কিরণমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৬ নং লাইন: ৪৬ নং লাইন:
পরবর্তীতে, আলোকমালা তাকে ফিরিয়ে আনে । রাক্ষসরা নরকে শাস্তি পায় ।বিশ্ব রাক্ষসদের থেকে মুক্তি লাভ করে ।
পরবর্তীতে, আলোকমালা তাকে ফিরিয়ে আনে । রাক্ষসরা নরকে শাস্তি পায় ।বিশ্ব রাক্ষসদের থেকে মুক্তি লাভ করে ।


===মূল গল্প===
'''মূল গল্প'''
এই কাহিনী [[দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার]] রচিত ''[[ঠাকুরমার ঝুলি]]'' থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই কাহিনী [[দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার]] রচিত ''[[ঠাকুরমার ঝুলি]]'' থেকে নেওয়া হয়েছে।


==কাহিনীর কল্পিত স্থানসমূহ==
==কাহিনীর কল্পিত স্থানসমূহ==

০৭:০৯, ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কিরণমালা
ধরনরূপকথার কাহিনী
নির্মাতাসুরিন্দার ফিল্মস
লেখককাহিনীঃ সুসান্তা বসু
সংলাপঃ অদিতি মজুমদারঅনুজা চ্যাটার্জী
পরিচালকশ্রীজিৎ রায়
অভিনয়েরুকমা রায়
চান্দ্রেয়ী ঘোষ
ফারহান ইমরোজ
উদ্বোধনী সঙ্গীতমধুহারা ভট্টচ্যারি
পর্বের সংখ্যা৭২১
মুক্তি
মূল মুক্তির তারিখ৪ আগস্ট ২০১৪ –
১৯ নভেম্বর ২০১৬
বহিঃসংযোগ
ওয়েবসাইট

কিরণমালা হলো স্টার জলসায় প্রচারিত একটি ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক। এটি মুলত কিরণমালাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয় ।আগস্ট, ২০১৪ সাল থেকে নভেম্বর, ২০১৬ সাল পর্যন্ত এর সম্প্রচার হয় । এসময় রুকমা রায় কিরণমালার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ।

কাহিনী সংক্ষেপ

অচিনপুরের রাজা বিজয় বাণিজ্য ভ্রমণ থেকে ফিরে আসার পরে জানতে পারে, রাক্ষসরা জেগে উঠেছে। তাদেরকে ধ্বংস করে সারা বিশ্বকে বাঁচাতে পারে তার কন‍্যা কিরণমালা।এমন সময় একজন প্রহরী জানায় যে, মহারাজা বিজয় বাবা অর্থাৎ মহারানী রুপবতি মা হচ্ছেন । সারা রাজ‍্য যখন আনন্দ উপভোগ করছে তখন রাক্ষসী রানি প‍্যাকাটি বৃদ্ধা সেজে এসে রানির সেবা করা শুরু করে । কিরণমালার জন্মের সময় সে ঘরে থাকায় কিরণমালাকে সরিয়ে একটি পুতুল নিয়ে মহারাজাকে দেখিয়ে বলে, রুপবতী রাক্ষসী ।সে কিরণমালার জন্ম দিতে অক্ষম । এই শুভ কাজ করতে পারে রাজকন্যা কলাবতি ।রূপবতীকে বন্দি করার পর প‍্যাকাটি তার মেয়ে কটকটিকে কলাবতি সাজিয়ে এনে রাজা বিজয়ের সাথে বিয়ে দেয় ।ছদ্মবেশী কটকটি বিয়ের পরে রাজাকে বশীভূত করে ।সে অচিনপুরকে রাক্ষস রাজ‍্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ।সে হয়ে যায় রাক্ষসকূলের রানি ।

অন‍্যদিকে, কিরণমালাকে ফেলে দেয়া হয় সমুদ্রে ।সে শুভ শক্তির প্রতীক থাকায় অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় এবং তাকে এক জেলে বড় করে তুলতে থাকে ।

১৮ বছর পর

কিরণমালা নিজের পরিচয় জানার পর নিজের রাজ‍্যে ফিরে আসে ।কটকটির মন জয় করে ঝিনুকমালা সেজে প্রাসাদে থেকেই রাক্ষসদের ধ্বংসের পরিকল্পনা করতে থাকে ।কটকটি জানতে পারে যে, কিরণমালা বেঁচে আছে ।তখন সে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে । সে জানতো না যে, ঝিনুকমালাই কিরণমালা ।একসময় সে এটা জানতে পারে এবং তাদের মাঝে যুদ্ধ হয় । যুদ্ধে কিরণমালা সমুদ্রে পরে যায় ।কটকটি ভাবে কিরণমালা মারা যায় ।

কিরনমালাকে খুঁজে পায় অমৃত নগরীর রাজকুমার পৃথ্বীরাজ ।তখন কিরণমালার স্মৃতি হারিয়ে যায় ।তার নাম হয় ঊর্মিমালা।

অমৃত নগরীর অমৃত পান করে অমর হওয়া যায় ।যার রক্ষণাবেক্ষণ করছে রাজ পরিবার ।কটকটি এটি জানতে পারে, এবং অমর হওয়ার আশায় তার মেয়ে বজ্রমালাকে এখানে নিয়ে আসে কুমারের সাথে বিয়ে দিয়ে অমৃত তরল কেড়ে নেওয়ার জন্য ।কুমার ও কিরণমালা একে অপরকে ভালবেসে ফেলে । এরপর কিরণমালার স্মৃতি ফিরে আসে ও কটকটির পরিচয় প্রকাশ করে । কটকটিরা পালিয়ে যায় । কুমার ও কিরণমালার বিয়ে হয় । এরপর নানাভাবে তারা কটকটিদের হারিয়ে দেয় ।প্রত‍্যেক বার সে পালিয়ে যায় ও নতুন ভাবে ষড়যন্ত্র করে ।

এরপর, কিরণমালা ও কুমারের আলোকমালা নামক এক কন‍্যা জন্ম নেয় ।কটকটি একে চুরি করে ও ভিনগ্রহে নিয়ে যায় । কিছুবছর পর সে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ।এরপরে কিরণমালাকে ভবিষ্যতেও যেতে হয় ।

গল্পের শেষে কিরণমালার প্রাণের সাথে রাক্ষস কূলের প্রাণ মিশে যায় । তখন বিশ্বকে বাঁচানোর জন্য কিরণমালা আত্মহত্যা করে । পরবর্তীতে, আলোকমালা তাকে ফিরিয়ে আনে । রাক্ষসরা নরকে শাস্তি পায় ।বিশ্ব রাক্ষসদের থেকে মুক্তি লাভ করে ।

মূল গল্প

এই কাহিনী দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নেওয়া হয়েছে।

কাহিনীর কল্পিত স্থানসমূহ

• অচিনপুর • অমৃতনগর • রুপনগরী • আগুন পাহাড় • বিচিত্র নগরী • বরফ রাজ্য • তুষার রাজ্য • বঞ্জিকা গ্রহ • বাতাসি গ্রহ ।

অভিনয়ে

অভিনয়ে শিল্পী
রুকমা রায় রাজকুমারী কিরণমালা / ঊর্মিমালা / ঝিনুকমালা
রজনী গান্ধী আলোকমালা
ফারহান ইমরোজ রাজকুমার পৃথ্বীরাজ
কৌশিক চক্রবর্তী রাজা বিজয়
অদিতি চক্রবর্তী রাণী রূপমতী
মৌমিতা গুপ্ত রাজমাতা
চান্দ্রেয়ী ঘোষ রাক্ষসী রানী কটকটি/মহারানী কলাবতী
চৈতালি চক্রবতী প্যাকাটি
মধুবানী ঘোষ বজ্রমালা
দেবযানী চট্টোপাধ্যায় মহারানী আম্রপালি
অরিজিৎ চক্রবর্তী মহারাজা বিক্রম সিংহ
মাফিন চক্রবর্তী মায়া পরী/মায়া আরশী
পার্থ আচার্য বিটকেল
জয়মালা গঙ্গোপাধ্যায় ললনাময়ী
সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা[১][২] ছলনাময়ী
অনির্বান ভট্টাচার্য কাল তাপস্বী
রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় চক্রবর্তী নাগকন্যা শঙ্খিনী
রানা রায় সুবর্ণ কুমার

তথ্যসূত্র

  1. "Bengali actress Sayantani Guhathakurta stuns in a slow-motion video; take a look - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩ 
  2. "জয়ার 'দেবী' নিয়ে যা বললেন কিরণমালা সিরিয়ালের অভিনেত্রী"jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৩ 

বহিঃসংযোগ