স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স লিমিটেড
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
ধরন | পাবলিক |
---|---|
আইএসআইএন | BD0473SQPH00 |
শিল্প | ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৮ |
প্রতিষ্ঠাতা | স্যামসন এইচ চৌধুরী |
সদরদপ্তর | , বাংলাদেশ |
বাণিজ্য অঞ্চল | এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ |
প্রধান ব্যক্তি | তপন চৌধুরী |
ওয়েবসাইট | squarepharma |
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।[১] ১৯৫৮ সালে[২] স্যামসন এইচ চৌধুরী এবং তার তিন বন্ধু মিলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৯১ সালে এটি জনসাধারণের কাছে চলে আসে এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও[৩] চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর (ID of SPL: ১৩০০২) তালিকাভুক্ত হয়।[৪][৫] স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স ১৯৮৭ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ও ঔষুধ রপ্তানি করতে শুরু করে, এবং বর্তমানে তারা বিশ্বের ৪২ টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে।[৬]
২০০৮ ও ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে বাজারের তাদের সর্বোচ্চ শেয়ার ছিল।[১][৭]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]স্বপ্নদ্রষ্টা স্যামসন এইচ চৌধুরী
১৯৫২ সালে ডাক বিভাগের চাকরি ছেড়ে বাবার হোসেন ফার্মেসিতে বসতে শুরু করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। বছর চারেক পর বাবার কাছ থেকে টাকা ধার করে আতাইকুলাতেই ইসন্সস (ইয়াকুব অ্যান্ড সন্স) নামে ছোট ওষুধ কোম্পানি করেন তিনি। সেটিকে বড় করতে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নেন। কাজী হারুনূর রশীদ, পি কে সাহা ও রাধাবিন্দ রায়কে নিয়ে ১৯৫৮ সালে স্কয়ার নামে ওষুধ কোম্পানি করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তখন তাঁদের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার টাকা। চারজনের সমান বিনিয়োগ বলে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় স্কয়ার। ১৯৭১ সালে রাধাবিনোদ রায় নিজের মালিকানার অংশ ছেড়ে দেন। হারুনূর রশিদ ও পি. কে. সাহার মালিকানার অংশ এখনো রয়ে গেছে। চার বন্ধু মিলে কোম্পানিটি গড়ে তুললেও নেতৃত্বে ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। শুরুতে পাবনায় নিজ বাড়ির কাছেই কোম্পানির কারখানা করা হয়। শুরুতে স্কয়ার ফার্মা সিরাপজাতীয় ওষুধ তৈরি করত। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে কোম্পানির পরিসরও বড় হতে থাকে। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে এসে বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় স্কয়ার। ওই সময় দেশের ওষুধের বাজারে একচেটিয়া প্রভাব ছিল বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর। জনসনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এ দেশে কোম্পানিটির ওষুধ উৎপাদন শুরু করে স্কয়ার। তাতে ওষুধের বাজারে শক্ত ভিত তৈরি হয় স্কয়ারের। ১৯৮২ সালে এসে এরশাদ সরকারের সময় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশীয় কোম্পানিগুলোর চুক্তি ও সনদ বাতিল করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ বা এসেনশিয়াল ড্রাগসের একটি তালিকা তৈরি করে। তত দিনে বিদেশি কোম্পানি জনসনের জন্য ওষুধ তৈরি করতে গিয়ে স্কয়ারের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। সেই সক্ষমতা দিয়েই ১৯৮৩–৮৪ সালের দিকে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি শুরু করে স্কয়ার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে স্কয়ারের ওষুধ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মা ১৯৯৫ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে ১০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। সে সময় ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের বা ফেসভ্যালুর এ শেয়ারের জন্য অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম নেওয়া হয় ৮০০ টাকা। সেই ৯০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০ কোটি দিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গড়ে তোলা হয় স্কয়ার ফার্মার বিশাল কারখানা। বাকি ৪০ কোটি টাকায় তৈরি হয় স্কয়ার টেক্সটাইল। গত ২০১৭–১৮ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কয়ার ফার্মার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৭৮২ কোটি টাকার। ২০১৮–১৯ অর্থবছরের মুনাফার পর প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। কোম্পানি তাদের সম্পদমূল্যের হিসাব করেছে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে। বর্তমান বাজারমূল্য হিসাব করা হলে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অথচ ১৯৫৮ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি। সেই ২০ হাজার টাকার কোম্পানি এখন পরিণত হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকার কোম্পানিতে। বর্তমানে বিশ্বের ৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে স্কয়ার। এগুলোর মধ্যে এশিয়ার ১৯টি দেশ, আফ্রিকার ১৩টি, ওশেনিয়া অঞ্চলের ৩টি, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬টি এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছর স্কয়ার ১৪৫ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করেছে। এই আয় তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নজর এখন বিদেশে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় কারখানা তৈরি করছে কোম্পানিটি। এ বছরের শেষে কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু করতে চায় স্কয়ার ফার্মা। এর মাধ্যমে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার ছয়টি দেশের ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বা সাড়ে ২৫ হাজার েকাটি টাকার ওষুধের বাজার ধরতে চায় তারা। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী বলেন, কেনিয়ায় কারখানা করতে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ১০০ কোটি টাকার মূলধন বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানা নির্মাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে আরও ৮০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে কেনিয়ায় কারখানায় মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ২ কোটি ডলার বা ১৭০ কোটি টাকা।
গত ২০১৭–১৮ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কয়ার ফার্মার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৭৮২ কোটি টাকার। ২০১৮–১৯ অর্থবছরের মুনাফার পর প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়২০২০-২০২১ সালে সম্পদের পরিমাণ হু হু করে বেড়ে চলছে। ্থবছরের মুনাফার কোপ্রতিষ্ঠানটির সম্পদের অর্থবছরের মুনাফার পর প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টা২৭ দাঁড় ৯ অর্থবছরের মুনাফার পর প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড় । কোম্পানি তাদের সম্পদমূল্যের হিসাব করেছে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে। বর্তম৭ন বাজারমূল্য হিসাব করা হলে কোম্পানিটির সম্পদমূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অথচ ১৯৫৮ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি। সেই ২০ হাজার টাকার কোম্পানি এখন পরিণত হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকার কোম্পানিতে।
বর্তমানে বিশ্বের ৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে স্কয়ার। এগুলোর মধ্যে এশিয়ার ১৯টি দেশ, আফ্রিকার ১৩টি, ওশেনিয়া অঞ্চলের ৩টি, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬টি এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছর স্কয়ার ১৪৫ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করেছে। এই আয় তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নজর এখন বিদেশে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় কারখানা তৈরি করছে কোম্পানিটি। এ বছরের শেষে কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু করতে চায় স্কয়ার ফার্মা। এর মাধ্যমে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার ছয়টি দেশের ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বা সাড়ে ২৫ হাজার েকাটি টাকার ওষুধের বাজার ধরতে চায় তারা।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী বলেন, কেনিয়ায় কারখানা করতে প্রাথমিকভাবে ১ েকাটি ২০ লাখ ডলার বা ১০০ কোটি টাকার মূলধন বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানা নির্মাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে আরও ৮০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে কেনিয়ায় কারখানায় মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ২ কোটি ডলার বা ১৭০ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৫৮ সাল
প্রতিষ্ঠাতা: স্যামসন এইচ চৌধুরী
প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ২০
মোট কর্মী:৬০,০০০ প্রায় (এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত)
বার্ষিক লেনদেন: ১১,১৬০ কোটি টাকা (২০২১-২২ অর্থবছর)
রপ্তানি গন্তব্য: ৫০-এর বেশি
দেশ রপ্তানি আয়: ২,৮৭১ কোটি টাকা
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি: ২টি (স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার টেক্সটাইলস)
কোন খাতে ব্যবসা: স্বাস্থ্যসেবা; ভোগ্যপণ্য; বস্ত্র; মিডিয়া, টিভি ও তথ্যপ্রযুক্তি; নিরাপত্তা সেবা; ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স; হেলিকপ্টার ও কৃষিপণ্য।
স্কয়ারের যত প্রতিষ্ঠান:
১. স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস,
২. স্কয়ার টেক্সটাইলস,
৩. স্কয়ার ফ্যাশনস,
৪. স্কয়ার ইয়ার্ন,
৫. স্কয়ার হেস্ককন,
৬. স্কয়ার হসপিটাল,
৭. স্কয়ার টয়লেট্রিজ,
৮. স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ,
৯. স্কয়ার সিকিউরিটিজ ম্যানেজমেন্ট,
১০. ফার্মা প্যাকেজেস,
১১. মিডিয়াকম,
১২. স্কয়ার এয়ার,
১৩. স্কয়ার ইনফরমেটিকস,
১৪. এজেস সার্ভিস,
১৫. স্কয়ার ফ্যাশন ইয়ার্ন,
১৬. মাছরাঙা কমিউনিকেশনস,
১৭. স্কয়ার অ্যাগ্রো ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রসেসিং,
১৮. সাবাজপুর টি কোম্পানি,
১৯. স্কয়ার ডেনিম এবং
২০. স্কয়ার অ্যাপারেলস।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Pharma firms take to contract manufacturing"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০০৮।
- ↑ "History & Growth"। Square Pharmaceuticals Ltd.।
- ↑ "Display Company Information"। Dsebd.org। ২০১২-০৯-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-২৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "About us"। squarepharma.com.bd। ১৩ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ "Square Tops List of 10, Incepta second"। The Financial Express। Dhaka। ১ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ওয়েবসাইট (ইংরেজি)