বিষয়বস্তুতে চলুন

হরেজু মঠ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হরেজু মঠ
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
Monastery of Horezu
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: ii
সূত্র৫৯৭
তালিকাভুক্তকরণ১৯৯৩ (সপ্তদশ সভা)

হরেজু মঠ সপ্তদশ শতকে নির্মিত রুমানিয়ার এক বিশেষ স্খাপত্য নিদর্শন। সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে ইউনেস্কো ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে এ স্থাপনাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্খানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[] রুমানিয়ার ওয়ালাচিয়া অঞ্চলে একটি শহরের নাম হরেজু। এ শহরের চিত্রময় উপত্যকার মাঝে এই মঠ বা আশ্রমটি অবস্থিত। ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে ওয়ালাচিয়ার রাজপুত্র কনস্ট্যানটাইন ব্র্যানকোভিনু এটি নির্মাণ করেন। এ মঠে অসাধারণ শৈল্পিক কারুকাজ ব্যবহার করা হয়েছে যা কয়েক শতক ধরে ভালো অবস্খায় টিকে আছে। হরেজু মঠের স্খাপত্যিক ঘরানা পরিলক্ষিত হয় তা ওয়ালাচিয়ার অন্যান্য মঠ ও গির্জায় তা প্রতিফলিত হয়েছে। এ মঠের স্খাপত্যিক ঘরানার নাম ব্র্যানকোভেনেস্ক শিল্প। স্খাপত্যিক শুদ্ধতা, ভারসাম্য, নির্মাণশৈলীর উচ্চমানের বিশেষত্ব, ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা, স্রষ্টাসমীপে প্রতিজ্ঞাপূরণার্থে প্রদত্ত প্রতিকৃতি এবং অঙ্গসজ্জায় রঙের ব্যবহারের জন্য এ শিল্প বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। উল্লেখ্য যে, ওয়ালাচিয়ার শাসক রাজপুত্র কনস্ট্যানটাইন ব্র্যানকো।ভিনুকনস্ট্যানটাইন ব্র্যানকোভিনুর নামানুসারে ব্র্যানকোভেনেস্ক শিল্পের নামকরণ করা হয়েছে। শিল্পটি বর্তমান রোমানিয়ার দেশজ শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। সেই সময়ের যুদ্ধাবস্খায় এই শিল্পরীতি বা ঘরানা গড়ে ওঠে। ১৪১৫ সালে ওয়ালাচিয়া এলাকা তৎকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সামরিক শক্তি ওসমানীয় সাম্রাজ্যের (তুরস্ক) অধীনে যায়। এরপর এ এলাকায় অনেক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যুদ্ধাবস্খায় এই সুন্দর শিল্পের বিকাশ এক অভাবনীয় বিষয়। এর পেছনে কাজ করেছে তুর্কিদের ধর্মীয় সহনশীলতা এবং স্খানীয় শাসকদের সৌন্দর্যবোধ ও ইচ্ছাশক্তি। হরেজু মঠ ব্র্যানকোভেনেস্ক শিল্পের শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে এটি রোমানিয়ার একটি জনপ্রিয় তীর্থস্খান। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. রুমানিয়ার মঠ

বহি:সংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:World Heritage Sites in Romania