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং গণিতে নারীদের অংশগ্রহণ অপ্রতুল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেম ক্ষেত্রে এশিয়ান নারীদের প্রতিনিধিত্ব হার আফ্রিকান আমেরিকান, হিস্পানিক, প্যাসিফিক আইল্যান্ডার এবং স্থানীয় আমেরিকানদের চেয়ে বেশী। তবে এশীয়ান পুরুষদের মত অতটাও বেশি নয়। [২৫] আমেরিকার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ১ শতাংশ এই নারীদের দখলে, যদিও দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ এইসকল নারী দ্বারাই গঠিত। [২৬] অবশ্য ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের চাকুরিতে অন্তর্ভুক্তির হার বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। নারীদের (উদাহরণস্বরূপঃ অবিবাহিত, বিবাহিত ও বৈবাহিক বিচ্ছেদ) সমান জীবনযাপনের মান ও সুযোগ নিশ্চিত করতে বর্তমানে ২ঃ১ হারে নারীদের স্টেম ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হচ্ছে। [২৭]
Total | STEM | |||
---|---|---|---|---|
সম্প্রদায়/জাতি | পুরুষ | নারী | পুরুষ | নারী |
শ্বেতবর্ণ | ১.০৫ | ১.৩২ | ১.০৫ | ১.১৫ |
কালো | ০.৪৯ | ০.৭৩ | ০.৪৪ | ০.৬৮ |
হিস্পানিক | ০.৩৭ | ০.৫৪ | ০.৩৭ | ০.৪৮ |
এশিয়ান | ১.৮৫ | ১.৯৪ | ৩.১২ | ২.৬১ |
প্যাসিফিক আইল্যান্ডার | ০.৩২ | ০.৪৪ | ০.৩৮ | ০.৫২ |
আমেরিকান ইন্ডিয়ান/ আলাস্কা স্থানীয় | ০.৩২ | ০.৪৬ | ০.২৭ | ০.৪৪ |
অন্যান্য | ১.০০ | ১.৩৫ | ১.০২২ | ১.৩৩ |
দুই বা অধিক জাতীয়তা | ০.৯৭ | ১.১৫ | ১.১১ | ১.১৯ |
স্টেম সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার অনুষ্ঠানে নারীর স্বল্প প্রতিনিধিত্ব
স্টেম ক্ষেত্রের সবচেয়ে সম্মানীয় পুরষ্কার ও সম্মাননার দিকে তাকালে দেখা যায় খুব কম সংখ্যক নারীই তা অধিকার করতে পেরেছে। ১৯০১ থে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নোবেল পুরষ্কারে নারী ও পুরুষের অনুপাত পদার্থবিজ্ঞানে ২ঃ২০৭, রসায়নে ৪ঃ১৭৮, চিকিৎসাবিদ্যায় ১২.২১৪ এবং অর্থনীতিতে ১ঃ৭৯। অপরিদিকে সাহিত্য এই অনুপাত ১৪ঃ১১৪ এবং শান্তিতে ১৬ঃ ১০৪। [২৮] মারইয়াম মির্জাখানি প্রথম নারী ও প্রথম ইরানীয় ব্যক্তি হিসেবে ২০১৪ সালে ফিল্ডস পদক অর্জন করেন।[২৯][৩০] ফিল্ডস পদক, গণিত ক্ষেত্রে অন্যতম সম্মানীয় পদক। শুধুমাত্র ৫৬ বার কোন নারী গণিতবিদ এ মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের মতো প্রতিযোগিতাগুলোতে নারী অংশোগ্রহণকারীর হার অনেক কম। ২০১৭ সালের মাত্র ১০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী ছিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৬ জনের বিজয়ী দলে মাত্র একজন নারী সদস্য ছিল। .[৩১][৩২]
সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত উন্নতি
আব্বিস উল্লেখ করেছেন যে, "প্রতিদিনের কম্পিউটার ব্যবহার নারী প পুরুষ কর্মী সনাক্তের ক্ষেত্রে বৈষম্য কমাতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট ও ইমেইল কথা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য।" [৩৩] উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত উভয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করে দক্ষতা ও আত্মনির্ভরশীল হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়য় পর্যায়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়েদের ভর্তির হার কম। ১০ম ) ১২তম ক্লাস থেকেই এই হার নিম্নমুখী হতে দেখা যায়। মার্কিন যুক্তরাজ্যের প্যাটেন্ট দরখাস্তের নতুন উদ্ভাবনে নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ২০১৬ সালের হিসেব মতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গতানুগতিকভাবে এই প্যাটেন্ট বেশিরভাগই "নারী বক্ষ অন্তর্বাস নকশা এবং প্রসাধনী" সংক্রান্ত। ৯৪ শতাংশ কম্পিউটার সংক্রান্ত, ৯৬ শতাংশ অটমোটিভ ব্যবহার ও ৯৯ শতাংশ বিধ্বংসীকারী আবিষ্কারের প্যাটেন্ট পুরুষদের দখলে।[৩৪]
