পালসার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎রেফারেন্স: >তথ্যসূত্র
one para wikify
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{expert-subject|date=নভেম্বর ২০১৪}}
{{expert-subject|date=নভেম্বর ২০১৪}}
[[File:PIA18848-PSRB1509-58-ChandraXRay-WiseIR-20141023.jpg|thumb|right|250px|[[পিএসআর বি১৫০৯-৫৮]] পালসার]]
'''পালসার''' ({{lang-en|Pulsar}}) হল একটি অত্যন্ত চুম্বকিত ক্ষেত্র সম্পাদিত আবর্তিত নিউট্রন তারকা । এটি সেই তারোকা থেকে তৈ্রি হয় যেগুলির কোর সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরে বেঁচে থাকে। এটি একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে উচ্চ তীব্রতার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্দিষ্ট দিকে বিকরন করে । যেহেতু এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ পালস্ হিসাবে দেখা যায় তাই এদের নাম পালসার ।
'''পালসার''' ({{lang-en|Pulsar}})<ref>http://www.merriam-webster.com/dictionary/pulsar</ref> হল একটি অত্যন্ত চৌম্বক আবর্তিত নিউট্রন তারকা যা একটি নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে উচ্চ তীব্রতার [[তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ]] নির্দিষ্ট দিকে বিকিরণ করে থাকে। যেহেতু এই [[তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ]] পালস্ হিসাবে লক্ষ্য করা যায় তাই এদের নাম পালসার । এটি সেই তারকা থেকে তৈরি হয় যেগুলির কোর সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরে বেঁচে থাকে।


