অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Manisha Mrinmoyee Mrittika (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Manisha Mrinmoyee Mrittika (আলোচনা | অবদান)
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
<ref name="দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর">[http://sunamganjerkhobor.com/?p=9743 দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
<ref name="দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর">[http://sunamganjerkhobor.com/?p=9743 দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>


== আর্পিত সম্পত্তি কী ==
== অর্পিত সম্পত্তি কী ==
১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর 'ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস ১৯৬৫' জারি করা হয়। এই বিধিমালা অনুসারে ওই ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত যেসব নাগরিক পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়, তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি 'শত্রু সম্পত্তি' হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে 'শত্রু সম্পত্তির' নাম পরিবর্তন করে 'অর্পিত সম্পত্তি' রাখা হয়। এসব অর্পিত সম্পত্তি মূল মালিক বা তদীয় বৈধ উত্তরাধিকারীর কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে 'অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১' প্রণয়ন করা হয়। তবে তা বাস্তবায়নের জণ্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা জারি না করায় আইন অনুসারে দীর্ঘকাল কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি।<ref>[http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Visa&pub_no=882&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=6&archiev=yes&arch_date=14-05-2012 অবমুক্তি বিধিমালা জারি]</ref>
১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর 'ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস ১৯৬৫' জারি করা হয়। এই বিধিমালা অনুসারে ওই ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত যেসব নাগরিক পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়, তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি 'শত্রু সম্পত্তি' হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে 'শত্রু সম্পত্তির' নাম পরিবর্তন করে 'অর্পিত সম্পত্তি' রাখা হয়। এসব অর্পিত সম্পত্তি মূল মালিক বা তদীয় বৈধ উত্তরাধিকারীর কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে 'অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১' প্রণয়ন করা হয়। তবে তা বাস্তবায়নের জণ্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা জারি না করায় আইন অনুসারে দীর্ঘকাল কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি।<ref>[http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Visa&pub_no=882&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=6&archiev=yes&arch_date=14-05-2012 অবমুক্তি বিধিমালা জারি]</ref>



১০:১৩, ২৭ জুন ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাংলাদেশের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১ অনুসারে ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ পর্যন্ত যেসব পাকিস্তানি নাগরিক পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের স্থাবর সম্পত্তি যা পাকিস্তান আমলে 'শত্রু সম্পত্তি' ও বাংলাদেশ আমলে 'অর্পিত সম্পত্তি' নামে অভিহিত হয়েছিল, তা ফেরৎ পেতে পারেন। এই আইনের ২০০১ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধিত হয়। সংশোধিত আইনের ৯ক ধারা অনুযায়ী সরকারী গেজেটে মৌজাভিত্তিক জেলাওয়ারি তালিকা প্রকাশের পর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেকে অর্পিত সম্পত্তির দাবিদার মনে করলে, তার দাবির সমর্থনে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ সরকারি গেজেট প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি অথবা ট্রাইব্যুনালে উক্ত সম্পত্তি অবমুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। [১]

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের তফসিলে এমন বহু সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল যা কখনোই অর্পিত সম্পত্তি ছিল না। ফলে হাজার হাজার মানুষকে হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়। সাধারণ মানুষের দাবির মুখে সরকার আইনের "খ" তফসিলটি বাতিল করে। [২]

অর্পিত সম্পত্তি কী

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর 'ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস ১৯৬৫' জারি করা হয়। এই বিধিমালা অনুসারে ওই ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত যেসব নাগরিক পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়, তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি 'শত্রু সম্পত্তি' হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে 'শত্রু সম্পত্তির' নাম পরিবর্তন করে 'অর্পিত সম্পত্তি' রাখা হয়। এসব অর্পিত সম্পত্তি মূল মালিক বা তদীয় বৈধ উত্তরাধিকারীর কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে 'অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১' প্রণয়ন করা হয়। তবে তা বাস্তবায়নের জণ্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা জারি না করায় আইন অনুসারে দীর্ঘকাল কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি।[৩]

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন (সংশোধন) আইন ২০১১

১১ ডিসেম্বর ২০১১ 'অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধন) আইন ২০১১ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন (সংশোধন) ২০১২

২১ মে ২০১২ 'অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধন) আইন ২০১১ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। এই আইনের ১৩ ধারার ভাষ্য এই যে, "অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধন) আইন ২০১১ কার্যকর হইবার ৩০০ (তিনশত)] দিনের মধ্যে সরকার এই ধারার বিধান অনুযায়ী ‘ক’ ও ‘খ’ তফসিলে বর্ণিত অর্পিত সম্পত্তির মৌজাভিত্তিক উপজেলা বা থানা বা] জেলাওয়ারী তালিকা প্রস্ত্তত করিয়া সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশ করিবে।"[৪]

অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা ২০১২

২ মে ২০১২ এস. আর. ও. নম্বর ১০৭-এর মাধ্যমে সরকার কর্তৃক অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা জারি করা হয়। এই বিধিমালা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেকে অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে গেজেটে প্রকাশিত জমির প্রকৃত দাবিদার মনে করলে, তার দাবির সমর্থনে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ সরকারি গেজেট প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি বরাবরে আবেদন করতে পারেন। [৫]

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন (২য় সংশোধন) ২০১৩

১০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে একটি সরকারী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিতর্কিত "খ" তফসিলটি বাতিল করা হয়। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের "খ" তফসিলে এমন অনেক সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল যা কখনোই অর্পিত সম্পত্তি ছিল না। ফলে হাজার হাজার মানুষকে হয়রানির মুখোমুখি হতে হয় এবং এই তফসিল সংশোধনের দাবি ওঠে। ভুক্তভোগী মানুষের দাবির মুখে সরকার আইনের "খ" তফসিলটি বাতিল করার উদ্দেশ্য নিয়ে সংসদে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন (২য় সংশোধন) ২০১৩ উপস্থাপন ও পাস করা হয়। এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে মূল আইনের ২৮ ধারা যথাযথভাবে সম্প্রসারণ করা হয়।[২][৬]

গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহ

  • তফসিল-ক বর্ণিত অর্পিত সম্পত্তি : সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অর্পিত সম্পত্তি।
  • তফসিল-খ বর্ণিত অর্পিত সম্পত্তি : ব্যক্তি মালিকানাধীন অর্পিত সম্পত্তি।
  • সরকারী গেজেটে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে তা না লাভের জন্য যদি কেউ আবেদন না করে তবে তা দখলে নিয়ে সরকার দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারবে।

অর্পিত সম্পত্তি ফেরৎ লাভের শর্তাবলী

  • সরকারী গেজেটে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে তা ফেরৎ লাভের জন্য আবেদন করতে হবে। না করলে অর্পিত সম্পত্তি সরকারি দখলে নিয়ে তা দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হবে।
  • অর্পিত সম্পত্তি ফিরে হলে দাবিদারকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে।
  • বিনিময় মামলার আওতায় যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন, অর্পিত সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্য তাদেরকে ভারতে প্রদত্ত সম্পত্তির বিবরণী জমা দিতে হবে। [৭]

তথ্যসূত্র

  1. ভুলে ভরা অর্পিত সম্পত্তির গেজেট
  2. দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. অবমুক্তি বিধিমালা জারি
  4. "গেজেট প্রকাশের সময়সীমা ১৫০ দিন বাড়ল"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১২ 
  5. http://orpitosampottihelpline.org/orpitoalldocuments/laws&rules/VestedPropertyReleaseRules,2012.pdf[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর
  7. অর্পিত সম্পত্তি ফিরে পেতে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে

বহিসংযোগ