নারী প্রতিনিধিত্বের হার নিম্ন হওয়ার ব্যাখ্যা
স্টেম ক্ষেত্রে নারীর স্বল্প প্রতিনিধিত্বের হারের পেছনে একাধিক কারণ চিহ্নিত হয়েছে। বলা বাঞ্ছনীয়,স্টেম ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বের হার কম হওয়ার পেছনে শুধুমাত্র নিম্নোক্ত শ্রেনীবিভাগে উল্লেখিত কারণগুলো কাজ করছেনা।
সামাজিক
বৈষম্য
শিবিংগার দাবী করেন, প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য উভয় প্রকার বৈষম্যই স্টেম ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বের স্বল্পতার কারণ। [৩৫]:৩৩ ১৯৮০ সালে গবেষকেরা দেখান যে, সাধারণভাবে যোগ্যতা পরিমাপের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নারীদের বিপক্ষে যায়।[৩৬] ২০১২ সালে একটি গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬০ টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের ইমেইল পাঠানো হয়। ইমেইল একজন গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট তরফ থেকে পাঠানো হয় বলে এক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য করার কোন সুযোগ ছিল না। তবে দেখা গেছে, জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুরা এক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়। ককেশিয়ান পুরুষদের তুলনায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হয়। [৩৭] আরেকটি গবেষনায়, বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব ম্যানেজার পদে আবেদনপত্রে একই তথ্য দেয়া হয়। [৩৮] প্রতিটি তথ্য একই হলেও প্রতিটি আবেদনপত্র এলোমেলোভাবে নারী ও পুরুষ নাম ব্যবহার করা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করন যে, পুরুষ নাম সম্পন্ন আবেদনকারীদের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা নারী নামসম্পন্ন আবেদনকারীদের চেয়ে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন বলে চিহ্নিত করেন। [৩৮] কোন ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয় দেয়া থাকলে আপনাতেই তার উপর কিছু গতানুগিতিক ধারণ আরোপিত হয়।[৩৯]
২০১৪ সালের একটি গবেষনায়, কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চাকুরী খাতে পুরুষেরা সুবিধা পায়, যেমন জীববিজ্ঞান ক্ষেত্রে। তবে বেশিরভাগই লিঙ্গবৈষম্যহীন। এক্ষেত্রে বলা হয়, স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের স্বল্প উপস্থিতির কারণ শুধুমাত্র অধ্যাপকদের লিঙ্গ বৈষম্যসুলভ আচরণকেই নির্দেশ করে না। [৪০]
ওয়েন্ডি উইলিয়ামস এবং স্টেফান সিসির একটি গবেষণা ৮৭২ জন ফ্যাকাল্টি, ৩৭১ টি ইন্সটিটিইউট এর মোট পঞ্চান্নটি প্রদেশের উপর চালানো হয়। তারা দেখেন, ফ্যাকাল্টি সহকারী অধ্যাপক পদে নারী আবেদনকারীদের প্রাধান্য দেয়। এক্ষেত্রে সমযোগ্যতা সম্পন্ন পুরুষদের তুলনায় নারীরা প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের গড় অনুপাত ২ঃ১। ৯০এর দশকের আগ অব্দি একই ধরণের প্রাধান্য নারীরা পেয়ে আসছিলো।[২৭]