== আবিস্কার ==
== আবিস্কার ==
[[জোসেলিন বেল বার্নেল]] ও [[অ্যান্থনি হিউইশ]] অধীনে ১৯৬৭ সালের ২৮শে নভেম্বর [[পিএসআর বি১৯১৯+২১|প্রথম পালসার]] আবিস্কার করেন।<ref>Pranab Ghosh, ''Rotation and accretion powered pulsars''. World Scientific, 2007, p.2.</ref><ref>M. S. Longair, ''Our evolving universe''. CUP Archive, 1996, p.72.</ref><ref>M. S. Longair, ''High energy astrophysics, Volume 2''. Cambridge University Press, 1994, p.99.</ref> তাঁরা আকাশের একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে ১.৩৩ সেকেন্ড তফাতে উদ্ভূত পালস লক্ষ্য করেন। ক্ষুদ্র সময়কালের নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে তাঁরা নক্ষত্র ও মানব দ্বারা উৎপন্ন রেডিও কম্পাঙ্কের তরঙ্গগুলিকে কারণ হিসেবে বাতিল করেন। অন্য একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র একই ফলাফল দেখালে যন্ত্রে ত্রুটিকে তরঙ্গের কারণগুলি থেকে বাদ দেওয়া হয়। এইসময় তাঁরা এর কারণ হিসেবে পৃথিবী বহির্ভূত অন্য উন্নত সভ্যতার কথাও চিন্তা করেন।{{#tag:ref|''we did not really believe that we had picked up signals from another civilization, but obviously the idea had crossed our minds and we had no proof that it was an entirely natural radio emission. It is an interesting problem—if one thinks one may have detected life elsewhere in the universe, how does one announce the results responsibly?"<ref name="cosmic_search">{{cite web | url = http://www.bigear.org/vol1no1/burnell.htm | title = Little Green Men, White Dwarfs or Pulsars? | author = S. Jocelyn Bell Burnell | authorlink = Jocelyn Bell Burnell | year = 1977 | publisher = Cosmic Search Magazine | accessdate = 2008-01-30}}</ref>|group=n}} কিন্তু আকাশেরর অন্য প্রান্তে একটি দ্বিতীয় তরঙ্গের সূত্র আবিষ্কৃত হওয়ার পর এই তত্ত্ব বাতিল করা হয়।<ref>{{cite journal | journal = Science | date = 23 April 2004 | volume = 304 | issue = 5670 | page = 489 | author = Burnell, S. Jocelyn Bell | title = So Few Pulsars, So Few Females | url = http://www.sciencemag.org/content/304/5670/489.full | doi=10.1126/science.304.5670.489 | pmid=15105461}}</ref> তাঁদের আবিষ্কৃত পালসার পরবর্তীকালে [[সিপি ১৯১৯]] নামে অভিহিত করা হয়, যা বর্তমানে পিএসআর ১৯১৯+২১, [[পিএসআর বি১৯১৯+২১]], পিএসআর জে১৯১৯+২১৫৩ ইত্যাদি নামে পরিচিত। যদিও [[সিপি ১৯১৯]] রেডিও তরঙ্গ বিকিরণ করে থাকে, কিন্তু এমন বেশ কিছু পালসার খুঁজে পাওয়া গেছে, যেগুলি দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ, এক্স-রশ্মি বা গামা রশ্মি বিকরণ করে।<ref>Courtland, Rachel. "[http://space.newscientist.com/article/dn14968-first-pulsar-identified-by-its-gamma-rays-alone.html?feedId=online-news_rss20 Pulsar Detected by Gamma Waves Only]." ''New Scientist,'' 17 October 2008.</ref>
কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রাজুয়েট ছাত্রী জোসেলিন বেল্, এন্থনি হিউইশের অধীনে ১৯৬৭ সালে প্রথম পালসার আবিস্কার করেন । জোসেলিন বেল্ প্রায়ই মহাকাশ পর্যবেক্ষন করতেন এবং মাঝে মাঝে তিনি রেডিএশন সংকেত লক্ষ্য করতেন যখন টেলিস্কোপটি একটি নির্দিষ্ট দিকে থাকতো । প্রথমে তিনি ভাবলেন যে এটি ওনার টেলিস্কোপের ভুল কিন্তু এই সংকেতের পুনরাবৃত্তি ওনার কৌতুহল জাগায় । তখনকার বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক থমাস গোল্ড দাবি করেন যে এই সঙ্কেতটি একটি অত্যন্ত চুম্বাকিও ক্ষেত্র সম্পাদিত আবর্তিত নিউট্রন তারকা থেকে আসছে । যদিও প্রচুর তথ্য ওনার তত্ত্বকে সমর্থন করে, এখনও প্রচুর ঘটনাকে বিশ্লেষণ করতে পারা যায়নি ( যেমন এটি দেখা গিয়েছে যে মাঝেমধ্যে এই পাল্সকে কিছুক্ষণ সময়ে্র জন্যে লক্ষ্য করা যায় না) । সাধারন মানুষের ধারনা ছিল যে এই স্ফুলিঙ্গায়ন আসলে পরক সভ্যতা থেকে পাঠানো সংকেত । তাই তখন এর নাম দেওয়া হয়েছিল “লিট্ল গ্রীন মেন” । এন্থনি মাইকেলিস নোবেল পুরস্কৃত এন্থনি হিউইশের ইন্টারভিউতে এই তারকার নামকরণ করেন “পালসার” । ১৯৭৪ সালে জোসেফ হুটন টেলর(Jr.) এবং রাসেল হাল্স PSR B1913+16 নামের বাইনারি সিস্টেমে এই তারকে আবিস্কার করে নিউট্রন তারকর অস্তিত্ব প্রমাণ করেন ।

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে [[ওয়াল্টার বাড]] এবং [[ফ্রাঞ্জ জুইকি]] প্রথম [[সুপারোনোভা]] থেকে উৎপন্ন প্রধানতঃ [[নিউট্রন]] দ্বারা উচ্চঘনত্বের ক্ষুদ্রাকৃতি [[নিউট্রন তারকা|নিউট্রন তারকার]] অস্তিত্বের প্রস্তাব দেন।<ref name="Baade1934">{{cite doi |10.1103/PhysRev.46.76.2}}</ref> ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পালসার আবিষ্কৃত হওয়ার ঠিক আগে [[ফ্র্যাঙ্কো পাচিনি]] মতপ্রকাশ করেন যে, একটি চৌম্বক ক্ষেত্রযুক্ত ঘূর্ণায়মান [[নিউট্রন তারকা]] থেকে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ বিকিরণ হতে পারে।<ref name="Pacini1968">{{cite doi |10.1038/216567a0}}</ref> [[পিএসআর বি১৯১৯+২১|প্রথম পালসার]] আবিস্কৃত হওয়ার পরে [[থমাস গোল্ড]] পাচিনির মতোই একটি চৌম্বক ক্ষেত্রযুক্ত ঘূর্ণায়মান [[নিউট্রন তারকা|নিউট্রন তারকার]] কথা বলেন, যা তাঁর মতে [[জোসেলিন বেল বার্নেল]] ও [[অ্যান্থনি হিউইশ]] আবিষ্কৃত তরঙ্গের ব্যাখ্যা দিতে পারে।<ref name="Gold1968">{{cite doi |10.1038/218731a0}}</ref> ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে [[ক্র্যাব পালসার]] আবিষ্কৃত হওয়ার পর পালসারের এই ব্যাখ্যা নিশ্চিত রূপে প্রমাণিত হয়। এই পালসারের ৩৩ মিলিসেকেন্ডের পর্যায়কাল এই তরঙ্গ বিকিরণের অন্যান্য ব্যাখ্যাগুলিকে বাতিল করে দেয়।<ref name="Lyne1998">{{cite book| author = Lyne, Andrew G.; Graham-Smith, Francis| title = Pulsar Astronomy| publisher = Cambridge University Press| year = 1998| isbn = 0-521-59413-8| url = http://books.google.com/books?id=AK9N3zxL4ToC}}</ref>{{rp|১-৭}}

