তুঁত রেশম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NahidHossain (আলোচনা | অবদান) "Bombyx mori" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে |
NahidHossain (আলোচনা | অবদান) নিবন্ধ সম্প্রসারণ বানান/ব্যাকরণ সংশোধন |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Taxobox |
|||
⚫ | |||
| image = Silkworms3000px.jpg |
|||
| image_caption = লার্ভার ৫ম দশায় তুত রেশম |
|||
| status = Domesticated |
|||
| regnum = [[Animal]]ia |
|||
| phylum = [[Arthropod]]a |
|||
| classis = [[Insect]]a |
|||
| ordo = [[Lepidoptera]] |
|||
| familia = [[Bombycidae]] |
|||
| genus = ''[[Bombyx]]'' |
|||
| species = '''''B. mori''''' |
|||
| binomial = ''Bombyx mori'' |
|||
| binomial_authority = ([[Carl Linnaeus|Linnaeus]], [[10th edition of Systema Naturae|1758]]) |
|||
| synonyms = |
|||
}} |
|||
⚫ | '''তুঁত রেশম''' বা বোমবিক্স মোরি (ইংরেজী: ''Bombyx mori'') আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্ত ইনসেক্টা শ্রেণীর লেপিডটেরা বর্গের পতঙ্গ।<ref>{{cite book |last=হরি |first1=পীযূষ কান্তি |title= প্রাণিবিজ্ঞান অভিধান |publisher=কবির পাবলিকেশন্স }}</ref> রেশম পোকার ইংরেজি সাধারন নাম সিল্ক ওর্য়াম (Silk Worm) তবে এই প্রজাতির রেশম পোকার প্রধান খাদ্য তুঁত গাছের পাতা বলে এদেরকে তুঁত রেশম পোকা বা Mulerry Silkworm বলে।<ref>{{cite book |last=সরকার |first1=উত্তম কুমার |title=অর্থনৈতিক প্রাণিবিজ্ঞান |publisher=বাংলা একাডেমি }}</ref> |
||
==তুঁতজাত রেশম পোকার জীবন চক্র== |
|||
রেশম পোকার জীবনে চারটি পর্যায়। তা হল ডিম, শূককীট, মূককীট ও পূণাঙ্গ পোকা। পূর্ণাঙ্গ পোকার নাম মথ। পোকারা নিশাচর অর্থাৎ রাতের বেলায় চলাফেরা করে। পোকার রঙ উজ্জ্বল নয়। স্ত্রী মথ পাতা বা কাগজের উপর চরে বেড়ায়।<ref>{{cite book |last=হোসেন |first1=ড. মোঃ আলতাফ |title=ফলিত প্রাণিবিজ্ঞান - চাষ ও খামার ব্যবস্থাপনা |location=ঢাকা |publisher=মল্লিক ব্রাদার্স }}</ref> |
|||
===নিষিক্তকরণ=== |
|||
দেহের অভ্যন্তরে নিষিক্তকরণ সংঘটিত হয়। কোকুন থেকে পূর্নাঙ্গ মথ বের হওয়ার সাথে সাথে পুরুষ মথ স্ত্রী মথের সাথে মিলিত হয় এবং এদের মিলনকার কমবেশি ২ থেকে ৩ ঘন্টা এবং মিলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সাধারনত পুরুষ মথ মারা যায়। |
|||
===ডিম পাড়া=== |
|||
মিলনের পরপরই স্ত্রী মথ কাগজ বা পাতায় ডিম পাড়া শুরু করে এবং স্ত্রী মথ সাধারনত ৪০০- ৫০০ শ ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ ফ্যাকাশে হলুদ। |
|||
===ডিম ফোটা=== |
|||
প্রায় ১০ দিন পর ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। শূককীট দুষ্টু ছেলের মত চঞ্চল। সে বেজায় ছুটোছুটি করে আর গ্রোগাসে গিলতে থাকে। তুঁত গাছের পাতা কুচি কুচি করে কেটে এদের খেতে দিতে হয়। |
|||
===খোলস উন্মোচন=== |
|||
শূককীট কয়দিন পর পর চারবার খোলস বদলায়। খোলস বদলালনোকে মোল্টিং বলে। মোল্টিং অর্থ ত্বক পরিবর্তন। শূককীট বড় হলে বাদামী লাল রঙের দেখায়। শূককীট চতুর্থবার খোলস বদলানোর পর মূককীটে পরিণত হতে শুরু করে। |
|||
===পিউপা=== |
|||
এ সময় এদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শূককীট, মূককীটকে যে বাঁশের ডালায় গালা হয় তার নাম চন্দ্রকী। চন্দ্রকীতে অনেক গুলি কুঠুরি থাকে। |
|||
===কোকুন=== |
|||
শূককীট দেহের ভিতরে একটি লম্বা রেশম গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে থাকে এক প্রকার রস। নালী দিয়ে এ রস মুখের বাইরে আসে। নালীর নাম স্পিনারেট (Spinneret)। বাতাসের সংস্পর্শে রস শক্ত হয়ে যায়। মূককীট মিনিটে ৬৫ বার মুখ ঘুরিয়ে রস দিয়ে দেহের চারপাশে আবরণ তৈরি করে। এই রসকে সাধারণ কথায় মুখের লালা বলে। আবরণসহ মূককীটকে গুটি বলে। গুটির ইংরেজি নাম কুকুন (Cocoon)। গুটির মধ্যে মুককীটের অদ্ভুত রূপান্তর ঘটে। এই পরিবর্তনকে মেটামরফসিস (Metamorphosis) বলে। মূককীট পরিবর্তিত হয়ে সুন্দর মথের রূপ ধারণ করে। |