গতানুগতিকতা
স্টেম ক্ষেত্রে প্রচলিত গতানুগতিক ধারণার তীব্রতা এই ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বতন্ত্রের উন্নতি ও উৎকর্ষকে প্রায়শঃই উহ্য রাখে। [৪১] গতানুগতিক ধারণার বিজ্ঞানী কিংবা ব্যক্তি স্টেম ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তি মাত্রই পুরুষ বলে মনে করে নেন। [৪২] স্টেম ক্ষেত্রে নারীরা কারো কারো বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা গণিতজ্ঞের যেরকমটা হওয়া উচিৎ ঠিক সেরকম হন না। দ্যা রোল কনগ্রুইটি থিওরি অব প্রিজুডিস বলে, একটি নির্দিষ্ট চরিত্রে বা কর্মক্ষেত্রে কোন পদের লৈঙ্গিক অসামঞ্জস্য সেই পদে বা চরিত্রে আসীন ব্যক্তির যোগ্যতাকে ঋণাত্মকভাবে যাচাই করে।[৪৩][৪৪][৪৫] একই সাথে স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি ঋণাত্মক ধারণা তাঁদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও উৎসাহও কমিয়ে দেয়। [৪৬] নারী ও পুরুষ উভয়ই নিজেদের গতানুগতিক ধারার বাইরে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে বৈষম্যের শিকার হন। ব্যক্তিক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কর্মের জন্য নির্দিষ্ট লৈঙ্গিক পরিচয়ের মানুষের প্রাধান্য বরাবরই দেয়া হয়। [৪৭][৪৮] একটি গবেষণায় দেখা গেছে , পুরুষদের জন্য লক্ষ্য করে করা চাকুরি বিজ্ঞাপনে "লক্ষ্য" ও "নেতৃত্ব" এই ধরনের শব্দমালা ব্যবহার হয়। [৪৭] ১৯৯১ সালে প্রস্তাবিত সামাজিক চরিত্রায়ন তত্ত্বমতে, পুরুষকর্মীদের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুণ ও নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে যোগাযোগ গুণাবলিএ প্রাধান্য দেয়া হয়।[৪৯] These expectations can influence hiring decisions.[৫০] ২০০১৯ সালের নারী ও পুরুষ চাকুরিপ্রার্থীর লেটার অব রেকমেন্ডেশোন পর্যালোচনা করে একই প্রভাব দেখতে পাওয়া গেছে। গবেষকেরা এটাও লক্ষ করেন, যোগাযোগে গুণ একাডেমিক ক্ষেত্রে প্রক্ক্রিতপক্ষে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলে।[৫০] যদিও ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষদের জন্য প্রচলিত পদে আসীন নারীদেরকে "সত্যিকারের" নারী বলা হয় না এবং তা কর্মরত নারীদের ততোটা বিরক্ত করে না। তবে একই ধরণের বক্তব্য কোন পুরুষ কোন ঐতিহ্যগতভাবে নারীর কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলে বলা হলে সেই পুরুষদের উপর খুব তীব্র প্রভাব ফেলে। এথেকে প্রমাণিত হয় যে, নারীরা খুব সহজেই পুরুষদের জন্য বরাদ্দ কাজে নিজেদে মানিয়ে নিতে পারে যখনই তারা সেই সুযোগ পায়। [৫১] অপরদিকে , মানব ইতিহাস ঘেটে তেমন কোন কর্মক্ষেত্রে পাওয়া যায় না, যা পূর্বে নারী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও এখন পুরুষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। অল্প কিছু ক্ষেত্রে,যেমন চিকিৎসা বিজ্ঞা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে যদি পুরুষত্বের বা শক্তিশালী বাহুর প্রয়োজন হয়, তখনই শুধুমাত্র পুরুষদের সেই কর্মক্ষেত্রে যোগদানের প্রবণতা দেখা গেছে। [৫২]
যদিও নারীতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের তাদের পুরুষত্বের জন্য ঋণাত্মকভাবে সমাজে দেখা হয় তাও তারা কিছু বেশ সুবিধা ও সুযোগ পেয়ে থাকে।