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে পালসার আবিষ্কারের জন্য [[অ্যান্থনি হিউইশ]] পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।<ref name="nobel1974">{{cite web | url= http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/physics/laureates/1974/press.html | title= Press Release: The Nobel Prize in Physics 1974 | accessdate= 2014-01-19 | date = 15 October 1974}}</ref> [[অ্যান্থনি হিউইশ|হিউশের]] ছাত্রী [[জোসেলিন বেল বার্নেল]] প্রথম পালসার আবিষ্কার করলেও শুধুমাত্র [[অ্যান্থনি হিউইশ|হিউশ]] এই পুরস্কার লাভ করায় এই সময় প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি হয়।


== পালসারের শ্রেণীবিভাগ ==
== পালসারের শ্রেণীবিভাগ ==
৫২ নং লাইন: ৫৭ নং লাইন:


১০) দীর্ঘত্ম পর্যায়কাল যুক্ত পালসার, PSR J2144-3933
১০) দীর্ঘত্ম পর্যায়কাল যুক্ত পালসার, PSR J2144-3933
== বিশদ চর্চা ==
পালসার গ্রহ


== পাদটীকা ==
নিউট্রন তারকা
<references group=n/>

“Fermi Pulsar Revolution” and “Gamma Pulsar Revolution” by Patrizia A. Caraveo

সুপারফ্লুইড


== তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}
http://www.telegraph.co.uk/news/obituaries/1583056/Anthony-Michaelis.html

http://i.telegraph.co.uk/multimedia/archive/00660/news-graphics-2008-_660374a.jpg

http://www.cv.nrao.edu/course/astr534/Pulsars.html

http://chandra.harvard.edu/press/11_releases/press_022311.html

www.panstanford.com/pdf/9789814241236index.pdf


==আরো পড়ুন==
“Introduction to Astronomy and Cosmology” by I.N. Morison.
<cite id = Lorimer2004> {{cite book
| author = Lorimer, Duncan R.; Kramer, Michael
| title = Handbook of Pulsar Astronomy
| year = 2004
| publisher = Cambridge University Press
| isbn = 0-521-82823-6
| url = http://books.google.com/books/about/Handbook_of_pulsar_astronomy.html?id=OZ8tdN6qJcsC
}}</cite>
*<cite id = Lorimer2008>{{cite web
| author = Lorimer, Duncan R.
| url = http://relativity.livingreviews.org/Articles/lrr-2008-8/
| title = Binary and Millisecond Pulsars
| year = 2008}}</cite>
*<cite id = Manchester1977> {{cite book
| title = Pulsars
| author = Manchester, Richard N.; Taylor, Joseph H.
| year = 1977
| publisher = W. H. Freeman and Company
| isbn = 0-7167-0358-0
| url = http://books.google.com/books/about/Pulsars.html?id=tcFlQgAACAAJ}}</cite>
*<cite id = Stairs2003>{{cite web
| author = Stairs, Ingrid H
| url = http://www.livingreviews.org/lrr-2003-5
| title = Testing General Relativity with Pulsar Timing
| year = 2003}}</cite>


