সাদাত খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সূত্র যোগ ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
তথ্য যোগ ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অন্যতম নেতা ও শহীদ। জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮২২। |
১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অন্যতম নেতা ও শহীদ। জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮২২। মৃত্যু ১ অক্টোবর, ১৮৭৪। |
||
== প্রারম্ভিক জীবন == |
== প্রারম্ভিক জীবন == |
||
তার পূর্বপুরুষেরা মধ্যপ্রদেশের |
তার পূর্বপুরুষেরা মধ্যপ্রদেশের অধিবাসী ছিলেন। সকলেই হোলকার রাজাদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করতেন। সাদাত খান নিজেও ছিলেন হোলকারের ইন্দোর আর্মির অশ্বারোহী ডিভিসনের অফিসার। |
||
== বিদ্রোহে |
== বিদ্রোহে যোগদান == |
||
১৮৫৭ সালের ১ জুলাই ৩৫ বছর বয়েসে চাকরি ছেড়ে নিজস্ব বাহিনী ও হিন্দু |
১৮৫৭ সালের ১ জুলাই ৩৫ বছর বয়েসে চাকরি ছেড়ে নিজস্ব বাহিনী ও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ অনুগামী নিয়ে বিদ্রোহে যোগ দেন। তার অনুগামী দের মধ্যে তার নিজের ভাই সর্দার খান ছাড়াও ছিলেন ভগীরথ শিলাওয়াত, বংশ গোপাল, দুর্গা প্রসাদ, দেবী সিং প্রমুখ। কর্নেল ট্রাভার্সকে মাত্র তিন ঘন্টার যুদ্ধে পরাজিত করে ইন্দোরের ব্রিটিশ রাজভবন দখল করেন, ব্রিটিশ রাজপুরুষেরা পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। নিজেকে এরপর ইন্দোরের রাজা বলে ঘোষনা করেন তিনি। সমরকুশলী সেনাপতি হওয়ার কারনে একাধিক যুদ্ধে তার রণনীতিতে ব্রিটিশ বাহিনী অপদস্থ হয়েছে। গোয়ালিওর, সহজপুর, রাজগড়, গুনা, শিভপুরার ইংরেজকুঠিগুলি সাদাত খানের আক্রমনে ধ্বংস হলে ১৭৫৭ এর ১০ অক্টোবর জেনারেল গ্রেথেড বিপুল বাহিনী নিয়ে সাদাতের মোকাবিলা করেন। আগ্রার কাছে এই যুদ্ধে সাদাত খান প্রথম পরাজিত হন ও পলায়নে সক্ষম হন। তার সৈন্যদের অনেকেই ধরা পড়ে, তাদের ফাঁসি হয়<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=ভারতের মুক্তি সংগ্রামে মুসলিম অবদান|last=শান্তিময় রায়|first=|publisher=মল্লিক ব্রাদার্স|year=২০১৩|isbn=81-7999-030-3|location=কলকাতা|pages=১২১}}</ref>। (ভারতীয় ইতিহাসের কালপঞ্জি গ্রন্থে কার্ল মার্ক্স এই যুদ্ধের কথা লিখেছেন ২০ অক্টোবর) |
||
== পলাতক জীবন == |
== পলাতক জীবন == |
||
পলাতক অবস্থায় তিনি ববিভিন্ন সসময় ননিজস্ব বাহিনী নিয়ে ঝটিকা |
পলাতক অবস্থায় তিনি ববিভিন্ন সসময় ননিজস্ব বাহিনী নিয়ে ঝটিকা আক্রমন ককরেছেন ইইংরেজের ওপর। ১৭ বছর ধরে পুলিশ ততাকে ধরতে পপারেনি। ততার মমাথার দাম ঘোষিত হহয় তততকালীন আআমিলে ৫০০০ টাকা। মহাবিদ্রোহ দমিত হলেও আলেয়ার, সসালেম্বুর, উউজ্জয়নী, ববংশওয়াড়ায় ববিভিন্ন জায়গায় ইংরেজের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন এই বিদ্রোহী। |
||
== ফাঁসি == |
== ফাঁসি == |
||
বংশওয়াড়ার জংগলে তাকে ১৮৭৪ সালের জজানুয়ারি তে গ্রেপ্তার ককরা হহয় ও বিচারে মৃত্যুদন্ড হয়। ইন্দোরের যে |