১৯৯২ সালে এভাবে বলা হয় যে, নারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে "গ্লাস সিলিংঃ ভাঙতে আঘাত হানে আর পুরুষেরা নারীতান্ত্রিক সমাজে "গ্লাস এস্কেলেটর" ভাঙতে আঘাত হানে। [৫৩] এক্ষাত্রে গ্লাস সিলিং ভাঙা একজন নারীর জন্য কষ্টসাধ্য হলেও, কেননা এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে হয়। তবে গ্লাস এসকেলেটরে একটি নারীতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা অন্তত প্রবেশে সুযোগ পায়।
কালো ভেড়া প্রভাব
কালো ভেড়া প্রভাব বা ব্লাক শিপ এফেক্ট হচ্ছে, যখন কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্য অন্য দলের ব্যক্তি বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া স্বত্তেও নিজস্ব দলের ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়। [৫৪][৫৫][৫৬][৫৭] এছাড়াও, নিজের দলের সদস্য যদি গড়পড়তা দক্ষতা বা যোগ্যতাধারী হয়, তখন তাকে অন্যদলের একই যোগ্যতাসম্পন্ন সদস্যের তুলনায় অনেক বেশি নিচু দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পন্ন বলে চিহ্নিত করা হয়। [৫৪][৫৫][৫৬][৫৭] এই তত্ত্ব দাবী করে, স্টেম ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নারীরা এই ক্ষেত্রে নতুন আগত নারীদের তুলনায় একই যোগ্যতাসম্পন্ন নতুন পুরুষদের সাহায্যে বেশি এগিয়ে যায়। একই ভাবে, প্রতিষ্ঠিত নারীরা এই ক্ষেত্রে নতুন আগত পুরুষদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় যখন নতুন আগত নারীরা একই ধরনের যোগ্যতাও দেখায় না।
নারী মৌমাছি প্রভাব
নারী মৌমাছি প্রভাব বা কুইন বি এফেক্ট অনেকটা কালো ভেড়া প্রভাবের মতোই। এই প্রভাব ব্যাখ্যা করে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রতিষ্ঠিত নারীরা তাঁদের পুরুষ সহকর্মির তুলনায় নারী সহকর্মীদের কম সাহায্য করে।[৫৮][৫৯] ২০০৪ সালের একটি গবেষণায় বিভিন্ন বিভাগের ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কাজ করার সংকল্প এবং কাজের প্রতি সন্তুষ্টতার ক্ষেত্রে কোন লিঙ্গ ভিত্তিক আচরণগত ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা মনে করেন, নারী শিক্ষার্থীরা পুরুষ শিক্ষার্থীদের মতো নিজের কাজের প্রতি লেগে থাকতে পারেন না। [৫৯] বিস্ময়করভাবে এই ধারণা নারী ফ্যকাল্টি সদস্য কর্তৃক পাওয়া গেছে, পুরুষ ফ্যাকাল্টি সদস্য কর্তৃক নয়। [৫৯] এই গতানুগতিক ঋণাত্মক ধারণার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে, ব্যক্তির সাথে নির্দিষ্ট দলের সামাজিক ও মানসিক দূরত্ব। এটা প্রমান করে, পুরুষতান্ত্রিক সনাজে প্রতিষ্ঠিত নারীরা নিজেদের সফলতাকে গতানুগতিক ভুল ধারণাকে যে ভুল প্রমাঙ্করে তা বুঝে উঠরে পারে না বরং নিজেদের নিয়মের বাইরে ভিন্ন একজন বলে মনে করেন। [৫৯]
মেন্টরশিপ
সাহায্যের কমতি
উক্তত্যতা
অনুপ্রেরণাদায়ী উদাহরণের অভাব
পাইপ্লাইনে জমাটবদ্ধতা ও ফাটল
মানসিকতা
নারী আগ্রহ
আত্মবিশ্বাসের অভাব
গতানুগতিক হুমকি
সহজাত বনাম শেখা দক্ষতা
নারী প্রতিনিধিত্বের হার বৃদ্ধিতে কৌশল
সামজিক ও মনস্তাত্ত্বিক মধ্যস্থতা
অনুপ্রেরণাময়ী উদাহরণ
স্ব-সমর্থন
প্রাতিষ্ঠানিক চেষ্টা
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
টিকা
- ↑ National Center for Education Statistics, Digest of Education Statistics. Retrieved 18-Nov-2017
- ↑ Gürer, Denise and Camp, Tracy (2001). Investigating the Incredible Shrinking Pipeline for Women in Computer Science. Final Report – NSF Project 9812016.