==বহিঃসংযোগ==
==বহিঃসংযোগ==
৯৩ নং লাইন: ১১০ নং লাইন:
*Pulsar simulator [http://ljtwebdevelopment.com/simpulse SimPulse]
*Pulsar simulator [http://ljtwebdevelopment.com/simpulse SimPulse]
*Pulsar ephemeris viewer [http://ljtwebdevelopment.com/pev PeV]
*Pulsar ephemeris viewer [http://ljtwebdevelopment.com/pev PeV]

[[বিষয়শ্রেণী:পালসার|পালসার]]

০৩:৫৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পিএসআর বি১৫০৯-৫৮ পালসার

পালসার (ইংরেজি: Pulsar)[১] হল একটি অত্যন্ত চৌম্বক আবর্তিত নিউট্রন তারকা যা একটি নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে উচ্চ তীব্রতার তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ নির্দিষ্ট দিকে বিকিরণ করে থাকে। যেহেতু এই তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ পালস্ হিসাবে লক্ষ্য করা যায় তাই এদের নাম পালসার । এটি সেই তারকা থেকে তৈরি হয় যেগুলির কোর সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরে বেঁচে থাকে।

আবিস্কার

জোসেলিন বেল বার্নেলঅ্যান্থনি হিউইশ অধীনে ১৯৬৭ সালের ২৮শে নভেম্বর প্রথম পালসার আবিস্কার করেন।[২][৩][৪] তাঁরা আকাশের একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে ১.৩৩ সেকেন্ড তফাতে উদ্ভূত পালস লক্ষ্য করেন। ক্ষুদ্র সময়কালের নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে তাঁরা নক্ষত্র ও মানব দ্বারা উৎপন্ন রেডিও কম্পাঙ্কের তরঙ্গগুলিকে কারণ হিসেবে বাতিল করেন। অন্য একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র একই ফলাফল দেখালে যন্ত্রে ত্রুটিকে তরঙ্গের কারণগুলি থেকে বাদ দেওয়া হয়। এইসময় তাঁরা এর কারণ হিসেবে পৃথিবী বহির্ভূত অন্য উন্নত সভ্যতার কথাও চিন্তা করেন।[n ১] কিন্তু আকাশেরর অন্য প্রান্তে একটি দ্বিতীয় তরঙ্গের সূত্র আবিষ্কৃত হওয়ার পর এই তত্ত্ব বাতিল করা হয়।[৬] তাঁদের আবিষ্কৃত পালসার পরবর্তীকালে সিপি ১৯১৯ নামে অভিহিত করা হয়, যা বর্তমানে পিএসআর ১৯১৯+২১, পিএসআর বি১৯১৯+২১, পিএসআর জে১৯১৯+২১৫৩ ইত্যাদি নামে পরিচিত। যদিও সিপি ১৯১৯ রেডিও তরঙ্গ বিকিরণ করে থাকে, কিন্তু এমন বেশ কিছু পালসার খুঁজে পাওয়া গেছে, যেগুলি দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ, এক্স-রশ্মি বা গামা রশ্মি বিকরণ করে।[৭]

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ওয়াল্টার বাড এবং ফ্রাঞ্জ জুইকি প্রথম সুপারোনোভা থেকে উৎপন্ন প্রধানতঃ নিউট্রন দ্বারা উচ্চঘনত্বের ক্ষুদ্রাকৃতি নিউট্রন তারকার অস্তিত্বের প্রস্তাব দেন।[৮] ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পালসার আবিষ্কৃত হওয়ার ঠিক আগে ফ্র্যাঙ্কো পাচিনি মতপ্রকাশ করেন যে, একটি চৌম্বক ক্ষেত্রযুক্ত ঘূর্ণায়মান নিউট্রন তারকা থেকে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ বিকিরণ হতে পারে।[৯] প্রথম পালসার আবিস্কৃত হওয়ার পরে থমাস গোল্ড পাচিনির মতোই একটি চৌম্বক ক্ষেত্রযুক্ত ঘূর্ণায়মান নিউট্রন তারকার কথা বলেন, যা তাঁর মতে জোসেলিন বেল বার্নেলঅ্যান্থনি হিউইশ আবিষ্কৃত তরঙ্গের ব্যাখ্যা দিতে পারে।[১০] ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ক্র্যাব পালসার আবিষ্কৃত হওয়ার পর পালসারের এই ব্যাখ্যা নিশ্চিত রূপে প্রমাণিত হয়। এই পালসারের ৩৩ মিলিসেকেন্ডের পর্যায়কাল এই তরঙ্গ বিকিরণের অন্যান্য ব্যাখ্যাগুলিকে বাতিল করে দেয়।[১১]:১-৭