বংশওয়াড়ার জংগলে তাকে ১৮৭৪ সালের জজানুয়ারি তে গ্রেপ্তার ককরা হহয় ও বিচারে মৃত্যুদন্ড হয়। ইন্দোরের যে রেসিডেন্সি দখল করে বিদ্রোহের সসূচনা করেছিলেন তার সামনের গাছেই তার ফাঁসি হয় ১ অক্টোবর ১৮৭৪<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=ফেসবুক থেকে রাস্তায়|last=পুরন্দর ভাট|first=সাতাতখানের শাহাদত|publisher=অপ্রচলিত পত্রিকা প্রকাশনী|year=২০১৬|isbn=|location=কলকাতা|pages=৭৮}}</ref>। তার ভাই সর্দার খানেরও ফাঁসি হয়েছিল। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৫:৩৫, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অন্যতম নেতা ও শহীদ। জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮২২। মৃত্যু ১ অক্টোবর, ১৮৭৪।
প্রারম্ভিক জীবন
তার পূর্বপুরুষেরা মধ্যপ্রদেশের অধিবাসী ছিলেন। সকলেই হোলকার রাজাদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করতেন। সাদাত খান নিজেও ছিলেন হোলকারের ইন্দোর আর্মির অশ্বারোহী ডিভিসনের অফিসার।
বিদ্রোহে যোগদান
১৮৫৭ সালের ১ জুলাই ৩৫ বছর বয়েসে চাকরি ছেড়ে নিজস্ব বাহিনী ও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ অনুগামী নিয়ে বিদ্রোহে যোগ দেন। তার অনুগামী দের মধ্যে তার নিজের ভাই সর্দার খান ছাড়াও ছিলেন ভগীরথ শিলাওয়াত, বংশ গোপাল, দুর্গা প্রসাদ, দেবী সিং প্রমুখ। কর্নেল ট্রাভার্সকে মাত্র তিন ঘন্টার যুদ্ধে পরাজিত করে ইন্দোরের ব্রিটিশ রাজভবন দখল করেন, ব্রিটিশ রাজপুরুষেরা পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। নিজেকে এরপর ইন্দোরের রাজা বলে ঘোষনা করেন তিনি। সমরকুশলী সেনাপতি হওয়ার কারনে একাধিক যুদ্ধে তার রণনীতিতে ব্রিটিশ বাহিনী অপদস্থ হয়েছে। গোয়ালিওর, সহজপুর, রাজগড়, গুনা, শিভপুরার ইংরেজকুঠিগুলি সাদাত খানের আক্রমনে ধ্বংস হলে ১৭৫৭ এর ১০ অক্টোবর জেনারেল গ্রেথেড বিপুল বাহিনী নিয়ে সাদাতের মোকাবিলা করেন। আগ্রার কাছে এই যুদ্ধে সাদাত খান প্রথম পরাজিত হন ও পলায়নে সক্ষম হন। তার সৈন্যদের অনেকেই ধরা পড়ে, তাদের ফাঁসি হয়[১]। (ভারতীয় ইতিহাসের কালপঞ্জি গ্রন্থে কার্ল মার্ক্স এই যুদ্ধের কথা লিখেছেন ২০ অক্টোবর)
পলাতক জীবন
পলাতক অবস্থায় তিনি ববিভিন্ন সসময় ননিজস্ব বাহিনী নিয়ে ঝটিকা আক্রমন ককরেছেন ইইংরেজের ওপর। ১৭ বছর ধরে পুলিশ ততাকে ধরতে পপারেনি। ততার মমাথার দাম ঘোষিত হহয় তততকালীন আআমিলে ৫০০০ টাকা। মহাবিদ্রোহ দমিত হলেও আলেয়ার, সসালেম্বুর, উউজ্জয়নী, ববংশওয়াড়ায় ববিভিন্ন জায়গায় ইংরেজের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন এই বিদ্রোহী।
ফাঁসি
বংশওয়াড়ার জংগলে তাকে ১৮৭৪ সালের জজানুয়ারি তে গ্রেপ্তার ককরা হহয় ও বিচারে মৃত্যুদন্ড হয়। ইন্দোরের যে রেসিডেন্সি দখল করে বিদ্রোহের সসূচনা করেছিলেন তার সামনের গাছেই তার ফাঁসি হয় ১ অক্টোবর ১৮৭৪[২]। তার ভাই সর্দার খানেরও ফাঁসি হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
- ↑ শান্তিময় রায় (২০১৩)। ভারতের মুক্তি সংগ্রামে মুসলিম অবদান। কলকাতা: মল্লিক ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ১২১। আইএসবিএন 81-7999-030-3।
- ↑ পুরন্দর ভাট, সাতাতখানের শাহাদত (২০১৬)। ফেসবুক থেকে রাস্তায়। কলকাতা: অপ্রচলিত পত্রিকা প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৭৮।