- ↑ ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ক খ ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ক খ S.L. Hanson, "Lost Talent, Women in the Sciences", Philadelphia, PA.: Temple University Press, 1996.
- ↑ Pajares, F (১৯৯৬)। "Self-efficacy beliefs and mathematical problem-solving of gifted students"। Contemporary Educational Psychology। 21 (4): 325–44। ডিওআই:10.1006/ceps.1996.0025।
- ↑ Hill, Catherine, and Christianne Corbett. Why so Few? Women in Science, Technology, Engineering, and Mathematics. Washington, D.C.: AAUW, 2010.
- ↑ Sorby, S. A. (২০০৯)। "Educational research in developing 3-D spatial skills for engineering students"। International Journal of Science Education। 31 (3): 459–80। ডিওআই:10.1080/09500690802595839।
- ↑ "Stem Talent Girl: to empower girls and women to ensure they develop their talent"। ২০১৭।
- ↑ Tapping All our Talents
- ↑ National Science Foundation, Women, Minorities and Persons with Disabilities in Science and Engineering: 1996, Washington, D.C.: 1996, appendix table 5-8.
- ↑ "Women in STEM in Australia" (পিডিএফ)। Professionals Australia।
- ↑ "TABLE 7-3. Doctoral degrees awarded to men, by field: 2004–14"। National Science Foundation। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ "Table 318.30. Bachelor's, master's, and doctor's degrees conferred by postsecondary institutions, by sex of student and discipline division: 2014-15"। National Center for Education Statistics। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভে ২০১৭।
- ↑ Dee, Thomas S. “Teachers and the Gender Gaps in Student Achievement.” The Journal of Human Resources, vol. 42, no. 3, 2007, pp. 528–554., www.jstor.org/stable/40057317.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "A Complex Formula: Girls and Women in Science, Technology, Engineering and Mathematics in Asia" (পিডিএফ)। UNESCO। UNESCO Bangkok Office। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "She figures 2012 - Research policy and organisation - EU Bookshop"। ডিওআই:10.2777/38520।
- ↑ "Women in Science and Technology in Asia"। The InterAcademy Partnership। AASSA, Gyeonggi-Do। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Women in Science" (পিডিএফ)। UNESCO।
- ↑ Stoet, Gijsbert; Bailey, Drew H.; Moore, Alex M.; Geary, David C. (২০১৬-০৪-২১)। "Countries with Higher Levels of Gender Equality Show Larger National Sex Differences in Mathematics Anxiety and Relatively Lower Parental Mathematics Valuation for Girls"। PLOS ONE। 11 (4): e0153857। আইএসএসএন 1932-6203। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0153857। পিএমআইডি 27100631। পিএমসি 4839696 ।
- ↑ "Table 9-9. Employment status of scientists and engineers, by age, sex, ethnicity, race, and disability status"। National Science Foundation। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভে ২০১৭।
- ↑ ক খ Beede, David, Tiffany Julian, David Langdon, George McKittrick, Beethika Khan, and Mark Doms. U.S. Department of Commerce Economics and Statistics Administrations. www.esa.doc.gov. "Women in STEM: A Gender Gap to Innovation", 2009.