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে পালসার আবিষ্কারের জন্য অ্যান্থনি হিউইশ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১২] হিউশের ছাত্রী জোসেলিন বেল বার্নেল প্রথম পালসার আবিষ্কার করলেও শুধুমাত্র হিউশ এই পুরস্কার লাভ করায় এই সময় প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

পালসারের শ্রেণীবিভাগ

১) রোটেশন-পাওয়ার্ড পালসার, যেখানে তারকার আবর্তন শক্তি ব্যবহার করে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ বিকরন হয় ।

২) এক্রীশন- পাওয়ার্ড পালসার, যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করে এক্স-রে তৈরি হয় ।

৩) ম্যগ্নেটার্স হল যেখানে উচ্চ বলের চুম্বকিয় ক্ষেত্রের ক্ষয় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তি বিকরন হয় ।

পালসারের সৃষ্টি

নিউট্রন তারকা অত্যন্ত উচ্চ ঘনত্তের পদার্থ দিয়ে তৈ্রি হয় । এক চামচ নিউট্রন তারকার পদর্থের ভর প্রায় ৬০ কোটি টন । তারকার কো্রে এতই উচ্চ চাপ হয় যে ইলেক্ট্রন, প্রোটন নিজস্ব সত্বা হারিয়ে নিউট্রনের মত আচরন করে । যেহেতু বেশির ভাগ উজ্ব্ল তারকার কৌণিক ভরবেগ থাকে, সেহেতু সুপারনভা বিস্ফরনের পরে যে পালসার তৈরি হয় তার আবর্তন গতিবেগ খুবিই বেশি হয় ।

পালসার সম্বন্ধিত গবেষণা

কিছুদিন আগেই, NASA –এর এক্স-রে বিক্ষণাগার প্রথমবার নিউট্রন তারকার কোরে সুপারফ্লুইডের অস্তত্বের প্রমান পায় । এই খোঁজে্র সাহায্যে condensed matter physics –এর প্রচুর তথ্যে্র আরও গভীর গবেষণা করা যাচ্ছে । আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব বলে যে এই পালসার বাইনারি System নিরন্তর মধ্যাকর্ষন তরঙ্গ বিকরন করে যার ফলে এই বাইনারি System এর আবর্তন কক্ষপথ ক্রমে ছোট হতে থাকবে এবং এটি এখন পালসার সম্বধিত তথ্য দিয়ে প্রমাণিত ।

তাত্ত্বিক পদ্ধতিতে নিউট্রন তারকার গবেষণা

নিউট্রন তারকা বর্তমান জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীদের জন্যে একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় গবেষণার বিষয় । এই বিষয়ে প্রচুর তাত্ত্বিক পদ্ধতি প্রস্তাবিত করা হয়ছে যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হল :-

১) টমাস-ফার্মী মডেল :- ১৯২০ সালে টমাস এবং ফার্মী পরমাণুকে একটি ৬ ডাইমেন্সানের Phase-space –এ নিউক্লিয়াসের চারিদিকে সমানভাবে বণ্টিত ইলেক্ট্রন মেঘ হিসাবে ধরার প্রস্তাব দিয়েছিলেন । এতে “Many body problem” –এর হিসাব অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল ।

২) স্রডিঞ্জার মডেল (যেমন, ভেরিয়েশনাল পদ্ধতি, মন্টে-কার্লো পদ্ধতি, ব্রুকনার থিওরী, কাপল্ড ক্লাস্টার পদ্ধতি, গ্রীন ফাংশান পদ্ধতি, ইত্যাদি)

৩) পরিপেক্ষিক ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক মডেল যেমন পরিপেক্ষিক গড় ক্ষেত্র, হারট্রী-ফক, ইত্যাদি ।

৪) নাম্বু-জোনা-লাসিনিও মডেল :- এই কোয়ার্ক মডেলে একটি বিশেষ ল্যাগরাঞ্জিয়ান (N খানা ফ্লেবারের কোয়ার্ক সমূহের জন্যে)ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষিক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে ।

