বিষয়বস্তুতে চলুন

পক্ষিবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
+
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
প্রাচীন যুগ থেকেই মানুষের সাথে পাখপাখালির নিবিড় সম্পর্ক। সেসময়ে পাখি সম্পর্কে মানুষের মনে নিশ্চিতভাবেই কৌতূহল জাগে এবং সেসব কৌতূহলের ফলে সৃষ্ট অজানা প্রশ্নের উত্তরে সৃষ্টি হয় প্রচুর [[উপকথা]], [[পুরাণ]] ও লোককাহিনী। তবে প্রাথমিক যুগে মানুষের সাথে পাখির সম্পর্ক ছিল কেবলই খাদ্য-খাদকের সম্পর্ক। প্রাচীন [[প্রস্তর যুগ|প্রস্তর যুগে]] মানব বসতিতে ৮০ [[প্রজাতি|প্রজাতিরও]] বেশি পাখির হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।<ref>{{cite journal |author=Nadel, K. D., Ehud Weiss, Orit Simchoni, Alexander Tsatskin, Avinoam Danin, and Mordechai |year=2004 |title=Stone Age hut in Israel yields world's oldest evidence of bedding|journal=Proc. Nat. Acad. Sci. |volume=101 |issue=17 |pages=6821&ndash;6826 |url=http://www.pnas.org/cgi/reprint/0308557101v1.pdf |doi=10.1073/pnas.0308557101|pmid=15090648 |format=PDF |pmc=404215}}</ref><ref>{{cite book |author=Newton, Alfred |title=Ornithology. Reprinted from Encyclopaedia Britannica (9th Edn.) |year=1884|url=http://www.archive.org/details/ornithology00newt}}</ref><ref>{{cite book |url=http://www.archive.org/details/dictionaryofbird00newt |title=A Dictionary of Birds |publisher=Adam & Charles Black, London |year=1893-1896 |author=Newton, Alfred}}</ref>
প্রাচীন যুগ থেকেই মানুষের সাথে পাখপাখালির নিবিড় সম্পর্ক। সেসময়ে পাখি সম্পর্কে মানুষের মনে নিশ্চিতভাবেই কৌতূহল জাগে এবং সেসব কৌতূহলের ফলে সৃষ্ট অজানা প্রশ্নের উত্তরে সৃষ্টি হয় প্রচুর [[উপকথা]], [[পুরাণ]] ও লোককাহিনী। তবে প্রাথমিক যুগে মানুষের সাথে পাখির সম্পর্ক ছিল কেবলই খাদ্য-খাদকের সম্পর্ক। প্রাচীন [[প্রস্তর যুগ|প্রস্তর যুগে]] মানব বসতিতে ৮০ [[প্রজাতি|প্রজাতিরও]] বেশি পাখির হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।<ref>{{cite journal |author=Nadel, K. D., Ehud Weiss, Orit Simchoni, Alexander Tsatskin, Avinoam Danin, and Mordechai |year=2004 |title=Stone Age hut in Israel yields world's oldest evidence of bedding|journal=Proc. Nat. Acad. Sci. |volume=101 |issue=17 |pages=6821&ndash;6826 |url=http://www.pnas.org/cgi/reprint/0308557101v1.pdf |doi=10.1073/pnas.0308557101|pmid=15090648 |format=PDF |pmc=404215}}</ref><ref>{{cite book |author=Newton, Alfred |title=Ornithology. Reprinted from Encyclopaedia Britannica (9th Edn.) |year=1884|url=http://www.archive.org/details/ornithology00newt}}</ref><ref>{{cite book |url=http://www.archive.org/details/dictionaryofbird00newt |title=A Dictionary of Birds |publisher=Adam & Charles Black, London |year=1893-1896 |author=Newton, Alfred}}</ref>


পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পাখি বিষয়ক শব্দভাণ্ডার বেশ সম্বৃদ্ধ।<ref>{{cite web |url=http://www.birdinghawaii.co.uk/Hawaiianbirdnames2.htm |title=Hawaiian bird names |accessdate=2008-06-11}}</ref> পাখিদের স্থানীয় নাম দেওয়া হয়েছে তাদের আচরণ অথবা নির্দিষ্ট কোন বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে (যেমন-[[দেশি গাঙচষা|পানিকাটা]])। কয়েক প্রজাতির পাখির নাম দেওয়া হয়েছে তাদের ডাক অনুসরণ করে (যেমন-[[পাতিকাক|কাক]])। এসব নামের কিছুকিছু এখনও বেশ প্রচলিত রয়েছে।<ref>{{cite book |author=Gill, Frank & M. Wright|year=2006 |title=Birds of the world: Recommended English Names|publisher=Princeton University Press |url=http://www.worldbirdnames.org/principles.html}}</ref>
পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পাখি বিষয়ক শব্দভাণ্ডার বেশ সম্বৃদ্ধ।<ref>{{cite web |url=http://www.birdinghawaii.co.uk/Hawaiianbirdnames2.htm |title=Hawaiian bird names |accessdate=2008-06-11}}</ref> পাখিদের স্থানীয় নাম দেওয়া হয়েছে তাদের আচরণ অথবা নির্দিষ্ট কোন বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে (যেমন-[[দেশি গাঙচষা|পানিকাটা]])। কয়েক প্রজাতির পাখির নাম দেওয়া হয়েছে তাদের ডাক অনুসরণ করে (যেমন-[[পাতিকাক|কাক]])। এসব নামের কিছুকিছু এখনও বেশ প্রচলিত রয়েছে।<ref>{{cite book |author=Gill, Frank & M. Wright|year=2006 |title=Birds of the world: Recommended English Names|publisher=Princeton University Press |url=http://www.worldbirdnames.org/principles.html}}</ref> প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন [[জনগোষ্ঠী]] রোগ নিরাময়ের জন্য পাখি বা পাখি থেকে উৎপন্ন দ্রব্যাদি ব্যবহার করে আসছে।<ref>{{cite journal |author=Mahawar, M. M. & D. P. Jaroli |year=2007 |title=Traditional knowledge on zootherapeutic uses by the Saharia tribe of Rajasthan, India |journal=Journal of Ethnobiology and Ethnomedicine |volume=3 |pages=25|url=http://www.ethnobiomed.com/content/3/1/25 |doi=10.1186/1746-4269-3-25 |pmid=17547781 |pmc=1892771 |issue=1}}</ref> এসব নিরাময় পদ্ধতির কোন কোনটা সত্যিই কার্যকর। রোগ নিরাময়ের এসব পন্থা যুগ যুগ ধরে বংশধর থেকে বংশধরে (প্রধানত মৌখিকভাবে) হস্তান্তর করা হয় (দেখুন- [[এথনোঅর্নিথোলজি]])।<ref>{{cite web |url=http://www.cvco.org/science/audubon/Sep2004article.html |author=Shapiro, M.|title=Native bird names |publisher=Richmond Audubon Society |accessdate=2007-12-01}}</ref><ref>{{cite journal |author=Hohn, E.O. |year=1973|title=Mammal and bird names in the Indian languages of the Lake Athabasca area |journal=Arctic |volume=26 |pages=163&ndash;171 |url=http://pubs.aina.ucalgary.ca/arctic/Arctic26-2-163.pdf }}</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৭:১৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পক্ষীবিজ্ঞান জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যেটি শুধুমাত্র পাখি এবং পাখি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়নের কাজে ব্যবহৃত হয়। পক্ষীবিজ্ঞান নিয়ে যিনি গবেষণা করেন, তাঁকে বলে পক্ষীবিদ। পক্ষীবিজ্ঞানের ইংরেজি অর্নিথোলজি। শব্দটি প্রাচীন গ্রীক ὄρνις (অর্নিস, অর্থাৎ পাখি) এবং λόγος (লোগোস, অর্থাৎ যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা বা বিস্তারিত জ্ঞান) শব্দ দু'টি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা থেকে কয়েকটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পক্ষীবিজ্ঞান আলাদা। পাখিদের নান্দনিক সৌন্দর্য্য, বৈচিত্র্য আর গবেষকের ইন্দ্রীয় নির্ভরশীলতা বিজ্ঞানের এ শাখাটিকে অনন্য বৈশিষ্ট্য দান করেছে।[১] এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এ বিষয়ে ন্যূনতম বৈজ্ঞানিক জ্ঞান দিয়ে একজন শিক্ষানবীশ, এমনকি একজন শখের পাখি পর্যবেক্ষকের পক্ষেও সহজেই জ্ঞানের এ ধারাটিতে অবদান রাখা সম্ভব।

পক্ষীবিজ্ঞানের ইতিহাস খুব দীর্ঘ। বহু বছর ধরে পাখি বিষয়ক ব্যাপক হারে গবেষণা বিবর্তন, বাস্তুসংস্থান, প্রাণীর আচরণ, এক প্রজাতির সাথে আরেক প্রজাতির সম্পর্ক ইত্যাদি বহু অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে সহায়তা করেছে। নতুন নতুন তত্ত্ব ও শাখার উদ্ভব হয়েছে পক্ষীবিজ্ঞান গবেষণার মাধ্যমে। প্রজাতি, প্রজাত্যায়ন, প্রাণীদের সহজাত প্রবৃত্তি, খাদ্যজালক, প্রাকৃতিক জ্ঞান, সংরক্ষণ ইত্যাদি সঙ্গায়নে পক্ষীবিজ্ঞান বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। পক্ষীবিজ্ঞানের প্রাথমিক দিকে মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বর্ণনা, তাদের আবাসস্থল ও দৃশ্যমান আচরণ লিপিবদ্ধ ও অধ্যয়ন করা। আধুনিককালে পক্ষীবিদরা পাখি বিষয়ক আরও সূক্ষ্ম ও নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এ বিষয়ে নানান নতুন প্রকল্প ও তত্ত্বের উদ্ভব হচ্ছে, অজানা তথ্য বেরিয়ে আসছে। জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত অধিকাংশ আধুনিক তত্ত্ব অন্যসব প্রাণীদের (স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, পতঙ্গ ইত্যাদির) ক্ষেত্র প্রযোজ্য হয় বলে আজকাল কেবল পক্ষীবিদ বলে নিজেকে পরিচয় দেন এমন বিজ্ঞানী খুঁজে পাওয়া ভার।[২] অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে পরীক্ষাগারের ভেতরে ও মাঠপর্যায়ে যেমন অসংখ্য প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, তেমনি বহু নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির উদ্ভব হচ্ছে।[৩]