- ↑ ক খ গ "Number of persons 25 to 34 years old and percentage with a bachelor's or higher degree, by undergraduate field of study, sex, race/ethnicity, and U.S. nativity and citizenship status: 2014"। National Center for Education Statistics। ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ Towns, Marcy (Spring ২০১০)। "Where Are the Women of Color? Data on African American, Hispanic, and Native American Faculty in STEM" (পিডিএফ)। National Science Teachers Association।
- ↑ ক খ Williams, Wendy M.; Ceci, Stephen J. (২০১৫)। "National hiring experiments reveal 2:1 faculty preference for women on STEM tenure track"। Proceedings of the National Academy of Sciences। 112 (17): 5360–5365। আইএসএসএন 0027-8424। ডিওআই:10.1073/pnas.1418878112।
- ↑ "Nobel Prize Facts"। NobelPrize.org। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ "The Work of Maryam Mirzakhani. Press Release." (পিডিএফ)। International Mathematical Union। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ UNESCO (২০১৫)। A Complex Formula: Girls and Women in Science, Technology, Engineering and Mathematics in Asia (পিডিএফ)। Paris, UNESCO। পৃষ্ঠা 15, 23–24। আইএসবিএন 978-92-9223-492-8।
- ↑ "International Mathematical Olympiad Timeline"। International Mathematical Olympiad। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ "Korea Takes 1st Place at International Math Olympiad"। Korea Daily। ২৫ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভে ২০১৭।
- ↑ Abbiss, Jane (২০১১)। "Boys and Machines" (PDF)। Gender and Education। 23 (5): 601–617। ডিওআই:10.1080/09540253.2010.549108।
- ↑ Keate, Georgie (২৭ ডিসেম্বর ২০১৬)। "New generation of inventors wanted: women need to apply"। The Times। পৃষ্ঠা 22–23।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Schiebinger1999
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Swim, J.; Borgida, E.; Maruyama, G.; Myers, D.G. (১৯৮৯)। "Joan McKay versus John McKay: Do gender stereotypes bias evaluations?"। Psychological Bulletin। 105 (3): 409–429। ডিওআই:10.1037/0033-2909.105.3.409।
- ↑ Milkman, K.L; Akinola, M.; Chugh, D. (২০১২)। "Temporal Distance and Discrimination: An Audit Study in Academia"। Psychological Science। 23 (7): 710–717। ডিওআই:10.1177/0956797611434539। পিএমআইডি 22614463।
- ↑ ক খ Moss-Racusin, C.A.; Dovidio, J.F.; Brescoll, V.L.; Graham, M.; Handelsman, J. (২০১২)। "Science faculty's subtle gender biases favor male students"। Proceedings of the National Academy of Sciences। 109: 16474–16479। ডিওআই:10.1073/pnas.1211286109। পিএমআইডি 22988126। পিএমসি 3478626 ।
- ↑ Deaux, K.; Lewis, L.L. (১৯৮৪)। "Structure of gender stereotypes: Interrelationships among components and gender label"। Journal of Personality and Social Psychology। 46 (5): 991–1004। ডিওআই:10.1037/0022-3514.46.5.991।
- ↑ Ceci, S. J.; Ginther, D. K.; Kahn, S.; Williams, W. M. (২০১৪)। "Women in academic science: a changing landscape"। Psychological Science in the Public Interest। 15 (3): 75–141। ডিওআই:10.1177/1529100614541236। পিএমআইডি 26172066।
- ↑ Wells, Gary L. (১৯৮৫)। "The Conjunction Error and the Representativeness Heuristic"। Social Cognition। 3 (3): 266–279। ডিওআই:10.1521/soco.1985.3.3.266।
- ↑ Good, Jessica J.; Woodzicka, Julie A.; Wingfield, Lylan C. (২০১০)। "The Effects of Gender Stereotypic and Counter-Stereotypic Textbook Images on Science Performance"। Journal of Social Psychology। 150 (2): 132–147। ডিওআই:10.1080/00224540903366552।
- ↑ Eagly, A.H.; Karau, S.J. (২০০২)। "Role congruity theory of prejudice toward female leaders"। Psychological Review। 109 (3): 573–598। ডিওআই:10.1037/0033-295x.109.3.573। পিএমআইডি 12088246।