৫) Chiral SU(3) কোয়ার্ক গড় ক্ষেত্র মডেল ।

কিছু বিশেষ পালসার

১) প্রথম রেডিয় পালসার “CP 1919” ( বর্তমানে “PSR B1919+21”) -এর পাল্স পর্যায়কাল ১.১৩৩৭ সেকেন্ড এবং পাল্স প্রস্থ ০.০৪ সেকেন্ড ছিল ।

২) বাইনারি পালসার, “PSR B1913+16” প্রথম তারকা ছিল যার কক্ষপথ ক্ষয় আইনস্টাইনের Theory of General Relativity দিয়ে যথাযথ ভাবে বোঝাা গিয়েছিল ।

৩) প্রথম মিলিসেকেন্ড পালসার, PSR B1937+21

৪) উজ্জ্বলতম মিলিসেকেন্ড পালসার , PSR J0437-4715

৫) প্রথম এক্স-রে পালসার Cen X-3

৬) প্রথম এক্রীশন মিলিসেকেন্ড এক্স-রে পালসার SAX J1808.4-3658

৭) প্রথম গ্রহসহ পালসার, PSR B1257+12

৮) গ্রহাণু দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম পালসার, PSR J0738-4042

৯) প্রথম যুবল পালসার, PSR J0737−3039

১০) দীর্ঘত্ম পর্যায়কাল যুক্ত পালসার, PSR J2144-3933

পাদটীকা

  1. we did not really believe that we had picked up signals from another civilization, but obviously the idea had crossed our minds and we had no proof that it was an entirely natural radio emission. It is an interesting problem—if one thinks one may have detected life elsewhere in the universe, how does one announce the results responsibly?"[৫]

তথ্যসূত্র

  1. http://www.merriam-webster.com/dictionary/pulsar
  2. Pranab Ghosh, Rotation and accretion powered pulsars. World Scientific, 2007, p.2.
  3. M. S. Longair, Our evolving universe. CUP Archive, 1996, p.72.
  4. M. S. Longair, High energy astrophysics, Volume 2. Cambridge University Press, 1994, p.99.
  5. S. Jocelyn Bell Burnell (১৯৭৭)। "Little Green Men, White Dwarfs or Pulsars?"। Cosmic Search Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-৩০ 
  6. Burnell, S. Jocelyn Bell (২৩ এপ্রিল ২০০৪)। "So Few Pulsars, So Few Females"Science304 (5670): 489। ডিওআই:10.1126/science.304.5670.489পিএমআইডি 15105461 
  7. Courtland, Rachel. "Pulsar Detected by Gamma Waves Only." New Scientist, 17 October 2008.
  8. দৃষ্টি আকর্ষণ: এই টেমপ্লেটি ({{cite doi}}) অবচিত। doi দ্বারা চিহ্নিত প্রকাশনা উদ্ধৃত করার জন্য:10.1103/PhysRev.46.76.2, এর পরিবর্তে দয়া করে |doi=10.1103/PhysRev.46.76.2 সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন।
  9. দৃষ্টি আকর্ষণ: এই টেমপ্লেটি ({{cite doi}}) অবচিত। doi দ্বারা চিহ্নিত প্রকাশনা উদ্ধৃত করার জন্য:10.1038/216567a0, এর পরিবর্তে দয়া করে |doi=10.1038/216567a0 সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন।
  10. দৃষ্টি আকর্ষণ: এই টেমপ্লেটি ({{cite doi}}) অবচিত। doi দ্বারা চিহ্নিত প্রকাশনা উদ্ধৃত করার জন্য:10.1038/218731a0, এর পরিবর্তে দয়া করে |doi=10.1038/218731a0 সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন।
  11. Lyne, Andrew G.; Graham-Smith, Francis (১৯৯৮)। Pulsar Astronomy। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-59413-8 
  12. "Press Release: The Nobel Prize in Physics 1974"। ১৫ অক্টোবর ১৯৭৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৯ 

আরো পড়ুন

Lorimer, Duncan R.; Kramer, Michael (২০০৪)। Handbook of Pulsar Astronomy। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-82823-6 

  • Lorimer, Duncan R. (২০০৮)। "Binary and Millisecond Pulsars" 
  • Manchester, Richard N.; Taylor, Joseph H. (১৯৭৭)। Pulsars। W. H. Freeman and Company। আইএসবিএন 0-7167-0358-0 
  • Stairs, Ingrid H (২০০৩)। "Testing General Relativity with Pulsar Timing" 

বহিঃসংযোগ