দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2+) (বট পরিবর্তন করছে: en:Metro (rail transport)
Vagobot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2) (বট পরিবর্তন করছে: en:Rapid transit
৫২ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:
[[de:U-Bahn]]
[[de:U-Bahn]]
[[el:Μετρό]]
[[el:Μετρό]]
[[en:Metro (rail transport)]]
[[en:Rapid transit]]
[[eo:Metroo]]
[[eo:Metroo]]
[[es:Metro (sistema de transporte)]]
[[es:Metro (sistema de transporte)]]

০৮:২৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ক্ল্যাপহ্যাম কমন টিউব স্টেশন, লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড
হেলসিঙ্কি মেট্রো রেলের অভ্যন্তরভাগ
তাইপেই মেট্রো ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের অভ্যন্তরভাগ

দ্রুত পরিবহণ, আন্ডারগ্রাউন্ড, সাবওয়ে, উড়াল রেলপথ, মেট্রো বা মেট্রোপলিটান রেলপথ হল শহরাঞ্চলে চালু উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও দ্রুতগামী বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী রেল ব্যবস্থা।[১][২] দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার যানবাহন সাধারণত সড়কপথের সমতলে না থেকে ভূগর্ভস্থ পথে বা উড়াল পথে চলে। দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার ট্রেনগুলি নিজস্ব পথে অন্য যানবাহন (ট্রেন, গাড়ি, ইত্যাদি) থেকে আলাদা থাকে। নগরকেন্দ্রের বাইরে দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার লাইন গ্রেড সেপারেটেড গ্রাউন্ড লেভেল ট্র্যাকের উপর থাকে।

দ্রুত পরিবহণ পরিষেবা নির্দিষ্ট স্টেশনের প্রসারিত বিশেষ লাইন পথে চালু থাকে। এই ব্যবস্থায় রেল ট্র্যাকে ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাবার টায়ার, ম্যাগনেটিক লেভিটেশন বা মনোরেলও ব্যবহৃত হয়। অবশ্য দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার ট্রেনগুলি অন্যান্য গণ যানবাহনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলে। কোনো গণ পরিবহণ সংস্থা এই ব্যবস্থার পরিচালনার দায়িত্বে থাকে। দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার ট্রেনগুলি ট্রাম বা লাইট রেলের থেকে দ্রুতগামী ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, কিন্তু দুরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনের তুলনায় দ্রুতগামী নয়। দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থায় খুব কম পরিমাণ জমি ব্যবহার করে অনেক বেশি পরিমাণে যাত্রী পরিবহণ করা যায়। দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার অন্যান্য রূপগুলি হল পিপল মুভার, ছোটো আকারের লাইট মেট্রো ও যাত্রীবাহী রেল সংকর এস-বান (S-Bahn)।

বিশ্বের প্রথম দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড চালু হয় ১৮৬৩ সালে। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই প্রযুক্তিটি ইউরোপের অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকটি উড়াল ব্যবস্থা চালু হয়। প্রথমে এই সব রেলপথে বাষ্পচালিত ইঞ্জিন ব্যবহৃত হত। পরে সর্বত্রই বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু হয়ে যায়। দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার বৃহত্তম প্রসার ঘটেছে এশিয়াতে। এশিয়ায় চালকবিহীন রেলও এই ব্যবস্থায় চালু আছে। মোট ১৬০টি শহরে দ্রুত পরিবহণ পরিষেবা চালু রয়েছে; যার মোট ট্র্যাক দৈর্ঘ্য ৮,০০০ কিলোমিটার (৪,৯০০ মাইল) এবং বিশ্বে মোট দ্রুত পরিবহণ স্টেশনের সংখ্যা ৭,০০০। এছাড়াও ২৫টি শহরে দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা নির্মীয়মান অবস্থায় রয়েছে।

রেলপথের দৈর্ঘ্য ও স্টেশন সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম মেট্রো রেল হল নিউ ইয়র্ক সাবওয়ে। যদিও লাইনের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম মেট্রো ব্যবস্থা হল লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডসাংহাই মেট্রো[৩] দৈনন্দিন যাত্রী পরিবহণ সংখ্যা অনুযায়ী, বিশ্বের ব্যস্ততম মেট্রো ব্যবস্থাটি হল টোকিও মেট্রোমস্কো মেট্রো

মনট্রিল মেট্রোর স্কোয়ার-ভিক্টোরিয়া স্টেশনে প্যারিস মেট্রোর অনুকরণে নির্মিত প্রবেশপথ

পাদটীকা

  1. "Rapid transit"Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২৭ ; "Metro"International Association of Public Transport। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২৭ 
  2. "Glossary of Transit Terminology"American Public Transportation Association। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-২৭ 
  3. "Shanghai now the world's longest metro"। ৪ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১০ 

তথ্যসূত্র

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA