চতুর্দশপদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Soumyapatra13 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:


==বাংলা চতুর্দশপদী==
==বাংলা চতুর্দশপদী==
[[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষায়]] প্রথম সনেট রচনার কৃতিত্ব [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত|মাইকেল মধুসূদন দত্তের]], সনেট কে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদনই দিয়েছিলেন। বাংলা সনেট (চতুর্দশপদী) এর সার্থক স্রষ্টা কবি মধুসূদন দত্ত ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালেই ইতালির কবি পেত্রার্কের সনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেটের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের ব্যকুলতা, স্বদেশ প্রেমিকতা ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=মাইকেল মধুসূদন দত্ত|url=http://www.jessore.info/index.php?option=content&value=232|website=যশোর ইনফো ডট কম|accessdate=17 জানুয়ারি 2017}}</ref>
[[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষায়]] প্রথম সনেট রচনার কৃতিত্ব [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত|মাইকেল মধুসূদন দত্তের]], সনেট কে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদনই দিয়েছিলেন। বাংলা সনেট (চতুর্দশপদী) এর সার্থক স্রষ্টা কবি মধুসূদন দত্ত ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালেই ইতালির কবি পেত্রার্কের সনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেটের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের ব্যকুলতা, স্বদেশ প্রেমিকতা ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মাইকেল মধুসূদন দত্ত|ইউআরএল=http://www.jessore.info/index.php?option=content&value=232|ওয়েবসাইট=যশোর ইনফো ডট কম|সংগ্রহের-তারিখ=17 জানুয়ারি 2017}}</ref>


[[মাইকেল মধুসূদন দত্ত|মাইকেল মধুসূধন দত্তের]] একটি [[চতুর্দশপদী|চতুর্দশপদী]]।
[[মাইকেল মধুসূদন দত্ত|মাইকেল মধুসূধন দত্তের]] একটি চতুর্দশপদী।


“বউ কথা কও”<ref>https://ebanglasahitto.com/search/label/Sonnet</ref><br/>
“বউ কথা কও”<ref>https://ebanglasahitto.com/search/label/Sonnet</ref><br/>
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
“ক্ষম, প্রিয়ে” এই বলি পড় গিয়া পায়ে!—<br/>
“ক্ষম, প্রিয়ে” এই বলি পড় গিয়া পায়ে!—<br/>
কভু দাস, কভু প্রভু, শুন, ক্ষুন্ন-মতি,<br/>
কভু দাস, কভু প্রভু, শুন, ক্ষুন্ন-মতি,<br/>
প্রেম-রাজ্যে রাজাসন থাকে এ উপায়ে।<br/>
প্রেম-রাজ্যে রাজাসন থাকে এ উপায়ে।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}

[[বিষয়শ্রেণী:কবিতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ]]
== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://ebanglasahitto.com/search/label/Sonnet মাইকেল মধুসূদন দত্তের সনেট]
* [http://ebanglasahitto.com/search/label/Sonnet মাইকেল মধুসূদন দত্তের সনেট]

[[বিষয়শ্রেণী:কবিতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ]]

১৫:৩৮, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চতুর্দশপদী হল এক ধরনের কবিতা যার প্রথম উদ্ভব হয় মধ্যযুগে ইতালিতে। এর বৈশিষ্ট হল যে এই কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে সাধারণভাবে মোট ১৪টি করে অক্ষর থাকবে।এর প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষষ্টক বলে। অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে।

ইংরেজী চতুর্দশপদী

ইংরেজিতে চতুর্দশপদী কবিতাকে সনেট (sonnet) বলা হয়। ইংরেজী চতুর্দশপদী প্রথম পরিচিতি পেয়েছিল খ্রীষ্টীয় ১৬শ (ষোড়শ) শতাব্দীতে 'টমাস ওয়াট' এর প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু এর প্রচলন প্রবল হয়ে ওঠে স্যার ফিলিপ সিডনি এর Astrophel and Stella (১৫৯১) প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে। তার পরের দুই শতক উইলিয়াম শেকসপিয়র, এডমন্ড স্পেন্সার, মাইকেল ড্রায়টন ইত্যাদি ব্যক্তিত্ত্বরা চতুর্দশপদী কবিতাকে নতুন নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এরুপ কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল নারীর প্রতি ভালবাসা।

বাংলা চতুর্দশপদী

বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনার কৃতিত্ব মাইকেল মধুসূদন দত্তের, সনেট কে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদনই দিয়েছিলেন। বাংলা সনেট (চতুর্দশপদী) এর সার্থক স্রষ্টা কবি মধুসূদন দত্ত ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালেই ইতালির কবি পেত্রার্কের সনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেটের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের ব্যকুলতা, স্বদেশ প্রেমিকতা ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।[১]

মাইকেল মধুসূধন দত্তের একটি চতুর্দশপদী।

“বউ কথা কও”[২]
কি দুখে, হে পাখি, তুমি শাখার উপরে
বসি, বউ কথা কও, কও এ কাননে ?—
মানিনী ভামিনী কি হে, ভামের গুমরে,
পাখা-রূপ ঘোমটায় ঢেকেছে বদনে ?
তেঁই সাধ তারে তুমি মিনতি-বচনে ?
তেঁই হে এ কথাগুলি কহিছ কাতরে ?
বড়ই কৌতুক, পাখি, জনমে এ মনে—
নর-নারী-রঙ্গ কি হে বিহঙ্গিনী করে ?
সত্য যদি, তবে শুন, দিতেছি যুকতি;
(শিখাইব শিখেছি যা ঠেকি এ কু-দায়ে)
পবনের বেগে যাও যথায় যুবতী;
“ক্ষম, প্রিয়ে” এই বলি পড় গিয়া পায়ে!—
কভু দাস, কভু প্রভু, শুন, ক্ষুন্ন-মতি,
প্রেম-রাজ্যে রাজাসন থাকে এ উপায়ে।

তথ্যসূত্র

  1. "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"যশোর ইনফো ডট কম। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. https://ebanglasahitto.com/search/label/Sonnet

বহিঃসংযোগ