|||
===পূর্নাঙ্গ মথের আবির্ভাব=== |
|||
পিউপা দশায় পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের ফলে উদরীয় ক্ষনপদ আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হবার সাথে দুজোড়া পাখা তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইহা পূর্নাঙ্গ মথে পরিনত হয়। মথই রেশম পোকার পূর্ণাঙ্গ অবস্থা। |
|||
==তথ্যসূত্র== |
|||
{{reflist}} |
১১:৪০, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
তুঁত রেশম | |
---|---|
লার্ভার ৫ম দশায় তুত রেশম | |
পোষ মানা
| |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
শ্রেণী: | Insecta |
বর্গ: | Lepidoptera |
পরিবার: | Bombycidae |
গণ: | Bombyx |
প্রজাতি: | B. mori |
দ্বিপদী নাম | |
Bombyx mori (Linnaeus, 1758) |
তুঁত রেশম বা বোমবিক্স মোরি (ইংরেজী: Bombyx mori) আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্ত ইনসেক্টা শ্রেণীর লেপিডটেরা বর্গের পতঙ্গ।[১] রেশম পোকার ইংরেজি সাধারন নাম সিল্ক ওর্য়াম (Silk Worm) তবে এই প্রজাতির রেশম পোকার প্রধান খাদ্য তুঁত গাছের পাতা বলে এদেরকে তুঁত রেশম পোকা বা Mulerry Silkworm বলে।[২]
তুঁতজাত রেশম পোকার জীবন চক্র
রেশম পোকার জীবনে চারটি পর্যায়। তা হল ডিম, শূককীট, মূককীট ও পূণাঙ্গ পোকা। পূর্ণাঙ্গ পোকার নাম মথ। পোকারা নিশাচর অর্থাৎ রাতের বেলায় চলাফেরা করে। পোকার রঙ উজ্জ্বল নয়। স্ত্রী মথ পাতা বা কাগজের উপর চরে বেড়ায়।[৩]
নিষিক্তকরণ
দেহের অভ্যন্তরে নিষিক্তকরণ সংঘটিত হয়। কোকুন থেকে পূর্নাঙ্গ মথ বের হওয়ার সাথে সাথে পুরুষ মথ স্ত্রী মথের সাথে মিলিত হয় এবং এদের মিলনকার কমবেশি ২ থেকে ৩ ঘন্টা এবং মিলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সাধারনত পুরুষ মথ মারা যায়।
ডিম পাড়া
মিলনের পরপরই স্ত্রী মথ কাগজ বা পাতায় ডিম পাড়া শুরু করে এবং স্ত্রী মথ সাধারনত ৪০০- ৫০০ শ ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ ফ্যাকাশে হলুদ।
ডিম ফোটা
প্রায় ১০ দিন পর ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। শূককীট দুষ্টু ছেলের মত চঞ্চল। সে বেজায় ছুটোছুটি করে আর গ্রোগাসে গিলতে থাকে। তুঁত গাছের পাতা কুচি কুচি করে কেটে এদের খেতে দিতে হয়।
খোলস উন্মোচন
শূককীট কয়দিন পর পর চারবার খোলস বদলায়। খোলস বদলালনোকে মোল্টিং বলে। মোল্টিং অর্থ ত্বক পরিবর্তন। শূককীট বড় হলে বাদামী লাল রঙের দেখায়। শূককীট চতুর্থবার খোলস বদলানোর পর মূককীটে পরিণত হতে শুরু করে।
পিউপা
এ সময় এদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শূককীট, মূককীটকে যে বাঁশের ডালায় গালা হয় তার নাম চন্দ্রকী। চন্দ্রকীতে অনেক গুলি কুঠুরি থাকে।
কোকুন
শূককীট দেহের ভিতরে একটি লম্বা রেশম গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে থাকে এক প্রকার রস। নালী দিয়ে এ রস মুখের বাইরে আসে। নালীর নাম স্পিনারেট (Spinneret)। বাতাসের সংস্পর্শে রস শক্ত হয়ে যায়। মূককীট মিনিটে ৬৫ বার মুখ ঘুরিয়ে রস দিয়ে দেহের চারপাশে আবরণ তৈরি করে। এই রসকে সাধারণ কথায় মুখের লালা বলে। আবরণসহ মূককীটকে গুটি বলে। গুটির ইংরেজি নাম কুকুন (Cocoon)। গুটির মধ্যে মুককীটের অদ্ভুত রূপান্তর ঘটে। এই পরিবর্তনকে মেটামরফসিস (Metamorphosis) বলে। মূককীট পরিবর্তিত হয়ে সুন্দর মথের রূপ ধারণ করে।
পূর্নাঙ্গ মথের আবির্ভাব
পিউপা দশায় পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের ফলে উদরীয় ক্ষনপদ আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হবার সাথে দুজোড়া পাখা তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইহা পূর্নাঙ্গ মথে পরিনত হয়। মথই রেশম পোকার পূর্ণাঙ্গ অবস্থা।