পক্ষীবিজ্ঞানের ইতিহাস

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা পাখির স্কেচ, (১৪৫২-১৫১৯)

জীববিজ্ঞানের ইতিহাসেই পক্ষীবিজ্ঞানের ইতিহাস সম্পর্কিত রূপরেখা পাওয়া যায়। প্রাথমিক দিকে পক্ষীবিজ্ঞানের চর্চা ছিল বর্ণনামূলক। পরবর্তীতে বর্ণনামূলক থেকে নমুনা বা ঘটনা সনাক্তকরণের দিকে পক্ষীবিজ্ঞানীরা ঝুঁকে পড়েন। আধুনিক যুগে সেসব নমুনার পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ও ঘটনা ঘটার কারণ খুঁজে বের করার ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক যুগে পক্ষীবিজ্ঞান চর্চা

প্রাচীন যুগ থেকেই মানুষের সাথে পাখপাখালির নিবিড় সম্পর্ক। সেসময়ে পাখি সম্পর্কে মানুষের মনে নিশ্চিতভাবেই কৌতূহল জাগে এবং সেসব কৌতূহলের ফলে সৃষ্ট অজানা প্রশ্নের উত্তরে সৃষ্টি হয় প্রচুর উপকথা, পুরাণ ও লোককাহিনী। তবে প্রাথমিক যুগে মানুষের সাথে পাখির সম্পর্ক ছিল কেবলই খাদ্য-খাদকের সম্পর্ক। প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানব বসতিতে ৮০ প্রজাতিরও বেশি পাখির হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।[৪][৫][৬]

পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পাখি বিষয়ক শব্দভাণ্ডার বেশ সম্বৃদ্ধ।[৭] পাখিদের স্থানীয় নাম দেওয়া হয়েছে তাদের আচরণ অথবা নির্দিষ্ট কোন বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে (যেমন-পানিকাটা)। কয়েক প্রজাতির পাখির নাম দেওয়া হয়েছে তাদের ডাক অনুসরণ করে (যেমন-কাক)। এসব নামের কিছুকিছু এখনও বেশ প্রচলিত রয়েছে।[৮] প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী রোগ নিরাময়ের জন্য পাখি বা পাখি থেকে উৎপন্ন দ্রব্যাদি ব্যবহার করে আসছে।[৯] এসব নিরাময় পদ্ধতির কোন কোনটা সত্যিই কার্যকর। রোগ নিরাময়ের এসব পন্থা যুগ যুগ ধরে বংশধর থেকে বংশধরে (প্রধানত মৌখিকভাবে) হস্তান্তর করা হয় (দেখুন- এথনোঅর্নিথোলজি)।[১০][১১]

তথ্যসূত্র

  1. Newton, Ian (১৯৯৮)। Population limitation in birds। Academic Press। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 0-12-517366-0 
  2. Bibby, C.J. (২০০৩)। "Fifty years of Bird Study: Capsule Field ornithology is alive and well, and in the future can contribute much more in Britain and elsewhere"Bird Study50 (3): 194–210। ডিওআই:10.1080/00063650309461314 
  3. Sutherland, W. J., Ian Newton, Rhys Green (২০০৪)। Bird ecology and conservation : a handbook of techniques। Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-852086-7 
  4. Nadel, K. D., Ehud Weiss, Orit Simchoni, Alexander Tsatskin, Avinoam Danin, and Mordechai (২০০৪)। "Stone Age hut in Israel yields world's oldest evidence of bedding" (PDF)Proc. Nat. Acad. Sci.101 (17): 6821–6826। ডিওআই:10.1073/pnas.0308557101পিএমআইডি 15090648পিএমসি 404215অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. Newton, Alfred (১৮৮৪)। Ornithology. Reprinted from Encyclopaedia Britannica (9th Edn.) 
  6. Newton, Alfred (১৮৯৩–১৮৯৬)। A Dictionary of Birds। Adam & Charles Black, London। 
  7. "Hawaiian bird names"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-১১ 
  8. Gill, Frank & M. Wright (২০০৬)। Birds of the world: Recommended English Names। Princeton University Press। 
  9. Mahawar, M. M. & D. P. Jaroli (২০০৭)। "Traditional knowledge on zootherapeutic uses by the Saharia tribe of Rajasthan, India"Journal of Ethnobiology and Ethnomedicine3 (1): 25। ডিওআই:10.1186/1746-4269-3-25পিএমআইডি 17547781পিএমসি 1892771অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  10. Shapiro, M.। "Native bird names"। Richmond Audubon Society। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০১ 
  11. Hohn, E.O. (১৯৭৩)। "Mammal and bird names in the Indian languages of the Lake Athabasca area" (পিডিএফ)Arctic26: 163–171।