- ↑ Garcia-Retamero, R.; Lopez-Zafra, E. (২০০৬)। "Prejudice against Women in Male-congenial Environments: Perceptions of Gender Role Congruity in Leadership"। Sex Roles। 55 (1–2): 51–61। ডিওআই:10.1007/s11199-006-9068-1।
- ↑ Ritter, B.A.; Yoder, J.D. (২০০৪)। "Gender Differences in Leader Emergence Persist Even for Dominant Women: An Updated Confirmation of Role Congruity Theory"। Psychology of Women Quarterly। 28 (3): 187–193। ডিওআই:10.1111/j.1471-6402.2004.00135.x।
- ↑ Miyake, A.; Kost-Smith, L.E.; Finkelstein, N.D.; Pollock, S.J.; Cohen, G.L.; Ito, T.A. (২০১০)। "Reducing the Gender Achievement Gap in College Science: A Classroom Study of Values Affirmation"। Science। 330 (6008): 1234–1237। ডিওআই:10.1126/science.1195996। পিএমআইডি 21109670।
- ↑ ক খ Gaucher, D.; Friesen, J.; Kay, A.C. (২০১১)। "Evidence that gendered wording in job advertisements exists and sustains gender inequality"। Journal of Personality and Social Psychology। 101 (1): 109–128। ডিওআই:10.1037/a0022530। পিএমআইডি 21381851।
- ↑ Lyness, K.S.; Heilman, M.E. (২০০৬)। "When fit is fundamental: Performance evaluations and promotions of upper-level female and male managers"। Journal of Applied Psychology। 91 (4): 777–785। ডিওআই:10.1037/0021-9010.91.4.777। পিএমআইডি 16834505।
- ↑ Eagly, A.H.; Wood, W. (১৯৯১)। "Explaining Sex Differences in Social Behavior: A Meta-Analytic Perspective"। Personality and Social Psychology Bulletin। 17 (3): 306–315। ডিওআই:10.1177/0146167291173011।
- ↑ ক খ Madera, J.M.; Hebl, M.R.; Martin, R.C. (২০০৯)। "Gender and letters of recommendation for academia: Agentic and communal differences"। Journal of Applied Psychology। 94 (6): 1591–1599। ডিওআই:10.1037/a0016539।
- ↑ Cohn, Samuel. 1985. The Process of Occupational Sex-Typing. Philadelphia: Temple University Press.
- ↑ Ehrenreich, Barbara, and Deirdre English. 1978. For Her Own Good: 100 Years of Expert Advice to Women. Garden City, N.Y.: Anchor Press.
- ↑ Williams, Christine (১৯৯২)। "The Glass Escalator: Hidden Advantages for Men in the 'Female' Professions"। Social Problems। 39: 253–267। জেস্টোর 3096961। ডিওআই:10.1525/sp.1992.39.3.03x0034h।
- ↑ ক খ Eidelman, S.; Biernat, M. (২০০৩)। "Derogating black sheep: Individual or group protection?"। Journal of Experimental Social Psychology। 39 (6): 602–609। ডিওআই:10.1016/s0022-1031(03)00042-8।
- ↑ ক খ Kerr, N.L.; Hymes, R.W.; Anderson, A.B.; Weathers, J.E. (১৯৯৫)। "Defendant-juror similarity and mock juror judgments"। Law and Human Behavior। 19 (6): 545–567। ডিওআই:10.1007/bf01499374।
- ↑ ক খ Marques, J.; Abrams, D.; Serodio, R.G. (২০০১)। "Being better by being right: Subjective group dynamics and derogation of in-group deviants when generic norms are undermined"। Journal of Personality and Social Psychology। 81 (3): 436–447। ডিওআই:10.1037/0022-3514.81.3.436।
- ↑ ক খ Taylor, T.S.; Hosch, H.M. (২০০৪)। "An examination of jury verdicts for evidence of a similarity-leniency effect, an out-group punitiveness effect or a black sheep effect"। Law and Human Behavior। 28 (5): 587–598। ডিওআই:10.1023/b:lahu.0000046436.36228.71।
- ↑ Cooper, V.W. (১৯৯৭)। "Homophily or the Queen Bee Syndrome"। Small Group Research। 28 (4): 483–499। ডিওআই:10.1177/1046496497284001।
- ↑ ক খ গ ঘ Ellemers, N.; Van den Heuvel, H.; de Gilder, D.; Maass, A.; Bonvini, A. (২০০৪)। "The underrepresentation of women in science: Differential commitment or the queen bee syndrome?"। British Journal of Social Psychology। 43 (3): 315–338। ডিওআই:10.1348/0144666042037999। পিএমআইডি 15479533।